মানুষের মুখে কীটের বাসা!
মানুষের মুখের প্রতিটি লোমকূপের মধ্যে বাস করছে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আট
পা-ওয়ালা কীট। মাকড়সার মতো এই পরজীবীগুলো দেখতে আইসক্রিমের মতো। এই
পরজীবীগুলো খালি চোখে দেখার উপায় নেই।
>>চুলের ফলিকলের মধ্যে বাস করে তেল শোষণ করে এই ‘ফেস মাইট’
>>চুলের ফলিকলের মধ্যে বাস করে তেল শোষণ করে এই ‘ফেস মাইট’
সম্প্রতি গবেষকেরা এই ক্ষুদ্র পরজীবীগুলোর সন্ধান পেয়েছেন। তাঁরা অবশ্য বলছেন, পরজীবীগুলো দেখতে সুন্দর আর আমাদের জন্য উপকারী।
যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা জানিয়েছেন, পরজীবীগুলো সব মানুষের মধ্যেই রয়েছে। আমাদের ত্বকে দুই প্রজাতির এই ক্ষুদ্র পরজীবী বাস করে। এদের একটি হচ্ছে ডেমোডেক্স ফলিকুলোরাম ও আরেকটি হচ্ছে ডেমোডেক্স ব্রেভিস।
গবেষকেরা বলছেন, ডেমোডেক্স নামের এই পরজীবীগুলো আমাদের চুলের ফলিকলের মধ্যে বসবাস করে। চুলের ফলিকলের মধ্যে লুকানো তেল খায় এই পরজীবীগুলো। চুলের প্রধানত দুটি অংশ। ‘হেয়ার শ্যাফট’ বা বাইরে দৃশ্যমান চুল এবং ‘হেয়ার ফলিকল’ বা ছোট থলির মতো অংশ, যা ত্বকের ভেতরে থেকে গাছের শিকড়ের মতো চুলকে ধরে রাখে।
ফলিকলে থাকা ডেমোডেক্স ব্রেভিস গোলাকার ও আকারে বেঁটে। এটি চুলের ফলিকলের মধ্যে থাকা ফলিকল সেবাম গ্ল্যান্ড বা তৈল গ্রন্থিতেই জীবনের বেশির ভাগ সময় কাটিয়ে দেয়। ডেমোডেক্স ফলিকুলোরাম অবশ্য এতটা তেলনির্ভর নয়।
নর্থ ক্যারোলিনা স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষক মেগান থমেস সংবাদমাধ্যম এনপিআরকে জানিয়েছেন, পরজীবীগুলো থাকায় অস্বস্তির কিছু নেই। বরং এর অর্থ হলো আপনার সঙ্গে সব সময় অনেক বন্ধু রয়েছে।
তিনি মনে করেন, এই পরজীবীগুলো দেখে নাক সিটকানোর কিছু নেই। আসলে এগুলো অনেক সুন্দর। পরজীবীগুলোর আট পা দিয়ে নড়াচড়া দেখলে মনে হবে এরা তেলের মধ্যে সাঁতার কাটছে।
গবেষক থমেস বলেন, ‘যেহেতু সবার মধ্যেই এই পরজীবী বাস করছে আর এগুলো কোনো সমস্যাও তৈরি করছে না, তাই এটা স্বস্তিদায়ক।’
গবেষকেরা তাঁদের এই গবেষণার জন্য ২৯ জনের ডিএনএ পরীক্ষা করেছেন। এর মধ্যে ১৮ বছরের বেশি বয়সী সবাই এই ডেমোডেক্স পরজীবীর ডিএনএ বহন করছেন বলে তাঁরা প্রমাণ পেয়েছেন। পিএলওএস ওয়ান সাময়িকীতে গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছে।
থমেস দাবি করেছেন, গবেষকেরা পরবর্তী সময়ে আরও বেশি মানুষের ওপর গবেষণা চালিয়েও একই ফলাফল পেয়েছেন।
মানুষের মধ্যে কীভাবে আসে এই কীটগুলো? এই পরজীবী একজন থেকে আরেকজনে কীভাবে ছড়িয়ে পড়ে, সে বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা নেই গবেষকদের। তবে তাঁদের একটি তত্ত্ব অনুযায়ী, মায়ের দুধ পান করার সময় শিশুর মধ্যে এই পরজীবী স্থানান্তরিত হয়। তরুণদের মধ্যে এই পরজীবী বেশি দেখা যায়। রাতের বেলা যখন অন্ধকার থাকে, তখন এই পরজীবীগুলো মুখের ওপর উঠে আসে।
