অতীত নিয়ে পোড়ার মানুষ নন কাপালি
১১১, ১৫৪, ৭৩—সর্বশেষ তিন ম্যাচে অলক কাপালির রান। সব কটিই অবশ্য ছিল মার্চে শেষ হওয়া বিসিএলে চার দিনের ম্যাচে। কাপালির সামনে এবার একদিনের ম্যাচে ছন্দটা ধরে রাখার পরীক্ষা। সে পরীক্ষায় কতটা উতরে যান, সময়ই বলে দেবে। আজ শুরুটা প্রত্যাশিত না হলেও মাত্রই তো শুরু। গত ঢাকা লিগে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে খুব একটা ভালো যায়নি কাপালির। ১৬ ম্যাচে ২২.৬৪ গড়ে করেছিলেন ৩১৭ রান। এবার ‘প্লেয়ার ড্রাফট পদ্ধতি’তে গাজী ক্রিকেটার্সে নাম তোলা কাপালি চান ঢাকা লিগ রাঙাতে, ‘গত বছর ভালো খেলতে পারিনি। ওপরের দিকে খেলতে পারিনি। সময়টা ভালো যায়নি আমার। তবে বিপিএল ও বিসিএল ভালোভাবে শেষ করেছি। এখন লিগে ভালো করার চেষ্টা করব।’ বিপিএল, বিসিএল, ঢাকা লিগ—কাপালির ক্যারিয়ার এখন ঘরোয়া ক্রিকেটেই সীমাবদ্ধ। বাংলাদেশ দলে খেলার স্বপ্নটা তবে হারিয়ে গেল সুদূরে? উত্তরটা তাঁর কাছেও পরিষ্কার নয়, ‘এখন বাংলাদেশ দল খুব ভালো খেলছে। ভালো লাগে ভেবে, এই দলে আমিও খেলেছি। এখনো মানুষ আমাকে চেনে বাংলাদেশ দলে খেলার জন্যই। মাঝে মাঝে খারাপ লাগে। ভাবি, খেলতে পারলে আমার জন্যই ভালো হতো। আসলে এ নিয়ে আক্ষেপ করি না। ভালো খেলতে পারলে হয়তো সুযোগ আসতেও পারে।’ বাংলাদেশ দলে এখন যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা, তাতে স্বপ্ন দেখার ‘সাহস’ পান না ৩২ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার। বাস্তবতা মেনে নিয়েই কাল বললেন, ‘জাতীয় দলে খেলা নিয়ে আসলে চিন্তা করি না। সামনে যে ম্যাচ থাকে, শুধু সেটা নিয়েই ভাবি।’ অথচ আরও অনেকের মতো বাংলাদেশ ক্রিকেটে তিনিও এসেছিলেন বিরাট সম্ভাবনা জাগিয়ে। কাপালি মানেই চোখে ভেসে উঠবে ২০০৩ সালে পেশোয়ার টেস্টে হ্যাটট্রিক, ২০০৮ সালে এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে সেঞ্চুরি। অসাধারণ এসব কীর্তি হৃদয়ে দোলা দেয় তাঁকেও। তবে কি ক্যারিয়ারের বাকি দিনগুলোতেও সুখের স্মৃতি রোমন্থন করেই কাটবে কাপালির? বাংলাদেশ দলে সুযোগ পাওয়া হয়ে গেল শুধুই মরীচিকা? উত্তরগুলো কাপালিকেই খুঁজে নিতে হবে।
No comments