এক হাজার টাকার মধ্যে আমি বলছি ৭৫ টাকা দাও : অর্থমন্ত্রী
প্রাইভেট
বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল
আবদুল মুহিত বলেছেন, ‘প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে অত্যন্ত উচ্চহারে ফিস আছে।
আমি একটা হিসাব করে দেখেছি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র এক হাজার
টাকা দিনে খরচ করেন। এটা লাগে থাকা, খাওয়া, চলা, বইয়ের জন্য। এই টাকা তারা
দিনে খরচ করেন। আর আমি তার কাছ থেকে কত চাচ্ছি? ৭৫ টাকা। এই এক হাজার টাকার
মধ্যে আমি বলছি ৭৫ টাকা দাও। এটাই হচ্ছে ভ্যাট। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বলেছি
তারা যে ফিস নেন সেখান থেকে দেবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রাজিও হয়েছে।’
তিনি আজ শনিবার দুপুরে বাংলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত দেশের সর্ববৃহৎ
বিতর্ক প্রতিযোগিতা ‘বিতর্ক বিকাশ’র গ্র্যান্ড ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। ব্র্যাক, এটিএন বাংলা এবং
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি যৌথভাবে দেশব্যাপি দুই হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে
‘যুক্তির আলোয় খুজি মানুষের মুক্তি’ স্লোগানে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘তোমরা যদি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে নজরটা না দেও তাহলে আগামী বছর থেকে ভ্যাটটা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তোমাদের ওপর পার্সেল করে করে দেবে। ফিস, টিস, ডেভেলপমেন্ট ফান্ড ইত্যাদি ধরে সেখান থেকে আবার আদায় করে নেবে। সে ব্যাপারে সতর্ক করেই বলেছি, আগামী বছরের জন্য প্রস্তুতি নাও। যাতে তোমাদের ফিস এই সাড়ে সাত শতাংশ ভ্যাটের জন্য আবার না বেড়ে যায়। এটা প্রতিহতের প্রচেষ্টা নেও।’
তিনি বলেন, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর যে ভ্যাট আরোপ করলাম সেটা নিয়ে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সবাই আন্দোলনে চলে গেলেন। আমাদের রাজস্ব বাড়াতে হবে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও খাত থেকে হুকুম আসছে। এই হুকুম মানতে গেলে বিভিন্ন জায়গায় খোঁচা দিতে হয়।
তিনি আরো বলেন, ‘বিতর্ক প্রতিযোগিতায় এসে অন্যান্য যেসব বিষয় এলো সে সম্বন্ধেও আমি কিছু মন্তব্য করলাম। সেটা বোধ হয় আমার চরিত্রগত বৈশিষ্ট্য। সেসব বিষয় সম্বন্ধে আমি কিছু মন্তব্য করি। অনেক সময় একটু এদিক সেদিক ভুল-ভ্রান্তি হয়ে যায়। তারপরে সেটার জন্যে আবার মন্তব্য করতে হয়।’
তিনি প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া বিতার্কিকদেরকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, অনেক দিন পর এ ধরণের বিতর্ক অনুষ্ঠানে এসে ভালো লাগছে। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে এসেও সুন্দর বিতর্ক করছে শিক্ষার্থীরা। এটা অবশ্যই অনেক ভালো দিক বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষাসচিব মো: নজরুল ইসলাম খান, এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজের চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান, ব্রাকের নির্বাহী পরিচালক ড. মুহাম্মদ মুসা, ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচির পরিচালক ড. শফিকুল ইসলাম।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে চলমান আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, এই ভ্যাটের বিষয়ে একটা বিতর্ক হতে পারে। আমি যদি আন্দোলনের নেতা হতাম তাহলে বলতাম, আমি ভ্যাট দেব। কিন্তু এ জন্য একটি ট্রাস্ট করতে হবে। সেখানে ভ্যাটের টাকা জমা হবে। সরকারকেও সমপরিমাণ টাকা সেখানে দিতে হবে। ট্রাস্টের নাম হবে রিসার্চ ফান্ড বা রিসার্চ ট্রাস্ট। আমরা গবেষণায় অনেক পিছিয়ে আছি। এই ফান্ডের টাকা গবেষণায় ব্যয় হবে। এটা নিয়ে বিতর্ক হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
