৬৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসব- তারা ভরা দিন by ইকবাল হোসাইন চৌধুরী
কাকে
ফেলে কাকে দেখি! একদিকে হলিউড তারকা কলিন ফেরেল, ভাবী ফরাসি বন্ডকন্যা
লিয়া সেদু, অভিনেত্রী র্যাচেল ভাইস, অভিনেতা জন সি রেইলি; আরেক দিকে উডি
অ্যালেন, এমা স্টোন। কান উৎসব কাল মাতিয়ে রেখেছিলেন মূলত হলিউড তারকারাই।
আর হলিউড তারকাদের আগমন মানেই সবখানে উপচে পড়া ভিড়। বাড়তি ছোটাছুটি।
হঠাৎ র্যাচেল ভাইস: এর মধ্যেই মাঝপথে দেখা পেয়ে গেলাম অভিনেত্রী র্যাচেল ভাইসের। কালো জাম্পস্যুটে অপরূপা। ছবি তোলার পালা শেষ করে ফিরছিলেন প্যালে ডে ফেস্টিভ্যালের পথে। সেখানেই আচমকা দেখা মিলল এই ব্রিটিশ-আমেরিকান অভিনেত্রীর।
সম্ভবত কড়া রোদে মেকআপ নষ্ট হওয়ার কারণে খানিক ছায়ায় দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গী সহযোগী রূপসজ্জাকরকে দেখছি দ্রুত তাঁর মেকআপ ঠিক করে দিতে। মেকআপ ঠিকঠাক করেই র্যাচেল আবার হাঁটা ধরেছেন তাঁর পথে। ইয়োরগোস লানথিমোসের লবস্টার ছবির তারকাবহুল সংবাদ সম্মেলন হয়ে গেছে কাল। র্যাচেল ভাইস, কলিন ফেরেলদের সদলবলে কান আগমন সেই সূত্রেই।
উডি যখন এলেন: কিন্তু উডি অ্যালেন যেন একাই এক শ। অভিনেত্রী এমা স্টোনসহ তিনি উৎসবে আসতেই সব মনোযোগ নিমেষে তাঁর দিকে। ৫০ বছরেরও বেশি সময়ের ক্যারিয়ার তাঁর। অস্কার মনোনয়ন পাওয়া বা অস্কার বিজয়—সবই এখন তাঁর কাছে একরকম ডালভাত। অভিনেতা ও নির্মাতা—দুই হিসেবেই আমেরিকান ছবির সত্যিকার এক আইকন।
অ্যানি হল, ম্যাচ পয়েন্ট, স্কুপ, ভিকি ক্রিস্টিনা বার্সিলোনা, থেকে হালের ব্লু জেসমিন। উডি অ্যালেনের ছবির সংখ্যাও যেন অগণিত। এবারে উডি অ্যালেনের ইরেশনাল ম্যান আছে কান চলচ্চিত্র উৎসবের আউট অব কম্পিটিশন বিভাগে। সেই সূত্রেই এই মার্কিন কিংবদন্তির কান চলচ্চিত্র উৎসবে আগমন।
সেই কালো চশমা, সেই পাকা চুল। গায়ে চেক শার্ট। বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছে শরীর। কিন্তু উডি অ্যালেন কথায় আর রসিকতায় কম যান না কিছুতেই।
উডি অ্যালেনকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আপনার ছবির মানুষগুলো কেন প্রায়শ অবিশ্বস্ত? সম্পর্কগুলো কেন এত ভঙ্গুর? এটা কি এই সময়ের মানুষের সমস্যা?
