ইউরোপে শরণার্থীদের মহাভ্রমণ
গ্রিক-মেসিডোনিয়া
সীমান্তে মুষলধারে বৃষ্টি। এই বৃষ্টির মধ্যে ব্যাগ-বোচকা নিয়ে দাঁড়িয়ে
প্রায় সাত হাজার মানুষ। ছেলেমেয়েরা গড়াগড়ি খাচ্ছে কাদায়। টেনে তুলছেন
বাবা-মা। বৃষ্টি থেকে রক্ষার জন্য আশপাশে কিছুই খুঁজে পাচ্ছেন না। ছাতা
দূরে থাক, পলিথিনের কাগজ কিংবা প্লাস্টিক শিটও নেই। এরা সবাই সিরিয়া থেকে
এসেছে পশ্চিম ইউরোপে যাওয়ার আশায়। এদের কোনো আশ্রয় নেই। বৃষ্টিতে ভেজা,
রোদে পোড়া তাদের অভ্যাস হয়ে গেছে।
কায়-ক্লেশ তাদের আর পরাস্ত করতে পারে না। সীমান্তবর্তী বিশেষ জ্যাকেটে মোড়া পুলিশের পিটুনি খেয়েও তারা গন্তব্যে ছুটে যেতে অনড়। ৩০ বছর বয়সী ওয়াসিম আবসি নামের একজন বললেন, ‘আমি কোনো কিছুতেই আর ভয় পাই না।’ সিরিয়ার আরিহা শহর থেকে এসেছেন তিনি। মাথায় একটি তাবুর কাপড় দিয়ে বৃষ্টির মধ্যে চার বন্ধুর সঙ্গে দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি জানালেন, তার এখনকার লক্ষ্য নেদারল্যান্ডসে পৌঁছে যাওয়া তার স্বজনদের সঙ্গে যে করেই হোক মিলিত হবেন তিনি। ওয়াসিমের মতো লক্ষাধিক অভিবাসী বলকান রুটের গ্রিস হাঙ্গেরি পাড়ি দিয়েছে চলতি বছর। আর এই দীর্ঘ পথযাত্রায় তৈরি হয়েছে মহাপরিভ্রমণের এক বিপজ্জনক ইতিহাস। মরুভূমি পাড়ি দিয়ে কিংবা সাগর পার হয়ে, কাঁটাতার পেরিয়ে, রেললাইন ধরে দৌড়ে এক দেশ থেকে আরেক দেশে ঢুকেছে। অধিকাংশ সময়ই পায়ে হেঁটে কেটেছে তাদের।
এর মধ্যে সীমান্তবর্তী পুলিশদের বাধা পিটুনি, নিরাপত্তাবলয় ভেদ করতে কত নির্যাতন সইতে হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। সাগর পাড়ি দেয়ার চেয়ে বিপজ্জনক ছিল সার্বিয়া-হাঙ্গেরি সীমান্ত পেরোনো।
কাঁটাতারের সূচালো বেড়া পাড়ি দিতে হয়েছে রাতের আঁধারে, হামাগুঁড়ি দিয়ে, মাটি কামড়ে। শরীরে বিদ্ধ হয়েছে রেজর-লোহার শিক। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পাহাড়ি ঢালে গড়িয়ে পড়েছে, রেললাইনের স্লিপারে ধাক্কা খেয়ে মুখ থুবড়ে পড়েছে।
এমন দীর্ঘ পদযাত্রার কায়ক্লিষ্ট মহাপরিভ্রমণ কেবল আশ্রয়হীন অভিবাসীদের পক্ষেই সম্ভব।
কায়-ক্লেশ তাদের আর পরাস্ত করতে পারে না। সীমান্তবর্তী বিশেষ জ্যাকেটে মোড়া পুলিশের পিটুনি খেয়েও তারা গন্তব্যে ছুটে যেতে অনড়। ৩০ বছর বয়সী ওয়াসিম আবসি নামের একজন বললেন, ‘আমি কোনো কিছুতেই আর ভয় পাই না।’ সিরিয়ার আরিহা শহর থেকে এসেছেন তিনি। মাথায় একটি তাবুর কাপড় দিয়ে বৃষ্টির মধ্যে চার বন্ধুর সঙ্গে দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি জানালেন, তার এখনকার লক্ষ্য নেদারল্যান্ডসে পৌঁছে যাওয়া তার স্বজনদের সঙ্গে যে করেই হোক মিলিত হবেন তিনি। ওয়াসিমের মতো লক্ষাধিক অভিবাসী বলকান রুটের গ্রিস হাঙ্গেরি পাড়ি দিয়েছে চলতি বছর। আর এই দীর্ঘ পথযাত্রায় তৈরি হয়েছে মহাপরিভ্রমণের এক বিপজ্জনক ইতিহাস। মরুভূমি পাড়ি দিয়ে কিংবা সাগর পার হয়ে, কাঁটাতার পেরিয়ে, রেললাইন ধরে দৌড়ে এক দেশ থেকে আরেক দেশে ঢুকেছে। অধিকাংশ সময়ই পায়ে হেঁটে কেটেছে তাদের।
এর মধ্যে সীমান্তবর্তী পুলিশদের বাধা পিটুনি, নিরাপত্তাবলয় ভেদ করতে কত নির্যাতন সইতে হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। সাগর পাড়ি দেয়ার চেয়ে বিপজ্জনক ছিল সার্বিয়া-হাঙ্গেরি সীমান্ত পেরোনো।
কাঁটাতারের সূচালো বেড়া পাড়ি দিতে হয়েছে রাতের আঁধারে, হামাগুঁড়ি দিয়ে, মাটি কামড়ে। শরীরে বিদ্ধ হয়েছে রেজর-লোহার শিক। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পাহাড়ি ঢালে গড়িয়ে পড়েছে, রেললাইনের স্লিপারে ধাক্কা খেয়ে মুখ থুবড়ে পড়েছে।
এমন দীর্ঘ পদযাত্রার কায়ক্লিষ্ট মহাপরিভ্রমণ কেবল আশ্রয়হীন অভিবাসীদের পক্ষেই সম্ভব।
No comments