নিখোঁজের বিষয়ে প্রাথমিক তথ্য–সূত্রও নেই পুলিশের কাছে
৫৬
দিন হয়ে গেল। বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমদকে খোঁজার দৃশ্যমান কোনো
উদ্যোগ নেই। তাঁকে যে কেউ ধরে নিয়ে গেছে সে বিষয়টিই মানতে নারাজ পুলিশ।
তাহলে তিনি কীভাবে নিখোঁজ হলেন সে বিষয়েও সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই পুলিশের
হাতে।
একই রাতে উত্তরার ওই বাড়ি থেকে রায়হান নামে যে ব্যক্তির ‘বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার’ কথা পুলিশের প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে আদালতকে শুনিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল, সেই রায়হানেরও কোনো খোঁজ নেই। পুলিশের দাবি তদন্ত চলছে।
আর ঘটনার শুরু থেকেই পরিবার সালাহ উদ্দিনকে ধরে নিয়ে যাওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেই দায়ী করে আসছে। তবে সালাহ উদ্দিনকে খুঁজে পেতে পুলিশের দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া তাদের হাতে আর কোনো বিকল্পও নেই। পুলিশের কোনো তৎপরতাও দেখছে না পরিবার।
গত ১০ মার্চ রাতে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ১৩-বি নম্বর সড়কের একটি বাড়ির দোতলার ফ্ল্যাটে ঢুকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা সালাহ উদ্দিন আহমদকে ধরে নিয়ে যায়। ৩ নম্বর সেক্টরের নিরাপত্তাকর্মী ও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী তরুণ প্রথম আলোকে বলেছিলেন, তাঁকে ধরে নেওয়ার আগে ওই বাসার কাছেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পিকআপ দাঁড়ানো ছিল। ওই পিকআপে আসা সদস্যরা সেখানে কর্তব্যরত ৩ নম্বর সেক্টর কল্যাণ সমিতির নিয়োগ করা নিরাপত্তাকর্মীদের কাছে ১৩-বি নম্বর সড়কটির অবস্থান জানতেও চেয়েছিলেন।
তবে এরপর ১৫ মার্চ পুলিশের পাঁচটি সংস্থা হাইকোর্টে প্রতিবেদন দিয়ে বলেছে, তারা কেউই সালাহ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার বা আটক করেনি। পুলিশ সদর দপ্তর, ঢাকা মহানগর পুলিশ, র্যা ব, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও বিশেষ শাখা (এসবি) পাঁচটি আলাদা প্রতিবেদনে হাইকোর্টকে এ তথ্য জানায়।
সংস্থাগুলো সালাহ উদ্দিনকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে বলে উল্লেখ করেছিল।
তবে এখন পর্যন্ত সালাহ উদ্দিন নিখোঁজের বিষয়ে প্রাথমিক তথ্য-সূত্রও পুলিশের কাছে নেই। জানতে চাইলে পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার মো. ইকবাল প্রথম আলোকে বলেন, এ বিষয়ে সালাহ উদ্দিনের পরিবার কোনো মামলা বা জিডি করেনি। পুলিশ একটি জিডি করেছে। এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুতের কাজ চলছে। সেই প্রতিবেদন আংশিক শেষ হয়েছে।
সালাহ উদ্দিনকে কীভাবে, কারা ধরে নিয়ে গেল বা তিনি কীভাবে নিখোঁজ হলেন জানতে চাইলে উপকমিশনার বলেন, ‘এগুলো বলতে গেলে উপসংহারমূলক বক্তব্য দিতে হবে। তবে সেই প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত তাঁকে কেউ ধরে নিয়ে গেছে না তিনি নিখোঁজ সে বিষয়ে আমার মন্তব্য করার কোনো সুযোগ নেই।’
