বাংলাদেশে গণতন্ত্রের উন্নয়নে সহযোগিতায় প্রস্তুত ভারত
বাংলাদেশে
গণতন্ত্রের উন্নয়নে সব ধরনের সহযোগিতায় ভারত প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন
দেশটির বিদায়ী হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ। অন্যান্য খাতেও ভারত বাংলাদেশকে
সহযোগিতা করবে বলে জানান তিনি। গতকাল বিকালে রাজধানীর গুলশানে সাংবাদিকের
সঙ্গে মতবিনিময়কালে হাইকমিশনার এসব কথা বলেন। তার বিদায় উপলক্ষে ঢাকাস্থ
ভারতীয় হাইকমিশন ওই মতবিনিময়ের আয়োজন করে। ঢাকায় তিন বছরের বেশি সময়
দায়িত্ব পালনকারী এ কূটনীতিক দেশের বহুল আলোচিত ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন
নিয়েও কথা বলেন। তার মতে, বাংলাদেশে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণেই ৫ই
জানুয়ারির নির্বাচনটি জরুরি ছিল। ভারতে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি
সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর বাংলাদেশের ব্যাপারে দেশটির নীতিতে কোনো পরিবর্তন
আসেনি বলেও স্পষ্ট করেন হাইকমিশনার। পঙ্কজ শরণ মস্কোতে ভারতের পরবর্তী
রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। শিগগির তিনি তার নতুন দায়িত্ব নিতে
যাচ্ছেন। ঢাকার পরবর্তী ভারতীয় হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন
থাইল্যান্ডে থাকা দেশটির রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন সিংলা। নতুন বছরের শুরুতেই
তিনি তার দায়িত্ব বুঝে নেবেন বলে জানানো হয়েছে।
সরকারের সঙ্গে সব সময় ডিল করে ভারত: মতবিনিময়কালে ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমাদের সমালোচনা এবং ভারতের বিজেপির নেতৃত্বাধীন নতুন সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির যোগাযোগের চেষ্টার বিষয়ে হাইকমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সংবাদিকরা। জবাবে তিনি বলেন, সরকারের সঙ্গে সব সময় ‘ডিল’ করে ভারত। তার ভাষায়, যখন যে সরকারে থাকে তার সঙ্গেই আমরা ডিল করি। এটাই আমাদের পলিসি, আমরা এই নীতিতে চলি। ভারত সব সময় সরকারগুলোর সঙ্গে ডিল করে। ভারত মনে করে ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা ছিল, আজকের দিনেও এ অবস্থানে কোনো পরিবর্তন নেই। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক বর্তমান ব্যবস্থায় ভারত খুশি কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কিভাবে তার লিডারশিপ নির্বাচন করবে এবং এখানে শাসনব্যবস্থা কিভাবে চালাবে- এ ব্যাপরে ভারত কোনো প্রেসক্রাইব করে না। তিনি বলেন, আমরা একটি গণতান্ত্রিক দেশ। আমরা গণতন্ত্রকে সমর্থন করি। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। একটি স্বাধীন দেশ কিভাবে চলবে তা তার দেশের জনগণই নির্ধারণ করবেন। নিরাপত্তা বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে শরণ বলেন, আইএস বা আইএসআইএলের হুমকি একটি বৈশ্বিক বিষয়। ভারতও এ থেকে ব্যতিক্রম নয়। এদের মোকাবিলায় যেখানে যা প্রয়োজন ভারত সেই পদক্ষেপ নিচ্ছে। হাইকমিশনার বলেন, আমার ধারণা বাংলাদেশ সরকারও একই কাজ করছে। দৈনন্দিন নিরাপত্তা সহযোগিতার বিষয়ে দুই দেশের ভালো সম্পর্ক রয়েছে বলে জানান তিনি। ২০১৪ সালের বর্ধমান বিস্ফোরণ নিয়ে বাংলাদেশের নিরাপত্তা সহযোগিতার প্রশংসা করেন তিনি। বলেন, আমরা একে-অপরকে সহযোগিতা করছি। বাংলাদেশে বিদেশিদের ওপর সাম্প্রতিক হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো জবাব দিতে চাননি। এখানে যা ঘটছে সে বিষয়ে যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কারণীয় ঠিক করতে সমর্থ হবে বলে আশা করেন তিনি।
