মোদির সঙ্গে বৈঠক ঠেকাতে সব চেষ্টাই হয়েছে -দ্য সানডে গার্ডিয়ানকে খালেদা
হোটেল সোনারগাঁওয়ে পৌনে এক ঘণ্টার বৈঠকে প্রায় ১০-১২ মিনিট একান্তে কথা বলেন খালেদা জিয়া ও নরেন্দ্র মোদি। ছবি: ফোকাস বাংলা |
বিএনপির
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশ সফরকালে ভারতের
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তিনি যাতে বৈঠক করতে না পারেন সে জন্য
সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছিল।
গত ৭ জুন খালেদা-মোদি বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা পরই নয়াদিল্লিভিত্তিক রোববারের পত্রিকা দ্য সানডে গার্ডিয়ানের এক সাংবাদিককে গুলশানে নিজের কার্যালয়ে সাক্ষাৎকার দেন খালেদা জিয়া। তখনই তিনি এ অভিযোগ করেন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন দ্য সানডে গার্ডিয়ানের সাংবাদিক সৌরভ স্যান্যাল। পত্রিকাটি গতকাল ওই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করে।
মোদির সফরকালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক হবে কি হবে না, এ নিয়ে চলছিল জল্পনাকল্পনা। মোদির প্রথম সফরের মাত্র একদিন আগে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাক্ষাতের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব এস জয়শঙ্কর নয়াদিল্লিতে সংবাদমাধ্যমকে জানান, প্রধানমন্ত্রী মোদির সফরসূচিতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক হবে।
সফরসূচি অনুযায়ী প্যান প্যাসেফিক সোনারগাঁও হোটেলে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেন। এর মধ্যে প্রায় ১২ মিনিট একান্তে কথা বলেন খালেদা ও মোদি। বৈঠক শেষ হওয়ার পর খালেদা জিয়া সেখান থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আলোচনা খুবই আন্তরিক ছিল।
সৌরভ সান্নালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর বৈঠক, ২০১৩ সালে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখ্যার্জির সঙ্গে দেখা না করা, জামায়াতে ইসলামী, নির্বাচন নিয়ে খালেদা জিয়া খোলামেলা কথা বলেছেন।
সাক্ষাৎকারে সাংবাদিক সৌরভ খালেদার কাছে বৈঠক কেমন হয়েছে তা জানতে চান। জবাবে খালেদা জিয়া বলেন, খুবই আন্তরিক পরিবেশে বৈঠক হয়েছে। এতে তিনি সন্তুষ্ট। তিনি বলেন, ‘মোদিজির সঙ্গে দেখা হওয়াটা ছিল চমৎকার।’
আলোচনার মূল বিষয়বস্তু কী ছিল এমন প্রশ্নের জবাবে খালেদা বলেন, ‘আমরা ঠিক কী কী নিয়ে কথা বলেছি তার সব বলতে পারব না, তবে অবশ্যই বৈঠকটি ছিল অত্যন্ত সন্তোষজনক।’
নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়া না হওয়া নিয়ে যে সংশয় সৃষ্টি হয়েছিল সেই প্রসঙ্গে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ‘কী নিয়ে সংশয়? আমি কি একবারও বলেছি যে, আমি মোদিজির সঙ্গে দেখা করব না? নির্বাচনে তিনি জয়ী হওয়ায় আমি ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছিলাম। আপনি কি বিএনপির একজন নেতাকেও বলতে শুনেছেন, আমি মোদিজির সঙ্গে দেখা করব না? মোদিজি বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশের নেতা। তিনি দুই দেশের সম্পর্ককে জোরদার করার লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন। ভুল বার্তা পৌঁছে দিতেই ইচ্ছেকৃতভাবে এই সংশয় তৈরি করা হয়েছিল এবং তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। সত্যি বলতে কি, মোদিজির সঙ্গে যাতে আমার বৈঠক না হয়, সে জন্য এমন কোনো চেষ্টা নেই যা তারা করেনি।’
এই ষড়যন্ত্রের পেছনে কে ছিল-জানতে চাইলে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমি সরাসরিই বলতে চাই। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী প্রকাশ্যেই বলে বসেন, বাংলাদেশ সফরকালে মোদিজির সঙ্গে আমার বৈঠকের “কোনো সম্ভাবনা” নেই। মোদিজির সফরের একদিন আগে এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেওয়া বিবৃতির কয়েক ঘণ্টা পরই ভারতের পররাষ্ট্রসচিব এস জয়শঙ্কর নয়াদিল্লিতে বলেন, বৈঠক হতে যাচ্ছে। আপনি এটাকে কীভাবে বিচার করবেন? আমি এ জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। বাংলাদেশের সরকার চায়নি আমার সঙ্গে মোদিজির কোনো আলোচনা হোক।’
২০১৩ সালে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখর্জির সঙ্গে কেন দেখা করেননি জানতে চাইলে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, প্রণব মুখার্জির সফরের সময় জামায়াতে ইসলামীর ডাকে দেশে অবরোধ চলছিল। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে তাদের শীর্ষ তিনজন নেতাকে সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে জামায়াতে ইসলামী হরতাল ডেকেছিল। তিনি বলেন, ‘আমাকে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকটি বাতিল করতে হয়েছিল, কারণ আমরা জানতে পেরেছিলাম, তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলে আমার ওপর হামলা করা হবে। প্রকৃতপক্ষে তা জীবনের জন্য হুমকি ছিল।’
এই উত্তরের পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিক সৌরভ জানতে চান জামায়াতে ইসলামী বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক। তাহলে তারা কেন তাঁর (খালেদা) ওপর হামলা করবে?
খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমার সঙ্গে যেকোনো কিছুই ঘটতে পারত, আর এর পুরো দায় গিয়ে পড়ত জামায়াতের ওপর এবং আমাদের বিরোধী পক্ষগুলোর এটাই ছিল পরিকল্পনা, যা আমরা বুঝতে পেরেছিলাম। তাই বৈঠকটি বাতিল করা হয়েছিল। আজ আমি আপনাকে প্রকৃত বিষয়টি জানালাম।’
প্রণব মুখার্জির সঙ্গে দেখা না করার মধ্য দিয়ে বহির্বিশ্বের কাছে, ভারতবিরোধী অবস্থানই প্রকাশ পেয়েছিল—এমনটা মনে করেন কি না জানতে চাইলে খালেদা বলেন, ‘আমি কেন ভারতবিরোধী হতে যাব? ক্ষমতাসীন সরকারের পক্ষ থেকে আমাকে ভারতবিরোধী ও হিন্দুবিরোধী হিসেবে দাঁড় করাতে সমন্বিত প্রচারণা চালানো হচ্ছে।’
সাংবাদিক সৌরভ স্যান্যাল এ সময় জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামীর দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে প্রশ্ন করে বলেন, কট্টর ধর্মীয় রাজনৈতিক দল হিসেবে বিবেচনা করা হয় জামায়াতকে। এবং তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ভারতপন্থী নয়।
এর জবাবে খালেদা জিয়া বলেন, ‘জামায়াত আমাদের জোটের শরিক; এটুকুই। জোটে তাদের বিএনপির কথা শুনতে হবে।’ এ সময় বিএনপির এই নেতা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হাতে কীভাবে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন নির্যাতিত হচ্ছে সেই বিবরণ দেন। তিনি বলেন, ‘হিন্দুদের ঘরবাড়ি লুটপাট করা হয়েছে, ভূমি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে...আর আমাদের বলা হচ্ছে হিন্দুবিরোধী।’
সব শেষে খালেদা জিয়া স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়েই এগিয়ে যাওয়া সম্ভব বলে মত দেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশের ওপর বহির্বিশ্বের নজর রাখা উচিত বলে উল্লেখ করেন।
গত ৭ জুন খালেদা-মোদি বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা পরই নয়াদিল্লিভিত্তিক রোববারের পত্রিকা দ্য সানডে গার্ডিয়ানের এক সাংবাদিককে গুলশানে নিজের কার্যালয়ে সাক্ষাৎকার দেন খালেদা জিয়া। তখনই তিনি এ অভিযোগ করেন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন দ্য সানডে গার্ডিয়ানের সাংবাদিক সৌরভ স্যান্যাল। পত্রিকাটি গতকাল ওই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করে।
মোদির সফরকালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক হবে কি হবে না, এ নিয়ে চলছিল জল্পনাকল্পনা। মোদির প্রথম সফরের মাত্র একদিন আগে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাক্ষাতের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব এস জয়শঙ্কর নয়াদিল্লিতে সংবাদমাধ্যমকে জানান, প্রধানমন্ত্রী মোদির সফরসূচিতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক হবে।
সফরসূচি অনুযায়ী প্যান প্যাসেফিক সোনারগাঁও হোটেলে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেন। এর মধ্যে প্রায় ১২ মিনিট একান্তে কথা বলেন খালেদা ও মোদি। বৈঠক শেষ হওয়ার পর খালেদা জিয়া সেখান থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আলোচনা খুবই আন্তরিক ছিল।
সৌরভ সান্নালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর বৈঠক, ২০১৩ সালে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখ্যার্জির সঙ্গে দেখা না করা, জামায়াতে ইসলামী, নির্বাচন নিয়ে খালেদা জিয়া খোলামেলা কথা বলেছেন।
সাক্ষাৎকারে সাংবাদিক সৌরভ খালেদার কাছে বৈঠক কেমন হয়েছে তা জানতে চান। জবাবে খালেদা জিয়া বলেন, খুবই আন্তরিক পরিবেশে বৈঠক হয়েছে। এতে তিনি সন্তুষ্ট। তিনি বলেন, ‘মোদিজির সঙ্গে দেখা হওয়াটা ছিল চমৎকার।’
আলোচনার মূল বিষয়বস্তু কী ছিল এমন প্রশ্নের জবাবে খালেদা বলেন, ‘আমরা ঠিক কী কী নিয়ে কথা বলেছি তার সব বলতে পারব না, তবে অবশ্যই বৈঠকটি ছিল অত্যন্ত সন্তোষজনক।’
নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়া না হওয়া নিয়ে যে সংশয় সৃষ্টি হয়েছিল সেই প্রসঙ্গে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ‘কী নিয়ে সংশয়? আমি কি একবারও বলেছি যে, আমি মোদিজির সঙ্গে দেখা করব না? নির্বাচনে তিনি জয়ী হওয়ায় আমি ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছিলাম। আপনি কি বিএনপির একজন নেতাকেও বলতে শুনেছেন, আমি মোদিজির সঙ্গে দেখা করব না? মোদিজি বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশের নেতা। তিনি দুই দেশের সম্পর্ককে জোরদার করার লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন। ভুল বার্তা পৌঁছে দিতেই ইচ্ছেকৃতভাবে এই সংশয় তৈরি করা হয়েছিল এবং তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। সত্যি বলতে কি, মোদিজির সঙ্গে যাতে আমার বৈঠক না হয়, সে জন্য এমন কোনো চেষ্টা নেই যা তারা করেনি।’
এই ষড়যন্ত্রের পেছনে কে ছিল-জানতে চাইলে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমি সরাসরিই বলতে চাই। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী প্রকাশ্যেই বলে বসেন, বাংলাদেশ সফরকালে মোদিজির সঙ্গে আমার বৈঠকের “কোনো সম্ভাবনা” নেই। মোদিজির সফরের একদিন আগে এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেওয়া বিবৃতির কয়েক ঘণ্টা পরই ভারতের পররাষ্ট্রসচিব এস জয়শঙ্কর নয়াদিল্লিতে বলেন, বৈঠক হতে যাচ্ছে। আপনি এটাকে কীভাবে বিচার করবেন? আমি এ জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। বাংলাদেশের সরকার চায়নি আমার সঙ্গে মোদিজির কোনো আলোচনা হোক।’
২০১৩ সালে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখর্জির সঙ্গে কেন দেখা করেননি জানতে চাইলে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, প্রণব মুখার্জির সফরের সময় জামায়াতে ইসলামীর ডাকে দেশে অবরোধ চলছিল। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে তাদের শীর্ষ তিনজন নেতাকে সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে জামায়াতে ইসলামী হরতাল ডেকেছিল। তিনি বলেন, ‘আমাকে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকটি বাতিল করতে হয়েছিল, কারণ আমরা জানতে পেরেছিলাম, তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলে আমার ওপর হামলা করা হবে। প্রকৃতপক্ষে তা জীবনের জন্য হুমকি ছিল।’
এই উত্তরের পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিক সৌরভ জানতে চান জামায়াতে ইসলামী বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক। তাহলে তারা কেন তাঁর (খালেদা) ওপর হামলা করবে?
খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমার সঙ্গে যেকোনো কিছুই ঘটতে পারত, আর এর পুরো দায় গিয়ে পড়ত জামায়াতের ওপর এবং আমাদের বিরোধী পক্ষগুলোর এটাই ছিল পরিকল্পনা, যা আমরা বুঝতে পেরেছিলাম। তাই বৈঠকটি বাতিল করা হয়েছিল। আজ আমি আপনাকে প্রকৃত বিষয়টি জানালাম।’
প্রণব মুখার্জির সঙ্গে দেখা না করার মধ্য দিয়ে বহির্বিশ্বের কাছে, ভারতবিরোধী অবস্থানই প্রকাশ পেয়েছিল—এমনটা মনে করেন কি না জানতে চাইলে খালেদা বলেন, ‘আমি কেন ভারতবিরোধী হতে যাব? ক্ষমতাসীন সরকারের পক্ষ থেকে আমাকে ভারতবিরোধী ও হিন্দুবিরোধী হিসেবে দাঁড় করাতে সমন্বিত প্রচারণা চালানো হচ্ছে।’
সাংবাদিক সৌরভ স্যান্যাল এ সময় জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামীর দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে প্রশ্ন করে বলেন, কট্টর ধর্মীয় রাজনৈতিক দল হিসেবে বিবেচনা করা হয় জামায়াতকে। এবং তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ভারতপন্থী নয়।
এর জবাবে খালেদা জিয়া বলেন, ‘জামায়াত আমাদের জোটের শরিক; এটুকুই। জোটে তাদের বিএনপির কথা শুনতে হবে।’ এ সময় বিএনপির এই নেতা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হাতে কীভাবে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন নির্যাতিত হচ্ছে সেই বিবরণ দেন। তিনি বলেন, ‘হিন্দুদের ঘরবাড়ি লুটপাট করা হয়েছে, ভূমি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে...আর আমাদের বলা হচ্ছে হিন্দুবিরোধী।’
সব শেষে খালেদা জিয়া স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়েই এগিয়ে যাওয়া সম্ভব বলে মত দেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশের ওপর বহির্বিশ্বের নজর রাখা উচিত বলে উল্লেখ করেন।
No comments