শ্রীলঙ্কার চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে
প্রতিপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশকে পেলে শ্রীলঙ্কান ওপেনার উপুল থারাঙ্গার ব্যাট হেসেছে নিয়মিতই। ৩ টেস্টে ৭৭.২৫ গড়ে ৩০৯ এবং ১৫ ওয়ানডেতে ৪৫.৭১ গড়ে ৬৪০ রান তা-ই বলে। এখন হয়তো শ্রীলঙ্কা দলে নিয়মিত নন এই ওপেনার। তবে তাঁর সেরা সময়ে প্রবল প্রতাপান্বিত শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তুলনা চলত না বাংলাদেশের। নিতান্তই পুঁচকে দল ছিল বাংলাদেশ। সময়ের সঙ্গে বদলেছে চিত্র। সেই থারাঙ্গাই এখন নিজের দলের চেয়ে এগিয়ে রাখছেন বাংলাদেশকে। গত বিশ্বকাপের পর থেকে হিসাব করলে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ ৫ টেস্টে চারটি ড্র করেছে, হেরেছে একটিতে। ১৮ ওয়ানডে খেলে জিতেছে ১৩টি, হার ৫টি। এই সময়ে ২১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ৯টিতে জিতেছে, হেরেছে ১১টিতে। বাংলাদেশের তুলনায় এই সময়ে শ্রীলঙ্কার পরিসংখ্যান অনুজ্জ্বলই দেখায়। ১০ টেস্টে তাদের ৪ জয়, হার ৬। ২০ ওয়ানডে ম্যাচে ১০ জয়, হার ৯। আর ১৭ টি-টোয়েন্টিতে ৪টি জয়ের বিপরীতে হেরেছে ১৩টিতে। এই মুহূর্তে শ্রীলঙ্কার চেয়ে বাংলাদেশকে তাই এগিয়ে রাখছেন ২১ টেস্ট, ১৮০ ওয়ানডে ও ১০ টি-টোয়েন্টি খেলা শ্রীলঙ্কান ওপেনার। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলতে আসা লঙ্কান ব্যাটসম্যান আজ মিরপুর একাডেমি মাঠে বললেন শ্রীলঙ্কার ব্যর্থতার কারণও, ‘গত এক বছরে বাংলাদেশ অসাধারণ করেছে। এই সময়ে আমরা হারিয়েছে কুমার সাঙ্গাকারা-মাহেলা জয়াবর্ধনের মতো খেলোয়াড়দের। আমাদের দলে এখন অনেক তরুণ খেলোয়াড়। পারফরম্যান্স বিচারে আমাদের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকবে।’ বাংলাদেশের এই উন্নতির পেছনে লঙ্কান ব্যাটসম্যানের যুক্তি, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেটের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এখানে মাঠ, একাডেমি, জিম প্রভৃতি সুযোগ-সুবিধা বাড়ায় প্রতিভাবান খেলোয়াড়েরা উঠে আসছে। গত দুই বছরে বাংলাদেশ অনেক ভালো করেছে।’ সময়টা এখন ভালো না গেলেও শ্রীলঙ্কা দ্রুতই সাফল্যের ধারায় ফিরবে, এমনই আশা থারাঙ্গার, ‘শ্রীলঙ্কায় অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় আছে। এটা আসলে সময়ের ব্যাপার। তিন, ছয় মাস কিংবা এক বছরের মধ্যে আশা করি শ্রীলঙ্কা আবার ছন্দে ফিরবে।’
No comments