সালাউদ্দিনকে ভোট দিতে অনুরোধ হেলালের
অনেক দিন পর আবার একসঙ্গে। কাল সালাউদ্দিনের বাসায় গিয়ে তাঁকে সমর্থন জানালেন হেলাল |
১৯৭৪ সালে আবাহনী ক্লাবে যখন প্রথম আসেন, তাঁর ‘বড় ভাই’ ছিলেন হারুনুর রশিদ, কাজী সালাউদ্দিনরা। সেই দিনে ফিরে গেলেন গোলাম রাব্বানী হেলাল। কাজী সালাউদ্দিনকে সমর্থন দিয়ে বললেন, ‘এটা আমার পিঠটান নয়। কিন্তু এখন নির্বাচনে এত টাকার ছড়াছড়ি, নির্বাচনের কোনো পরিবেশই নেই। দ্বিতীয়ত, বাঁচাও ফুটবলের যিনি সভাপতি প্রার্থী, তাঁকে আমি জোর করে কাউন্সিলর বানিয়েছি। উনি কোনোভাবেই ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি হওয়ার যোগ্য নন।’ হারুনুর রশিদকে পাশে বসিয়ে গতকাল বাফুফে ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন হেলাল। তার আগে সকালে সালাউদ্দিনের বসায় গিয়ে তাঁকে সমর্থন জানিয়ে হেলাল বলেন, ‘সালাউদ্দিন ভাইয়ের সঙ্গে আমার মতের অমিল ছিল জেলার ফুটবল নিয়ে। উনার ইশতেহারে জেলার ফুটবল ভালোভাবে আছে। তাছাড়া দেশের এই অবস্থায় ফুটবলের জন্য সালাউদ্দিন ভাইকে খুবই দরকার। উনি ছাড়া উদ্ধার করার কেউ নেই। আমি ১৩৪ ভোটারের কাছেই আবেদন জানাই, “আপনারা সালাউদ্দিন ভাইকে ভোট দেবেন।”’ হেলালকে বুকে টেনে সালাউদ্দিন বললেন, ‘হেলাল আমার ছোট ভাইয়ের মতো। আমাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হতেই পারে। তবে সেটা সাময়িক। আমরা একসঙ্গে কাজ করব।’ ১৯৮২ সালে একসঙ্গে সালাউদ্দিনের সঙ্গে জেল খেটেছেন হেলাল। সেই সালাউদ্দিন আর অন্য প্রার্থীর মধ্যে অনেক পার্থক্য দেখেন তিনি, ‘দেশের স্বাধীনতায় উনার অনেক অবদান আছে। ভারতে উনার খেলা দেখতে লোক আসত, ওই টাকা মুক্তিযোদ্ধাদের তহবিলে দেওয়া হতো। উনার চেয়ে যোগ্য প্রার্থী দেখছি না। আমরা বঙ্গবন্ধু, শেখ কামালের অনুসারী।’ হেলাল নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেও ব্যালটে সভাপতি প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম থাকবে। যেমনটা থাকবে বাঁচাও ফুটবল পরিষদকে সমর্থন দেওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল ইসলামের নামও। সভাপতি পদে চারটি মনোয়নপত্র জমা পড়লেও কার্যত প্রার্থী এখন দুজন—কাজী সালাউদ্দিন ও কামরুল আশরাফ।
No comments