একই নৌকায় বাংলাদেশ-ভারত: বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে গত কয়েক বছরে ‘নতুন ধরনের আস্থা ও বোঝাপড়া জন্মেছে’ বলে মনে করে পঙ্কজ শরণ। এর ফলে অনেক ঝুলে থাকা সমস্যার সমাধান সহজতর হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি। শরণ বলেন, স্থল সীমান্ত চুক্তি (এলবিএ) দেখিয়েছে যে, দুই দেশ সবচেয়ে কঠিন ইস্যুসমূহও সমাধান করতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা এলবিএ সমস্যা নিষ্পত্তিতে অটল কূটনৈতিক তৎপরতার জন্য কৃতিত্ব দেয়া হয়ে থাকে পঙ্কজ শরণকে। বাংলাদেশে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ বহু উচ্চপর্যায়ের সফর দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করাটা ছিল ‘সত্যিকারের সম্মান’। তিনি বলেন, আমাদের সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ ধাপ ছিল এটি। আমি সৌভাগ্যবান যে, এমন এক সময় আমি উপস্থিত ছিলাম, যখন সম্পর্ক বিভিন্ন দিক থেকে উন্নতি হয়েছে। কয়েক দশক ধরে আটকে থাকা ইস্যুর বিষয়ে অগ্রগতিও আমরা করতে সক্ষম হয়েছি। এ সময়ে আমাদের দুই দেশের পার্থক্য কমিয়ে আনা ও দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র উন্মোচন করতে সক্ষম হয়েছি। আমার জন্য ব্যক্তিগতভাবে এটি ছিল খুবই সন্তোষজনক সময়। তিনি বলেন, এ সম্পর্ক শুধু বাংলাদেশের জন্যই নয়, ভারতের জন্যও ‘খুব গুরুত্বপূর্ণ’।
এ সম্পর্কের ভবিষ্যত সম্পর্কে তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্কের নতুন দিকগুলো বের করতে চাই আমরা। বিভিন্ন নদীর পানিবণ্টনের বিষয়টি দুই দেশের জন্যই ‘গুরুত্বপূর্ণ’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, এ ইস্যু সমাধানে সংলাপই একমাত্র উপায়। আবার তিনি এ-ও বলেন, বাস্তবতাকেও আমাদের মেনে নিতে হবে। আমাদের উভয়ই পানি স্বল্পতায় ভুগছে। রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিজের সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে তিনি বলেন, প্রায় প্রত্যেক খাতেই দুই দেশের সম্পর্ক উঁচু পর্যায়ে রূপান্তরের বিষয়টি আমি প্রত্যক্ষ করতে পেরেছি। তার মতে, বাংলাদেশ এখন পূর্বের যে কোনো সময়ের তুলনায় ‘অনেক বেশি পরিণত ও আত্মবিশ্বাসী’। বাংলাদেশের অগ্রগতি বিশ্বে স্বীকৃত। শুধু ভারত নয়, বিশ্বের প্রতিটি শক্তি বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চায়। বাংলাদেশে ভারতবিরোধী মনোভাবের ব্যাপারে তিনি বলেন, ভারত সম্পর্কে মানুষের ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য রয়েছে। তবে সেসব মোকাবিলা করতে হবে আমাদের। কথা বলতে হবে, নিজেদের বার্তা পৌঁছাতে হবে। তার মতে, বাংলাদেশ ও ভারতের গন্তব্য অভিন্ন। তার ভাষায়, পছন্দ করি অথবা না করি, আমরা একই নৌকায় চড়েছি। হয় আমরা একসঙ্গে চলবো, নয়তো একসঙ্গে ডুববো।
সরকারের সঙ্গে সব সময় ডিল করে ভারত: মতবিনিময়কালে ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমাদের সমালোচনা এবং ভারতের বিজেপির নেতৃত্বাধীন নতুন সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির যোগাযোগের চেষ্টার বিষয়ে হাইকমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সংবাদিকরা। জবাবে তিনি বলেন, সরকারের সঙ্গে সব সময় ‘ডিল’ করে ভারত। তার ভাষায়, যখন যে সরকারে থাকে তার সঙ্গেই আমরা ডিল করি। এটাই আমাদের পলিসি, আমরা এই নীতিতে চলি। ভারত সব সময় সরকারগুলোর সঙ্গে ডিল করে। ভারত মনে করে ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা ছিল, আজকের দিনেও এ অবস্থানে কোনো পরিবর্তন নেই। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক বর্তমান ব্যবস্থায় ভারত খুশি কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কিভাবে তার লিডারশিপ নির্বাচন করবে এবং এখানে শাসনব্যবস্থা কিভাবে চালাবে- এ ব্যাপরে ভারত কোনো প্রেসক্রাইব করে না। তিনি বলেন, আমরা একটি গণতান্ত্রিক দেশ। আমরা গণতন্ত্রকে সমর্থন করি। