আমেরিকার প্রেমিক প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনের পথে ওবামা!
‘যা রটে, তা কিছু ঘটে। আর যা ঘটে, তার কিছু না কিছু রটে।’ কথাটা এর আগে সত্যি প্রমাণিত হয়েছে ওবামার সংসার নিয়ে। খবর বেরিয়েছিল স্ত্রী মিশেলের (৫০) সঙ্গে বনিবনা হচ্ছে না বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্ষমতাবান পুরুষ বারাক ওবামার। অনেকে খবরটা শুনে ‘গুজব’ বলে উড়িয়ে দিয়ে বাঁকা হাসি হেসে ছিলেন। কিন্তু কয়েক দিন যেতেই হোয়াইট হাউস থেকে পাওয়া গেল বিষাদ আর ভাঙনের সুর। আর তাতেই বোঝা গেল কিছু না কিছু ঘটেছে। আর এবার খবর বেরিয়েছে পপ তারকা বিয়ন্সের (৩২) সঙ্গে মধুর সম্পর্ক গড়ে উঠছে মি. ওবামা (৫২)। ভুলে গেলে চলবে না এ কিন্তু সেই বিয়ন্স, যিনি গত বছরের ২১ জানুয়ারি ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার দ্বিতীয় অভিষেকের দিনে সুরের ভেলায় ভাসিয়েছিলেন আমন্ত্রিত অতিথিদের। মঙ্গলবার চাঞ্চল্যকর এ খবর প্রকাশ করেছে ডেইলি মেইল।
ওবামা-বিয়ন্সের সম্ভাব্য এই সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার শিকড় গজাতে শুরু করেছে শনিবার থেকে। নামকরা এক ফরাসি চিত্রসাংবাদিকের তোলা একটি ছবি দিয়েই ঘটনার সূত্রপাত। প্যাসকেল রোস্তেইন নামের ওই সাংবাদিক ইউরোকা-ওয়ান রেডিও চ্যানেলের একটি অনুষ্ঠানে বলেন, ‘বিষয়টি এখন সবাই উড়িয়ে দিলেও, এক দিন এটা নিয়ে সবাই আলোচনায় মাতবে এ কথা আমি হলফ করে বলতে পারি।’ ২০০৯ সালে ওয়াশিংটন পোস্টের অভিজ্ঞ রিপোর্টার রিচার্ড উলপি দাবি করেন, এর আগে ২০০০ সালেও রাজনীতির প্রতি একনিষ্ঠতা ও পারিবারিক-আর্থিক সংকটের কারণে ওবামার সংসার ভাঙতে বসেছিল। সে সময় ওবামা-মিশেলের মধ্যে খুব কম কথা হতো। এমনকি মিশেল ওবামার স্বার্থপরতা ও ক্যারিয়ারপ্রীতির কারণে ক্ষিপ্ত ছিলেন বলেও দাবি করেন উলপি। তখন ছোট মেয়ে সাসার জন্ম হয়। টিকে যায় ওবামার সংসার। পরে ওবামা প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর সুখী দম্পতির রোল মডেল হিসেবেই দেখা গেছে তাদের। প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন মনিকা লিউনস্কির সঙ্গে বিল ক্লিনটনের কেলেঙ্কারির পর আর কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে কোনো ‘স্ক্যান্ডাল’ হয়নি। এবার পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে ক্লিনটনের পথেই পা বাড়াচ্ছেন মি. ওবামা!
No comments