বাংলার আমের বিলেত যাত্রা by ইফতেখার মাহমুদ
সাতক্ষীরার আম যাবে যুক্তরাজ্যের বাজারে। শহরের কুকরালি এলাকায় নিজের বাগানে মোকছেদুল আলম। গত বৃহস্পতিবারের ছবি l প্রথম আলো |
বাংলাদেশের
আম বিলেত যাচ্ছে। অর্থাৎ যুক্তরাজ্যে রপ্তানি হচ্ছে বাংলাদেশের ল্যাংড়া ও
আম্রপলি। এ মাসেই দুই দফায় ২ হাজার ১৬০ কেজি আম রপ্তানি হতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের আমের ক্রেতা বিশ্বের সবচেয়ে বড় খুচরা পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ওয়ালমার্ট। সরকারের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষিবিষয়ক সংস্থা (এফএও) এতে সহায়তা করছে। ফল উৎপাদনে সহায়তাকারী সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ হর্টেক্স ফাউন্ডেশন এতে কারিগরি সহায়তা দিয়েছে। এই সম্মিলিত চেষ্টায় বিশ্ববাজারের ক্রেতাদের জন্য আম এখন থেকে নিয়মিতভাবে রপ্তানির সুযোগ তৈরি হলো।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে সাতক্ষীরার আম রপ্তানি শুরু হওয়ার পর প্রতি সপ্তাহে ৪ মণ করে অন্য জেলার আম যুক্তরাজ্যের বাজারে রপ্তানি হবে। ইতিমধ্যে ওয়ালমার্টের কাছে দেশের সাত জেলার নয়টি উপজেলার ১৮০ জন আমচাষি নাম লিখিয়েছেন। পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ থেকে আম ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ থেকে আম রপ্তানির ব্যাপারে বিশ্বের শীর্ষ পণ্য ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল প্রকিউরমেন্ট লজিস্টিকসের সঙ্গে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, হর্টেক্স ফাউন্ডেশন ও এফএওর একটি চুক্তিও সই হয়েছে।
এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার বিভাগের পরিচালক এস এম কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাংলাদেশের পাহাড়ি এলাকা ও বসতবাড়িতে আমগাছ লাগানোর জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। এতে দেশে আমের ফলন আরও চার লাখ টন বাড়বে। বর্তমানে দেশে মাথাপিছু দৈনিক আমের ভোগ ১০ গ্রাম। আমরা তা ১৫ গ্রামে পরিণত করতে চাই। আবার বিশ্বের আমবাজারে শক্তিশালী অবস্থানও গড়তে চাই।’
এফএও সূত্রে জানা গেছে, রপ্তানি হতে যাওয়া আম যে বাগানে চাষ হয়েছে, সেখানে উৎপাদনের প্রতিটি পর্যায়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও এফএওর সমন্বয়ে গঠিত বিশেষজ্ঞ দল পরিদর্শন করেছে। পরিদর্শনে ওই আমে কোনো ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহৃত হয়নি বলে ছাড়পত্র পেয়েছে। পরে ওই আম জনস্বাস্থ্য বিভাগের পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রতিটি স্তরেই আমগুলো নিরাপদ হিসেবে প্রমাণিত হওয়ার পর ওয়ালমার্টে রপ্তানির অনুমতি পেয়েছে।
এফএওর ২০১৪ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশ বিশ্বের সপ্তম আম উৎপাদনকারী দেশ। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশ এত দিন বৈশ্বিক আম রপ্তানির বাজারে প্রবেশ করতে পারেনি। প্রবাসী ভোক্তাদের জন্য প্রতিবছর সামান্য রপ্তানি হতো, যা বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরাই বিক্রি করতেন। বাংলাদেশের আমে ফরমালিন ও অন্যান্য ক্ষতিকারক রাসায়নিক দেওয়া হয়, এমন প্রচারণার কারণে গত বছর প্রবাসী ক্রেতাদের বাজারেও আম রপ্তানি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে, বাংলাদেশে গত বছর ৯ লাখ ৪৫ হাজার টন আম উৎপাদন হয়েছে। এ বছর ১০ লাখ টন ছাড়াবে বলে মনে করছে সংস্থাটি। বিশ্বের আম উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি হারে আমের ফলন বাড়ছে। ২০১২ সালে দেশে ৩৭ হাজার হেক্টর জমিতে আমবাগান ছিল। এ বছর আম চাষ হয়েছে ৪২ হাজার হেক্টর জমিতে।
এফএওর হিসাব অনুযায়ী, ২০১২ সালে বাংলাদেশ ৮ লাখ ৯০ হাজার টন আম উৎপাদন করে বিশ্বের অষ্টম আম উৎপাদনকারী দেশ হয়েছিল। গত দু বছরের মধ্যে দেশে আমের উৎপাদন বেড়ে তা ১০ লাখ টন হয়েছে। আর উৎপাদনকারী দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম স্থানে চলে এসেছে। দেশে এখন প্রায় দেড় কোটি আমগাছ রয়েছে।
