ধর্ষণের সময় পুলিশ ও তার সহযোগীরা মদ্যপ ছিল
প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন ওই নারী পুলিশ কনস্টেবল। সুখী হতে চেয়েছিলেন তিনি। প্রেম করার সময় এএসআই কালিমুর তাকে সুখী করার জন্য যা যা করা দরকার তাই করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। তার কথায় বিশ্বাসও করেছিলেন তিনি। কিন্তু, বিয়ের পর হঠাৎ বদলে যান কালিমুর। বিভিন্ন কারণে-অকারণে মারধর করতেন। দিনের পর দিন নির্যাতনের মাত্রা বাড়তে থাকে। চাকরি ছেড়ে দেয়া ও যৌতুকের টাকার জন্য চাপ দিয়েছিলেন। একসময় তারা আলাদা থাকতে শুরু করেন। এরইমধ্যে ওই নারী কনস্টেবলের কোলজুড়ে মাইশা নামে এক কন্যা সন্তান আসে। তিনি ভেবেছিলেন সন্তানের মুখ দেখে হয়তো এবার তার স্বামীর পরিবর্তন হবে। কিন্তু তার মধ্যে কোন পরিবর্তন আসেনি। বরং আগের চেয়ে নির্যাতনের মাত্রা বাড়তে থাকে। শেষে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ করতে বাধ্য হন তিনি। এর প্রতিশোধ নিতে ফুসলিয়ে তাকে নিয়ে এক আত্মীয়ের বাসায় নিয়ে যায়। ওই নারী কনস্টেবলের পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেছেন, ধর্ষণের সময় এএসআই কালিমুর ও তার দুই সহযোগী মদ্যপ ছিল।
গত ১০ই মার্চ খিলগাঁও থানাধীন সি ব্লকের তিলপাপাড়ার ১৭ নম্বর রোডের ৮৬/৩, নম্বর বাড়ির নিচতলার বেডরুমে আটকে রেখে ওই মহিলার কনস্টেবলকে গণধর্ষণ করে তার সাবেক স্বামী এসপিবিএনে (স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রটেকশন ব্যাটালিয়ন) কর্মরত এএসআই কালিমুর রহমান ও তার দুই সহযোগী। ১১ই মার্চ ওই বাড়ি থেকে কৌশলে বের হয়ে আসেন ওই মহিলা কনস্টেবল। এরপর তিনি রাজারবাগ হাসপাতালে যান চিকিৎসা নিতে। কিন্তু, সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে (ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস) ভর্তি হওয়ার জন্য বলেন। গত ১৩ই মার্চ দুপুরে তিনি ওসিসিতে ভর্তি হন। এ ঘটনায় শনিবার রাতে নির্যাতিতার বোন অ্যাডভোকেট নাসরিন আক্তার মায়া বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে খিলগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। গতকাল সকালে ওই মহিলা কনস্টেবলের ফরেনসিক পরীক্ষা সম্পূর্ণ হয়েছে। আগামী তিনদিনের মধ্যে পরীক্ষার রিপোর্ট দেয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
গতকাল সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, ওসিসির সামনে ওই নির্যাতিতা মহিলা কনস্টেবলের পরিবার দাঁড়িয়ে আছেন। তারা একজন চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এমন একটি ঘটনায় তারা হতবাক হয়েছেন। তাদের একটাই দাবি, দোষীদের যেন দ্রুত গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় আনা হয়। নির্যাতিতার বোন অ্যাডভোকেট নাসরিন আক্তার সোমা জানান, কারণে-অকারণে তার বোনকে নির্যাতন করায় এএসআই কালিমুরকে গত বছরই তালাক দিয়েছিল তার মহিলা কনস্টেবল বোন। এরপর পূর্ণ সংসার করার জন্য বিভিন্ন দেন-দরবার করে আসছিল কালিমুর। কিন্তু, তার বোন আর রাজি হচ্ছিল না। তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগে কালিমুর মতিঝিল জোনের পুলিশের এক কর্মকর্তাকে জানান যে, তিনি আবার সংসার করবেন। এছাড়া কালিমুর তার বোনকে প্রায়ই ফোন করতো। বিভিন্ন প্রলোভন দেখাতো। তার কথায় প্রলোভনে তার বোনের মানসিক অবস্থা একটু নরম হয়। তিনি আবার নতুন করে সংসার করার উদ্যোগ নেন। প্রতিদান হিসেবে পেয়েছেন পাশবিক নির্যাতন। তিনি অভিযোগ করে আরও জানান, তার বোন কয়েকদিন ধরে অসুস্থ। ১০ই মার্চ সকালে তিনি রাজারবাগ হাসপাতালে যান। এসময় ওই নারী কনস্টেবলকে ফোন দেয় কালিমুর। কালিমুরের কথায় তিনি রাজি হয়ে খিলগাঁওয়ে গেলে তাকে এএসআই কালিমুর ও দুই সহযোগী মিলে মদ্যপ অবস্থায় ধর্ষণ করে। