ইসির তথ্যে গোলমাল
উপজেলা
ও সিটি নির্বাচনের মতো পৌর নির্বাচনেও দায়সারাভাবে কাজ করছে নির্বাচন
কমিশন (ইসি)। সুষ্ঠু ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের সব উপাদান
ইসির হাতে থাকলেও সেগুলোর ব্যবহার হচ্ছে না। আগামী ৩০শে ডিসেম্বর পৌর
নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে। দীর্ঘ ৭ বছর পর নৌকা-ধানের শীষের মধ্যে লড়াই
হবে এ নির্বাচনে। এই নির্বাচনকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের অংশ বলে
ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। অন্যদিকে নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের পরীক্ষা হিসেবে
নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর
মনোনয়নপত্র দাখিল, যাচাই বাছাইয়ের পর যথা সময়ে প্রার্থীর বিষয়ে তথ্য দিতে
পারেনি নির্বাচন কমিশন। কিছু ক্ষেত্রে কমিশন প্রথম যে তথ্য দিয়েছে
পরবর্তীকালে তা সংশোধন করতে হয়েছে। আগের নির্বাচনগুলোয় প্রার্থীর বিষয়ে যথা
সময়ে তথ্য আসলেও এবার এ প্রক্রিয়ায় গোলমাল হচ্ছে প্রায়শই। কমিশনের দাবি
স্থানীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অদক্ষতার কারণে এমনটি হচ্ছে। তবে প্রশ্ন
দেখা দিয়েছে মোটা অঙ্কের বাজেট বরাদ্দ এবং পূর্বপ্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও
এমনটি কেন হচ্ছে। এবারের পৌর নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে ব্যাপক অনিয়মের
অভিযোগ থাকলেও কোন ক্ষেত্রেই ব্যবস্থা নেয়নি ইসি। মন্ত্রী-এমপিদের
প্রচারণার লাগাম টেনে ধরতে পারছে না কমিশন। মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে
ব্যবস্থার নেয়ার বিষয়টি মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের ঘাড়ে চাপাচ্ছে ইসি।
কমিশনের নির্দেশ অমান্য করে নির্বাচনী এলাকাগুলোয় প্রকল্প অনুমোদন দিলেও
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ গতকাল মানবজমিনকে বলেন, পৌরসভা নির্বাচনে যে আচারণবিধি করা হয়েছে তা লঙ্ঘিত হলে যেন ব্যবস্থা নেয়া হয়। এটা করতে পারলে কিছুটা হলেও ইসির নিরপেক্ষতা রক্ষিত হবে। বাকি বিষয়গুলোতো আর নির্বাচন কমিশনের হাতে নেই। যেমন, মামলা দিয়ে বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এগুলো তো সরকারই করে থাকে। এ মুহূর্তে সরকারকে এসব কাজ থেকে বিরত রাখতে পারবে কে? সরকারের কাছে নির্বাচন কমিশন তো অসহায়। ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একতরফা নির্বাচন হয়েছে। সে ধারাবাহিকতায় পৌরসভা নির্বাচনও একতরফা হওয়ার কথা। কিন্তু এ নির্বাচনে গুণগত পরিবর্তন হয় কি না সেটা আর কিছুদিন পরে বোঝা যাবে।
গত বছরের শুরুতে পাঁচ ধাপে দেশের সাড়ে ৪ শতাধিক উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। সহিংসতা বিএনপি সমর্থিত নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিসহ নিহত হয় প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী। আহত হয় কয়েক সহস্রাধিক। ব্যালট ছিনতাই, জাল ভোট প্রদান, প্রতিপক্ষের এজেন্টদের বের করে দেয়াসহ নানা অনিয়মের ঘটনা ঘটে। ভোটগ্রহণের আগের রাতেই কেন্দ্র দখল করে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্সভর্তি করে রাখেন। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন ও সহিংসতা রোধে ব্যবস্থা না নেয়ায় প্রশ্নের মুখে পড়ে ইসি। সংঘাত-সহিংসতার পেছনে কমিশনের উদাসীনতা ও সরকারের প্রতি নতজানু ভূমিকাকেই প্রধানত দায়ী করে নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা। নির্বাচনে আগের দিন ও ভোটের দিন কেন্দ্রে সেনাবাহিনী, র্যাব ও বিজিবির টহলও সহিংসতা রোধে কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর ইসি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে ইসি। নির্বাচনে প্রচুর পরিমাণে আচরণবিধি লঙ্ঘন তথা ব্যালট ছিনতাই, কেন্দ্র দখল ও জালভোটসহ নানা অনিয়মের ঘটনা ঘটে পুলিশ ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সামনেই। কোনো কোনো জায়গায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের লাঞ্ছিত করে সরকারি দলের নেতাকর্মীরা। যার ছবি ও সংবাদ গণমাধ্যমে আসে। এর পরেও ইসি কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। উপরন্তু শতভাগ সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে বলে গণমাধ্যমে দাবি করে।