জানতে চাইলে সালাহ উদ্দিন আহমদের স্ত্রী হাসিনা আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার শুরু থেকেই তাঁকে খুঁজে বের করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তেমন তৎপরতা দেখা যায়নি। তবে পরিবারের সদস্যরা পুলিশ-র্যা বের বিভিন্ন কার্যালয়ে গিয়ে তাঁকে খুঁজে বের করতে অনুরোধ জানিয়ে আসছেন। তবে এতে কোনো কাজ হচ্ছে না।
হাসিনা আহমদ বলেন, সালাহ উদ্দিনকে খুঁজতে ১০ মার্চের আগে একাধিকবার তাঁর গুলশানের বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি চালিয়েছে। নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন আগে তাঁর দুই গাড়িচালক ও ব্যক্তিগত কর্মীকে ধরে নিয়ে যায় ডিবি। ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের বাসাবাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। গ্রেপ্তার করা কর্মীদের মারধর করে শুধুই সালাহ উদ্দিনের অবস্থান কোথায় তা জানতে চাওয়া হয়। এরপর তো আর কারও বুঝতে বাকি থাকে না কারা তাঁকে ধরে নিয়ে গেছে।
পুলিশ প্রতিবেদনের ‘রায়হান’: ১৩-বি নম্বর সড়কের ওই বাড়ির যে ফ্ল্যাটে সালাহ উদ্দিন থাকতেন বলে বলা হচ্ছে তার মালিক হাবিব হাসনাত নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তা। সালাহ উদ্দিন আহমদ ওই বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন।
এরপর ১৫ মার্চ হাইকোর্টে শুনানিতে পুলিশের প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহাবুবে আলম বলেন, ওই বাড়ির দারোয়ান আখতারুল ইসলাম পুলিশকে জানিয়েছেন, চার দিন আগে ফ্ল্যাটের মালিক হাবিব হাসনাত সস্ত্রীক বাসা ছেড়ে যান। ‘রায়হান’ নামে একজন পুরুষ মেহমান তাঁরা বাসায় রেখে যান। বাড়ির মালিকের অনুপস্থিতিতে ‘রায়হান’ নামে ওই মেহমান বাসায় থাকবেন বলে হাসনাত দারোয়ানদের বলে যান। ১০ মার্চ আনুমানিক রাত নয়টার দিকে চার-পাঁচজন লোক হাবিব হাসনাতের বাসায় এসেছিলেন। আনুমানিক আধা ঘণ্টা পর ‘রায়হান’ ওই চার-পাঁচজনের সঙ্গে গাড়িতে উঠে চলে যান।
তবে এখন পর্যন্ত এই রায়হান সম্পর্কেও বিস্তারিত জানা যায়নি। উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি হাইকোর্টে দেওয়া প্রতিবেদনে কোনো রায়হানের নামই উল্লেখ করেননি।
আর ঘটনার পর দারোয়ান আখতারুল ইসলামও কোনো রায়হানের নাম উল্লেখ করেননি। তখন তিনি প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ডিবির লোক পরিচয়ে কিছু লোক বাসায় ঢুকে সালাহ উদ্দিনকে দোতলা থেকে চোখ বেঁধে নামিয়ে মাইক্রোবাসে ধরে নিয়ে যান। ঘটনার পর ওই বাড়ি থেকে দুই নিরাপত্তাকর্মী চাকরিচ্যুত হন।
তবে হাসিনা আহমদ দাবি করেছেন, ‘ওরা রায়হান বা যে নামই বলুক, হাসনাত সাহেবের বাসায় শুধুই সালাহ উদ্দিন আহমদ ছিলেন। আর সাংবাদিকেরা বা পরিবারের লোকজন যখন ওই বাড়ির নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তখন তাঁরা তো কেউ রায়হানের নাম বলেননি।’
