সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের অবরোধের ডাক দিয়েছেন বেগম জিয়া
শান্তিপূর্ণ
কর্মসূচী পালন করতে না দেয়ায় আজ থেকে সারা দেশে অবরোধের ডাক দিয়েছেন
বিএনপি চেয়ার পারসন ও ২০ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। খালেদা
সাংবাদিকদের জানান, তাদের কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে। আজ থেকে সারা দেশে
পূর্ববর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচী চলবে। এছাড়া সময় সুযোগ
বুঝে পরবর্তী সমাবেশের দিন ঘোষনা করা হবে।
কিছুক্ষন আগে গুলশানস্থ তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যকালে তিনি এ কর্মসূচী ঘোষনা করেন। খালেদা কার্যালয় থেকে বের হতে চাইলে পুলিশ প্রধান গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয়। গেটের ভেতরে মহিলা ও সাংবাদিকদের উপর পুলিশ পিপার স্প্রে নিক্ষেপ করে। পরে তিনি গাড়িতে বসেই কর্মসূচী ঘোষনা করেন। অনেকক্ষন দাড়িয়ে থাকার পর তিনি গাড়িতে বসেই কর্মসূচী ঘোষনা করেন।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে খালেদা জিয়া বলেন, সরকার বলছে আমি অবরোদ্ধ নয়। তাহলে গেটে তালা কেন, আমাকে কেন বের হতে দেয়া হয়নি। আমার সাথে কাউকে সাক্ষাতও করতে দেয়া হয়নি। তাহলে আমি কিভাবে মুক্ত হলাম। সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আজ গোটা দেশ অবরোদ্ধ। মানুষ স্বতস্ফুর্তভাবে রাস্তায় নামতে চাইলেও তাদের উপর গুলি চালানো হয়েছে।
খালেদা বলেন, আজকে শুধু আমি নই, গোটা দেশটাই অবরুদ্ধ হয়ে পয়েছে। কী কারণে তাঁকে বন্দী করা হয়েছে তাও তিনি জানেন না। এর আগে সকাল থেকেই কার্যালয় থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ওই কার্যালয়ে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়। পকেট গেটেও তালা লাগায় পুলিশ। বিকেল পৌনে চারটার দিকে তিনি নিজ ক থেকে বের হয়ে গাড়িতে ওঠেন। সাড়ে চারটার দিকে তিনি গাড়ি থেকে নেমে সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য দেন। খালেদা জিয়া বলেন, তাঁরা বলছে বন্দী করেনি। কিন্তু গেটে তালা, বের হতে দেয়া হচ্ছে না। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, যদি তিনি অবরুদ্ধ না হন তাহলে যারা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চায় তাঁদেরকে কেন আসতে দেয়া হচ্ছে না।
খালেদা জিয়া অভিযোগ করে বলেন, এই সরকার জালেম সরকার। সরকার শুধু দেশকে অবরুদ্ধ করেনি দেশকে কারাগারে পরিণত করেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, দেশে অস্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে। খালেদা জিয়া আরও বলেন, দেশের চিত্র দেখলে মনে হয় যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। এজন্য সম্পূর্ণভাবে সরকার দায়ী। বক্তব্যের একপর্যায়ে একুশে টিভির সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, অন্যরা কথা বললে তাঁরা কাউকে সম্প্রচার করতে দিতে চায় না। সরকার একেবারে ‘ডিটেক্টর’ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। বক্তব্যের একপর্যায়ে পুলিশকে উদ্দেশ্য করে খালেদা জিয়া বলেন, কেন গ্যাস মারা হচ্ছে? আমি তো কথা বলছি। কথাও কী আপনারা বলতে দেবেন না?’ পুলিশ বাহিনীতে সরকারের এজেন্ট ঢুকে গেছে মন্তব্য করে খালেদা জিয়া বলেন, বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না। বাড়াবাড়ি বেশিদিন টিকবে না। এর পরিণতি ভোগ করতে হবে। নারীদের ওপর পিপার ¯েপ্র ও গ্যাস না ছোড়ার জন্য তিনি পুলিশের প্রতি আহ্বান জানান।
কিছুক্ষন আগে গুলশানস্থ তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যকালে তিনি এ কর্মসূচী ঘোষনা করেন। খালেদা কার্যালয় থেকে বের হতে চাইলে পুলিশ প্রধান গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয়। গেটের ভেতরে মহিলা ও সাংবাদিকদের উপর পুলিশ পিপার স্প্রে নিক্ষেপ করে। পরে তিনি গাড়িতে বসেই কর্মসূচী ঘোষনা করেন। অনেকক্ষন দাড়িয়ে থাকার পর তিনি গাড়িতে বসেই কর্মসূচী ঘোষনা করেন।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে খালেদা জিয়া বলেন, সরকার বলছে আমি অবরোদ্ধ নয়। তাহলে গেটে তালা কেন, আমাকে কেন বের হতে দেয়া হয়নি। আমার সাথে কাউকে সাক্ষাতও করতে দেয়া হয়নি। তাহলে আমি কিভাবে মুক্ত হলাম। সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আজ গোটা দেশ অবরোদ্ধ। মানুষ স্বতস্ফুর্তভাবে রাস্তায় নামতে চাইলেও তাদের উপর গুলি চালানো হয়েছে।
খালেদা বলেন, আজকে শুধু আমি নই, গোটা দেশটাই অবরুদ্ধ হয়ে পয়েছে। কী কারণে তাঁকে বন্দী করা হয়েছে তাও তিনি জানেন না। এর আগে সকাল থেকেই কার্যালয় থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ওই কার্যালয়ে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়। পকেট গেটেও তালা লাগায় পুলিশ। বিকেল পৌনে চারটার দিকে তিনি নিজ ক থেকে বের হয়ে গাড়িতে ওঠেন। সাড়ে চারটার দিকে তিনি গাড়ি থেকে নেমে সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য দেন। খালেদা জিয়া বলেন, তাঁরা বলছে বন্দী করেনি। কিন্তু গেটে তালা, বের হতে দেয়া হচ্ছে না। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, যদি তিনি অবরুদ্ধ না হন তাহলে যারা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চায় তাঁদেরকে কেন আসতে দেয়া হচ্ছে না।
