ছয় ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ৫ হাজার কোটি টাকা by ফখরুল ইসলাম
রাষ্ট্রমালিকানাধীন
ছয় ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি এখন ৫ হাজার ২৯১ কোটি টাকা। তিন মাস আগের তুলনায়
এ ঘাটতি কিছুটা কমেছে। গত জুনে ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি ছিল ৫ হাজার ৭৫৬
কোটি টাকা। অর্থাৎ তিন মাসে ৪৬৫ কোটি টাকা ঘাটতি কমেছে। ব্যাংকগুলো
হচ্ছে সোনালী, রূপালী, অগ্রণী, জনতা, বেসিক এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন
ব্যাংক (রাকাব)।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তৈরি করা সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে ব্যাংক খাতের এ উন্নতির চিত্র উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে ব্যাংক খাতের চার বিষয়ে কিছুটা উন্নতির খবরও দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এগুলো হচ্ছে সংরক্ষিত মূলধন, মূলধন পর্যাপ্ততার হার, ন্যূনতম প্রয়োজনীয় মূলধন এবং মোট ঋণসুবিধার তুলনায় উদ্যোক্তা মূলধনের অনুপাত (লিভারেজ রেশিও)।
প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়, জুন প্রান্তিকের তুলনায় সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে চারটি বিষয়ে উন্নতি করেছে দেশের ব্যাংক খাত। একটি বিষয়ে আবার খারাপও করেছে। যেমন একই সময়ে ব্যাংক খাতে ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে গতকাল মঙ্গলবার এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে সংরক্ষিত মূলধনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭২ হাজার ৭২০ কোটি টাকা। আগের প্রান্তিকে যা ছিল ৬৮ হাজার ২৩০ কোটি টাকা। এই সময়ে ব্যাংক খাতে সংরক্ষিত মূলধনের পরিমাণ ৪ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা বা ৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেড়েছে। সামগ্রিক মূলধন ঘাটতি প্রয়োজনের তুলনায় মাত্র ৪৩ কোটি টাকা কম, আগে যা আরও বেশি ছিল।
একই সময়ে তফসিলি ব্যাংকগুলোর মূলধন পর্যাপ্ততার হার (সিআরএআর) দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৫৩ শতাংশ, যা গত জুনে ছিল ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ। তিন মাসে এ হার বেড়েছে শূন্য দশমিক ২৬ শতাংশ। অবশ্য গত মার্চে সিআরএআরের হার ১০ দশমিক ৭৩ শতাংশ ছিল। আর লিভারেজ রেশিও সেপ্টেম্বর শেষে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ১৮ শতাংশ, যা জুনে ছিল ৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ। বেড়েছে শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ।
যেকোনো ধরনের ঝুঁকি এড়াতে ব্যাংকের ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের ১০ শতাংশ হারে মূলধন সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আর লিভারেজ রেশিও থাকার নিয়ম রয়েছে কমপক্ষে ৩ শতাংশ। সে হিসাবে দুটি হারই বেশি আছে। ব্যাংকাররা মনে করছেন, এই হারের উন্নতি দেশের ব্যাংক খাতের জন্য স্বস্তিদায়ক।
যোগাযোগ করলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা প্রথম আলোকে বলেন, ‘ব্যাংক খাতের নেতিবাচক বিষয়গুলো ধীরে ধীরে কমে আসছে। সেপ্টেম্বরভিত্তিক প্রতিবেদনটি সেটাই নির্দেশ করছে। ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি আরও কমবে।’
সিআরএআর সংরক্ষণে দেশের ৫৬টি ব্যাংকের মধ্যে ৪৭টি সক্ষমতা দেখালেও নয়টি ব্যাংক পারেনি।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, সিআরএআর সংরক্ষণে নয়টি ব্যাংকের কোনো উন্নতি হয়নি। অর্থাৎ আগের তিন মাসেও এগুলোর অবস্থা একই রকম ছিল। ব্যাংকগুলো হচ্ছে সোনালী, জনতা, রূপালী, বেসিক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি), রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব), বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক (বিসিবি), আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক ও প্রিমিয়ার ব্যাংক।
আর লিভারেজ রেশিও সংরক্ষণে ব্যর্থ হয়েছে ছয় ব্যাংক। এগুলো হচ্ছে সোনালী, রূপালী, বেসিক, বিকেবি, রাকাব ও আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা রয়েছে, ব্যাংকগুলোকে ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের ১০ শতাংশ অথবা ৪০০ কোটি টাকার মধ্যে যেটি বেশি, সে হারে মূলধন সংরক্ষণ করতে হবে। ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ব্যাংকগুলোকে তা সংরক্ষণ করতে হবে ১০ শতাংশের অতিরিক্ত আরও দশমিক ৬২ শতাংশ হারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯০ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা। আগের প্রান্তিকে তা ছিল ৬ লাখ ৬৪ হাজার ১৭৮ কোটি টাকা।