হাসিনা বলেন, ঘটনার পর এখন পর্যন্ত তিনি ওই ফ্ল্যাটে ঢুকতে পারেননি। তাঁকে ওই ফ্ল্যাটে ঢুকতে দেয়নি বাড়ির নিরাপত্তাকর্মীরা। ওই ফ্ল্যাটে সালাহ উদ্দিন আহমদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র থাকার কথা। তবে যেহেতু পুলিশ একাধিকবার ওই ফ্ল্যাটে ঢুকেছিল তারা এসব জিনিস সরিয়ে ফেলতে পারে বলে সন্দেহ হাসিনার।
একই রাতে উত্তরার ওই বাড়ি থেকে রায়হান নামে যে ব্যক্তির ‘বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার’ কথা পুলিশের প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে আদালতকে শুনিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল, সেই রায়হানেরও কোনো খোঁজ নেই। পুলিশের দাবি তদন্ত চলছে।
আর ঘটনার শুরু থেকেই পরিবার সালাহ উদ্দিনকে ধরে নিয়ে যাওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেই দায়ী করে আসছে। তবে সালাহ উদ্দিনকে খুঁজে পেতে পুলিশের দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া তাদের হাতে আর কোনো বিকল্পও নেই। পুলিশের কোনো তৎপরতাও দেখছে না পরিবার।
গত ১০ মার্চ রাতে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ১৩-বি নম্বর সড়কের একটি বাড়ির দোতলার ফ্ল্যাটে ঢুকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা সালাহ উদ্দিন আহমদকে ধরে নিয়ে যায়। ৩ নম্বর সেক্টরের নিরাপত্তাকর্মী ও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী তরুণ প্রথম আলোকে বলেছিলেন, তাঁকে ধরে নেওয়ার আগে ওই বাসার কাছেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পিকআপ দাঁড়ানো ছিল। ওই পিকআপে আসা সদস্যরা সেখানে কর্তব্যরত ৩ নম্বর সেক্টর কল্যাণ সমিতির নিয়োগ করা নিরাপত্তাকর্মীদের কাছে ১৩-বি নম্বর সড়কটির অবস্থান জানতেও চেয়েছিলেন।
তবে এরপর ১৫ মার্চ পুলিশের পাঁচটি সংস্থা হাইকোর্টে প্রতিবেদন দিয়ে বলেছে, তারা কেউই সালাহ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার বা আটক করেনি। পুলিশ সদর দপ্তর, ঢাকা মহানগর পুলিশ, র্যা ব, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও বিশেষ শাখা (এসবি) পাঁচটি আলাদা প্রতিবেদনে হাইকোর্টকে এ তথ্য জানায়।
সংস্থাগুলো সালাহ উদ্দিনকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে বলে উল্লেখ করেছিল।
তবে এখন পর্যন্ত সালাহ উদ্দিন নিখোঁজের বিষয়ে প্রাথমিক তথ্য-সূত্রও পুলিশের কাছে নেই। জানতে চাইলে পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার মো. ইকবাল প্রথম আলোকে বলেন, এ বিষয়ে সালাহ উদ্দিনের পরিবার কোনো মামলা বা জিডি করেনি। পুলিশ একটি জিডি করেছে। এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুতের কাজ চলছে। সেই প্রতিবেদন আংশিক শেষ হয়েছে।
সালাহ উদ্দিনকে কীভাবে, কারা ধরে নিয়ে গেল বা তিনি কীভাবে নিখোঁজ হলেন জানতে চাইলে উপকমিশনার বলেন, ‘এগুলো বলতে গেলে উপসংহারমূলক বক্তব্য দিতে হবে। তবে সেই প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত তাঁকে কেউ ধরে নিয়ে গেছে না তিনি নিখোঁজ সে বিষয়ে আমার মন্তব্য করার কোনো সুযোগ নেই।’
