রাজ্যসভায়ও সীমান্তচুক্তি বিল পাস by পরিতোষ পাল
দীর্ঘ
৪১ বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সীমান্ত স্থায়ীভাবে চিহ্নিত
হতে চলেছে। সেই সঙ্গে মিটতে চলেছে দুই দেশের ১৬১টি ছিটমহলের বাসিন্দাদের
অমানবিক জীবনের সমস্যাও। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ গতকাল
বুধবার বেলা সোয়া দুইটায় সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় বাংলাদেশ ও ভারতের
মধ্যে স্বাক্ষরিত সীমান্ত চুক্তি কার্যকর করার জন্য ১১৯তম সংবিধান সংশোধনী
বিলটি পেশ করেন। সভায় আলোচনার পর ধ্বনিভোটে বিলটি পাস হয়। আলোচনাকালে অনেক
সদস্য এদিনটিকে ঐতিহাসিক দিন বলেও উল্লেখ করেন। তবে সুষমা স্বরাজ বিলটি পেস
করার ক্ষেত্রে কেন বিলম্ব হয়েছে তা সভায় বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন। কেন
সরকার আগের কেবিনেট কমিটিতে আসামকে বাদ দিয়ে বিলটি আনার জন্য অনুমোদন
দিয়েছিল তাও তিনি ব্যাখ্যা করেন। পরে অবশ্য সকলের মতামতের ভিত্তিতে
পূর্ণাঙ্গ বিলটির খসড়া গত মঙ্গলবার কেবিনেট কমিটিতে অনুমোদিত হয় বলে তিনি
জানান। এদিন রাজ্যসভায় বিলটি পাস হওয়ার পর বৃহস্পতিবার এটি নিয়ম অনুয়ায়ী
লোকসভায় পাস করানোর জন্য পেশ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। সংসদে পাস হওয়ার পর
বিলটি ভারতের অন্তত ৫০ শতাংশ রাজ্যের অনুমোদনের পর প্রেসিডেন্টের অনুমতি
সাপেক্ষে কার্যকর হবে। আর এর ফলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সীমান্ত
পুরোপুরি চিহ্নিত হবে। কার্যকর হবে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশের তৎকালীন
প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা
গান্ধীর মধ্যে স্বাক্ষরিত সীমান্ত চুক্তিটি। এর মাধ্যমে ছিটমহলের
দীর্ঘকালের অমানবিক সমস্যার সমাধান যেমন হবে তেমনি অপদখলীয় জমি নিয়ে নিয়মিত
বিরোধেরও স্থায়ী পরিসমাপ্তি ঘটবে। বিলটি নিয়ে আলোচনায় অনেক সদস্যই
বাংলাদেশ সীমান্ত চুক্তির ১৯৭৪ সালে অনুমোদন করার পরও ভারত দীর্ঘসময় তা
করতে ব্যর্থ হওয়ায় তীব্র সমালোচনা করেন। অনেকে ছিটমহলের ৫০ হাজার মানুষের
অমানবিক জীবনের কথা তুলে ধরেন। এদিনের আলোচনায় অংশ নেন কংগ্রেসের করণ সিং,
মণিশঙ্কর আইয়ার, গোলাম নবী আজাদ, প্রদীপ ভট্টাচার্য, তৃণমূল কংগ্রেসের
সুধাংশু শেখর রায়, সমাজবাদী পার্টির রামগোপাল যাদব, সংযুক্ত জনতা দলের শারদ
যাদব, বিজেপির ডি পান্ডিয়া, বিএসপির সতীশ চন্দ্র মিশ্র, সিপিআইএমের ঋতব্রত
ব্যানার্জি, সিপিআই-র ডি রাজা প্রমুখ।
সীমান্ত চুক্তিতে কী রয়েছে: সীমান্ত চুক্তিতে তিনটি অংশ রয়েছে। প্রথমটি হলো- সীমান্তের তিনটি অংশে ৬.১ কিলোমিটার অচিহ্নিত অংশ। বাংলাদেশের নীলফামারি ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশের ফেনীর মুহুরি নদী ও ভারতের ত্রিপুরার বিলোনিয়া এবং বাংলাদেশের মৌলভিবাজারের লাঠিটিলা-ডুমাবাড়ি ও ভারতের আসাম। চুক্তির দ্বিতীয় অংশ হলো- দুই দেশের ১৬২টি ছিটমহল বিনিময়। আর তৃতীয় অংশে রয়েছে ৫০০০ একর অপদখলীয় এলাকা। চুক্তি অনুয়ায়ী ভারত ১৭১৫৮ একর জমিসহ ১১১টি ছিটমহল বাংলাদেশকে হস্তান্তর করবে। এই ছিটমহলগুলোতে