উডি অ্যালেনের জবাব ছিল, ‘মানুষের বিশ্বস্ততা বা দ্বিচারী মনোভাব—কোনোটি আজকের সমস্যা নয়। সেই শেক্সপিয়ারের সময় থেকে এটা আছে। মানুষ সেই শুরু থেকে প্রবঞ্চক। সম্পর্কের এই ক্ষণস্থায়িত্ব কেবল আজকের সমস্যা নয়।’
ইরেশনাল ম্যান: উডি অ্যালেনের এবারের ছবিটিও সম্পর্কের জটিলতাবিষয়ক। ছবির গল্প একজন দর্শনের অধ্যাপককে নিয়ে। যিনি জীবনের কোনো মানে খুঁজে পাচ্ছিলেন না।
এমন সময়ে তিনি চলে যান এক প্রত্যন্ত গ্রামে। দাম্পত্য জটিলতায় আক্রান্ত দর্শনের অধ্যাপকের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় তাঁর ক্লাসের সেরা ছাত্রীটির। উডি অ্যালেন জানিয়েছেন, এমা স্টোনকে তিনি এই ছবির জন্য নাকি বাছাই করেছিলেন একদম হুট করেই।
‘ওর সঙ্গে আমার পরিচয় ছিল না। কোথায় যেন হুট করে দেখা হয়ে গেল। দেখেই আমার মনে হলো, বাহ্! মেয়েটা তো খুব সুন্দর। আবার অভিনয়ও দেখলাম ভালো। ব্যস, তাকে নিয়ে নিলাম।’ বলছিলেন উডি।
পাশ থেকে হেসে সায় দিলেন এমা স্টোন। গেল অস্কারে ঝড় তোলা বার্ডম্যান ছবির সুবাদে এমার বৃহস্পতি এমনিতেই তুঙ্গে। এবারে আবার উডি অ্যালেনের ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ। সময়টা বেশ ভালোই যাচ্ছে তাঁর।
ভারতের ছবি চোথি কোঠ
কাল দিবুসি হলে প্রদর্শিত হয়েছে ভারতীয় পরিচালক গুরবিন্দর সিংয়ের ছবি চোথি কোঠ। এই ছবি দিয়েই এবার কানে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে ভারত। ১৯৮৪ সালের পাঞ্জাবের পটভূমিতে তৈরি হয়েছে আন সার্টেন রিগার্ড বিভাগে জায়গা করে নেওয়া এই ছবি।
কাল ছিল হাঙ্গেরির সাউল ফিয়া ছবিরও উদ্বোধনী প্রদর্শনী। নির্যাতন ক্যাম্পের ঘটনা নিয়ে তৈরি হয়েছে এই ছবি।
এদিকে, উৎসবে এরই মধ্যে জমে উঠেছে ভিলেজ ইন্টারন্যাশনাল অংশে নানা দেশের ছবি আর ঐতিহ্য তুলে ধরার প্রতিযোগিতা। গতকার সমকালীন ভারতীয় ছবির সংকট ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা ছিল ভারতীয় তাঁবুতে।
সিমেন দে লা ক্রিটিকসহ কান উৎসবের সঙ্গে চলমান নানা বিভাগের ছবির প্রদর্শনী ছিল দিনজুড়ে। সাগরপাড়ে সিনেমা দেখার আয়োজনে ছিল জাপানি কিংবদন্তি আকিরা কুরোসাওয়ার রেন-এর প্রদর্শনী।
হঠাৎ র্যাচেল ভাইস: এর মধ্যেই মাঝপথে দেখা পেয়ে গেলাম অভিনেত্রী র্যাচেল ভাইসের। কালো জাম্পস্যুটে অপরূপা। ছবি তোলার পালা শেষ করে ফিরছিলেন প্যালে ডে ফেস্টিভ্যালের পথে। সেখানেই আচমকা দেখা মিলল এই ব্রিটিশ-আমেরিকান অভিনেত্রীর।
সম্ভবত কড়া রোদে মেকআপ নষ্ট হওয়ার কারণে খানিক ছায়ায় দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গী সহযোগী রূপসজ্জাকরকে দেখছি দ্রুত তাঁর মেকআপ ঠিক করে দিতে। মেকআপ ঠিকঠাক করেই র্যাচেল আবার হাঁটা ধরেছেন তাঁর পথে। ইয়োরগোস লানথিমোসের লবস্টার ছবির তারকাবহুল সংবাদ সম্মেলন হয়ে গেছে কাল। র্যাচেল ভাইস, কলিন ফেরেলদের সদলবলে কান আগমন সেই সূত্রেই।
উডি যখন এলেন: কিন্তু উডি অ্যালেন যেন একাই এক শ। অভিনেত্রী এমা স্টোনসহ তিনি উৎসবে আসতেই সব মনোযোগ নিমেষে তাঁর দিকে। ৫০ বছরেরও বেশি সময়ের ক্যারিয়ার তাঁর। অস্কার মনোনয়ন পাওয়া বা অস্কার বিজয়—সবই এখন তাঁর কাছে একরকম ডালভাত। অভিনেতা ও নির্মাতা—দুই হিসেবেই আমেরিকান ছবির সত্যিকার এক আইকন।
অ্যানি হল, ম্যাচ পয়েন্ট, স্কুপ, ভিকি ক্রিস্টিনা বার্সিলোনা, থেকে হালের ব্লু জেসমিন। উডি অ্যালেনের ছবির সংখ্যাও যেন অগণিত। এবারে উডি অ্যালেনের ইরেশনাল ম্যান আছে কান চলচ্চিত্র উৎসবের আউট অব কম্পিটিশন বিভাগে। সেই সূত্রেই এই মার্কিন কিংবদন্তির কান চলচ্চিত্র উৎসবে আগমন।
সেই কালো চশমা, সেই পাকা চুল। গায়ে চেক শার্ট। বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছে শরীর। কিন্তু উডি অ্যালেন কথায় আর রসিকতায় কম যান না কিছুতেই।
উডি অ্যালেনকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আপনার ছবির মানুষগুলো কেন প্রায়শ অবিশ্বস্ত? সম্পর্কগুলো কেন এত ভঙ্গুর? এটা কি এই সময়ের মানুষের সমস্যা?
