এবার কি দুর্যোগের বছর? by ইফতেখার মাহমুদ
এবার কি দুর্যোগের বছর? |
নতুন
বছরের প্রথম সপ্তাহ পার না হতেই হানা দিল দুর্যোগ। ভূমিকম্প আঘাত হানল
ঢাকা থেকে মাত্র ৩৫১ কিলোমিটার দূরে, ভারতের মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলে। এতে
প্রচণ্ড ঝাঁকুনি খেল বাংলাদেশ, মিয়ানমার আর ভারতের পূর্বাঞ্চলের প্রায়
পুরোটাই।
জনজীবনের ওপরে প্রকৃতির এই বৈরিতা শুধু বাংলাদেশেই দেখা যায়নি। গত ১১ দিনে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মোট ছয়টি বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হেনেছে। দরিদ্র দেশ আফগানিস্তান থেকে শুরু করে ধনী দেশ যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্য সবাই দুর্যোগের ওই আঘাতে বিপর্যস্ত হয়েছে।
আর এ বছরটা যে আবহাওয়া ও দুর্যোগজনিত নানা ঝক্কি-ঝামেলার মধ্য দিয়ে যাবে, সেই পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল বিশ্বের আবহাওয়াবিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা সংস্থাগুলো। ফলে একদিকে ভৌগোলিক বিপদ ভূমিকম্প, অন্যদিকে আবহাওয়ার বৈরী আচরণের মধ্য দিয়ে বছরটা যাবে বলে আশঙ্কা করছেন দুর্যোগ বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্বের বেশির ভাগ আবহাওয়াবিষয়ক গবেষণা সংস্থা বলছে, ২০১৬-এর আবহাওয়া হবে পৃথিবীর সবচেয়ে উত্তপ্ত বছর। ২০১৫ সালটিও আবহাওয়াবিদেরা এর আগের যেকোনো বছরের তুলনায় উষ্ণতম বছর হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। এখন তাঁরা বলছেন, ২০১৬-তে প্রশান্ত মহাসাগরের পানির তাপমাত্রা হঠাৎ বেড়ে গিয়ে আবহাওয়ার বিশেষ অবস্থা এল নিনো সৃষ্টি হয়েছে। এটি গত জুন থেকে উত্তপ্ত হওয়া শুরু হয়েছে এবং ২০১৬-এর মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত থাকবে।
এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়াবিষয়ক সংস্থা নোয়ার প্যাসিফিক এনসো অ্যাপ্লিকেশন ক্লাইমেট সেন্টারের প্রধান বিজ্ঞানী রাশেদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, এ বছর এল নিনো মারাত্মক শক্তিশালী অবস্থায় বিরাজ করছে। এর ফলে প্রশান্ত মহাসাগরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি থাকছে। এর প্রভাবে বাতাসের গতিবেগ, বৃষ্টিপাত এবং ঋতুচক্রের স্বাভাবিক অবস্থায় ব্যাঘাত ঘটতে শুরু করেছে।
বিশ্বজুড়ে দুর্যোগের এই ঘনঘটা অবশ্য ২০১৫ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকেই শুরু হয়েছে।
২৪ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপিতে টর্নেডোর আঘাতে মারা যায় ছয়জন। ২৬ ডিসেম্বর আফগানিস্তানে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ও তাজিকিস্তানেও ওই তীব্র মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ২৭ ডিসেম্বর ইংল্যান্ডের ল্যাঙ্কশায়ার ও ইয়র্কশায়ার তীব্র বন্যায় ভেসে যায়। ২৮ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের গারল্যান্ড ও টেক্সাসে আঘাত হানে ভয়ংকর টর্নেডো। আর পয়লা জানুয়ারি ক্ষুদ্র রাষ্ট্র টোগোকে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত সইতে হয়েছে। দুর্যোগ পর্যবেক্ষণবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা রিলিফ ওয়ার্ল্ডয়ের পর্যবেক্ষণে এই তথ্যগুলো উঠে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণবিষয়ক সংস্থা ইউএসজিএ-এর পর্যবেক্ষণ মতে, ২০১৫ সালে ৭ থেকে ৭ দশমিক ৯ মাত্রার মোট ১৯টি ভূমিকম্প পৃথিবীতে আঘাত হানে। যা গত ১০ বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বাধিক তীব্র ভূমিকম্প।
