বাস টিকিটের জন্য গভীর রাত থেকে অধীর অপেক্ষা
রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে ঈদের আগাম টিকিট কিনতে মানুষের ভিড়। শুক্রবারের ছবি-যুগান্তর |
কোরবানির
ঈদ উপলক্ষে বাসের আগাম টিকিট শুক্রবার থেকে বিক্রি শুরু করেছে
গাবতলীকেন্দ্রিক পরিবহনগুলো। কাঙ্ক্ষিত টিকিট সংগ্রহে বৃহস্পতিবার গভীর রাত
থেকেই গাবতলী, মাজার রোড ও টেকনিক্যাল মোড় এলাকায় বাস কাউন্টারগুলোতে ভিড়
জমান যাত্রীরা। দীর্ঘ অপেক্ষার পরও তাদের অনেকেই কাক্সিক্ষত দিন ও সময়ের
টিকিট পাননি। এছাড়া ঈদ সামনে রেখে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ৫০-১৫০ টাকা
পর্যন্ত বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছেন তারা। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানান,
উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গ, সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের জেলাগুলোতে চলাচলকারী
বাসের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। ১৭ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বরের আগাম টিকিট
বিক্রি করা হলেও ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বরের টিকিটের চাহিদা বেশি। বিআরটিসির
বাসের আগাম টিকিট আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে বিক্রি শুরু হবে।
সরেজমিন দেখা গেছে, বাস কাউন্টারগুলোর সামনে টিকিটপ্রত্যাশীদের লম্বা লাইন। রৌদ্র-বৃষ্টি উপেক্ষা করে কাক্সিক্ষত টিকিটের জন্য অপেক্ষা করছেন বিভিন্ন বয়সীরা। টিকিট ইস্যুতে দেরি হওয়া ও লাইন উপেক্ষা করে টিকিট নেয়ার চেষ্টা হলেই উচ্চস্বরে হইচই করেন যাত্রীরা। এ নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হতে দেখা যায়। যাত্রীদের দাঁড়ানোর সুবিধার্থে হানিফ, শ্যামলী, নাবিলসহ কয়েকটি বাস কোম্পানি যাত্রীদের সুবিধার্থে কাউন্টারের সামনে ত্রিপল দিয়ে শামিয়ানা টানিয়ে দেয়। মানুষের ভিড় বেশি থাকায় লাইন শামিয়ানার বাইরে চলে যায়। এছাড়া বেশির ভাগ কাউন্টারে যাত্রীদের দাঁড়ানোর সুবিধার্থে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। তবে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট পাওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন তারা। মাজার রোডে নাবিল পরিবহনের আগাম টিকিট সংগ্রহের পর একটি গ্রুপ অব কোম্পানির অ্যাকাউন্ট অফিসার শফিউল হোসেন সরকার বলেন, মিরপুর-১০ নম্বর বাসা হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় আগাম টিকিট পেতে বাস কাউন্টারে এসেছি। সকাল সাড়ে ১০টায় নীলফামারীর গাড়ির দুটি টিকিট পেয়েছি। তিনি বলেন, সকাল ৬টায় টিকিট বিক্রি শুরুর কথা থাকলেও শুরু হয়েছে ৭টায়। টিকিট ইস্যুতে অনেক বেশি সময় নিচ্ছেন কাউন্টারম্যানরা। এ কারণে লাইনে দাঁড়ানো যাত্রীরা কিছুক্ষণ পরপরই হইচই করছেন। তিনি আরও বলেন, অন্যান্য সময়ে নাবিল পরিবহন নীলফামারীর ভাড়া ৬৫০ টাকা নিলেও এখন ৭২০ টাকা নিয়েছে। নাবিল পরিবহনের কাউন্টারের সামনে গিয়ে দেখা গেছে, গাড়ির নিজস্ব পার্কিং এলাকায় টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। দুটি কাউন্টারে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা বুথ করা হয়েছে।