এফএওর হিসাবে বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ আম উৎপাদনকারী দেশ ভারত। এর পরেই রয়েছে চীন, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তান। আর আম রপ্তানিকারক দেশের শীর্ষে আছে মেক্সিকো। এরপর রয়েছে ফিলিপাইন, পাকিস্তান, ব্রাজিল ও ভারত।
বাংলাদেশের আমের ক্রেতা বিশ্বের সবচেয়ে বড় খুচরা পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ওয়ালমার্ট। সরকারের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষিবিষয়ক সংস্থা (এফএও) এতে সহায়তা করছে। ফল উৎপাদনে সহায়তাকারী সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ হর্টেক্স ফাউন্ডেশন এতে কারিগরি সহায়তা দিয়েছে। এই সম্মিলিত চেষ্টায় বিশ্ববাজারের ক্রেতাদের জন্য আম এখন থেকে নিয়মিতভাবে রপ্তানির সুযোগ তৈরি হলো।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে সাতক্ষীরার আম রপ্তানি শুরু হওয়ার পর প্রতি সপ্তাহে ৪ মণ করে অন্য জেলার আম যুক্তরাজ্যের বাজারে রপ্তানি হবে। ইতিমধ্যে ওয়ালমার্টের কাছে দেশের সাত জেলার নয়টি উপজেলার ১৮০ জন আমচাষি নাম লিখিয়েছেন। পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ থেকে আম ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ থেকে আম রপ্তানির ব্যাপারে বিশ্বের শীর্ষ পণ্য ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল প্রকিউরমেন্ট লজিস্টিকসের সঙ্গে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, হর্টেক্স ফাউন্ডেশন ও এফএওর একটি চুক্তিও সই হয়েছে।
এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার বিভাগের পরিচালক এস এম কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাংলাদেশের পাহাড়ি এলাকা ও বসতবাড়িতে আমগাছ লাগানোর জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। এতে দেশে আমের ফলন আরও চার লাখ টন বাড়বে। বর্তমানে দেশে মাথাপিছু দৈনিক আমের ভোগ ১০ গ্রাম। আমরা তা ১৫ গ্রামে পরিণত করতে চাই। আবার বিশ্বের আমবাজারে শক্তিশালী অবস্থানও গড়তে চাই।’
এফএও সূত্রে জানা গেছে, রপ্তানি হতে যাওয়া আম যে বাগানে চাষ হয়েছে, সেখানে উৎপাদনের প্রতিটি পর্যায়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও এফএওর সমন্বয়ে গঠিত বিশেষজ্ঞ দল পরিদর্শন করেছে। পরিদর্শনে ওই আমে কোনো ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহৃত হয়নি বলে ছাড়পত্র পেয়েছে। পরে ওই আম জনস্বাস্থ্য বিভাগের পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রতিটি স্তরেই আমগুলো নিরাপদ হিসেবে প্রমাণিত হওয়ার পর ওয়ালমার্টে রপ্তানির অনুমতি পেয়েছে।
এফএওর ২০১৪ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশ বিশ্বের সপ্তম আম উৎপাদনকারী দেশ। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশ এত দিন বৈশ্বিক আম রপ্তানির বাজারে প্রবেশ করতে পারেনি। প্রবাসী ভোক্তাদের জন্য প্রতিবছর সামান্য রপ্তানি হতো, যা বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরাই বিক্রি করতেন। বাংলাদেশের আমে ফরমালিন ও অন্যান্য ক্ষতিকারক রাসায়নিক দেওয়া হয়, এমন প্রচারণার কারণে গত বছর প্রবাসী ক্রেতাদের বাজারেও আম রপ্তানি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে, বাংলাদেশে গত বছর ৯ লাখ ৪৫ হাজার টন আম উৎপাদন হয়েছে। এ বছর ১০ লাখ টন ছাড়াবে বলে মনে করছে সংস্থাটি। বিশ্বের আম উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি হারে আমের ফলন বাড়ছে। ২০১২ সালে দেশে ৩৭ হাজার হেক্টর জমিতে আমবাগান ছিল। এ বছর আম চাষ হয়েছে ৪২ হাজার হেক্টর জমিতে।
এফএওর হিসাব অনুযায়ী, ২০১২ সালে বাংলাদেশ ৮ লাখ ৯০ হাজার টন আম উৎপাদন করে বিশ্বের অষ্টম আম উৎপাদনকারী দেশ হয়েছিল। গত দু বছরের মধ্যে দেশে আমের উৎপাদন বেড়ে তা ১০ লাখ টন হয়েছে। আর উৎপাদনকারী দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম স্থানে চলে এসেছে। দেশে এখন প্রায় দেড় কোটি আমগাছ রয়েছে।
এফএওর হিসাবে বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ আম উৎপাদনকারী দেশ ভারত। এর পরেই রয়েছে চীন, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তান। আর আম রপ্তানিকারক দেশের শীর্ষে আছে মেক্সিকো। এরপর রয়েছে ফিলিপাইন, পাকিস্তান, ব্রাজিল ও ভারত।
No comments