গত ২৮শে এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয় দেশের বড় তিন সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। নির্বাচনে তিন সিটিতেই ভোটকেন্দ্র দখল, ভোটদানে বাধা, ভোট কারচুপি, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টদের মারধর ও বের করে দেয় সরকার সমর্থিত প্রার্থীরা। অনেক কেন্দ্রের প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারও এ অনিয়মে শামিল হন। যদিও ওই নির্বাচনও সুষ্ঠু হয় বলে নির্বাচন কমিশন দাবি করে।
স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ গতকাল মানবজমিনকে বলেন, পৌরসভা নির্বাচনে যে আচারণবিধি করা হয়েছে তা লঙ্ঘিত হলে যেন ব্যবস্থা নেয়া হয়। এটা করতে পারলে কিছুটা হলেও ইসির নিরপেক্ষতা রক্ষিত হবে। বাকি বিষয়গুলোতো আর নির্বাচন কমিশনের হাতে নেই। যেমন, মামলা দিয়ে বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এগুলো তো সরকারই করে থাকে। এ মুহূর্তে সরকারকে এসব কাজ থেকে বিরত রাখতে পারবে কে? সরকারের কাছে নির্বাচন কমিশন তো অসহায়। ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একতরফা নির্বাচন হয়েছে। সে ধারাবাহিকতায় পৌরসভা নির্বাচনও একতরফা হওয়ার কথা। কিন্তু এ নির্বাচনে গুণগত পরিবর্তন হয় কি না সেটা আর কিছুদিন পরে বোঝা যাবে।
গত বছরের শুরুতে পাঁচ ধাপে দেশের সাড়ে ৪ শতাধিক উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। সহিংসতা বিএনপি সমর্থিত নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিসহ নিহত হয় প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী। আহত হয় কয়েক সহস্রাধিক। ব্যালট ছিনতাই, জাল ভোট প্রদান, প্রতিপক্ষের এজেন্টদের বের করে দেয়াসহ নানা অনিয়মের ঘটনা ঘটে। ভোটগ্রহণের আগের রাতেই কেন্দ্র দখল করে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্সভর্তি করে রাখেন। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন ও সহিংসতা রোধে ব্যবস্থা না নেয়ায় প্রশ্নের মুখে পড়ে ইসি। সংঘাত-সহিংসতার পেছনে কমিশনের উদাসীনতা ও সরকারের প্রতি নতজানু ভূমিকাকেই প্রধানত দায়ী করে নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা। নির্বাচনে আগের দিন ও ভোটের দিন কেন্দ্রে সেনাবাহিনী, র্যাব ও বিজিবির টহলও সহিংসতা রোধে কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর ইসি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে ইসি। নির্বাচনে প্রচুর পরিমাণে আচরণবিধি লঙ্ঘন তথা ব্যালট ছিনতাই, কেন্দ্র দখল ও জালভোটসহ নানা অনিয়মের ঘটনা ঘটে পুলিশ ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সামনেই। কোনো কোনো জায়গায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের লাঞ্ছিত করে সরকারি দলের নেতাকর্মীরা। যার ছবি ও সংবাদ গণমাধ্যমে আসে। এর পরেও ইসি কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। উপরন্তু শতভাগ সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে বলে গণমাধ্যমে দাবি করে।
গত ২৮শে এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয় দেশের বড় তিন সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। নির্বাচনে তিন সিটিতেই ভোটকেন্দ্র দখল, ভোটদানে বাধা, ভোট কারচুপি, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টদের মারধর ও বের করে দেয় সরকার সমর্থিত প্রার্থীরা। অনেক কেন্দ্রের প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারও এ অনিয়মে শামিল হন। যদিও ওই নির্বাচনও সুষ্ঠু হয় বলে নির্বাচন কমিশন দাবি করে।
No comments