মেহেদী-চমকে গাজীর বড় জয়
মেহেদী হাসান একাই করলেন ১০৩। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ম্যাচ জিতল ১০৬ রানে। একা মেহেদীর কাছেই তো হারল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেটার্স! বাংলাদেশের ক্রিকেটে এখন মেহেদীদের ছড়াছড়ি। কাল থেকে শুরু প্রিমিয়ার লিগেই খেলছেন চার ‘মেহেদী’। সবচেয়ে পরিচিত অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক মেহেদী হাসান (মিরাজ) কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমিতে। প্রাইম ব্যাংকের মেহেদী মারুফও ঘরোয়া ক্রিকেটে পরিচিত নাম। আর রূপগঞ্জের মেহেদী হাসান (রানা) মূলত পেসার। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে তিন নম্বরে নেমে গাজী গ্রুপকে ৩০৩ রান এনে দেওয়ার রূপকার মেহেদী হাসানটা তাহলে কে?
মেহেদীকে চট করে না চেনাটাই স্বাভাবিক। গাজী গ্রুপের আরও তিন ক্রিকেটার ফারুক হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান ও মঈনুল ইসলামের সঙ্গে কালই যে প্রিমিয়ার লিগে অভিষেক হলো ২১ বছর বয়সী খুলনার এই ক্রিকেটারের! টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান, তবে অফ স্পিনটাও যে খারাপ করেন না সেটা বলে দিচ্ছে তাঁর কালকের বোলিং বিশ্লেষণ—১০-০-২২-১। এনামুল হক-শামসুর রহমানের ওপেনিং জুটির ১১৩ রান বড় স্কোরের দিকে এগিয়ে দেয় এবারই প্রিমিয়ার লিগে আসা গাজী গ্রুপকে। ৫৬ করে শামসুর রানআউট হয়ে গেলে ২৩তম ওভারে এনামুলের সঙ্গে জুটি বাঁধেন মেহেদী। ফিরেছেন ৪৯তম ওভারে, রুবেল হোসেনকে হুক করে ফাইন লেগ দিয়ে বাউন্ডারি মেরে সেঞ্চুরি করার পরের বলেই। প্রিমিয়ার লিগে প্রথম খেললেও প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা হয়ে গেছে এক ডজন। তাতে তিন ফিফটির সঙ্গে দুটি সেঞ্চুরি। সেই অভিজ্ঞতাই প্রকাশিত প্রিমিয়ার লিগের প্রথম ইনিংসে। শুরু থেকেই সাবলীল মেহেদীর ব্যাট। ৮৯ বলে ১০৩ রানের ইনিংসে আট বাউন্ডারির সঙ্গে পাঁচ ছক্কার দুটি ইনিংসের শুরুতেই। প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও সময়ের সঙ্গে হয়ে উঠেছেন আক্রমণাত্মক। প্রথম ফিফটি করতে ৫৮ বল লাগলেও পরের ফিফটি মাত্র ৩০ বলে। শেরেবাংলা স্টেডিয়ামকে চমকেই দিয়েছেন মেহেদী। শেষ দিকে আরেক অভিষিক্ত ব্যাটসম্যানের ব্যাটিংও ছিল আনন্দদায়ী। তিন বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় মাত্র ৮ বলে ২২ রান করা ফারুক হোসেনকে বলা হচ্ছে গাজী গ্রুপের পরবর্তী চমক। এনামুল উইকেটের পেছনে অসাধারণ দুটো ক্যাচ ধরেছেন, দারুণ ক্ষিপ্রতায় করেছেন একটা স্টাম্পিংও। তবে ব্যাট হাতে যেন রয়ে গেছেন আগের রূপেই! ৬৭ রান করতে খেলেছেন ১০১ বল। ‘আইকন’ সাব্বির রহমান ও অধিনায়ক শুভাগত হোম চৌধুরীর সঙ্গে যোগ হয়েছেন শ্রীলঙ্কান ওপেনার দিলশান মুনাবীরা। সঙ্গে নুরুল হাসান, তাইবুর রহমান, ইয়াসির আলীদের নিয়ে ব্যাটিং লাইনআপটা যথেষ্টই ভালো বর্তমান চ্যাম্পিয়ন প্রাইম ব্যাংকের। উইকেটও ব্যাটিংবান্ধব। মিরপুরে তাই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচের প্রত্যাশা ছিল। অথচ প্রাইম ব্যাংক কিনা ১৯৭ রানে অলআউট ২১ বল বাকি থাকতেই! দেলোয়ার হোসেনের ইনসুইংয়ে ইনিংসের পঞ্চম বলেই বোল্ড মুনাবীরা, ৩৬ রানের সময় আরেক ওপেনার মেহেদী মারুফও আউট। ইয়াসিরের ৫৬ আর চোট কাটিয়ে গত ডিসেম্বরের পর কালই প্রথম মাঠে নামা রুবেলের ৪৫ বলে ৪৫ রান প্রখর রোদে গাজী গ্রুপের বোলার-ফিল্ডারদের ক্লান্তি বাড়ালেও সম্ভাবনা জাগাতে পারেনি প্রাইম ব্যাংকের জয়ের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