রয়েছেন ৩৭৩৬৯ জন মানুষ। বাংলাদেশের চারটি জেলায় এগুলো ছড়িয়ে রয়েছে। এর মধ্যে কুড়িগ্রামে ১২টি, লালমনিরহাটে ৫৯টি, নীলফামারিতে ৪টি ও পঞ্চগড়ে ৩৬টি। অন্যদিকে বাংলাদেশ ভারতে হস্তান্তর করবে ৭১১০ একর জমিসহ ৫১টি ছিটমহল। এই ছিটমহলগুলোর জনসংখ্যা ১৪২১৫ জন। এগুলোর অধিকাংশই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলায়। ছিটমহল পুরোপুরি হস্তান্তরের ফলে বাংলাদেশ পাবে অতিরিক্ত ১০ হাজার একর জমি। অপদখলীয় জমির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রাপ্তি হবে ২২৬৭.৬৮২ একর আর ভারতের অংশে যাবে ২৭৭৭.০৩৮ একর জমি।
চুক্তির কাঁটাময় পথ: ভারতভাগের সময় স্যার সিরিল র্যাটক্লিফ যেভাবে সীমান্ত চিহ্নিত করে রায় দিয়েছিলেন তাতে অনেক ধরনের জটিলতা ছিল। সেই জটিলতা ভারত ও পূর্ব পাকিস্তান শুরু থেকেই সমাধানের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু মতপার্থক্য তীব্র হয়েছিল নানা প্রশ্নে। এই অবস্থাতেই ১৯৫৮ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ফিরোজ খান নুন প্রথম সীমান্ত চুক্তি করেছিলেন। সেই চুক্তিতে ছিটমহল ও বেরুবারির একটি অংশ বিনিময়ের প্রস্তাব ছিল। কিন্তু তা কার্যকর করা হয় নি অনেকটি মামলার ফলে। তবে ভারতের সংসদে ১৯৬০ সালে ৯ম সংশোধনীর মাধ্যমে ছিটমহল বিনিময়ের কথা হলেও সেটিও শেষপর্যন্ত আর এগোয়নি। এই জটিলতা নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারত ১৯৭৪ সালে স্থল সীমান্ত চুক্তি করে। সেই চুক্তি বাংলাদেশ তাৎক্ষণিকভাবে সংসদে অনুমোদন করলেও ভারতে তা অনুমোদনের কোন চেষ্টাই হয়নি। ফলে দীর্ঘ সময় ধরে সীমান্ত চুক্তি কার্যকর করার পথে ভারত এগোয়নি। তবে মাঝে আঙুরপোতা ও দহগ্রাম বিনিময় হযেছে। তিনবিঘা করিডর লিজ দেওয়ার চুক্তি হয়েছে। তবে ২০১১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বাংলাদেশ সফরে গিয়ে সীমান্ত চুক্তির অংশ হিসেবে একটি প্রটোকল স্বাক্ষর করেন। এরপরই আগের ইউপিএ সরকার বারবার রাজ্যসভায় সীমান্ত চুক্তি সংক্রান্ত সংবিধান সংশোধনী বিলটি পেস করার জন্য চেষ্টা চালায়। কিন্তু বারবার অসম গণপরিষদ, বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবল বাধার ফলে তা পেশ করা যায়নি। তবে বিলটিকে বাঁচিয়ে রাখতে ২০১৩ সালে রাজ্যসভায় বিলটি পেস করা হলেও সেটিকে পাঠিয়ে দেয়া হয় পররাষ্ট্র বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটিতে। জয়রাম রমেশের নেতৃত্বাধীন সেই কমিটি অনেক আলোচনার পর সহমতের ভিত্তিতে বিলটি দ্রুত পেশ করার জন্য মোদি সরকারের কাছে সুপারিশ করে। মোদি ক্ষমতায় আসার পরই বিজেপি সীমান্ত চুক্তি নিয়ে মত বদল করে। এরই মধ্যে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকলে মোদি সরকারের কাছে বিলটি কার্যকর করার আবেদন জানায়। গত বছর নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ অধিবেশনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, মুঝ পর ভরসা রাখিয়ে। কিন্তু সময় এগিয়ে গেলেও বিলটি গত সংসদ অধিবেশনে পেশ করা সম্ভব হয়নি। অবশ্য সময়ের অজুহাত দেয়া হয়েছিল। তবে এই সময়ের