১০০ বাংলাদেশিসহ ৩০০ মানুষ সাগরে ভাসছে by টিপু সুলতান
১০০
বাংলাদেশিসহ তিন শতাধিক নারী-পুরুষ নিয়ে থাইল্যান্ডের উপকূলে ভাসছে একটি
ইঞ্জিন নৌকা। কোথাও ভিড়তে না পেরে নৌকার মাঝি ও মানব পাচারকারী চক্রের
দালালেরা স্পিডবোট নিয়ে পালিয়েছে এক সপ্তাহ আগে। বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের
নৌবাহিনী নৌকাটিকে শনাক্ত করলেও, সেটিকে তীরে ভিড়তে দেয়নি। এই অবস্থায়
ইঞ্জিন বন্ধ নৌকাটি এখনো সাগরে ভাসছে।
ওই নৌকা থেকে একজন সাহায্য চেয়ে ফোন করেছেন আরাকানের এক রোহিঙ্গা নেতার কাছে। সেখান থেকে খবর পান রোহিঙ্গা অ্যাসোসিয়েশন ইন থাইল্যান্ডের সদস্য আবদুল খালেক। তিনি দ্রুত খবর দেন থাইল্যান্ডের নৌবাহিনীকে। এরপর রোহিঙ্গা অ্যাসোসিয়েশনের স্বেচ্ছাসেবকেরাসহ থাই নৌবাহিনী বৃহস্পতিবার দক্ষিণ থাইল্যান্ডের সাতুন উপকূলে নৌকাটিকে শনাক্ত করে।
খালেক প্রথম আলোকে বলেন, কাঠের তিনতলা নৌকাটির এক জায়গা ভেঙে গেছে। সেখানে থাকা মানুষগুলো খাদ্য ও পানির সংকটে সাহায্যের আকুতি জানাচ্ছিলেন। নৌকায় তিন শতাধিক মানুষ আছেন। এঁদের মধ্যে অন্তত ১০০ জন বাংলাদেশি। বাকিরা মিয়ানমারের আরাকানের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর লোক। তাঁদের মধ্যে বেশ কজন নারী ও শিশু রয়েছে।
খালেক জানান, থাই নৌবাহিনী রোহিঙ্গা দোভাষীর মাধ্যমে নৌকার আরোহীদের কাছে জানতে চায়, তাঁদের গন্তব্য কোথায় ছিল। তাঁরা জবাব দেন, মালয়েশিয়া। এরপর তাঁদের কিছু খাবার ও পানি দেওয়া হয়। নৌকার ভাঙা অংশ মেরামত করে দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁদের আর ভিড়তে দেওয়া হয়নি।
থাইল্যান্ডের নৌবাহিনীর সাতুন এলাকার প্রধান লেফটেন্যান্ট কমান্ডার উইরাপং নাকপ্রাদিত গতকাল স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেছেন, এসব অবৈধ অভিবাসী মূলত মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য রওনা হয়েছিল। অবৈধভাবে আসা নৌকাটি থাই উপকূলে ভিড়তে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তার পরও মানবিক কারণে নৌকায় খাবার দিয়েছে থাই নৌবাহিনী।
দোভাষীর কাজ করেছেন, এমন একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, নৌকার আরোহীরা বেশির ভাগই কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিন উপকূল থেকে এক মাস আগে যাত্রা শুরু করে। কেউ কেউ দুই মাস আগে রওনা হন। তাঁদের প্রথমে ছোট নৌকায় মিয়ানমারের জলসীমায় আনা হয়। সেখানে তিনতলাবিশিষ্ট কাঠের মাছ ধরার নৌকাটি নোঙর করা ছিল। নৌকাটি মানুষে পূর্ণ হতে লম্বা সময় লেগেছে। তারপর এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে তাঁরা রওনা হন। কিন্তু ২৮ এপ্রিল থাইল্যান্ডে সংখলা প্রদেশে ৩২ জনের গণকবর উদ্ধারের পর থাই সরকার মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। ফলে নৌকাটি আর ভিড়তে পারেনি। এক সপ্তাহ আগে যাত্রীদের সবাইকে রেখে নৌকার মাঝি, দালাল ও অস্ত্রধারী পাহারাদারেরা অন্য জায়গা থেকে আসা একটি স্পিডবোটে পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় তারা একটি থাই মুঠোফোন দিয়ে যায় দেশে যোগাযোগের জন্য।
ওই ফোনেই থাইল্যান্ডের রোহিঙ্গা অ্যাসোসিয়েশন খবর পায়। একই ফোন থেকে কল পান অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা মালয়েশিয়াভিত্তিক বেসরকারি সংগঠন কেরাম এশিয়ার স্বেচ্ছাসেবক মিনহাজ। উদ্ধারের আকুতি জানিয়ে তাঁকে ফোন করেন কক্সবাজারের একজন বাসিন্দা। এ কথা জানিয়েছেন কেরাম এশিয়ার আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মো. হারুণ অর রশিদ। তিনি জানান, গত রাত থেকে ওই ফোনে তাঁরা আর ঢুকতে পারছেন না।
এ প্রতিবেদকও ওই ফোনে ঢোকার চেষ্টা করলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে। হারুণ অর রশিদের ধারণা, ফোনের চার্জ শেষ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া দুই দেশের কেউ যদি এদের উদ্ধারে এগিয়ে না আসে, তাহলে হয়তো নৌকাভর্তি সবার লাশ পাওয়া যাবে।
