এশিয়ার বড় বড় পতিতালয়ের দালালরা এখন নেপালে, ত্রাণকর্মীর ছদ্মবেশে যৌনকর্মী পাচার
ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত
নেপাল এখন যৌনকর্মী সরবরাহের কেন্দ্রভূমি। ভূমিকম্পপীড়িত অসহায় দুর্গত
নারীদের ঘিরে রমরমা সেক্স-বাণিজ্যের পসার সাজিয়েছে মানব পাচারকারীরা।
এশিয়ার বড় বড় পতিতালয়ের দালালরা নেপালের এই দুর্দিনকে নিজেদের ‘আখের
গোছানোর ফাঁদ’ হিসেবে ব্যবহার করছে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে পতিতালয়
নেটওয়ার্কের দালালরা দুর্যোগের এই ‘সুযোগ’ কাজে লাগাতে ওঠেপড়ে লেগেছে।
উদ্ধারকর্মী ও ত্রাণদাতার ছদ্মবেশে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের নারী ও বালিকাদের
টার্গেট করেছে পাচারকারী চক্র। আন্তর্জাতিক ত্রাণ কমিটি ও পাচারবিরোধী
এনজিও কর্মীরা এ ব্যাপারে সতর্ক করেছেন। মঙ্গলবার দ্য গার্ডিয়ান ও ডেইলি
মেইলের পৃথক দুটি প্রতিবেদনে এসব কথা জানানো হয়।
নারী পাচার রোধে কাজ করছে কাঠমান্ডুর একটি বেসরকারি সংস্থা ‘শক্তিসমূহ’। সংস্থাটির পরিচালক সুনিতা দানুবার বলেন, দালালাদের এটাই মোক্ষম সময়। তারা উদ্ধারকারীর ছদ্মবেশে নারীদের অপহরণ করতে পারে। ত্রাণ বিতরণের টোপ দিয়ে পাচার করতে পারে। সুনিতা বলেন, আমরা খবর পেয়েছি, ইতিমধ্যে কয়েক জায়গায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। উত্তর কাঠমান্ডুর পাহাড়ি এলাকা সিন্ধুপলচক গ্রামের সীতা (২০) গার্ডিয়ানকে জানান, চাচার বয়সী এক লোক তাকে চাকরি দেয়ার কথা বলে সীমান্তবর্তী ভারতের শিলিগুড়ি পতিতালয়ে বিক্রি করে দিয়েছিল। সীতার অশিক্ষিত ও কৃষক বাবা পরিবারে সচ্ছলতা ফিরবে ভেবে তাকে ‘চাকরিতে’ পাঠিয়েছিলেন। শিলিগুড়ির ওই পতিতালয়ে তাকে অত্যন্ত অমানবিক নির্যাতন করে যৌনকর্মে বাধ্য করা হয়। দিনে ২০-৩০ জন পুরুষের সঙ্গে মিলিত হতে হয় সীতাকে। ওই পতিতালয়ে পুলিশি অভিযানের পর সীতা বাড়ি ফেরার জন্য পুলিশের কাছে কান্না করে। পুলিশ তাকে এনজিও শক্তিসমূহের কাছে হস্তান্তর করে। সীতা জানে না তার বাবা-মা কী অবস্থায় আছেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওয়ায় এখনও পরিবারের কারও সঙ্গেই যোগাযোগ করতে পারেননি সীতা।
জাতিসংঘ ও স্থানীয় বেসরকারি সংস্থার তথ্যমতে, নেপাল থেকে বছরে ১৫ হাজার নারীকে যৌনকর্মী হিসেবে পাচার করা হয়। এদের অধিকাংশই নেয়া হয় ভারতের পতিতালয়ে। ভারতের পতিতালয়গুলোতে ১০ হাজারের বেশি নারী অত্যন্ত নির্মম পরিস্থিতিতে যৌনকর্মে নিয়োজিত রয়েছেন। এ ছাড়া দক্ষিণ কোরিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার পতিতালয়েও পাচার করা হচ্ছে নেপালি নারীদের। গার্ডিয়ান বলছে, এ অঞ্চলের নারী পাচার ও পতিতালয় নেটওয়ার্কের এই অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণ করা হয় ভারত থেকে। ভারতের শিলিগুড়ি, মুম্বাই, কলকাতা, গোয়ায় পতিতাবৃত্তি বেশ রমরমা। এই দালালদের মাধ্যমেই আবার পাচার করা হয় দক্ষিণ কোরিয়ায়। ২০০৭ সালের তথ্যানুযায়ী দক্ষিণ কোরিয়ার সেক্স-বাণিজ্যের পরিমাণ ১ হাজার ৩০০ কোটি ডলার, যা দেশটির জিডিপির ১.৬ শতাংশ। টোকিও, বেইজিং, হংকংয়ের পতিতা নেটওয়ার্কের সঙ্গেও যুক্ত রয়েছে ভারতীয় দালালরা।
এদিকে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতেই রয়েছে কয়েকশ’ বার ও ম্যাসাজ পার্লার। এখানকার নারীকর্মীদের প্রতিষ্ঠানের ক্লায়েন্টদের সঙ্গে যৌনকর্মে বাধ্য করা হয়। ভূমিকম্পের পর টাকার জন্য অনেক নারী সেচ্চায় সেসব পার্লারে যাচ্ছেন বলে খবর পেয়েছে শক্তিসমূহ।