গাবতলী পর্বত সিনেমা হল সংলগ্ন এলাকায় আগাম টিকিট বিক্রি করেছে হানিফ এন্টারপ্রাইজ। আগাম টিকিট বিক্রির জন্য বেশ কয়েকটি বুথ খোলা হলেও যাত্রীদের দিনভর উপচেপড়া ভিড় ছিল। এ কোম্পানির রাজশাহীর টিকিট পাওয়ার পর জিএম কসমেটিকস নামক প্রতিষ্ঠানের কর্মী বারিকুল ইসলাম জানান, আগাম টিকিট পেতে মোহাম্মদপুর থেকে রাত ৪টায় বাস কাউন্টারে এসেছেন। তার আগেই আরও অনেক যাত্রী এসে লাইন ধরেছেন। যাত্রীদের অনেকেই তাস খেলে, কেউ গল্প করে আবার কেউ মাটিতে পত্রিকা বিছিয়ে বসে রাত পার করতে দেখেছেন। তিনি বলেন, আমি রাজশাহী গেলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভাড়া ৫৬০ টাকা দিতে হয়েছে। আগে একই পথের ভাড়া ৪৫০ টাকা নেয়া হতো। বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ করে আরেক যাত্রী মো. আজমল বলেছেন, নীলফামারীর ভাড়া ৭৫০ টাকা নিয়েছে, আগে এই ভাড়া ৬৫০ টাকা ছিল। হানিফ কাউন্টারের সামনে একসঙ্গে টিকিট সংগ্রহ করেন চার বন্ধু। তাদের একজন মোস্তাফিজুর রহমান জানান, টিকিট পেতে ভোররাতেই গাবতলীতে এসেছেন। দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ পর্যন্ত ভাড়া ৬৭০ টাকা নিয়েছে। আগে একই পথের ভাড়া ৬০০ টাকা ছিল।
বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে হানিফ এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার মোশাররফ হোসেইন বলেন, আমরা বাড়তি ভাড়া নিচ্ছি না। প্রতিযোগিতা ও যাত্রী কম থাকায় স্বাভাবিক সময়ে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার কম নিয়ে থাকি। ঈদে সরকার নির্ধারিত ভাড়া নিচ্ছি। তিনি বলেন, ঈদের সময়ের বাসগুলো যাত্রী নিয়ে গেলেও খালি ফেরত আসে। তাই ভাড়া কম নিলে পোষাতে পারব না। তিনি আরও বলেন, ঈদে হানিফ এন্টারপ্রাইজের বাসগুলো রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট বিভাগের জেলাগুলোতে চলবে। প্রতিদিন প্রায় ৩৫০টি ট্রিপ দেয়ার আশা রয়েছে তাদের।
শ্যামলী পরিবহনের ম্যানেজার আলমগীর কবির জানান, ঈদে ভাড়া বাড়েনি। শ্যামলী পরিবহনের বাসে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ৪৮০ টাকা, কক্সবাজার ৮০০ টাকা, সিলেট ৪৭০ টাকা, গাইবান্ধা ৫২০ টাকা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৬০ টাকা, নওগাঁ ৪৭০ টাকা, রংপুর ৬০০ টাকা, দিনাজপুর ৬৫০ টাকা, মেহেরপুর ৫৫০ টাকা, কুষ্টিয়া ৫০০ টাকা ভাড়া নিচ্ছেন। তিনি বলেন, ঈদে ভালো সার্ভিস দিতে আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। যাত্রীসেবায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
যাত্রীদের অভিযোগ, মালিক সমিতির সিদ্ধান্তের পরও অনেক বাস কোম্পানি ২২ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বরের বাসের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু করেনি। বাড়তি ভাড়া আদায়ের আশায় এসব পরিবহন টিকিট বিক্রি না করে এক ধরনের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে। মিরপুরের আনসার ক্যাম্প এলাকার বাসিন্দা লুৎফর রহমান অভিযোগ করেন, রাত ৪টা থেকে আল হামরা পরিবহনের কাউন্টারের সামনে লাইনে দাঁড়িয়েছি। সকাল ৭টায় ওই কাউন্টার থেকে বলা হয়েছে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টিকিট বিক্রি করা হবে। কিন্তু আমাদের কারখানা ছুটি হবে ২২ বা ২৩ সেপ্টেম্বর। বাধ্য হয়ে হানিফ এন্টারপ্রাইজের বাসের টিকিট নিয়েছি। তিনি বলেন, মূলত ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বরের বাসের টিকিটের চাহিদা বেশি। সংকট সৃষ্টি করে ওই সময়ের টিকিটের দাম বাড়াতেই মূলত টিকিট দিচ্ছে না। ইউনিক পরিবহনের গাবতলী কাউন্টার মাস্টার