জানতে চাইলে সালাহ উদ্দিন আহমদের স্ত্রী হাসিনা আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার শুরু থেকেই তাঁকে খুঁজে বের করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তেমন তৎপরতা দেখা যায়নি। তবে পরিবারের সদস্যরা পুলিশ-র্যা বের বিভিন্ন কার্যালয়ে গিয়ে তাঁকে খুঁজে বের করতে অনুরোধ জানিয়ে আসছেন। তবে এতে কোনো কাজ হচ্ছে না।
হাসিনা আহমদ বলেন, সালাহ উদ্দিনকে খুঁজতে ১০ মার্চের আগে একাধিকবার তাঁর গুলশানের বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি চালিয়েছে। নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন আগে তাঁর দুই গাড়িচালক ও ব্যক্তিগত কর্মীকে ধরে নিয়ে যায় ডিবি। ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের বাসাবাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। গ্রেপ্তার করা কর্মীদের মারধর করে শুধুই সালাহ উদ্দিনের অবস্থান কোথায় তা জানতে চাওয়া হয়। এরপর তো আর কারও বুঝতে বাকি থাকে না কারা তাঁকে ধরে নিয়ে গেছে।
পুলিশ প্রতিবেদনের ‘রায়হান’: ১৩-বি নম্বর সড়কের ওই বাড়ির যে ফ্ল্যাটে সালাহ উদ্দিন থাকতেন বলে বলা হচ্ছে তার মালিক হাবিব হাসনাত নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তা। সালাহ উদ্দিন আহমদ ওই বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন।
এরপর ১৫ মার্চ হাইকোর্টে শুনানিতে পুলিশের প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহাবুবে আলম বলেন, ওই বাড়ির দারোয়ান আখতারুল ইসলাম পুলিশকে জানিয়েছেন, চার দিন আগে ফ্ল্যাটের মালিক হাবিব হাসনাত সস্ত্রীক বাসা ছেড়ে যান। ‘রায়হান’ নামে একজন পুরুষ মেহমান তাঁরা বাসায় রেখে যান। বাড়ির মালিকের অনুপস্থিতিতে ‘রায়হান’ নামে ওই মেহমান বাসায় থাকবেন বলে হাসনাত দারোয়ানদের বলে যান। ১০ মার্চ আনুমানিক রাত নয়টার দিকে চার-পাঁচজন লোক হাবিব হাসনাতের বাসায় এসেছিলেন। আনুমানিক আধা ঘণ্টা পর ‘রায়হান’ ওই চার-পাঁচজনের সঙ্গে গাড়িতে উঠে চলে যান।
তবে এখন পর্যন্ত এই রায়হান সম্পর্কেও বিস্তারিত জানা যায়নি। উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি হাইকোর্টে দেওয়া প্রতিবেদনে কোনো রায়হানের নামই উল্লেখ করেননি।
আর ঘটনার পর দারোয়ান আখতারুল ইসলামও কোনো রায়হানের নাম উল্লেখ করেননি। তখন তিনি প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ডিবির লোক পরিচয়ে কিছু লোক বাসায় ঢুকে সালাহ উদ্দিনকে দোতলা থেকে চোখ বেঁধে নামিয়ে মাইক্রোবাসে ধরে নিয়ে যান। ঘটনার পর ওই বাড়ি থেকে দুই নিরাপত্তাকর্মী চাকরিচ্যুত হন।
তবে হাসিনা আহমদ দাবি করেছেন, ‘ওরা রায়হান বা যে নামই বলুক, হাসনাত সাহেবের বাসায় শুধুই সালাহ উদ্দিন আহমদ ছিলেন। আর সাংবাদিকেরা বা পরিবারের লোকজন যখন ওই বাড়ির নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তখন তাঁরা তো কেউ রায়হানের নাম বলেননি।’
হাসিনা বলেন, ঘটনার পর এখন পর্যন্ত তিনি ওই ফ্ল্যাটে ঢুকতে পারেননি। তাঁকে ওই ফ্ল্যাটে ঢুকতে দেয়নি বাড়ির নিরাপত্তাকর্মীরা। ওই ফ্ল্যাটে সালাহ উদ্দিন আহমদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র থাকার কথা। তবে যেহেতু পুলিশ একাধিকবার ওই ফ্ল্যাটে ঢুকেছিল তারা এসব জিনিস সরিয়ে ফেলতে পারে বলে সন্দেহ হাসিনার।
No comments