উডি অ্যালেনের জবাব ছিল, ‘মানুষের বিশ্বস্ততা বা দ্বিচারী মনোভাব—কোনোটি আজকের সমস্যা নয়। সেই শেক্সপিয়ারের সময় থেকে এটা আছে। মানুষ সেই শুরু থেকে প্রবঞ্চক। সম্পর্কের এই ক্ষণস্থায়িত্ব কেবল আজকের সমস্যা নয়।’
ইরেশনাল ম্যান: উডি অ্যালেনের এবারের ছবিটিও সম্পর্কের জটিলতাবিষয়ক। ছবির গল্প একজন দর্শনের অধ্যাপককে নিয়ে। যিনি জীবনের কোনো মানে খুঁজে পাচ্ছিলেন না।
এমন সময়ে তিনি চলে যান এক প্রত্যন্ত গ্রামে। দাম্পত্য জটিলতায় আক্রান্ত দর্শনের অধ্যাপকের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় তাঁর ক্লাসের সেরা ছাত্রীটির। উডি অ্যালেন জানিয়েছেন, এমা স্টোনকে তিনি এই ছবির জন্য নাকি বাছাই করেছিলেন একদম হুট করেই।
‘ওর সঙ্গে আমার পরিচয় ছিল না। কোথায় যেন হুট করে দেখা হয়ে গেল। দেখেই আমার মনে হলো, বাহ্! মেয়েটা তো খুব সুন্দর। আবার অভিনয়ও দেখলাম ভালো। ব্যস, তাকে নিয়ে নিলাম।’ বলছিলেন উডি।
পাশ থেকে হেসে সায় দিলেন এমা স্টোন। গেল অস্কারে ঝড় তোলা বার্ডম্যান ছবির সুবাদে এমার বৃহস্পতি এমনিতেই তুঙ্গে। এবারে আবার উডি অ্যালেনের ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ। সময়টা বেশ ভালোই যাচ্ছে তাঁর।
ভারতের ছবি চোথি কোঠ
কাল দিবুসি হলে প্রদর্শিত হয়েছে ভারতীয় পরিচালক গুরবিন্দর সিংয়ের ছবি চোথি কোঠ। এই ছবি দিয়েই এবার কানে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে ভারত। ১৯৮৪ সালের পাঞ্জাবের পটভূমিতে তৈরি হয়েছে আন সার্টেন রিগার্ড বিভাগে জায়গা করে নেওয়া এই ছবি।
কাল ছিল হাঙ্গেরির সাউল ফিয়া ছবিরও উদ্বোধনী প্রদর্শনী। নির্যাতন ক্যাম্পের ঘটনা নিয়ে তৈরি হয়েছে এই ছবি।
এদিকে, উৎসবে এরই মধ্যে জমে উঠেছে ভিলেজ ইন্টারন্যাশনাল অংশে নানা দেশের ছবি আর ঐতিহ্য তুলে ধরার প্রতিযোগিতা। গতকার সমকালীন ভারতীয় ছবির সংকট ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা ছিল ভারতীয় তাঁবুতে।
সিমেন দে লা ক্রিটিকসহ কান উৎসবের সঙ্গে চলমান নানা বিভাগের ছবির প্রদর্শনী ছিল দিনজুড়ে। সাগরপাড়ে সিনেমা দেখার আয়োজনে ছিল জাপানি কিংবদন্তি আকিরা কুরোসাওয়ার রেন-এর প্রদর্শনী।
No comments