মো. মাহফুজুর রহমান জানান, মঙ্গলবার থেকেই আগাম টিকিট বিক্রি শুরু করেছেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, সরকার দূরপাল্লার বাসের ভাড়া বাড়াবে এমন আশায় বাস কোম্পানিগুলো শুক্রবার থেকে টিকিট বিক্রি করছে। তবে আমরা আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, বেশি ভাড়া আদায় করব না। তাই সাধারণ সময়ের মতোই ভাড়া আদায় করছি। তিনি জানান, ইউনিক পরিবহনের বাসে চট্টগ্রাম ৪৮০ টাকা, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান ৬২০ টাকা, কক্সবাজার ৮০০ টাকা ও সিলেট ৪৭০ টাকা ভাড়া নিয়েছেন। এ কাউন্টারে টিকিট এখনও রয়েছে বলে জানান তিনি।
সরেজমিন দেখা গেছে, বাস কাউন্টারগুলোর সামনে টিকিটপ্রত্যাশীদের লম্বা লাইন। রৌদ্র-বৃষ্টি উপেক্ষা করে কাক্সিক্ষত টিকিটের জন্য অপেক্ষা করছেন বিভিন্ন বয়সীরা। টিকিট ইস্যুতে দেরি হওয়া ও লাইন উপেক্ষা করে টিকিট নেয়ার চেষ্টা হলেই উচ্চস্বরে হইচই করেন যাত্রীরা। এ নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হতে দেখা যায়। যাত্রীদের দাঁড়ানোর সুবিধার্থে হানিফ, শ্যামলী, নাবিলসহ কয়েকটি বাস কোম্পানি যাত্রীদের সুবিধার্থে কাউন্টারের সামনে ত্রিপল দিয়ে শামিয়ানা টানিয়ে দেয়। মানুষের ভিড় বেশি থাকায় লাইন শামিয়ানার বাইরে চলে যায়। এছাড়া বেশির ভাগ কাউন্টারে যাত্রীদের দাঁড়ানোর সুবিধার্থে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। তবে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট পাওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন তারা। মাজার রোডে নাবিল পরিবহনের আগাম টিকিট সংগ্রহের পর একটি গ্রুপ অব কোম্পানির অ্যাকাউন্ট অফিসার শফিউল হোসেন সরকার বলেন, মিরপুর-১০ নম্বর বাসা হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় আগাম টিকিট পেতে বাস কাউন্টারে এসেছি। সকাল সাড়ে ১০টায় নীলফামারীর গাড়ির দুটি টিকিট পেয়েছি। তিনি বলেন, সকাল ৬টায় টিকিট বিক্রি শুরুর কথা থাকলেও শুরু হয়েছে ৭টায়। টিকিট ইস্যুতে অনেক বেশি সময় নিচ্ছেন কাউন্টারম্যানরা। এ কারণে লাইনে দাঁড়ানো যাত্রীরা কিছুক্ষণ পরপরই হইচই করছেন। তিনি আরও বলেন, অন্যান্য সময়ে নাবিল পরিবহন নীলফামারীর ভাড়া ৬৫০ টাকা নিলেও এখন ৭২০ টাকা নিয়েছে। নাবিল পরিবহনের কাউন্টারের সামনে গিয়ে দেখা গেছে, গাড়ির নিজস্ব পার্কিং এলাকায় টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। দুটি কাউন্টারে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা বুথ করা হয়েছে।
গাবতলী পর্বত সিনেমা হল সংলগ্ন এলাকায় আগাম টিকিট বিক্রি করেছে হানিফ এন্টারপ্রাইজ। আগাম টিকিট বিক্রির জন্য বেশ কয়েকটি বুথ খোলা হলেও যাত্রীদের দিনভর উপচেপড়া ভিড় ছিল। এ কোম্পানির রাজশাহীর টিকিট পাওয়ার পর জিএম কসমেটিকস নামক প্রতিষ্ঠানের কর্মী বারিকুল ইসলাম জানান, আগাম টিকিট পেতে মোহাম্মদপুর থেকে রাত ৪টায় বাস কাউন্টারে এসেছেন। তার আগেই আরও অনেক যাত্রী এসে লাইন ধরেছেন। যাত্রীদের অনেকেই তাস খেলে, কেউ গল্প করে আবার কেউ মাটিতে পত্রিকা বিছিয়ে বসে রাত পার করতে দেখেছেন। তিনি বলেন, আমি রাজশাহী গেলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভাড়া ৫৬০ টাকা দিতে হয়েছে। আগে একই পথের ভাড়া ৪৫০ টাকা নেয়া হতো। বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ করে আরেক যাত্রী মো. আজমল বলেছেন, নীলফামারীর ভাড়া ৭৫০ টাকা নিয়েছে, আগে এই ভাড়া ৬৫০ টাকা ছিল। হানিফ কাউন্টারের সামনে একসঙ্গে টিকিট সংগ্রহ করেন চার বন্ধু। তাদের একজন মোস্তাফিজুর রহমান জানান, টিকিট পেতে ভোররাতেই গাবতলীতে এসেছেন। দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ পর্যন্ত ভাড়া ৬৭০ টাকা নিয়েছে। আগে একই পথের ভাড়া ৬০০ টাকা ছিল।
বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে হানিফ এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার মোশাররফ হোসেইন বলেন, আমরা বাড়তি ভাড়া নিচ্ছি না। প্রতিযোগিতা ও যাত্রী কম থাকায় স্বাভাবিক সময়ে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার কম নিয়ে থাকি। ঈদে সরকার নির্ধারিত ভাড়া নিচ্ছি। তিনি বলেন, ঈদের সময়ের বাসগুলো যাত্রী নিয়ে গেলেও খালি ফেরত আসে। তাই ভাড়া কম নিলে পোষাতে পারব না। তিনি আরও বলেন, ঈদে হানিফ এন্টারপ্রাইজের বাসগুলো রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট বিভাগের জেলাগুলোতে চলবে। প্রতিদিন প্রায় ৩৫০টি ট্রিপ দেয়ার আশা রয়েছে তাদের।
শ্যামলী পরিবহনের ম্যানেজার আলমগীর কবির জানান, ঈদে ভাড়া বাড়েনি। শ্যামলী পরিবহনের বাসে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ৪৮০ টাকা, কক্সবাজার ৮০০ টাকা, সিলেট ৪৭০ টাকা, গাইবান্ধা ৫২০ টাকা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৬০ টাকা, নওগাঁ ৪৭০ টাকা, রংপুর ৬০০ টাকা, দিনাজপুর ৬৫০ টাকা, মেহেরপুর ৫৫০ টাকা, কুষ্টিয়া ৫০০ টাকা ভাড়া নিচ্ছেন। তিনি বলেন, ঈদে ভালো সার্ভিস দিতে আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। যাত্রীসেবায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
যাত্রীদের অভিযোগ, মালিক সমিতির সিদ্ধান্তের পরও অনেক বাস কোম্পানি ২২ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বরের বাসের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু করেনি। বাড়তি ভাড়া আদায়ের আশায় এসব পরিবহন টিকিট বিক্রি না করে এক ধরনের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে। মিরপুরের আনসার ক্যাম্প এলাকার বাসিন্দা লুৎফর রহমান অভিযোগ করেন, রাত ৪টা থেকে আল হামরা পরিবহনের কাউন্টারের সামনে লাইনে দাঁড়িয়েছি। সকাল ৭টায় ওই কাউন্টার থেকে বলা হয়েছে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টিকিট বিক্রি করা হবে। কিন্তু আমাদের কারখানা ছুটি হবে ২২ বা ২৩ সেপ্টেম্বর। বাধ্য হয়ে হানিফ এন্টারপ্রাইজের বাসের টিকিট নিয়েছি। তিনি বলেন, মূলত ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বরের বাসের টিকিটের চাহিদা বেশি। সংকট সৃষ্টি করে ওই সময়ের টিকিটের দাম বাড়াতেই মূলত টিকিট দিচ্ছে না। ইউনিক পরিবহনের গাবতলী কাউন্টার মাস্টার মো. মাহফুজুর রহমান জানান, মঙ্গলবার থেকেই আগাম টিকিট বিক্রি শুরু করেছেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, সরকার দূরপাল্লার বাসের ভাড়া বাড়াবে এমন আশায় বাস কোম্পানিগুলো শুক্রবার থেকে টিকিট বিক্রি করছে। তবে আমরা আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, বেশি ভাড়া আদায় করব না। তাই সাধারণ সময়ের মতোই ভাড়া আদায় করছি। তিনি জানান, ইউনিক পরিবহনের বাসে চট্টগ্রাম ৪৮০ টাকা, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান ৬২০ টাকা, কক্সবাজার ৮০০ টাকা ও সিলেট ৪৭০ টাকা ভাড়া নিয়েছেন। এ কাউন্টারে টিকিট এখনও রয়েছে বলে জানান তিনি।
No comments