আট বছর পর ইমতিয়াজের সেঞ্চুরি
দুপুরের দিকে ভিক্টোরিয়ার মুমিনুল হক একবার ঘুরে গেলেন মাঠে। আগামীকাল একই মাঠে তাঁদের ম্যাচ লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে। দূর থেকে উইকেট দেখে খুশিই দেখাল মুমিনুলকে। বল উঠছে, খুব একটা টার্ন নেই। তবু নিশ্চিত হতে ডিপ স্কয়ার লেগে ফিল্ডিং করা ক্রিকেট কোচিং স্কুলের (সিসিএস) সাইফউদ্দিনকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘উইকেট কেমন?’ হাতের ইশারায় সাইফউদ্দিন যা বোঝালেন তার অর্থ, বিকেএসপির উইকেট ব্যাটিং-স্বর্গ। মুমিনুলের পাল্টা প্রশ্ন, ‘ব্যাটিং পিচ হলেও স্কোরটা বড় হলো না কেন?’ উত্তর জানা নেই সাইফউদ্দিনের। কী উত্তর দেবেন সিসিএসের এই অলরাউন্ডার? প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে কাল টেনেটুনে ১৭৭ রান করেছে সিসিএস। আল আমিন, ফরহাদ রেজা, নাসির হোসেনদের অভিজ্ঞতার কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হয়েছে তারুণ্যনির্ভর সিসিএসকে। ব্যাটসম্যানদের দিকে দুহাত বাড়িয়ে দেওয়া এই উইকেট কীভাবে কাজে লাগাতে হয়, ভালোভাবেই তা করে দেখিয়েছেন ইমতিয়াজ হোসেন ও রনি তালুকদার। ১৭৮ রান তাড়া করতে নেমে ওপেনিং জুটিতেই তাঁরা তুলেছেন ১০৬ রান। সাইফ হাসানকে তুলে মারতে গিয়ে রনি হাফ সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়েছেন ৩ রানের জন্য। ম্যাচের পর আফসোসে পুড়েছেন। তবে দিন শেষে তৃপ্তি সঙ্গী ছিল ইমতিয়াজের। নিখুঁত ব্যাটিংয়ে ঠিক তিন অঙ্ক ছুঁয়েই ফিরেছেন সিলেটের এই ব্যাটসম্যান। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ইমতিয়াজের এটি দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। একপর্যায়ে ইমতিয়াজের সেঞ্চুরি হবে কি না, সংশয় জেগেছিল। দলের তখন জিততে দরকার ১০ রান আর ইমতিয়াজের সেঞ্চুরি করতে লাগে ৫ রান। তবে স্ট্রাইক ধরে রেখে সংশয় দূর করেছেন দোলেশ্বর ওপেনার। তাঁর দলও জিতেছে ৮ উইকেটে। ৮ বছর পর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সেঞ্চুরি করে ইমতিয়াজের আত্মবিশ্বাসটা এখন ঊর্ধ্বমুখী, ‘এবার শুরুটা ভালো হয়েছে। এটা ধরে রাখতে চাই। আসলে ভালো না খেললে ঘরোয়া ক্রিকেটেও সুযোগ পাওয়া কঠিন। গত জাতীয় লিগে পাঁচ শর ওপর রান করেছিলাম। তবু বিসিএলে প্রথম দুটি ম্যাচে সুযোগ পাইনি।’ সংক্ষিপ্ত স্কোর ক্রিকেট কোচিং স্কুল (সিসিএস): ৪৯.২ ওভারে ১৭৭ রানে অলআউট (পিনাক ৩৫, সাঈদ ৩৪, সাইফউদ্দিন ৩১; আল আমিন ৩/৩৬, রেজাউল করিম ৩/২২)। প্রাইম দোলেশ্বর: ৪৫.২ ওভারে ২ উইকেটে ১৮১ (ইমতিয়াজ ১০০, রনি ৪৭; সাইফ হাসান ১/১৮, সাইফউদ্দিন ১/২৫)।
ফল: দোলেশ্বর ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: ইমতিয়াজ হোসেন।
ফল: দোলেশ্বর ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: ইমতিয়াজ হোসেন।
No comments