‘বুলবুল আমাকে মেরে ফেলবে আমি ওর কাছে আর যাবো না’ by রিপন আনসারী
‘বুলবুল আমার সুন্দর ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিয়েছে। ও আমাকে মেরে ফেলবে। আমি ওর কাছে আর ফিরে যাবো না।’ স্বামীর অমানুষিক নির্যাতনের শিকার নববধূ শিপলা আক্তার সাংবাদিকদের কাছে এভাবেই তার ভয়ের কথা জানান।
সূত্র জানায়, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা জয়রা গ্রামের প্রভাবশালী আবদুল আলিমের ছেলে বুলবুল অ্যাসিড মারার ভয় দেখিয়ে জোর করে শিপলাকে বিয়ে করে। মাদকসেবী স্বামীর নেশার টাকা বাবার বাড়ি থেকে এনে না দেয়ার কারণেই তার ওপর এই নির্যাতন। নির্যাতনের শিকার শিপলা চিকিৎসার জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বিছানায় শুয়ে যন্ত্রণায় ছটফট করছেন আর বিলোপ করছেন।
হাসপাতালের বিছানায় কাতরাতে কাতরাতে শিপলা সাংবাদিকদের বলেন, বুলবুল আমার সুন্দর ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিয়েছে। কলেজে যাওয়া-আসার পথে বুলবুল আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। তার প্রস্তাবে সাড়া না দিলে সে জোর করে এবং বিভিন্ন হুমকি দেয়। সর্বশেষ অ্যাসিড ও মা-বাবাকে হত্যার ভয় দেখালে তিন মাস আগে আমাদের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই মাদক সেবন করে আমার ওপর চালাতো অমানুষিক নির্যাতন।
নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে শিপলা বলেন, টাকা এনে না দেয়ায় শুরু হয় নির্যাতন। ঘরের দরজা বন্ধ করে মুখে কাপড় গুঁজে নির্যাতন করে সে। এর আগেও নির্যাতনের স্বীকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন শিপলা।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার সকালে কাঁচি দিয়ে বাম হাতে আঘাত করে। এরপর মেঝেতে ফেলে পা দিয়ে পাড়িয়েছে। সূচ দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোঁড় দিয়েছে। এছাড়া সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়েছে বুকসহ নাভির নিচে অমানুষিক নির্যাতন করে। নির্যাতনের একপর্যায়ে বুলবুল সিগারেট খাওয়ার কথা বলে ঘরের বাইরে যায়। এই ফাঁকে সে ঘর থেকে পালিয়ে কোন রকমে খালাতো ভাই সেলিমের বাসায় ওঠে। সেখান থেকে তাকে মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালে ভর্তি করে তার আত্মীয়স্বজনরা।
মানিকগঞ্জ দেবেন্দ্র কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান স্নাতক (সম্মান) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শিপলা আক্তার। বাবা সদর উপজেলার চরগরপাড়া গ্রামের ফজলুল রহমান। বুলবুল আইন বিভাগে প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করছে। তার বাবা মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা জয়রা গ্রামের আ. সালাম।
শিপলুর বাবা ফজলুর রহমান বলেন, বুলবুলের সঙ্গে মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি ছিলাম না। কিন্তু বিয়েতে রাজি না হলে তাদের হত্যা করা হবে আর তার মেয়েকে অ্যাসিড মারা হবে এমন হুমকির মুখে বিয়েতে রাজি হতে হয়। বিয়ের সময় নগদ ৪ লাখ টাকা এবং ৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার দেয়া হয় বলে জানান ফজলুর রহমান।
তিনি আরও জানান, বিয়ের পর একদিনের জন্যও শিপলুকে শ্বশুর বাড়ি থেকে তার কাছে আসতে দেয়নি বুলবুল। তিনি বলেন, বুলবুল যে মাদকাসক্ত তা আমরা জানতাম না। বিয়ের পর থেকেই টাকাপয়সার জন্য শিপলাকে মারধর করতো। এ নিয়ে মাত্র এক সপ্তাহ আগে স্থানীয় মুরব্বিদের নিয়ে বিচার বসে। সেখানে বুলবুলের বাবা আর এ ধরনে ঘটনা ঘটবে না বলে আশ্বস্ত করেন। এর পরেও তার মেয়ের ওপর অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে।
মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শিপলার শরীরে মারধরসহ সুচালো কিছু দিয়ে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। তিনি জানান শিপলা কয়েকবার বমি করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তার মাথাতেও আঘাত করা হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল।
মানিকগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক আবুল বাশার বলেন, গৃহবধূ নির্যাতনের ঘটনায় তার পরিবার থেকে বুধবার বিকাল পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ করা হয়নি। তার পরও মৌখিক খবর পেয়ে তারা হাসপাতালে গিয়ে নির্যাতনের স্বীকার ওই গৃহবধূর সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। বুলবুলকে আটক করতে তার বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
