তারকা নই
তাঁর বিখ্যাত হওয়ার কথাই ছিল না। খ্যাতির ঝলমলে আলোর মাঝখানে দাঁড়িয়েও তাই এলিজাবেথ ওলসেন বলতে পারছেন, ‘আমি তারকা হতে আসিনি। আমি তারকা হতে চাই না।’ তাঁর দুই যমজ বোন ছোট থেকেই বিখ্যাত। ম্যারি-কেট আর অ্যাশলি ওলসেন ছোট থেকেই বড় তারকা। এঁদেরই একটা টিভি সিরিজে শখের বসে অভিনয় করেছিলেন এলিজাবেথ, তখন তাঁর বয়স মাত্র ১১ বছর। সেটাই যে জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেবে ভাবতেই পারেননি। অভিনয়টাকে ভালোবেসেছিলেন। থিয়েটারে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। ক্যাপটেন আমেরিকা: উইন্টার সোলজার-এর শেষ দৃশ্য, গডজিলা আর অ্যাভেঞ্জার্স: এজ অব আলট্রন টানা তিনটি ছবির অবিস্মরণীয় সাফল্য এখন ওলসেনকে বানিয়ে দিয়েছে হলিউডের শীর্ষ তারকাদের একজন। অথচ এই ‘তারকা’ শব্দটাতেই ভীষণ অরুচি তাঁর। ওলসেন বলেছেন, ‘আমি অভিনেত্রী হতে চেয়েছিলাম। ভেবেছিলাম, থিয়েটারে কাজ করে এলে ব্যাপারটা অন্য রকম হবে। আসলে তারকা আর খ্যাতি ব্যাপারটা আমার কাছে কেমন যেন লাগে। এসব নিয়ে আমার কোনো আকাঙ্ক্ষাই নেই।’ এ কারণেই জিরো ফিগার তত্ত্ব, প্রসাধনী কিংবা সৌন্দর্যের জন্য অস্ত্রোপচার—এসবেও আগ্রহ তাঁর নেই, ‘এমন নয় আমি অতি-আত্মবিশ্বাসী, তবে সব সময়ই যেহেতু নাচতাম, খেলতাম, এমনিতেই যথেষ্ট এক্সারসাইজ হয়ে যায়। আমি যথেষ্ট রোগা একটা মানুষ, তবে অবশ্যই সেই শূন্য পাটকাঠির অভিনেত্রী নই, ওটা একেবারেই আলাদা জগৎ।
No comments