গাজী গ্রুপ: ৫০ ওভারে ৩০৩/৪ (মেহেদী ১০৩, এনামুল ৬৭, শামসুর ৫৬; নাজমুল ১/৩৪, আজিম ১/৪৭, রুবেল ১/৬৮)। প্রাইম ব্যাংক: ৪৬.৩ ওভারে ১৯৭ (ইয়াসির ৫৬, রুবেল ৪৫, সাব্বির ৩১, তাইবুর ৩০; আনোয়ার ৩/৩১, শরীফ ২/২২, মঈনুল ২/৪৯, মুস্তাফিজ ১/১৭, মেহেদী ১/২২ ও দেলোয়ার ১/২২)। ফল: গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ১০৬ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মেহেদী হাসান।
মেহেদীকে চট করে না চেনাটাই স্বাভাবিক। গাজী গ্রুপের আরও তিন ক্রিকেটার ফারুক হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান ও মঈনুল ইসলামের সঙ্গে কালই যে প্রিমিয়ার লিগে অভিষেক হলো ২১ বছর বয়সী খুলনার এই ক্রিকেটারের! টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান, তবে অফ স্পিনটাও যে খারাপ করেন না সেটা বলে দিচ্ছে তাঁর কালকের বোলিং বিশ্লেষণ—১০-০-২২-১। এনামুল হক-শামসুর রহমানের ওপেনিং জুটির ১১৩ রান বড় স্কোরের দিকে এগিয়ে দেয় এবারই প্রিমিয়ার লিগে আসা গাজী গ্রুপকে। ৫৬ করে শামসুর রানআউট হয়ে গেলে ২৩তম ওভারে এনামুলের সঙ্গে জুটি বাঁধেন মেহেদী। ফিরেছেন ৪৯তম ওভারে, রুবেল হোসেনকে হুক করে ফাইন লেগ দিয়ে বাউন্ডারি মেরে সেঞ্চুরি করার পরের বলেই। প্রিমিয়ার লিগে প্রথম খেললেও প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা হয়ে গেছে এক ডজন। তাতে তিন ফিফটির সঙ্গে দুটি সেঞ্চুরি। সেই অভিজ্ঞতাই প্রকাশিত প্রিমিয়ার লিগের প্রথম ইনিংসে। শুরু থেকেই সাবলীল মেহেদীর ব্যাট। ৮৯ বলে ১০৩ রানের ইনিংসে আট বাউন্ডারির সঙ্গে পাঁচ ছক্কার দুটি ইনিংসের শুরুতেই। প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও সময়ের সঙ্গে হয়ে উঠেছেন আক্রমণাত্মক। প্রথম ফিফটি করতে ৫৮ বল লাগলেও পরের ফিফটি মাত্র ৩০ বলে। শেরেবাংলা স্টেডিয়ামকে চমকেই দিয়েছেন মেহেদী। শেষ দিকে আরেক অভিষিক্ত ব্যাটসম্যানের ব্যাটিংও ছিল আনন্দদায়ী। তিন বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় মাত্র ৮ বলে ২২ রান করা ফারুক হোসেনকে বলা হচ্ছে গাজী গ্রুপের পরবর্তী চমক। এনামুল উইকেটের পেছনে অসাধারণ দুটো ক্যাচ ধরেছেন, দারুণ ক্ষিপ্রতায় করেছেন একটা স্টাম্পিংও। তবে ব্যাট হাতে যেন রয়ে গেছেন আগের রূপেই! ৬৭ রান করতে খেলেছেন ১০১ বল। ‘আইকন’ সাব্বির রহমান ও অধিনায়ক শুভাগত হোম চৌধুরীর সঙ্গে যোগ হয়েছেন শ্রীলঙ্কান ওপেনার দিলশান মুনাবীরা। সঙ্গে নুরুল হাসান, তাইবুর রহমান, ইয়াসির আলীদের নিয়ে ব্যাটিং লাইনআপটা যথেষ্টই ভালো বর্তমান চ্যাম্পিয়ন প্রাইম ব্যাংকের। উইকেটও ব্যাটিংবান্ধব। মিরপুরে তাই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচের প্রত্যাশা ছিল। অথচ প্রাইম ব্যাংক কিনা ১৯৭ রানে অলআউট ২১ বল বাকি থাকতেই! দেলোয়ার হোসেনের ইনসুইংয়ে ইনিংসের পঞ্চম বলেই বোল্ড মুনাবীরা, ৩৬ রানের সময় আরেক ওপেনার মেহেদী মারুফও আউট। ইয়াসিরের ৫৬ আর চোট কাটিয়ে গত ডিসেম্বরের পর কালই প্রথম মাঠে নামা রুবেলের ৪৫ বলে ৪৫ রান প্রখর রোদে গাজী গ্রুপের বোলার-ফিল্ডারদের ক্লান্তি বাড়ালেও সম্ভাবনা জাগাতে পারেনি প্রাইম ব্যাংকের জয়ের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
গাজী গ্রুপ: ৫০ ওভারে ৩০৩/৪ (মেহেদী ১০৩, এনামুল ৬৭, শামসুর ৫৬; নাজমুল ১/৩৪, আজিম ১/৪৭, রুবেল ১/৬৮)। প্রাইম ব্যাংক: ৪৬.৩ ওভারে ১৯৭ (ইয়াসির ৫৬, রুবেল ৪৫, সাব্বির ৩১, তাইবুর ৩০; আনোয়ার ৩/৩১, শরীফ ২/২২, মঈনুল ২/৪৯, মুস্তাফিজ ১/১৭, মেহেদী ১/২২ ও দেলোয়ার ১/২২)। ফল: গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ১০৬ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মেহেদী হাসান।
No comments