এ ব্যপারে ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মেহেদি হাসান আনসারী প্রথম আলোকে বলেন, ‘হিন্দুকুশ পর্বতশ্রেণি থেকে মিয়ানমার পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে একটি বিস্তৃত ফাটল রেখা সম্প্রতি ধরা পড়েছে। ওই ফাটল রেখার মধ্যে বাংলাদেশও পড়েছে। ওই এলাকায় গত কয়েক বছরে ১০টি তীব্র ভূকম্পন সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বাংলাদেশে আগামী দিনগুলোতে আরও ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে। এ ধরনের দুর্যোগ থেকে রক্ষায় আমাদের ভবনগুলোকে ভূমিকম্প সহনশীল করে নির্মাণ করাই সবচেয়ে ভালো প্রস্তুতি ও সমাধান।’
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) তো বটেই, যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়াবিষয়ক সংস্থা এনসো প্রেডিকশন সেন্টার থেকে শুরু করে যুক্তরাজ্যের আবহাওয়া বিভাগ, সবাই এল নিনোর ভয়ংকর চেহারা নিয়ে আবির্ভূত হওয়ায় শঙ্কা প্রকাশ করে প্রতিবেদন করেছে। তারা বলছে, এল নিনোর কারণে আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় বৃষ্টিপাত কম হবে। জাতিসংঘের কৃষিবিষয়ক সংস্থা এফএও এবং যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা অক্সফাম থেকে বলা হয়েছে, এল নিনোর কারণে এই অঞ্চলের দেশগুলোতে খরা ও খাদ্যাভাব দেখা দেবে। ওই অঞ্চলের অধিবাসীদের রক্ষায় এখনই ধনী দেশগুলোকে প্রস্তুতি নিতে বলেছে সংস্থা দুটি। একই কারণে এশিয়ায় বন্যা হবে।
এদিকে তিন সপ্তাহজুড়ে দেশের আবহাওয়াতেও দেখা যাচ্ছে অস্বাভাবিক গরম। পৌষ মাস যাই যাই করছে। অথচ শীতের দেখা নেই। ঋতুচক্রের আবর্তে মাঘ যত কাছে আসছে, শীত না বেড়ে বরং কমছে। গতকাল সোমবার রাজধানীতে দিনের বেলায় তাপমাত্রা ২৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা তো ২৭ দশমিক সাত ডিগ্রি পর্যন্ত উঠেছিল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর বৈরী প্রকৃতি বছরজুড়ে জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলতে পারে। সেই আশঙ্কারই জানান দিচ্ছে প্রকৃতি। ফলে সরকারকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় জোর প্রস্তুতি নিতে হবে।
জানতে চাইলে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আইনুন নিশাত প্রথম আলোকে বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ বেড়েছে। ২০১৬ সালে সেই প্রবণতা বাড়তে পারে। দুর্যোগের ঘনঘটার কারণে ২০১৫ সালে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বসভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সব সম্মেলনেই দুর্যোগ মোকাবিলাকে উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নেওয়ার জন্য রাষ্ট্রগুলোকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
আইনুন নিশাত আরও বলেন, জাপানের সেন্দাই শহরে বিশ্ব দুর্যোগ সম্মেলন, নিউইয়র্কে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়নবিষয়ক (এসডিজি) সম্মেলন এবং সর্বশেষ প্যারিসে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ-২১-এ দুর্যোগ মোকাবিলা করে টেকসই উন্নয়নের জন্য রাষ্ট্রগুলো অঙ্গীকার করেছে। বাংলাদেশ সরকার দেশের জনগণের কাছে তো বটেই, বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে তার জনগণকে দুর্যোগ থেকে রক্ষা করে টেকসই উন্নয়নের জন্য অঙ্গীকার করেছে। ফলে সরকারকে সব উন্নয়ন পরিকল্পনার মধ্যে দুর্যোগ মোকাবিলার বিষয়টিকে যুক্ত করতে হবে।
