বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কত ভ্যাট আদায় হবে?
ভ্যাট
প্রত্যাহারের দাবিকে ঘিরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরা এবং
সরকার এখন মুখোমুখি অবস্থানে। শিক্ষার্থীরা এই ভ্যাট বা মূল্য সংযোজন কর
পুরোপুরি প্রত্যাহারের দাবিতে তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। আগামীকাল থেকে
তিন দিনের ধর্মঘটও শুরু হতে যাচ্ছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর
মালিকদের সমিতিও এই ভ্যাট তুলে নেবার আহ্বান জানিয়েছে।
কিন্তু সরকারও তার অবস্থানে অনড়। ভ্যাট প্রত্যাহার করা হবে এমন কোনো ইঙ্গিত এখনো পর্যন্ত সরকারের দিক থেকে নেই। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে ভ্যাট বাবদ সরকার কত কর আদায় করার আশা রাখে, যার জন্য তারা এরকম একটি অনমনীয় অবস্থান নিয়েছে?
বাংলাদেশ সরকার কেবল এ বছরের বাজেটেই শিক্ষাখাতে বরাদ্দ রেখেছে ২০ হাজার কোটি টাকা। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রায় পুরো খরচ নির্বাহ হয় এই সরকারি বরাদ্দ থেকে। অ্যাসোসিয়েশন অব প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিজের প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন বলছেন, এই বাজেট থেকে একটি টাকাও বেসরকারি খাতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য বরাদ্দ করা হয়নি।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এই বৈষম্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছেন, সরকার এখন যে ভ্যাটের বোঝা চাপিয়ে দিল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর, তাতে করে এই বৈষম্য এখন আরো বাড়বে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে সাড়ে সাত শতাংশ হারে ভ্যাট বাবদ সরকারের কোষাগারে আসলে কত অর্থ আসবে, তার কোনো পরিস্কার হিসেব কারো কাছে নেই।
প্রায় সাড়ে তিন লাখ শিক্ষার্থীর টিউশন ফি-কে ভিত্তি ধরে যদি হিসাব করা হয়, তাহলে এই খাত থেকে সরকার হয়তো আড়াইশো হতে তিনশো কোটি টাকা ভ্যাট বাবদ পেতে পারে।
এবছর সরকার প্রায় পৌণে দুলাখ কোটি টাকার যে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে, সেখানে এটা একেবারেই উল্লেখ করার মত কিছু নয় বলে মনে করেন অনেকে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের একজন সাবেক সদস্য আবদুল মান্নান পাটোয়ারি বলেছেন, সরকারের গত কিছুদিনের চেষ্টা হচ্ছে ভ্যাটের ভিত্তি বাড়িয়ে রাজস্ব আয় কিভাবে বাড়ানো যায়। সেজন্যে নতুন নুতন খাতকে ভ্যাটের আওতায় আনা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার তো শুধু আজকের কথা ভেবেই নীতি ঠিক করছে না, ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই এসব করা হচ্ছে। সূত্র : বিবিসি
কিন্তু সরকারও তার অবস্থানে অনড়। ভ্যাট প্রত্যাহার করা হবে এমন কোনো ইঙ্গিত এখনো পর্যন্ত সরকারের দিক থেকে নেই। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে ভ্যাট বাবদ সরকার কত কর আদায় করার আশা রাখে, যার জন্য তারা এরকম একটি অনমনীয় অবস্থান নিয়েছে?
বাংলাদেশ সরকার কেবল এ বছরের বাজেটেই শিক্ষাখাতে বরাদ্দ রেখেছে ২০ হাজার কোটি টাকা। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রায় পুরো খরচ নির্বাহ হয় এই সরকারি বরাদ্দ থেকে। অ্যাসোসিয়েশন অব প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিজের প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন বলছেন, এই বাজেট থেকে একটি টাকাও বেসরকারি খাতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য বরাদ্দ করা হয়নি।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এই বৈষম্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছেন, সরকার এখন যে ভ্যাটের বোঝা চাপিয়ে দিল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর, তাতে করে এই বৈষম্য এখন আরো বাড়বে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে সাড়ে সাত শতাংশ হারে ভ্যাট বাবদ সরকারের কোষাগারে আসলে কত অর্থ আসবে, তার কোনো পরিস্কার হিসেব কারো কাছে নেই।
প্রায় সাড়ে তিন লাখ শিক্ষার্থীর টিউশন ফি-কে ভিত্তি ধরে যদি হিসাব করা হয়, তাহলে এই খাত থেকে সরকার হয়তো আড়াইশো হতে তিনশো কোটি টাকা ভ্যাট বাবদ পেতে পারে।
এবছর সরকার প্রায় পৌণে দুলাখ কোটি টাকার যে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে, সেখানে এটা একেবারেই উল্লেখ করার মত কিছু নয় বলে মনে করেন অনেকে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের একজন সাবেক সদস্য আবদুল মান্নান পাটোয়ারি বলেছেন, সরকারের গত কিছুদিনের চেষ্টা হচ্ছে ভ্যাটের ভিত্তি বাড়িয়ে রাজস্ব আয় কিভাবে বাড়ানো যায়। সেজন্যে নতুন নুতন খাতকে ভ্যাটের আওতায় আনা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার তো শুধু আজকের কথা ভেবেই নীতি ঠিক করছে না, ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই এসব করা হচ্ছে। সূত্র : বিবিসি
No comments