ব্যবধানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী সীমান্ত চুক্তি নিয়ে বিরোধিতার পথ ছেড়ে বিলে সমর্থনের সবুজ সংকেত দেন। কিন্তু বিলটি পেশ করার সিদ্ধান্ত যখন প্রায় চূড়ান্ত তখনই আসামের বিজেপি নেতৃত্ব আগামী বিধানসভা নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রেখে আপাতত সীমান্ত বিলে আসামকে না রাখার দাবি তোলেন। মোদি সরকারও সেই দাবি মেনে নিয়ে গত ২৯শে এপ্রিলের কেবিনেট বৈঠকে আংশিকভাবে সীমান্ত বিলের খসড়ায় অনুমোদন দেয়। তবে কংগ্রেস আংশিকভাবে আনা বিলকে সমর্থন জানাবে না ঘোষণা করায় তৈরি হয় জটিলতা। বিলটি পাস করাতে না পারলে বাংলাদেশের আস্থা যে চিড় খাবে সেটা বুঝতে পারছিল মোদি সরকার। আর তাই এই অনিশ্চয়তা কাটাতে মোদির নির্দেশে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ তড়িঘড়ি আসামের বিজেপি নেতা ও আরএসএস নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে সীমান্ত চুক্তি দ্রুত কার্যকর করার প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করেন। এর পরই গত বুধবার ফের কেবিনেট কমিটির বৈঠকে সীমান্ত চুক্তি সংক্রান্ত সংবিধান সংশোধনী ও পূর্ণাঙ্গ খসড়া অনুমোদিত হয়। সেই পথে তৈরি হয় বিলটি পা হওয়ার ঐতিহাসিক পরিস্থিতি।
সীমান্ত চুক্তিতে কী রয়েছে: সীমান্ত চুক্তিতে তিনটি অংশ রয়েছে। প্রথমটি হলো- সীমান্তের তিনটি অংশে ৬.১ কিলোমিটার অচিহ্নিত অংশ। বাংলাদেশের নীলফামারি ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশের ফেনীর মুহুরি নদী ও ভারতের ত্রিপুরার বিলোনিয়া এবং বাংলাদেশের মৌলভিবাজারের লাঠিটিলা-ডুমাবাড়ি ও ভারতের আসাম। চুক্তির দ্বিতীয় অংশ হলো- দুই দেশের ১৬২টি ছিটমহল বিনিময়। আর তৃতীয় অংশে রয়েছে ৫০০০ একর অপদখলীয় এলাকা। চুক্তি অনুয়ায়ী ভারত ১৭১৫৮ একর জমিসহ ১১১টি ছিটমহল বাংলাদেশকে হস্তান্তর করবে। এই ছিটমহলগুলোতে রয়েছেন ৩৭৩৬৯ জন মানুষ। বাংলাদেশের চারটি জেলায় এগুলো ছড়িয়ে রয়েছে। এর মধ্যে কুড়িগ্রামে ১২টি, লালমনিরহাটে ৫৯টি, নীলফামারিতে ৪টি ও পঞ্চগড়ে ৩৬টি। অন্যদিকে বাংলাদেশ ভারতে হস্তান্তর করবে ৭১১০ একর জমিসহ ৫১টি ছিটমহল। এই ছিটমহলগুলোর জনসংখ্যা ১৪২১৫ জন। এগুলোর অধিকাংশই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলায়। ছিটমহল পুরোপুরি হস্তান্তরের ফলে বাংলাদেশ পাবে অতিরিক্ত ১০ হাজার একর জমি। অপদখলীয় জমির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রাপ্তি হবে ২২৬৭.৬৮২ একর আর ভারতের অংশে যাবে ২৭৭৭.০৩৮ একর জমি।
চুক্তির কাঁটাময় পথ: ভারতভাগের সময় স্যার সিরিল র্যাটক্লিফ যেভাবে সীমান্ত চিহ্নিত করে রায় দিয়েছিলেন তাতে অনেক ধরনের জটিলতা ছিল। সেই জটিলতা ভারত ও পূর্ব পাকিস্তান শুরু থেকেই সমাধানের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু মতপার্থক্য তীব্র হয়েছিল নানা প্রশ্নে। এই অবস্থাতেই ১৯৫৮ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ফিরোজ খান নুন প্রথম সীমান্ত চুক্তি করেছিলেন। সেই চুক্তিতে ছিটমহল ও বেরুবারির একটি অংশ বিনিময়ের প্রস্তাব ছিল। কিন্তু তা কার্যকর করা হয় নি অনেকটি মামলার ফলে। তবে ভারতের সংসদে ১৯৬০ সালে ৯ম সংশোধনীর মাধ্যমে ছিটমহল বিনিময়ের কথা হলেও সেটিও শেষপর্যন্ত আর এগোয়নি। এই জটিলতা নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারত ১৯৭৪ সালে স্থল সীমান্ত চুক্তি করে। সেই চুক্তি বাংলাদেশ তাৎক্ষণিকভাবে সংসদে অনুমোদন করলেও ভারতে তা অনুমোদনের কোন চেষ্টাই হয়নি। ফলে দীর্ঘ সময় ধরে সীমান্ত চুক্তি কার্যকর করার পথে ভারত এগোয়নি। তবে মাঝে আঙুরপোতা ও দহগ্রাম বিনিময় হযেছে। তিনবিঘা করিডর লিজ দেওয়ার চুক্তি হয়েছে। তবে ২০১১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বাংলাদেশ সফরে গিয়ে সীমান্ত চুক্তির অংশ হিসেবে একটি প্রটোকল স্বাক্ষর করেন। এরপরই আগের ইউপিএ সরকার বারবার রাজ্যসভায় সীমান্ত চুক্তি সংক্রান্ত সংবিধান সংশোধনী বিলটি পেস করার জন্য চেষ্টা চালায়। কিন্তু বারবার অসম গণপরিষদ, বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবল বাধার ফলে তা পেশ করা যায়নি। তবে বিলটিকে বাঁচিয়ে রাখতে ২০১৩ সালে রাজ্যসভায় বিলটি পেস করা হলেও সেটিকে পাঠিয়ে দেয়া হয় পররাষ্ট্র বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটিতে। জয়রাম রমেশের নেতৃত্বাধীন সেই কমিটি অনেক আলোচনার পর সহমতের ভিত্তিতে বিলটি দ্রুত পেশ করার জন্য মোদি সরকারের কাছে সুপারিশ করে। মোদি ক্ষমতায় আসার পরই বিজেপি সীমান্ত চুক্তি নিয়ে মত বদল করে। এরই মধ্যে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকলে মোদি সরকারের কাছে বিলটি কার্যকর করার আবেদন জানায়। গত বছর নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ অধিবেশনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, মুঝ পর ভরসা রাখিয়ে। কিন্তু সময় এগিয়ে গেলেও বিলটি গত সংসদ অধিবেশনে পেশ করা সম্ভব হয়নি। অবশ্য সময়ের অজুহাত দেয়া হয়েছিল। তবে এই সময়ের ব্যবধানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী সীমান্ত চুক্তি নিয়ে বিরোধিতার পথ ছেড়ে বিলে সমর্থনের সবুজ সংকেত দেন। কিন্তু বিলটি পেশ করার সিদ্ধান্ত যখন প্রায় চূড়ান্ত তখনই আসামের বিজেপি নেতৃত্ব আগামী বিধানসভা নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রেখে আপাতত সীমান্ত বিলে আসামকে না রাখার দাবি তোলেন। মোদি সরকারও সেই দাবি মেনে নিয়ে গত ২৯শে এপ্রিলের কেবিনেট বৈঠকে আংশিকভাবে সীমান্ত বিলের খসড়ায় অনুমোদন দেয়। তবে কংগ্রেস আংশিকভাবে আনা বিলকে সমর্থন জানাবে না ঘোষণা করায় তৈরি হয় জটিলতা। বিলটি পাস করাতে না পারলে বাংলাদেশের আস্থা যে চিড় খাবে সেটা বুঝতে পারছিল মোদি সরকার। আর তাই এই অনিশ্চয়তা কাটাতে মোদির নির্দেশে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ তড়িঘড়ি আসামের বিজেপি নেতা ও আরএসএস নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে সীমান্ত চুক্তি দ্রুত কার্যকর করার প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করেন। এর পরই গত বুধবার ফের কেবিনেট কমিটির বৈঠকে সীমান্ত চুক্তি সংক্রান্ত সংবিধান সংশোধনী ও পূর্ণাঙ্গ খসড়া অনুমোদিত হয়। সেই পথে তৈরি হয় বিলটি পা হওয়ার ঐতিহাসিক পরিস্থিতি।
No comments