পারিবারিক স্বৈরতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ
সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ, পেশাজীবী পরিষদের নির্বাচন নিজেদের পক্ষে নেয়া ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠনগুলোকে হুমকি দেয়ার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে ক্ষমতাসীন দলের প্রতি অনুগত চিকিৎসক, সরকারি কর্মচারী ও আইনজীবীরা। একদলীয় সরকার যন্ত্রের অধীনে তারা একটি রাষ্ট্রের ভেতরের খারাপ দিকগুলো প্রকাশ করতে সাহস দেখান। ভয়াবহভাবে এমন রাজনৈতিক পেশাদারদের আন্তর্জাতিক বার সমিতি, আমেরিকান গ্রাজুয়েট প্রশিক্ষণ হাসপাতাল ও ইউরোপিয়ান সরকারি প্রশাসনিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ জানানো ও এক্ষেত্রে ভর্তুকি দেয়া কি উচিত হবে। গতকাল অনলাইন এশিয়া টাইমস পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। ইসাম সোহেইলের লেখা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার রাজনৈতিক উত্তরাধিকার যখন দেশের সিলিকন ভ্যালি দেখিয়ে বিদেশীদের তাতে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান, তখন প্রযুক্তি বিষয়ক মোগলরা বাংলাদেশের অসহিষ্ণু সরকারের কাছে শক্তিশালী একটি বার্তা দিতে পারেন। তারা বলতে পারেন বিনিয়োগের করার জন্য অধিক প্রয়োজন হলো আইনের শাসন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত রয়েছে কিনা। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বলা হয়, বার্তা সংস্থা এপির একটি রিপোর্ট পাল্টে দিতে সম্মত না হওয়ায় কোন নেতা তার লোকজনকে একটি পত্রিকা অফিসে পাঠিয়ে দেয়া হয়। ইসাম সোহাইল লিখেছেন, যে দেশ আস্তে আস্তে দৃশ্যত পারিবারিক স্বৈরতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সেখানে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবেন না সচেতন ব্যবসায়ী নারী বা পুরুষ। পশ্চিম ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকা থেকে সরকারের ওপর অর্থপূর্ণ চাপের অভাবে ঢাকায় একদলীয় শাসন পোক্ত হয়েছে। তারা বাংলাদেশের প্রতিটি সরকারি খাতকে শক্ত করে আঁকড়ে ধরেছে। ক্ষমতাসীন দলের রয়েছে বহুদলীয় শাসন ব্যবস্থার বিলুপ্তির ইতিহাস। তারা এখন বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও যেসব পত্রিকা ভিন্নমত প্রকাশ করতে তা বন্ধ করে দেয়ার ব্যবস্থা করেছে। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয় ভিন্নমত, বহুদল ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠানের অভাবে ব্যাপক দুর্নীতি ও নিরাপত্তা বাহিনীর অপরাধ, ক্ষমতাসীন দলের অপরাধে জড়িতরা থাকবে। এতে এসব ঘটনা শুধু বাড়বেই না। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়বে। একবার বিবেচনা করুণ, কত বিপুল পরিমাণ বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ, পেশাজীবী ও ব্যবসায়ী আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে সুবিধা পেয়ে থাকে। এ বিষয়টি মাথায় নিয়েই বেসরকারি সংগঠন বা এনজিওগুলোর বিরুদ্ধে চাপ থামাতে হবে।
No comments