অপহরণ, নির্যাতন পরে লাইনে বসিয়ে গুলি!
মাথা থেকে ধড় আলাদা করে বুটে পিষে থেঁতলে দেয়া হচ্ছে মৃত মানুষগুলোর খণ্ড-বিখণ্ড অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ। সারিবদ্ধভাবে মাঠে বসিয়ে কাউকে গুলি করছে, কারো চোখ উপড়ে ফেলছে। উলঙ্গ করে চালাচ্ছে যৌন নির্যাতন। শুধু গণহত্যা নয়, এবার পাশবিক নির্যাতনে মেতে উঠেছে বর্বর ইসরাইলি বাহিনী। গাজার খুজা শহরে একদিনে ৩৫ জনকে হত্যার পর অপহরণ করেছে আরও অনেককে। গুয়ানতানামো কারাগারের মতো অসহায় ফিলিস্তিনিদের ওপর জিঘাংসায় মেতে উঠেছে তারা। নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিকদের অপহরণ করে নৃশংস আচরণ করছে তাদের ওপর। মঙ্গলবার খুজা গ্রামে নির্বিচার গোলাবর্ষণ করে ইসরাইলি বাহিনী। বেপরোয়া গোলাবর্ষণে পুরো শহর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। স্বাস্থ্যকর্মী ও ফায়ার ব্রিগেড সদস্যদের যেতে বাধা দেয় তারা। গণমাধ্যমের কাউকেও ওই শহরে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে, বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইচ্ছেমতো গুলি চালিয়ে ব্যাপক মাত্রায় গণহত্যা করে যুদ্ধাপরাধ করেছে তারা।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানিয়েছেন, তারা পালানোর সময় রাস্তায় ডজন ডজন লাশ পড়ে থাকতে দেখেছেন। টুকরো টুকরো ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন মৃতদেহও পড়ে থাকতে দেখেছেন তারা। ‘আমি একটি বাচ্চাকে নিয়ে দৌড়ে পালাচ্ছিলাম। বাচ্চাটি গুলিতে আহত হয়েছিল। কিন্তু কিছুদূর যাওয়ার পর সে মারা যায়। রাস্তায় অর্ধশতাধিক মানুষকে পড়ে থাকতে দেখেছি।’ আল নাজির পরিবারের একজন সদস্য এভাবেই খুজা শহরের দৃশ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমার পেছনে অনেক অসুস্থ ও বয়স্ক লোক ছিল। কিন্তু তারা দৌড়াতে পারছিল না। ফিলিস্তিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, খুজা শহরে ৩৫ জন নিহত হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে। অন্যদিকে প্রায় ১৫০ ফিলিস্তিনিকে অপহরণ করে নির্যাতন চালাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। রোববার খুজা গ্রামের পার্শ্ববর্তী শিজাইয়া গ্রামে ৭৫ বেসামরিক নাগরিক হত্যা করে ইসরাইল। দ্য ফিলিস্তিন টেলিগ্রাফ।
No comments