দ্বিতীয় সমুদ্র জয় -সম্পদ সংরক্ষণ ও সদ্ব্যবহারের প্রতি নজর দিন
মিয়ানমারের পরে ভারতের সঙ্গেও সমুদ্রসীমান্ত নিয়ে বিবাদের শান্তিপূর্ণ মীমাংসা ইতিবাচক ঘটনা। প্রতিবেশীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে বিরোধ না মিটলে সালিসি আদালতের মাধ্যমে মীমাংসার যে আন্তর্জাতিক ও সর্বজনীন রীতি, সমুদ্রসীমা নির্ধারণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সেটাই অনুসরণ করেছে। ২০১২ সালে মিয়ানমারের সঙ্গে ইটলসে (ইন্টারন্যাশনাল ট্রাইব্যুনাল ফর দ্য ল অব দ্য সি) এবং গত সোমবার ভারতের সঙ্গে হেগের সালিসি আদালতে ঘোষিত রায়ে বঙ্গোপসাগরের ওপর বাংলাদেশ তার ন্যায্য অধিকার ও সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে। এটি আমাদের কূটনৈতিক বিজয়।
উল্লেখ্য, মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তির ফলে বঙ্গোপসাগরে আমাদের এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার টেরিটোরিয়াল সমুদ্র, ২০০ নটিক্যাল মাইল একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং চট্টগ্রাম উপকূল থেকে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপানের তলদেশে অবস্থিত সব ধরনের প্রাণিজ ও অপ্রাণিজ সম্পদের ওপর অধিকার নিশ্চিত হলো।
বাংলাদেশ বরাবর ন্যায্যতার ভিত্তিতে বঙ্গোপসাগরের সীমানা নির্ধারণের দাবি জানিয়ে আসছিল। ভারত ও মিয়ানমারের দাবি ছিল সমদূরত্বের ভিত্তিতে। আনন্দের বার্তা হলো, উভয় ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের দাবির ন্যায্যতা প্রমাণিত হয়েছে। হেগের সালিসি আদালত যে রায় দিয়েছেন, তাতে বিরোধপূর্ণ ২৫ হাজার বর্গকিলোমিটারের মধ্যে বাংলাদেশ পেয়েছে ১৯ হাজার ৪৬৭ বর্গকিলোমিটার এবং ভারত ছয় হাজার ১৩৫ বর্গকিলোমিটার। এই অর্জন সামান্য নয়।
তবে আদালতে বাংলাদেশি প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে একটি ওজর রয়েই গেল। আইন অনুযায়ী বিবদমান পক্ষ নিজের পছন্দসই একজন বিচারক দিতে পারে। ভারত নিজ দেশের বিচারক দিলেও বাংলাদেশ বিদেশি বিচারকই বেছে নিয়েছে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে সমুদ্র আইনে আমাদের এমন বিশেষজ্ঞও আছেন, যিনি অন্যান্য দেশের বিরোধ মীমাংসা করে খ্যাতি লাভ করেছেন। আমরা কেন সেই সুযোগটি নিলাম না? অন্যদিকেও আমাদের গাফিলতি রয়েছে। সমুদ্রবিদ্যা বিষয়ে, বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের স্বার্থ বিষয়ে আমাদের পর্যাপ্ত তথ্য–উপাত্ত গবেষণা নেই, যা ভারতের ভালোভাবেই রয়েছে।
এসব সত্ত্বেও মিয়ানমারের পর ভারতের সঙ্গে সরকার যেভাবে সমুদ্রবিরোধ নিষ্পত্তি করেছে, সে জন্য ধন্যবাদ জানাই। একই সঙ্গে সরকার এখন তেল–গ্যাসসহ বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার মধ্যে যেসব সম্পদ আছে, সেসবের সংরক্ষণ ও সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহারের দিকে মনোযোগী হবে আশা করি।
উল্লেখ্য, মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তির ফলে বঙ্গোপসাগরে আমাদের এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার টেরিটোরিয়াল সমুদ্র, ২০০ নটিক্যাল মাইল একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং চট্টগ্রাম উপকূল থেকে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপানের তলদেশে অবস্থিত সব ধরনের প্রাণিজ ও অপ্রাণিজ সম্পদের ওপর অধিকার নিশ্চিত হলো।
বাংলাদেশ বরাবর ন্যায্যতার ভিত্তিতে বঙ্গোপসাগরের সীমানা নির্ধারণের দাবি জানিয়ে আসছিল। ভারত ও মিয়ানমারের দাবি ছিল সমদূরত্বের ভিত্তিতে। আনন্দের বার্তা হলো, উভয় ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের দাবির ন্যায্যতা প্রমাণিত হয়েছে। হেগের সালিসি আদালত যে রায় দিয়েছেন, তাতে বিরোধপূর্ণ ২৫ হাজার বর্গকিলোমিটারের মধ্যে বাংলাদেশ পেয়েছে ১৯ হাজার ৪৬৭ বর্গকিলোমিটার এবং ভারত ছয় হাজার ১৩৫ বর্গকিলোমিটার। এই অর্জন সামান্য নয়।
তবে আদালতে বাংলাদেশি প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে একটি ওজর রয়েই গেল। আইন অনুযায়ী বিবদমান পক্ষ নিজের পছন্দসই একজন বিচারক দিতে পারে। ভারত নিজ দেশের বিচারক দিলেও বাংলাদেশ বিদেশি বিচারকই বেছে নিয়েছে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে সমুদ্র আইনে আমাদের এমন বিশেষজ্ঞও আছেন, যিনি অন্যান্য দেশের বিরোধ মীমাংসা করে খ্যাতি লাভ করেছেন। আমরা কেন সেই সুযোগটি নিলাম না? অন্যদিকেও আমাদের গাফিলতি রয়েছে। সমুদ্রবিদ্যা বিষয়ে, বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের স্বার্থ বিষয়ে আমাদের পর্যাপ্ত তথ্য–উপাত্ত গবেষণা নেই, যা ভারতের ভালোভাবেই রয়েছে।
এসব সত্ত্বেও মিয়ানমারের পর ভারতের সঙ্গে সরকার যেভাবে সমুদ্রবিরোধ নিষ্পত্তি করেছে, সে জন্য ধন্যবাদ জানাই। একই সঙ্গে সরকার এখন তেল–গ্যাসসহ বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার মধ্যে যেসব সম্পদ আছে, সেসবের সংরক্ষণ ও সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহারের দিকে মনোযোগী হবে আশা করি।
No comments