গাজায় রক্তে ভেজা ঈদ
ইসরাইলের গাজা হামলার বিশ দিনে গাজা হয়ে উঠেছে মৃত্যুনগরী। ঈদুল ফিতরের মহোৎসবেও শোকস্তব্ধ থাকবে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা। ‘রাস্তায় আল্পনা নেই। সারারাত ধরে ঈদগা ময়দান সাজানোর কোলাহল নেই। শোরগোল নেই। অলিগলিতে দলে দলে জটলা পাকানোর আওয়াজ নেই- ঈদের আগের রাতে যে নগরীতে আতশবাজির ফোয়ারা ফুটতো, সেখানে এখন বোমা ফাটে। মুহূর্তে মুহূর্তে পাক খাচ্ছে ইসরাইলের বোমারু বিমান। বসতবাড়ির ধ্বংসস্তূপে বুলেটে ঝাঁজরা হয়ে যাওয়া নিরীহ মানুষের শরীর। ঘরের মেঝে বেয়ে চুইয়ে চুইয়ে পড়ছে রক্ত। শুধু রক্ত। দেয়ালে রক্ত, গলিতে রক্ত, উঠানে রক্ত- ছোপ ছোপ রক্ত আর শুকনো মাংসের দাগ। বিধ্বস্ত জনপদে গতবারের সেই উৎসব আমেজ নেই- শাজাইয়াতে নিজের ভগ্ন-বাড়ির দিকে তাকিয়ে এক নিঃশ্বাসে কথাগুলো শেষ করলেন মনির আল বালাওয়ি (৩২)।
তার কথায়, ‘গাজায় এবার ঈদ নেই। এবারের ঈদ রক্তে ভেজা, প্রাণ নেই! যে হাসিতে কষ্ট থাকে, যে আনন্দ রক্তে মাখানো তাতে তৃপ্তি থাকে না।’ বালাওয়ি বলেন, গাজায় এখন অনেক বাবা আছেন যার ছেলে গতকালই মারা গেছে। এমন অনেক দাদিই আছেন যিনি আশা করে ছিলেন নাতি-নাতনিদের সঙ্গে ঈদ-আনন্দে মেতে উঠবেন। অনেক নববধূরই স্বামীর সঙ্গে প্রথম ঈদ-কাটানোর স্বপ্নটা পূরণ হবে না। বেগম আলকাফরানা নামের এক নারী বলেন, কে জানে ঈদের দিনের ইসরাইল হামলা চালাবে কিনা। ঈদের দিনেও বাবাকে তার সন্তানের লাশ দাফন করতে হবে না? এদিকে ইসরাইলের বর্বরতা আর গণহত্যার কাছে হার মেনেছে সভ্যতা। আধুনিক শিক্ষা, সভ্যতা ও মানবতাকে পায়ে দলে যুদ্ধবাজ নেতানিয়াহুর দখলদার সরকার আট বছর অবরুদ্ধ থাকা ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চালিয়েছে ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যা। ইহুদিবাদী সেনাদের বর্বরতায় শেষ পর্যন্ত গাজায় এক হাজার ছাড়িয়ে গেছে শহীদের সংখ্যা। সবশেষ খবর অনুযায়ী, গাজা কর্তৃপক্ষকে তৈরি করতে হয়েছে ১,০৪৯ নম্বর কফিন। ইসরাইলের অত্যাধুনিক এফ-১৬ জঙ্গিবিমান, রকমারি বোমা আর ট্যাংকের গোলার আঘাতে এক মৃত্যুপুরীর নাম এখন গাজা। বিধ্বস্ত ভবনগুলোর নিচ থেকে বেরিয়ে আসছে রাশি রাশি লাশ। শনিবার সকালের দিকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পর থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৪৭টি মৃতদেহ। সব হিসাব মিলিয়ে গাজায় শহীদের সংখ্যা এখন ১,০৪৯। তবে এ সংখ্যা স্থির নয়, বাড়তে পারে লাশের সংখ্যা- এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন গাজার স্বাস্থ্য বিভাগের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা। জাতিসংঘের হিসাব মতে, নিহতদের শতকরা অন্তত ৮০ ভাগ বেসামরিক নাগরিক। হামাস ধ্বংসের পরিণতি ভয়াবহ : পেন্টাগন প্রধান
গাজার প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসকে ধ্বংস করা হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে বলে ইসরাইলকে হুশিয়ার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা পেন্টাগনের শীর্ষ কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইকেল ফ্লিন। শনিবার কলোরাডোর অ্যাসপেন সিকিউরিটি ফোরামে এ হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। এ খবর দিয়েছে সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স।
পেন্টাগন প্রধান বলেছেন, হামাসকে ধ্বংস করা হলে, এর জায়গায় যারা আসবে তারা আরও ভয়ংকর হবে। তাই চলমান আঞ্চলিক যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। তিনি জানান, হামাস টানেল তৈরিতে পারদর্শী। এর মাধ্যমে কৌশলে ইসরাইলের ওপর হামলা চালাবে তারা। কিন্তু এরপরও হামাসকে ধ্বংস করা কোনো সমাধান নয় বলে ইসরাইলকে পরামর্শ দেন তিনি। লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইকেল ফ্লিন বলেন, যদি হামাসকে ধ্বংস অথবা নিশ্চিহ্ন করা হয়, তাহলে এর সমাপ্তি ভয়াবহ হবে। আর এ অঞ্চলের সমস্যা হবে আরও ভয়াবহ। ফিলিস্তিন টেলিগ্রাফ।
গাজার প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসকে ধ্বংস করা হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে বলে ইসরাইলকে হুশিয়ার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা পেন্টাগনের শীর্ষ কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইকেল ফ্লিন। শনিবার কলোরাডোর অ্যাসপেন সিকিউরিটি ফোরামে এ হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। এ খবর দিয়েছে সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স।
পেন্টাগন প্রধান বলেছেন, হামাসকে ধ্বংস করা হলে, এর জায়গায় যারা আসবে তারা আরও ভয়ংকর হবে। তাই চলমান আঞ্চলিক যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। তিনি জানান, হামাস টানেল তৈরিতে পারদর্শী। এর মাধ্যমে কৌশলে ইসরাইলের ওপর হামলা চালাবে তারা। কিন্তু এরপরও হামাসকে ধ্বংস করা কোনো সমাধান নয় বলে ইসরাইলকে পরামর্শ দেন তিনি। লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইকেল ফ্লিন বলেন, যদি হামাসকে ধ্বংস অথবা নিশ্চিহ্ন করা হয়, তাহলে এর সমাপ্তি ভয়াবহ হবে। আর এ অঞ্চলের সমস্যা হবে আরও ভয়াবহ। ফিলিস্তিন টেলিগ্রাফ।
No comments