সূত্র জানায়, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা জয়রা গ্রামের প্রভাবশালী আবদুল আলিমের ছেলে বুলবুল অ্যাসিড মারার ভয় দেখিয়ে জোর করে শিপলাকে বিয়ে করে। মাদকসেবী স্বামীর নেশার টাকা বাবার বাড়ি থেকে এনে না দেয়ার কারণেই তার ওপর এই নির্যাতন। নির্যাতনের শিকার শিপলা চিকিৎসার জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বিছানায় শুয়ে যন্ত্রণায় ছটফট করছেন আর বিলোপ করছেন।
হাসপাতালের বিছানায় কাতরাতে কাতরাতে শিপলা সাংবাদিকদের বলেন, বুলবুল আমার সুন্দর ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিয়েছে। কলেজে যাওয়া-আসার পথে বুলবুল আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। তার প্রস্তাবে সাড়া না দিলে সে জোর করে এবং বিভিন্ন হুমকি দেয়। সর্বশেষ অ্যাসিড ও মা-বাবাকে হত্যার ভয় দেখালে তিন মাস আগে আমাদের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই মাদক সেবন করে আমার ওপর চালাতো অমানুষিক নির্যাতন।
নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে শিপলা বলেন, টাকা এনে না দেয়ায় শুরু হয় নির্যাতন। ঘরের দরজা বন্ধ করে মুখে কাপড় গুঁজে নির্যাতন করে সে। এর আগেও নির্যাতনের স্বীকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন শিপলা।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার সকালে কাঁচি দিয়ে বাম হাতে আঘাত করে। এরপর মেঝেতে ফেলে পা দিয়ে পাড়িয়েছে। সূচ দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোঁড় দিয়েছে। এছাড়া সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়েছে বুকসহ নাভির নিচে অমানুষিক নির্যাতন করে। নির্যাতনের একপর্যায়ে বুলবুল সিগারেট খাওয়ার কথা বলে ঘরের বাইরে যায়। এই ফাঁকে সে ঘর থেকে পালিয়ে কোন রকমে খালাতো ভাই সেলিমের বাসায় ওঠে। সেখান থেকে তাকে মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালে ভর্তি করে তার আত্মীয়স্বজনরা।
মানিকগঞ্জ দেবেন্দ্র কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান স্নাতক (সম্মান) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শিপলা আক্তার। বাবা সদর উপজেলার চরগরপাড়া গ্রামের ফজলুল রহমান। বুলবুল আইন বিভাগে প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করছে। তার বাবা মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা জয়রা গ্রামের আ. সালাম।
শিপলুর বাবা ফজলুর রহমান বলেন, বুলবুলের সঙ্গে মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি ছিলাম না। কিন্তু বিয়েতে রাজি না হলে তাদের হত্যা করা হবে আর তার মেয়েকে অ্যাসিড মারা হবে এমন হুমকির মুখে বিয়েতে রাজি হতে হয়। বিয়ের সময় নগদ ৪ লাখ টাকা এবং ৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার দেয়া হয় বলে জানান ফজলুর রহমান।
তিনি আরও জানান, বিয়ের পর একদিনের জন্যও শিপলুকে শ্বশুর বাড়ি থেকে তার কাছে আসতে দেয়নি বুলবুল। তিনি বলেন, বুলবুল যে মাদকাসক্ত তা আমরা জানতাম না। বিয়ের পর থেকেই টাকাপয়সার জন্য শিপলাকে মারধর করতো। এ নিয়ে মাত্র এক সপ্তাহ আগে স্থানীয় মুরব্বিদের নিয়ে বিচার বসে। সেখানে বুলবুলের বাবা আর এ ধরনে ঘটনা ঘটবে না বলে আশ্বস্ত করেন। এর পরেও তার মেয়ের ওপর অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে।
মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শিপলার শরীরে মারধরসহ সুচালো কিছু দিয়ে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। তিনি জানান শিপলা কয়েকবার বমি করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তার মাথাতেও আঘাত করা হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল।
মানিকগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক আবুল বাশার বলেন, গৃহবধূ নির্যাতনের ঘটনায় তার পরিবার থেকে বুধবার বিকাল পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ করা হয়নি। তার পরও মৌখিক খবর পেয়ে তারা হাসপাতালে গিয়ে নির্যাতনের স্বীকার ওই গৃহবধূর সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। বুলবুলকে আটক করতে তার বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
No comments