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। একটি স্বাধীন দেশ কিভাবে চলবে তা তার দেশের জনগণই নির্ধারণ করবেন। নিরাপত্তা বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে শরণ বলেন, আইএস বা আইএসআইএলের হুমকি একটি বৈশ্বিক বিষয়। ভারতও এ থেকে ব্যতিক্রম নয়। এদের মোকাবিলায় যেখানে যা প্রয়োজন ভারত সেই পদক্ষেপ নিচ্ছে। হাইকমিশনার বলেন, আমার ধারণা বাংলাদেশ সরকারও একই কাজ করছে। দৈনন্দিন নিরাপত্তা সহযোগিতার বিষয়ে দুই দেশের ভালো সম্পর্ক রয়েছে বলে জানান তিনি। ২০১৪ সালের বর্ধমান বিস্ফোরণ নিয়ে বাংলাদেশের নিরাপত্তা সহযোগিতার প্রশংসা করেন তিনি। বলেন, আমরা একে-অপরকে সহযোগিতা করছি। বাংলাদেশে বিদেশিদের ওপর সাম্প্রতিক হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো জবাব দিতে চাননি। এখানে যা ঘটছে সে বিষয়ে যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কারণীয় ঠিক করতে সমর্থ হবে বলে আশা করেন তিনি।
একই নৌকায় বাংলাদেশ-ভারত: বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে গত কয়েক বছরে ‘নতুন ধরনের আস্থা ও বোঝাপড়া জন্মেছে’ বলে মনে করে পঙ্কজ শরণ। এর ফলে অনেক ঝুলে থাকা সমস্যার সমাধান সহজতর হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি। শরণ বলেন, স্থল সীমান্ত চুক্তি (এলবিএ) দেখিয়েছে যে, দুই দেশ সবচেয়ে কঠিন ইস্যুসমূহও সমাধান করতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা এলবিএ সমস্যা নিষ্পত্তিতে অটল কূটনৈতিক তৎপরতার জন্য কৃতিত্ব দেয়া হয়ে থাকে পঙ্কজ শরণকে। বাংলাদেশে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ বহু উচ্চপর্যায়ের সফর দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করাটা ছিল ‘সত্যিকারের সম্মান’। তিনি বলেন, আমাদের সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ ধাপ ছিল এটি। আমি সৌভাগ্যবান যে, এমন এক সময় আমি উপস্থিত ছিলাম, যখন সম্পর্ক বিভিন্ন দিক থেকে উন্নতি হয়েছে। কয়েক দশক ধরে আটকে থাকা ইস্যুর বিষয়ে অগ্রগতিও আমরা করতে সক্ষম হয়েছি। এ সময়ে আমাদের দুই দেশের পার্থক্য কমিয়ে আনা ও দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র উন্মোচন করতে সক্ষম হয়েছি। আমার জন্য ব্যক্তিগতভাবে এটি ছিল খুবই সন্তোষজনক সময়। তিনি বলেন, এ সম্পর্ক শুধু বাংলাদেশের জন্যই নয়, ভারতের জন্যও ‘খুব গুরুত্বপূর্ণ’।
এ সম্পর্কের ভবিষ্যত সম্পর্কে তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্কের নতুন দিকগুলো বের করতে চাই আমরা। বিভিন্ন নদীর পানিবণ্টনের বিষয়টি দুই দেশের জন্যই ‘গুরুত্বপূর্ণ’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, এ ইস্যু সমাধানে সংলাপই একমাত্র উপায়। আবার তিনি এ-ও বলেন, বাস্তবতাকেও আমাদের মেনে নিতে হবে। আমাদের উভয়ই পানি স্বল্পতায় ভুগছে। রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিজের সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে তিনি বলেন, প্রায় প্রত্যেক খাতেই দুই দেশের সম্পর্ক উঁচু পর্যায়ে রূপান্তরের বিষয়টি আমি প্রত্যক্ষ করতে পেরেছি। তার মতে, বাংলাদেশ এখন পূর্বের যে কোনো সময়ের তুলনায় ‘অনেক বেশি পরিণত ও আত্মবিশ্বাসী’। বাংলাদেশের অগ্রগতি বিশ্বে স্বীকৃত। শুধু ভারত নয়, বিশ্বের প্রতিটি শক্তি বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চায়। বাংলাদেশে ভারতবিরোধী মনোভাবের ব্যাপারে তিনি বলেন, ভারত সম্পর্কে মানুষের ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য রয়েছে। তবে সেসব মোকাবিলা করতে হবে আমাদের। কথা বলতে হবে, নিজেদের বার্তা পৌঁছাতে হবে। তার মতে, বাংলাদেশ ও ভারতের গন্তব্য অভিন্ন। তার ভাষায়, পছন্দ করি অথবা না করি, আমরা একই নৌকায় চড়েছি। হয় আমরা একসঙ্গে চলবো, নয়তো একসঙ্গে ডুববো।
No comments