জনজীবনের ওপরে প্রকৃতির এই বৈরিতা শুধু বাংলাদেশেই দেখা যায়নি। গত ১১ দিনে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মোট ছয়টি বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হেনেছে। দরিদ্র দেশ আফগানিস্তান থেকে শুরু করে ধনী দেশ যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্য সবাই দুর্যোগের ওই আঘাতে বিপর্যস্ত হয়েছে।
আর এ বছরটা যে আবহাওয়া ও দুর্যোগজনিত নানা ঝক্কি-ঝামেলার মধ্য দিয়ে যাবে, সেই পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল বিশ্বের আবহাওয়াবিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা সংস্থাগুলো। ফলে একদিকে ভৌগোলিক বিপদ ভূমিকম্প, অন্যদিকে আবহাওয়ার বৈরী আচরণের মধ্য দিয়ে বছরটা যাবে বলে আশঙ্কা করছেন দুর্যোগ বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্বের বেশির ভাগ আবহাওয়াবিষয়ক গবেষণা সংস্থা বলছে, ২০১৬-এর আবহাওয়া হবে পৃথিবীর সবচেয়ে উত্তপ্ত বছর। ২০১৫ সালটিও আবহাওয়াবিদেরা এর আগের যেকোনো বছরের তুলনায় উষ্ণতম বছর হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। এখন তাঁরা বলছেন, ২০১৬-তে প্রশান্ত মহাসাগরের পানির তাপমাত্রা হঠাৎ বেড়ে গিয়ে আবহাওয়ার বিশেষ অবস্থা এল নিনো সৃষ্টি হয়েছে। এটি গত জুন থেকে উত্তপ্ত হওয়া শুরু হয়েছে এবং ২০১৬-এর মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত থাকবে।
এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়াবিষয়ক সংস্থা নোয়ার প্যাসিফিক এনসো অ্যাপ্লিকেশন ক্লাইমেট সেন্টারের প্রধান বিজ্ঞানী রাশেদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, এ বছর এল নিনো মারাত্মক শক্তিশালী অবস্থায় বিরাজ করছে। এর ফলে প্রশান্ত মহাসাগরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি থাকছে। এর প্রভাবে বাতাসের গতিবেগ, বৃষ্টিপাত এবং ঋতুচক্রের স্বাভাবিক অবস্থায় ব্যাঘাত ঘটতে শুরু করেছে।
বিশ্বজুড়ে দুর্যোগের এই ঘনঘটা অবশ্য ২০১৫ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকেই শুরু হয়েছে।
২৪ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপিতে টর্নেডোর আঘাতে মারা যায় ছয়জন। ২৬ ডিসেম্বর আফগানিস্তানে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ও তাজিকিস্তানেও ওই তীব্র মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ২৭ ডিসেম্বর ইংল্যান্ডের ল্যাঙ্কশায়ার ও ইয়র্কশায়ার তীব্র বন্যায় ভেসে যায়। ২৮ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের গারল্যান্ড ও টেক্সাসে আঘাত হানে ভয়ংকর টর্নেডো। আর পয়লা জানুয়ারি ক্ষুদ্র রাষ্ট্র টোগোকে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত সইতে হয়েছে। দুর্যোগ পর্যবেক্ষণবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা রিলিফ ওয়ার্ল্ডয়ের পর্যবেক্ষণে এই তথ্যগুলো উঠে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণবিষয়ক সংস্থা ইউএসজিএ-এর পর্যবেক্ষণ মতে, ২০১৫ সালে ৭ থেকে ৭ দশমিক ৯ মাত্রার মোট ১৯টি ভূমিকম্প পৃথিবীতে আঘাত হানে। যা গত ১০ বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বাধিক তীব্র ভূমিকম্প।