দেশের সুবিধা বঞ্চিত প্রায় দুই হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দেশব্যাপী এই বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে প্রতিযোগিতার ফাইনালে ওঠে মুন্সীগঞ্জের বজ্রযোগিনী জে কে উচ্চ বিদ্যালয় এবং নাটোরের অগ্রাণ উচ্চ বিদ্যালয়। এতে চ্যাম্পিয়ন হয় বজ্রযোগিনী জে কে উচ্চ বিদ্যালয়। শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হন একই প্রতিষ্ঠানের সুরভি আক্তার অধরা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘তোমরা যদি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে নজরটা না দেও তাহলে আগামী বছর থেকে ভ্যাটটা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তোমাদের ওপর পার্সেল করে করে দেবে। ফিস, টিস, ডেভেলপমেন্ট ফান্ড ইত্যাদি ধরে সেখান থেকে আবার আদায় করে নেবে। সে ব্যাপারে সতর্ক করেই বলেছি, আগামী বছরের জন্য প্রস্তুতি নাও। যাতে তোমাদের ফিস এই সাড়ে সাত শতাংশ ভ্যাটের জন্য আবার না বেড়ে যায়। এটা প্রতিহতের প্রচেষ্টা নেও।’
তিনি বলেন, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর যে ভ্যাট আরোপ করলাম সেটা নিয়ে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সবাই আন্দোলনে চলে গেলেন। আমাদের রাজস্ব বাড়াতে হবে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও খাত থেকে হুকুম আসছে। এই হুকুম মানতে গেলে বিভিন্ন জায়গায় খোঁচা দিতে হয়।
তিনি আরো বলেন, ‘বিতর্ক প্রতিযোগিতায় এসে অন্যান্য যেসব বিষয় এলো সে সম্বন্ধেও আমি কিছু মন্তব্য করলাম। সেটা বোধ হয় আমার চরিত্রগত বৈশিষ্ট্য। সেসব বিষয় সম্বন্ধে আমি কিছু মন্তব্য করি। অনেক সময় একটু এদিক সেদিক ভুল-ভ্রান্তি হয়ে যায়। তারপরে সেটার জন্যে আবার মন্তব্য করতে হয়।’
তিনি প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া বিতার্কিকদেরকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, অনেক দিন পর এ ধরণের বিতর্ক অনুষ্ঠানে এসে ভালো লাগছে। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে এসেও সুন্দর বিতর্ক করছে শিক্ষার্থীরা। এটা অবশ্যই অনেক ভালো দিক বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষাসচিব মো: নজরুল ইসলাম খান, এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজের চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান, ব্রাকের নির্বাহী পরিচালক ড. মুহাম্মদ মুসা, ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচির পরিচালক ড. শফিকুল ইসলাম।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে চলমান আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, এই ভ্যাটের বিষয়ে একটা বিতর্ক হতে পারে। আমি যদি আন্দোলনের নেতা হতাম তাহলে বলতাম, আমি ভ্যাট দেব। কিন্তু এ জন্য একটি ট্রাস্ট করতে হবে। সেখানে ভ্যাটের টাকা জমা হবে। সরকারকেও সমপরিমাণ টাকা সেখানে দিতে হবে। ট্রাস্টের নাম হবে রিসার্চ ফান্ড বা রিসার্চ ট্রাস্ট। আমরা গবেষণায় অনেক পিছিয়ে আছি। এই ফান্ডের টাকা গবেষণায় ব্যয় হবে। এটা নিয়ে বিতর্ক হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
দেশের সুবিধা বঞ্চিত প্রায় দুই হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দেশব্যাপী এই বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে প্রতিযোগিতার ফাইনালে ওঠে মুন্সীগঞ্জের বজ্রযোগিনী জে কে উচ্চ বিদ্যালয় এবং নাটোরের অগ্রাণ উচ্চ বিদ্যালয়। এতে চ্যাম্পিয়ন হয় বজ্রযোগিনী জে কে উচ্চ বিদ্যালয়। শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হন একই প্রতিষ্ঠানের সুরভি আক্তার অধরা।
No comments