ওই ফোনে শেষ কথা বলেছেন আবদুল খালেক। সেটা বৃহস্পতিবার রাতে। তিনি বলেন, ‘ওদের শেষ কথা ছিল, ‘ভাই, একটা কিছু করেন, আমাদের বাঁচান। সাগরে ভাসছি। দিক-দিশা পাচ্ছি না।’
ওই নৌকা থেকে একজন সাহায্য চেয়ে ফোন করেছেন আরাকানের এক রোহিঙ্গা নেতার কাছে। সেখান থেকে খবর পান রোহিঙ্গা অ্যাসোসিয়েশন ইন থাইল্যান্ডের সদস্য আবদুল খালেক। তিনি দ্রুত খবর দেন থাইল্যান্ডের নৌবাহিনীকে। এরপর রোহিঙ্গা অ্যাসোসিয়েশনের স্বেচ্ছাসেবকেরাসহ থাই নৌবাহিনী বৃহস্পতিবার দক্ষিণ থাইল্যান্ডের সাতুন উপকূলে নৌকাটিকে শনাক্ত করে।
খালেক প্রথম আলোকে বলেন, কাঠের তিনতলা নৌকাটির এক জায়গা ভেঙে গেছে। সেখানে থাকা মানুষগুলো খাদ্য ও পানির সংকটে সাহায্যের আকুতি জানাচ্ছিলেন। নৌকায় তিন শতাধিক মানুষ আছেন। এঁদের মধ্যে অন্তত ১০০ জন বাংলাদেশি। বাকিরা মিয়ানমারের আরাকানের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর লোক। তাঁদের মধ্যে বেশ কজন নারী ও শিশু রয়েছে।
খালেক জানান, থাই নৌবাহিনী রোহিঙ্গা দোভাষীর মাধ্যমে নৌকার আরোহীদের কাছে জানতে চায়, তাঁদের গন্তব্য কোথায় ছিল। তাঁরা জবাব দেন, মালয়েশিয়া। এরপর তাঁদের কিছু খাবার ও পানি দেওয়া হয়। নৌকার ভাঙা অংশ মেরামত করে দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁদের আর ভিড়তে দেওয়া হয়নি।
থাইল্যান্ডের নৌবাহিনীর সাতুন এলাকার প্রধান লেফটেন্যান্ট কমান্ডার উইরাপং নাকপ্রাদিত গতকাল স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেছেন, এসব অবৈধ অভিবাসী মূলত মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য রওনা হয়েছিল। অবৈধভাবে আসা নৌকাটি থাই উপকূলে ভিড়তে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তার পরও মানবিক কারণে নৌকায় খাবার দিয়েছে থাই নৌবাহিনী।
দোভাষীর কাজ করেছেন, এমন একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, নৌকার আরোহীরা বেশির ভাগই কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিন উপকূল থেকে এক মাস আগে যাত্রা শুরু করে। কেউ কেউ দুই মাস আগে রওনা হন। তাঁদের প্রথমে ছোট নৌকায় মিয়ানমারের জলসীমায় আনা হয়। সেখানে তিনতলাবিশিষ্ট কাঠের মাছ ধরার নৌকাটি নোঙর করা ছিল। নৌকাটি মানুষে পূর্ণ হতে লম্বা সময় লেগেছে। তারপর এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে তাঁরা রওনা হন। কিন্তু ২৮ এপ্রিল থাইল্যান্ডে সংখলা প্রদেশে ৩২ জনের গণকবর উদ্ধারের পর থাই সরকার মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। ফলে নৌকাটি আর ভিড়তে পারেনি। এক সপ্তাহ আগে যাত্রীদের সবাইকে রেখে নৌকার মাঝি, দালাল ও অস্ত্রধারী পাহারাদারেরা অন্য জায়গা থেকে আসা একটি স্পিডবোটে পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় তারা একটি থাই মুঠোফোন দিয়ে যায় দেশে যোগাযোগের জন্য।
ওই ফোনেই থাইল্যান্ডের রোহিঙ্গা অ্যাসোসিয়েশন খবর পায়। একই ফোন থেকে কল পান অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা মালয়েশিয়াভিত্তিক বেসরকারি সংগঠন কেরাম এশিয়ার স্বেচ্ছাসেবক মিনহাজ। উদ্ধারের আকুতি জানিয়ে তাঁকে ফোন করেন কক্সবাজারের একজন বাসিন্দা। এ কথা জানিয়েছেন কেরাম এশিয়ার আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মো. হারুণ অর রশিদ। তিনি জানান, গত রাত থেকে ওই ফোনে তাঁরা আর ঢুকতে পারছেন না।
এ প্রতিবেদকও ওই ফোনে ঢোকার চেষ্টা করলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে। হারুণ অর রশিদের ধারণা, ফোনের চার্জ শেষ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া দুই দেশের কেউ যদি এদের উদ্ধারে এগিয়ে না আসে, তাহলে হয়তো নৌকাভর্তি সবার লাশ পাওয়া যাবে।
ওই ফোনে শেষ কথা বলেছেন আবদুল খালেক। সেটা বৃহস্পতিবার রাতে। তিনি বলেন, ‘ওদের শেষ কথা ছিল, ‘ভাই, একটা কিছু করেন, আমাদের বাঁচান। সাগরে ভাসছি। দিক-দিশা পাচ্ছি না।’
No comments