এ ব্যপারে ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মেহেদি হাসান আনসারী প্রথম আলোকে বলেন, ‘হিন্দুকুশ পর্বতশ্রেণি থেকে মিয়ানমার পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে একটি বিস্তৃত ফাটল রেখা সম্প্রতি ধরা পড়েছে। ওই ফাটল রেখার মধ্যে বাংলাদেশও পড়েছে। ওই এলাকায় গত কয়েক বছরে ১০টি তীব্র ভূকম্পন সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বাংলাদেশে আগামী দিনগুলোতে আরও ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে। এ ধরনের দুর্যোগ থেকে রক্ষায় আমাদের ভবনগুলোকে ভূমিকম্প সহনশীল করে নির্মাণ করাই সবচেয়ে ভালো প্রস্তুতি ও সমাধান।’
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) তো বটেই, যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়াবিষয়ক সংস্থা এনসো প্রেডিকশন সেন্টার থেকে শুরু করে যুক্তরাজ্যের আবহাওয়া বিভাগ, সবাই এল নিনোর ভয়ংকর চেহারা নিয়ে আবির্ভূত হওয়ায় শঙ্কা প্রকাশ করে প্রতিবেদন করেছে। তারা বলছে, এল নিনোর কারণে আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় বৃষ্টিপাত কম হবে। জাতিসংঘের কৃষিবিষয়ক সংস্থা এফএও এবং যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা অক্সফাম থেকে বলা হয়েছে, এল নিনোর কারণে এই অঞ্চলের দেশগুলোতে খরা ও খাদ্যাভাব দেখা দেবে। ওই অঞ্চলের অধিবাসীদের রক্ষায় এখনই ধনী দেশগুলোকে প্রস্তুতি নিতে বলেছে সংস্থা দুটি। একই কারণে এশিয়ায় বন্যা হবে।
এদিকে তিন সপ্তাহজুড়ে দেশের আবহাওয়াতেও দেখা যাচ্ছে অস্বাভাবিক গরম। পৌষ মাস যাই যাই করছে। অথচ শীতের দেখা নেই। ঋতুচক্রের আবর্তে মাঘ যত কাছে আসছে, শীত না বেড়ে বরং কমছে। গতকাল সোমবার রাজধানীতে দিনের বেলায় তাপমাত্রা ২৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা তো ২৭ দশমিক সাত ডিগ্রি পর্যন্ত উঠেছিল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর বৈরী প্রকৃতি বছরজুড়ে জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলতে পারে। সেই আশঙ্কারই জানান দিচ্ছে প্রকৃতি। ফলে সরকারকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় জোর প্রস্তুতি নিতে হবে।
জানতে চাইলে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আইনুন নিশাত প্রথম আলোকে বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ বেড়েছে। ২০১৬ সালে সেই প্রবণতা বাড়তে পারে। দুর্যোগের ঘনঘটার কারণে ২০১৫ সালে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বসভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সব সম্মেলনেই দুর্যোগ মোকাবিলাকে উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নেওয়ার জন্য রাষ্ট্রগুলোকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
আইনুন নিশাত আরও বলেন, জাপানের সেন্দাই শহরে বিশ্ব দুর্যোগ সম্মেলন, নিউইয়র্কে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়নবিষয়ক (এসডিজি) সম্মেলন এবং সর্বশেষ প্যারিসে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ-২১-এ দুর্যোগ মোকাবিলা করে টেকসই উন্নয়নের জন্য রাষ্ট্রগুলো অঙ্গীকার করেছে। বাংলাদেশ সরকার দেশের জনগণের কাছে তো বটেই, বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে তার জনগণকে দুর্যোগ থেকে রক্ষা করে টেকসই উন্নয়নের জন্য অঙ্গীকার করেছে। ফলে সরকারকে সব উন্নয়ন পরিকল্পনার মধ্যে দুর্যোগ মোকাবিলার বিষয়টিকে যুক্ত করতে হবে।
No comments