জানতে চাইলে রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম ফরিদউদ্দিন বলেন, ‘প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণে আমাদের বাড়তি টাকার দরকার। বেসরকারি ব্যাংকগুলো উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে সহজে টাকা পেলেও আমরা পাই না।’ অর্থ মন্ত্রণালয়ে টাকার জন্য আবেদন করা আছে বলে জানান তিনি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তৈরি করা সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে ব্যাংক খাতের এ উন্নতির চিত্র উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে ব্যাংক খাতের চার বিষয়ে কিছুটা উন্নতির খবরও দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এগুলো হচ্ছে সংরক্ষিত মূলধন, মূলধন পর্যাপ্ততার হার, ন্যূনতম প্রয়োজনীয় মূলধন এবং মোট ঋণসুবিধার তুলনায় উদ্যোক্তা মূলধনের অনুপাত (লিভারেজ রেশিও)।
প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়, জুন প্রান্তিকের তুলনায় সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে চারটি বিষয়ে উন্নতি করেছে দেশের ব্যাংক খাত। একটি বিষয়ে আবার খারাপও করেছে। যেমন একই সময়ে ব্যাংক খাতে ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে গতকাল মঙ্গলবার এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে সংরক্ষিত মূলধনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭২ হাজার ৭২০ কোটি টাকা। আগের প্রান্তিকে যা ছিল ৬৮ হাজার ২৩০ কোটি টাকা। এই সময়ে ব্যাংক খাতে সংরক্ষিত মূলধনের পরিমাণ ৪ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা বা ৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেড়েছে। সামগ্রিক মূলধন ঘাটতি প্রয়োজনের তুলনায় মাত্র ৪৩ কোটি টাকা কম, আগে যা আরও বেশি ছিল।
একই সময়ে তফসিলি ব্যাংকগুলোর মূলধন পর্যাপ্ততার হার (সিআরএআর) দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৫৩ শতাংশ, যা গত জুনে ছিল ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ। তিন মাসে এ হার বেড়েছে শূন্য দশমিক ২৬ শতাংশ। অবশ্য গত মার্চে সিআরএআরের হার ১০ দশমিক ৭৩ শতাংশ ছিল। আর লিভারেজ রেশিও সেপ্টেম্বর শেষে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ১৮ শতাংশ, যা জুনে ছিল ৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ। বেড়েছে শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ।
যেকোনো ধরনের ঝুঁকি এড়াতে ব্যাংকের ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের ১০ শতাংশ হারে মূলধন সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আর লিভারেজ রেশিও থাকার নিয়ম রয়েছে কমপক্ষে ৩ শতাংশ। সে হিসাবে দুটি হারই বেশি আছে। ব্যাংকাররা মনে করছেন, এই হারের উন্নতি দেশের ব্যাংক খাতের জন্য স্বস্তিদায়ক।
যোগাযোগ করলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা প্রথম আলোকে বলেন, ‘ব্যাংক খাতের নেতিবাচক বিষয়গুলো ধীরে ধীরে কমে আসছে। সেপ্টেম্বরভিত্তিক প্রতিবেদনটি সেটাই নির্দেশ করছে। ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি আরও কমবে।’
সিআরএআর সংরক্ষণে দেশের ৫৬টি ব্যাংকের মধ্যে ৪৭টি সক্ষমতা দেখালেও নয়টি ব্যাংক পারেনি।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, সিআরএআর সংরক্ষণে নয়টি ব্যাংকের কোনো উন্নতি হয়নি। অর্থাৎ আগের তিন মাসেও এগুলোর অবস্থা একই রকম ছিল। ব্যাংকগুলো হচ্ছে সোনালী, জনতা, রূপালী, বেসিক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি), রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব), বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক (বিসিবি), আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক ও প্রিমিয়ার ব্যাংক।
আর লিভারেজ রেশিও সংরক্ষণে ব্যর্থ হয়েছে ছয় ব্যাংক। এগুলো হচ্ছে সোনালী, রূপালী, বেসিক, বিকেবি, রাকাব ও আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা রয়েছে, ব্যাংকগুলোকে ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের ১০ শতাংশ অথবা ৪০০ কোটি টাকার মধ্যে যেটি বেশি, সে হারে মূলধন সংরক্ষণ করতে হবে। ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ব্যাংকগুলোকে তা সংরক্ষণ করতে হবে ১০ শতাংশের অতিরিক্ত আরও দশমিক ৬২ শতাংশ হারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯০ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা। আগের প্রান্তিকে তা ছিল ৬ লাখ ৬৪ হাজার ১৭৮ কোটি টাকা।
জানতে চাইলে রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম ফরিদউদ্দিন বলেন, ‘প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণে আমাদের বাড়তি টাকার দরকার। বেসরকারি ব্যাংকগুলো উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে সহজে টাকা পেলেও আমরা পাই না।’ অর্থ মন্ত্রণালয়ে টাকার জন্য আবেদন করা আছে বলে জানান তিনি।
No comments