খালেদা জিয়া অভিযোগ করে বলেন, এই সরকার জালেম সরকার। সরকার শুধু দেশকে অবরুদ্ধ করেনি দেশকে কারাগারে পরিণত করেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, দেশে অস্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে। খালেদা জিয়া আরও বলেন, দেশের চিত্র দেখলে মনে হয় যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। এজন্য সম্পূর্ণভাবে সরকার দায়ী। বক্তব্যের একপর্যায়ে একুশে টিভির সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, অন্যরা কথা বললে তাঁরা কাউকে সম্প্রচার করতে দিতে চায় না। সরকার একেবারে ‘ডিটেক্টর’ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। বক্তব্যের একপর্যায়ে পুলিশকে উদ্দেশ্য করে খালেদা জিয়া বলেন, কেন গ্যাস মারা হচ্ছে? আমি তো কথা বলছি। কথাও কী আপনারা বলতে দেবেন না?’ পুলিশ বাহিনীতে সরকারের এজেন্ট ঢুকে গেছে মন্তব্য করে খালেদা জিয়া বলেন, বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না। বাড়াবাড়ি বেশিদিন টিকবে না। এর পরিণতি ভোগ করতে হবে। নারীদের ওপর পিপার ¯েপ্র ও গ্যাস না ছোড়ার জন্য তিনি পুলিশের প্রতি আহ্বান জানান।
আ.লীগকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে: মির্জা ফখরুল
বিএনপির
ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের প্রধান
রাজনৈতিক দলের কার্যালয় তালাবদ্ধ করে সরকার গণতন্ত্রের কথা বলছে। অন্যদিকে
মিথ্যাচার করছে, খালেদা জিয়া নাকি বন্দী নন। তিনি যেখানে খুশি যেতে
পারেন। তাহলে কার্যালয়ের সামনে বালুর ট্রাক রেখেছেন কেন? তারা মিথ্যাবাদী,
প্রতারক। তারা গণতন্ত্র রক্ষা দিবস পালন করছে। তারা কোন গণতন্ত্র রক্ষা
করছে? গণতন্ত্রের মুখোশ পরে গণতন্ত্র রক্ষা করতে চাইছে? তারা দেশে একদলীয়
শাসন কায়েম করছে।
বাসায় তল্লাশির দুদিন পর জনসমক্ষে ফখরুল
আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি-সমর্থিত সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আলোচনায় মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এক বছর অপেক্ষা করেছি। ভেবেছিলাম, তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। তারা বলেই ফেলেছে, তারা ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে চায়। তারা বলছে, গণতন্ত্র নয়, উন্নয়নই মূল কথা। হায় রে সেলুকাস!’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে বাস্তব রূপ দিতে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে। আমরা বিএনপিকে ক্ষমতায় বসান, তা বলিনি। আমরা ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে চাই। তা ফিরিয়ে দিন।’ ভবিষ্যতে আন্দোলনকে তীব্র থেকে তীব্রতর করারও ঘোষণা দেন মির্জা ফখরুল। প্রেসক্লাবে সমাবেশের আয়োজন করে সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানানোর জন্য মির্জা ফখরুল নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, সামনে বড় কঠিন সময় আসছে। কেননা তাদের লড়াই করতে হচ্ছে ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জীবনপণ সংগ্রাম করে বেঁচে থাকার অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে।
আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি-সমর্থিত সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আলোচনায় মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এক বছর অপেক্ষা করেছি। ভেবেছিলাম, তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। তারা বলেই ফেলেছে, তারা ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে চায়। তারা বলছে, গণতন্ত্র নয়, উন্নয়নই মূল কথা। হায় রে সেলুকাস!’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে বাস্তব রূপ দিতে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে। আমরা বিএনপিকে ক্ষমতায় বসান, তা বলিনি। আমরা ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে চাই। তা ফিরিয়ে দিন।’ ভবিষ্যতে আন্দোলনকে তীব্র থেকে তীব্রতর করারও ঘোষণা দেন মির্জা ফখরুল। প্রেসক্লাবে সমাবেশের আয়োজন করে সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানানোর জন্য মির্জা ফখরুল নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, সামনে বড় কঠিন সময় আসছে। কেননা তাদের লড়াই করতে হচ্ছে ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জীবনপণ সংগ্রাম করে বেঁচে থাকার অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে।
No comments