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর ৩টি মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওসিসির (ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার) সমন্বয়ক ডা. বিলকিস বেগম জানান, ওই মহিলা কনস্টেবলকে মানসিকভাবে শক্তি যোগানোর জন্য কাউন্সেলিং করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তার ফরেনসিক পরীক্ষা সম্পূর্ণ হয়েছে। তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। খিলগাঁও থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নির্যাতিতার বোন বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় বাদী এসআই কালিমুর রহমান ও অজ্ঞাত চারজনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই এএসআই কালিমুর রহমান পলাতক রয়েছে। তাকে ধরতে বিভিন্নস্থানে অভিযান চলছে।
গত ১০ই মার্চ খিলগাঁও থানাধীন সি ব্লকের তিলপাপাড়ার ১৭ নম্বর রোডের ৮৬/৩, নম্বর বাড়ির নিচতলার বেডরুমে আটকে রেখে ওই মহিলার কনস্টেবলকে গণধর্ষণ করে তার সাবেক স্বামী এসপিবিএনে (স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রটেকশন ব্যাটালিয়ন) কর্মরত এএসআই কালিমুর রহমান ও তার দুই সহযোগী। ১১ই মার্চ ওই বাড়ি থেকে কৌশলে বের হয়ে আসেন ওই মহিলা কনস্টেবল। এরপর তিনি রাজারবাগ হাসপাতালে যান চিকিৎসা নিতে। কিন্তু, সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে (ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস) ভর্তি হওয়ার জন্য বলেন। গত ১৩ই মার্চ দুপুরে তিনি ওসিসিতে ভর্তি হন। এ ঘটনায় শনিবার রাতে নির্যাতিতার বোন অ্যাডভোকেট নাসরিন আক্তার মায়া বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে খিলগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। গতকাল সকালে ওই মহিলা কনস্টেবলের ফরেনসিক পরীক্ষা সম্পূর্ণ হয়েছে। আগামী তিনদিনের মধ্যে পরীক্ষার রিপোর্ট দেয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
গতকাল সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, ওসিসির সামনে ওই নির্যাতিতা মহিলা কনস্টেবলের পরিবার দাঁড়িয়ে আছেন। তারা একজন চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এমন একটি ঘটনায় তারা হতবাক হয়েছেন। তাদের একটাই দাবি, দোষীদের যেন দ্রুত গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় আনা হয়। নির্যাতিতার বোন অ্যাডভোকেট নাসরিন আক্তার সোমা জানান, কারণে-অকারণে তার বোনকে নির্যাতন করায় এএসআই কালিমুরকে গত বছরই তালাক দিয়েছিল তার মহিলা কনস্টেবল বোন। এরপর পূর্ণ সংসার করার জন্য বিভিন্ন দেন-দরবার করে আসছিল কালিমুর। কিন্তু, তার বোন আর রাজি হচ্ছিল না। তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগে কালিমুর মতিঝিল জোনের পুলিশের এক কর্মকর্তাকে জানান যে, তিনি আবার সংসার করবেন। এছাড়া কালিমুর তার বোনকে প্রায়ই ফোন করতো। বিভিন্ন প্রলোভন দেখাতো। তার কথায় প্রলোভনে তার বোনের মানসিক অবস্থা একটু নরম হয়। তিনি আবার নতুন করে সংসার করার উদ্যোগ নেন। প্রতিদান হিসেবে পেয়েছেন পাশবিক নির্যাতন। তিনি অভিযোগ করে আরও জানান, তার বোন কয়েকদিন ধরে অসুস্থ। ১০ই মার্চ সকালে তিনি রাজারবাগ হাসপাতালে যান। এসময় ওই নারী কনস্টেবলকে ফোন দেয় কালিমুর। কালিমুরের কথায় তিনি রাজি হয়ে খিলগাঁওয়ে গেলে তাকে এএসআই কালিমুর ও দুই সহযোগী মিলে মদ্যপ অবস্থায় ধর্ষণ করে। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর ৩টি মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওসিসির (ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার) সমন্বয়ক ডা. বিলকিস বেগম জানান, ওই মহিলা কনস্টেবলকে মানসিকভাবে শক্তি যোগানোর জন্য কাউন্সেলিং করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তার ফরেনসিক পরীক্ষা সম্পূর্ণ হয়েছে। তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। খিলগাঁও থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নির্যাতিতার বোন বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় বাদী এসআই কালিমুর রহমান ও অজ্ঞাত চারজনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই এএসআই কালিমুর রহমান পলাতক রয়েছে। তাকে ধরতে বিভিন্নস্থানে অভিযান চলছে।
No comments