আমার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কীসের জন্য? -সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী by তানজির আহমেদ রাসেল
লন্ডনের পিকাডেলির পার্ক লেইন শেরাটন হোটেলে গতকাল রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর হাতে মানপত্র তুলে দেন প্রবীণ সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী। ছবি: প্রথম আলো |
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,
দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের যে ভৌগলিক অবস্থার গুরুত্ব রয়েছে, সেটাকে কাজে
লাগিয়ে দেশের উন্নতি করাই সরকারের লক্ষ্য। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে
সুসম্পর্ক রেখেই বাংলাদেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে হবে। শুধু নিজেদের কথা
নয়। প্রতিবেশীদের কথাও ভাবতে হবে। রোববার লন্ডনের পার্কলেন হোটেলে
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দেয়া সংবর্ধনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্যের
জন্য শেখ হাসিনাকে এ নাগরিক সংবর্ধনা দেয়া হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শেখ
রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকসহ নির্বাচিত বাংলাদেশি বৃটিশ পার্লামেন্ট
সদস্যদের অভিনন্দন জানানো হয়। সফরকালে স্থানীয় বিএনপির বিক্ষোভে বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী
বলেন, আমার বিরুদ্ধে ডেমোনস্ট্রেশন কীসের জন্য? স্থলসীমানা চুক্তি
বাস্তবায়ন করেছি তার প্রতিবাদে? সমুদ্রসীমা অর্জন করেছি তার প্রতিবাদে?
লন্ডনে বসে অপমান করবে, সেটা হবে না। প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান
চলাকালেও হিলটন হোটেলের সামনে যুক্তরাজ্য বিএনপির শতাধিক নেতা-কর্মী
বিক্ষোভ করেন। মাথায় কালো কাপড় বেধে ব্যানার ও পোস্টার নিয়ে তারা বিভিন্ন
সেøাগান দেন। এর আগে শুক্রবার এবং শনিবার প্রধানমন্ত্রীর হোটেলের সামনে
বিক্ষোভ করে স্থানীয় বিএনপি।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ, ভারত, চীন ও মিয়ানমার মিলে আমরা যৌথভাবে যোগাযোগের মাধ্যমে আমরা অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়েছি। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে হাতজোড় করে বসে থেকে কী অর্জন করলেন।
বিএনপি জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন করে দেশের দুই শতাধিক মানুষকে হত্যা করে কী অর্জন করল। কী লাভ হলো দেশের। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যে কয়টি চুক্তি হয়েছে, সেগুলো আওয়ামী লীগ ও তার সরকারের কূটনৈতিক সাফল্য। আজ সারাবিশ্বে বাংলাদেশ একটি মডেল।
তিনি বলেন, দেশ আজ স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অনেক বাঁধা আসবে। সেই প্রতিকূলতা ঠেলেই এগিয়ে যেতে হবে। দারিদ্র্যকে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অভিন্ন শত্রু হিসাবে উল্লেখ করে এর বিরুদ্ধে সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি ।
অনুষ্ঠানে শুরুতেই যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের নেতারা শেখ হাসিনার হাতে ফুলের তোড়া তুলে দেন। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ক্রেস্ট উপহার দেওয়া হয় । শেখ হাসিনা তার ভাগনি টিউলিপের হাতের ফুলের তোড়া ও বই তুলে দেবার পর নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে টিউলিপ বলেন, আসলে কখনও ভাবিনি, নিজের খালার হাত থেকে ফুল পাব।
সভায় সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান শরীফ। বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।এদিকে আমন্ত্রণপত্র থাকার পরও প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে বাঁধা দেবার ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ, ভারত, চীন ও মিয়ানমার মিলে আমরা যৌথভাবে যোগাযোগের মাধ্যমে আমরা অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়েছি। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে হাতজোড় করে বসে থেকে কী অর্জন করলেন।
বিএনপি জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন করে দেশের দুই শতাধিক মানুষকে হত্যা করে কী অর্জন করল। কী লাভ হলো দেশের। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যে কয়টি চুক্তি হয়েছে, সেগুলো আওয়ামী লীগ ও তার সরকারের কূটনৈতিক সাফল্য। আজ সারাবিশ্বে বাংলাদেশ একটি মডেল।
তিনি বলেন, দেশ আজ স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অনেক বাঁধা আসবে। সেই প্রতিকূলতা ঠেলেই এগিয়ে যেতে হবে। দারিদ্র্যকে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অভিন্ন শত্রু হিসাবে উল্লেখ করে এর বিরুদ্ধে সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি ।
অনুষ্ঠানে শুরুতেই যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের নেতারা শেখ হাসিনার হাতে ফুলের তোড়া তুলে দেন। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ক্রেস্ট উপহার দেওয়া হয় । শেখ হাসিনা তার ভাগনি টিউলিপের হাতের ফুলের তোড়া ও বই তুলে দেবার পর নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে টিউলিপ বলেন, আসলে কখনও ভাবিনি, নিজের খালার হাত থেকে ফুল পাব।
সভায় সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান শরীফ। বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।এদিকে আমন্ত্রণপত্র থাকার পরও প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে বাঁধা দেবার ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা।
No comments