রোহিঙ্গা সংকট বৃদ্ধির নেপথ্যে নির্যাতন -বিবিসির প্রতিবেদন
মিয়ানমারের
হাজারো রোহিঙ্গা অভিবাসী থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া উপকূলের কাছাকাছি সাগরে
ভাসমান অবস্থায় খাবার ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
রোহিঙ্গারা বলছে, তারা দেশে ফিরে যেতে পারবে না। কারণ, মিয়ানমারে তাদের
নাগরিকত্ব স্বীকার করে না। সেখানে তারা নিয়মিত নির্যাতনের শিকার হয়। খবর
বিবিসির। আন্তর্জাতিক উদ্বেগ উপেক্ষা করে ওই অভিবাসী রোহিঙ্গাদের সাগরে
ঠেলে দিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার তিন দেশ মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও
ইন্দোনেশিয়া। ব্যাংককভিত্তিক রোহিঙ্গা বিশেষজ্ঞ ক্রিস লেউয়া বিবিসিকে
বলেন, মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম
সম্প্রদায়কে এত বেশি নির্যাতিত হতে হয় যে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার বিকল্প
তাদের এখন নেই। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারা যেকোনো উপায়ে পালিয়ে যাচ্ছে।
রোহিঙ্গা সংকট বৃদ্ধির এটিই একমাত্র কারণ। রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের
ইতিহাস বেশ পুরোনো। যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকেই
রাখাইন রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নিগ্রহের শিকার হচ্ছে
রোহিঙ্গারা। তাদের অভিযোগ, সরকারি নীতির মাধ্যমেই তাদের পৃথক করে একটি
দরিদ্র অঞ্চলে থাকতে বাধ্য করা হয়। মিয়ানমারের সাবেক সামরিক জান্তার
মতো বর্তমান সংস্কারপন্থী সরকারও দাবি করে, রোহিঙ্গারা দেশটির মৌলিক
নৃগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত নয়, বরং তারা বাংলাদেশি অভিবাসী। ঔপনিবেশিক আমল
শেষে দেশ বিভাগের পরও তারা মিয়ানমারে রয়ে গেছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, গত তিন বছরে কমপক্ষে ১ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা নৌপথে অন্য দেশে পালিয়ে গেছে। কোনো দেশে ঠাঁই না পেয়ে তাদের অনেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোয় অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। তবে কোথাও তাদের স্থায়ী ঠিকানা হয়নি। রোহিঙ্গারা মূলত একটি স্বতন্ত্র মুসলিম জনগোষ্ঠী। তারা মুসলিম ব্যবসায়ী হিসেবে অন্তত এক হাজার বছর আগে মিয়ানমারে গিয়ে বসবাস করতে শুরু করে। বাংলাদেশ, সৌদি আরব ও পাকিস্তানেও তাদের আবাস রয়েছে। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জোর করে বিভিন্ন শ্রমে বাধ্য করা হয়। সেখানে তাদের কঠোর নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করতে হয় এবং কোনো ভূমির অধিকার নেই। বাংলাদেশের বিভিন্ন শরণার্থীশিবিরে প্রায় দুই লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে। তাদের অনেকে চরম দারিদ্র্যের মধ্যে রয়েছে এবং তাদের কোনো নাগরিকত্ব বা চাকরি পাওয়ার উপযোগী দলিল নেই।
ক্রিস লেউয়া বলেন, রোহিঙ্গারা সবখানেই অনাহূত বা অবাঞ্ছিত বলে গণ্য হয়। মিয়ানমারের প্রতিবেশী দেশগুলো রোহিঙ্গাদের কোনো ধরনের সহায়তা করতে অনিচ্ছুক। রোহিঙ্গাদের জীবনযাত্রার উন্নয়নের জন্য মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে চাপ দিতে হবে। কারণ, একমাত্র মিয়ানমারই এই সংকটের সমাধান করতে পারে।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, গত তিন বছরে কমপক্ষে ১ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা নৌপথে অন্য দেশে পালিয়ে গেছে। কোনো দেশে ঠাঁই না পেয়ে তাদের অনেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোয় অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। তবে কোথাও তাদের স্থায়ী ঠিকানা হয়নি। রোহিঙ্গারা মূলত একটি স্বতন্ত্র মুসলিম জনগোষ্ঠী। তারা মুসলিম ব্যবসায়ী হিসেবে অন্তত এক হাজার বছর আগে মিয়ানমারে গিয়ে বসবাস করতে শুরু করে। বাংলাদেশ, সৌদি আরব ও পাকিস্তানেও তাদের আবাস রয়েছে। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জোর করে বিভিন্ন শ্রমে বাধ্য করা হয়। সেখানে তাদের কঠোর নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করতে হয় এবং কোনো ভূমির অধিকার নেই। বাংলাদেশের বিভিন্ন শরণার্থীশিবিরে প্রায় দুই লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে। তাদের অনেকে চরম দারিদ্র্যের মধ্যে রয়েছে এবং তাদের কোনো নাগরিকত্ব বা চাকরি পাওয়ার উপযোগী দলিল নেই।
ক্রিস লেউয়া বলেন, রোহিঙ্গারা সবখানেই অনাহূত বা অবাঞ্ছিত বলে গণ্য হয়। মিয়ানমারের প্রতিবেশী দেশগুলো রোহিঙ্গাদের কোনো ধরনের সহায়তা করতে অনিচ্ছুক। রোহিঙ্গাদের জীবনযাত্রার উন্নয়নের জন্য মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে চাপ দিতে হবে। কারণ, একমাত্র মিয়ানমারই এই সংকটের সমাধান করতে পারে।
No comments