এই নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি দালালদের কাজকে আরও সহজ করে দিয়েছে। কাউকে চাকরি দেয়া, কাউকে ধনী বিদেশীর সঙ্গে বিয়ে দেয়া ইত্যাদি প্রলোভনে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিচ্ছে। অবস্থা বুঝে কাউকে সরাসরি পতিতাবৃত্তির প্রস্তাবও দিচ্ছে দালালরা।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর বলছে, মানব পাচার রোধে ন্যূনতম মান বজায় রাখতে পারেনি নেপাল সরকার। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তারা চেষ্টা করেছে।
নারী পাচার রোধে কাজ করছে কাঠমান্ডুর একটি বেসরকারি সংস্থা ‘শক্তিসমূহ’। সংস্থাটির পরিচালক সুনিতা দানুবার বলেন, দালালাদের এটাই মোক্ষম সময়। তারা উদ্ধারকারীর ছদ্মবেশে নারীদের অপহরণ করতে পারে। ত্রাণ বিতরণের টোপ দিয়ে পাচার করতে পারে। সুনিতা বলেন, আমরা খবর পেয়েছি, ইতিমধ্যে কয়েক জায়গায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। উত্তর কাঠমান্ডুর পাহাড়ি এলাকা সিন্ধুপলচক গ্রামের সীতা (২০) গার্ডিয়ানকে জানান, চাচার বয়সী এক লোক তাকে চাকরি দেয়ার কথা বলে সীমান্তবর্তী ভারতের শিলিগুড়ি পতিতালয়ে বিক্রি করে দিয়েছিল। সীতার অশিক্ষিত ও কৃষক বাবা পরিবারে সচ্ছলতা ফিরবে ভেবে তাকে ‘চাকরিতে’ পাঠিয়েছিলেন। শিলিগুড়ির ওই পতিতালয়ে তাকে অত্যন্ত অমানবিক নির্যাতন করে যৌনকর্মে বাধ্য করা হয়। দিনে ২০-৩০ জন পুরুষের সঙ্গে মিলিত হতে হয় সীতাকে। ওই পতিতালয়ে পুলিশি অভিযানের পর সীতা বাড়ি ফেরার জন্য পুলিশের কাছে কান্না করে। পুলিশ তাকে এনজিও শক্তিসমূহের কাছে হস্তান্তর করে। সীতা জানে না তার বাবা-মা কী অবস্থায় আছেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওয়ায় এখনও পরিবারের কারও সঙ্গেই যোগাযোগ করতে পারেননি সীতা।
জাতিসংঘ ও স্থানীয় বেসরকারি সংস্থার তথ্যমতে, নেপাল থেকে বছরে ১৫ হাজার নারীকে যৌনকর্মী হিসেবে পাচার করা হয়। এদের অধিকাংশই নেয়া হয় ভারতের পতিতালয়ে। ভারতের পতিতালয়গুলোতে ১০ হাজারের বেশি নারী অত্যন্ত নির্মম পরিস্থিতিতে যৌনকর্মে নিয়োজিত রয়েছেন। এ ছাড়া দক্ষিণ কোরিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার পতিতালয়েও পাচার করা হচ্ছে নেপালি নারীদের। গার্ডিয়ান বলছে, এ অঞ্চলের নারী পাচার ও পতিতালয় নেটওয়ার্কের এই অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণ করা হয় ভারত থেকে। ভারতের শিলিগুড়ি, মুম্বাই, কলকাতা, গোয়ায় পতিতাবৃত্তি বেশ রমরমা। এই দালালদের মাধ্যমেই আবার পাচার করা হয় দক্ষিণ কোরিয়ায়। ২০০৭ সালের তথ্যানুযায়ী দক্ষিণ কোরিয়ার সেক্স-বাণিজ্যের পরিমাণ ১ হাজার ৩০০ কোটি ডলার, যা দেশটির জিডিপির ১.৬ শতাংশ। টোকিও, বেইজিং, হংকংয়ের পতিতা নেটওয়ার্কের সঙ্গেও যুক্ত রয়েছে ভারতীয় দালালরা।
এদিকে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতেই রয়েছে কয়েকশ’ বার ও ম্যাসাজ পার্লার। এখানকার নারীকর্মীদের প্রতিষ্ঠানের ক্লায়েন্টদের সঙ্গে যৌনকর্মে বাধ্য করা হয়। ভূমিকম্পের পর টাকার জন্য অনেক নারী সেচ্চায় সেসব পার্লারে যাচ্ছেন বলে খবর পেয়েছে শক্তিসমূহ।
এই নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি দালালদের কাজকে আরও সহজ করে দিয়েছে। কাউকে চাকরি দেয়া, কাউকে ধনী বিদেশীর সঙ্গে বিয়ে দেয়া ইত্যাদি প্রলোভনে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিচ্ছে। অবস্থা বুঝে কাউকে সরাসরি পতিতাবৃত্তির প্রস্তাবও দিচ্ছে দালালরা।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর বলছে, মানব পাচার রোধে ন্যূনতম মান বজায় রাখতে পারেনি নেপাল সরকার। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তারা চেষ্টা করেছে।
No comments