কীভাবে এল এই পরজীবী? এ প্রসঙ্গে ক্যালিফোর্নিয়া অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেসের গবেষক মিশেল ট্রটউইন বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই ডেমোডেক্স আমাদের সঙ্গে বসবাস করছে। আফ্রিকা থেকে আদিম মানুষেরা ছড়িয়ে পড়া যখন শুরু করেছিল, তখন থেকেই তারা সঙ্গে করে তাদের পরজীবীগুলো এনেছিল। এখন ডেমোডেক্স ডিএনএ পরীক্ষা করে মানুষের বিবর্তনের অজানা ইতিহাসও আমরা জানতে যাচ্ছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা জানিয়েছেন, পরজীবীগুলো সব মানুষের মধ্যেই রয়েছে। আমাদের ত্বকে দুই প্রজাতির এই ক্ষুদ্র পরজীবী বাস করে। এদের একটি হচ্ছে ডেমোডেক্স ফলিকুলোরাম ও আরেকটি হচ্ছে ডেমোডেক্স ব্রেভিস।
গবেষকেরা বলছেন, ডেমোডেক্স নামের এই পরজীবীগুলো আমাদের চুলের ফলিকলের মধ্যে বসবাস করে। চুলের ফলিকলের মধ্যে লুকানো তেল খায় এই পরজীবীগুলো। চুলের প্রধানত দুটি অংশ। ‘হেয়ার শ্যাফট’ বা বাইরে দৃশ্যমান চুল এবং ‘হেয়ার ফলিকল’ বা ছোট থলির মতো অংশ, যা ত্বকের ভেতরে থেকে গাছের শিকড়ের মতো চুলকে ধরে রাখে।
ফলিকলে থাকা ডেমোডেক্স ব্রেভিস গোলাকার ও আকারে বেঁটে। এটি চুলের ফলিকলের মধ্যে থাকা ফলিকল সেবাম গ্ল্যান্ড বা তৈল গ্রন্থিতেই জীবনের বেশির ভাগ সময় কাটিয়ে দেয়। ডেমোডেক্স ফলিকুলোরাম অবশ্য এতটা তেলনির্ভর নয়।
নর্থ ক্যারোলিনা স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষক মেগান থমেস সংবাদমাধ্যম এনপিআরকে জানিয়েছেন, পরজীবীগুলো থাকায় অস্বস্তির কিছু নেই। বরং এর অর্থ হলো আপনার সঙ্গে সব সময় অনেক বন্ধু রয়েছে।
তিনি মনে করেন, এই পরজীবীগুলো দেখে নাক সিটকানোর কিছু নেই। আসলে এগুলো অনেক সুন্দর। পরজীবীগুলোর আট পা দিয়ে নড়াচড়া দেখলে মনে হবে এরা তেলের মধ্যে সাঁতার কাটছে।
গবেষক থমেস বলেন, ‘যেহেতু সবার মধ্যেই এই পরজীবী বাস করছে আর এগুলো কোনো সমস্যাও তৈরি করছে না, তাই এটা স্বস্তিদায়ক।’
গবেষকেরা তাঁদের এই গবেষণার জন্য ২৯ জনের ডিএনএ পরীক্ষা করেছেন। এর মধ্যে ১৮ বছরের বেশি বয়সী সবাই এই ডেমোডেক্স পরজীবীর ডিএনএ বহন করছেন বলে তাঁরা প্রমাণ পেয়েছেন। পিএলওএস ওয়ান সাময়িকীতে গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছে।
থমেস দাবি করেছেন, গবেষকেরা পরবর্তী সময়ে আরও বেশি মানুষের ওপর গবেষণা চালিয়েও একই ফলাফল পেয়েছেন।
মানুষের মধ্যে কীভাবে আসে এই কীটগুলো? এই পরজীবী একজন থেকে আরেকজনে কীভাবে ছড়িয়ে পড়ে, সে বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা নেই গবেষকদের। তবে তাঁদের একটি তত্ত্ব অনুযায়ী, মায়ের দুধ পান করার সময় শিশুর মধ্যে এই পরজীবী স্থানান্তরিত হয়। তরুণদের মধ্যে এই পরজীবী বেশি দেখা যায়। রাতের বেলা যখন অন্ধকার থাকে, তখন এই পরজীবীগুলো মুখের ওপর উঠে আসে।
কীভাবে এল এই পরজীবী? এ প্রসঙ্গে ক্যালিফোর্নিয়া অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেসের গবেষক মিশেল ট্রটউইন বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই ডেমোডেক্স আমাদের সঙ্গে বসবাস করছে। আফ্রিকা থেকে আদিম মানুষেরা ছড়িয়ে পড়া যখন শুরু করেছিল, তখন থেকেই তারা সঙ্গে করে তাদের পরজীবীগুলো এনেছিল। এখন ডেমোডেক্স ডিএনএ পরীক্ষা করে মানুষের বিবর্তনের অজানা ইতিহাসও আমরা জানতে যাচ্ছি।’
No comments