ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেন সাজিদা
সাজিদা আক্তার |
ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন সাজিদা আক্তার। আজ বুধবার বিকেলে তাঁর ভর্তি
হওয়ার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খ ইউনিটে ১৩৮১ তম
স্থান পেয়ে ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ পান তিনি।
পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার স্বপ্ন ফিকে হতে চলেছিল সাজিদার। গত ২২ নভেম্বর ‘টাকার অভাবে অনিশ্চয়তায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি’ শিরোনামে প্রথম আলোয় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর পর দেশ বিদেশ থেকে নানা শ্রেণি পেশার মানুষ সাজিদার বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। অনেকেই সহায়তা করতে সাজিদার ব্যাংক হিসাব নম্বর চান। কিন্তু হিসাব খোলার মতো টাকাও সাজিদার পরিবারের ছিল না। এ খবর শুনে ধরমপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাজমুল হক তাঁর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে দুই হাজার টাকা অর্থ সহায়তা দেন। আর এ টাকাতেই খোলা হয় সাজিদার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট।
সাজিদার বাড়ি সুনামগঞ্জের ধরমপাশা উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামে। তিন ভাই আর তিন বোনের মধ্যে সাজিদা পঞ্চম। বাবা মো. আবু তাহের পেশায় দিন মজুর হলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে এখন তিনি আর কাজে যেতে পারেন না। মা রাজিয়া খাতুন গৃহিণী। ছোট ভাই আনোয়ার হোসেন সপ্তম শ্রেণিতে পড়ছে ধরমপাশার জনতা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে। সাজিদার বড় ভাই আজিজুলের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার উপার্জন দিয়েই চলছে তাঁদের পাঁচ সদস্যের সংসার।
সাজিদা আক্তারের বড় ভাই আজিজুল বলেন, ‘সংসারের যা অবস্থা, তাতে সাজিদাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করানো আমাদের পক্ষে কোনো অবস্থাতেই সম্ভব ছিল না। মানুষজনদের সহায়তার তা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু তা দিয়ে আর কত দিন চলবে। তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করানো নিয়ে আমাদের দুশ্চিন্তা এখনো শেষ হচ্ছে না।’
এ বিষয়ে সাজিদা আক্তার বলেন, ‘আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছি। সবে আমার স্বপ্ন পূরণে যাত্রা শুরু হয়েছে। আরও অনেক দূর এগোতে হবে। আপনাদের সবার কাছে আমি দোয়া চাই।’
ধরমপাশা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবদুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘সাজিদা আক্তার অত্যন্ত মেধাবী। তার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাজীবনের খরচ মেটাতে কোনো সুহৃদয়বান ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান স্থায়ীভাবে ব্যবস্থা নিলে ভবিষ্যতে সে নিজের পরিবার ও দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে বলে আমার বিশ্বাস।’
সাজিদার নামে ধরমপাশা সোনালী ব্যাংক লিমিটেড শাখায় একটি হিসাব খোলা হয়েছে। এর সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর ১০০১০১৫৫৬। এই অ্যাকাউন্টে আগ্রহীরা সাজিদাকে সহায়তা করতে পারবেন।
পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার স্বপ্ন ফিকে হতে চলেছিল সাজিদার। গত ২২ নভেম্বর ‘টাকার অভাবে অনিশ্চয়তায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি’ শিরোনামে প্রথম আলোয় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর পর দেশ বিদেশ থেকে নানা শ্রেণি পেশার মানুষ সাজিদার বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। অনেকেই সহায়তা করতে সাজিদার ব্যাংক হিসাব নম্বর চান। কিন্তু হিসাব খোলার মতো টাকাও সাজিদার পরিবারের ছিল না। এ খবর শুনে ধরমপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাজমুল হক তাঁর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে দুই হাজার টাকা অর্থ সহায়তা দেন। আর এ টাকাতেই খোলা হয় সাজিদার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট।
সাজিদার বাড়ি সুনামগঞ্জের ধরমপাশা উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামে। তিন ভাই আর তিন বোনের মধ্যে সাজিদা পঞ্চম। বাবা মো. আবু তাহের পেশায় দিন মজুর হলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে এখন তিনি আর কাজে যেতে পারেন না। মা রাজিয়া খাতুন গৃহিণী। ছোট ভাই আনোয়ার হোসেন সপ্তম শ্রেণিতে পড়ছে ধরমপাশার জনতা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে। সাজিদার বড় ভাই আজিজুলের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার উপার্জন দিয়েই চলছে তাঁদের পাঁচ সদস্যের সংসার।
সাজিদা আক্তারের বড় ভাই আজিজুল বলেন, ‘সংসারের যা অবস্থা, তাতে সাজিদাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করানো আমাদের পক্ষে কোনো অবস্থাতেই সম্ভব ছিল না। মানুষজনদের সহায়তার তা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু তা দিয়ে আর কত দিন চলবে। তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করানো নিয়ে আমাদের দুশ্চিন্তা এখনো শেষ হচ্ছে না।’
এ বিষয়ে সাজিদা আক্তার বলেন, ‘আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছি। সবে আমার স্বপ্ন পূরণে যাত্রা শুরু হয়েছে। আরও অনেক দূর এগোতে হবে। আপনাদের সবার কাছে আমি দোয়া চাই।’
ধরমপাশা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবদুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘সাজিদা আক্তার অত্যন্ত মেধাবী। তার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাজীবনের খরচ মেটাতে কোনো সুহৃদয়বান ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান স্থায়ীভাবে ব্যবস্থা নিলে ভবিষ্যতে সে নিজের পরিবার ও দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে বলে আমার বিশ্বাস।’
সাজিদার নামে ধরমপাশা সোনালী ব্যাংক লিমিটেড শাখায় একটি হিসাব খোলা হয়েছে। এর সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর ১০০১০১৫৫৬। এই অ্যাকাউন্টে আগ্রহীরা সাজিদাকে সহায়তা করতে পারবেন।
No comments