প্রথম দিনেই কাজ শুরু করলেন কেজরিওয়াল
মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই কাজ শুরু করে দিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। পানি বোর্ডের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বিদ্যুৎ মাশুল নিয়ে কথা বলেছেন কর্মকর্তাদের সঙ্গে। ক্যাবিনেটের সঙ্গেও বসেছেন। আর কড়া সুরে জানিয়ে দিয়েছেন ঘুষ দিয়ে কাজ নয়। ঘুষ ছাড়াই দ্রুত কাজ হবে এএপি সরকারের প্রশাসনে। কাজে ঢিলেমি বরদাস্ত করবেন না। শপথের দিনেই বুঝিয়ে দিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। শনিবার শপথ নিয়েই একের পর এক বৈঠক করলেন। কখনও বসলেন পানি বোর্ডের সঙ্গে। তো কখনও বৈঠক করলেন ক্যাবিনেটের সঙ্গে। শহরের আইন-শৃংখলা নিয়েও বৈঠক করেছেন পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে। প্রশাসনে স্বচ্ছতা একান্ত প্রয়োজন। সেটা মাথায় রেখেই পুরনো সব সচিবকে সরিয়ে দিয়েছেন। শপথ মঞ্চ থেকে দিল্লিবাসীকে বার্তা দিয়েছেন। এএপি প্রশাসনে দুর্নীতির জায়গা নেই। প্রথম দিনেই দফতর বণ্টন করেছেন কেজরিওয়াল।
কাজে গতি আনতে মন্ত্রিসভার বহর ছোট রেখেছেন। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের হাতে স্বরাষ্ট্র, অর্থ, বিদ্যুৎ, পরিকল্পনা, পরিষেবা ও ভিজিলেন্স দফতর। সত্যেন্দ্র জৈন হয়েছেন স্বাস্থ্য ও শিল্পমন্ত্রী। পূর্ত ও শিক্ষামন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রীর দায়িত্বে মন্ত্রিসভায় সবচেয়ে ছোট রাখী বিড়লা। মন্ত্রী ঠিক হলেও তাদের কারোর জন্যই নেই নিরাপত্তার কড়াকড়ি। আর পাঁচজনের মতো পায়ে হেঁটে, মেট্রোয় চড়ে শপথ নিতে এসেছিলেন এএপি নেতারা। জানিয়ে দিয়েছেন আগামী দিনেও আম-আদমির মতোই চলতে ফিরতে চান। সচিবালয় থেকে সুরক্ষা বলয় সরিয়ে নিয়েছেন। আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন লালবাতি লাগানো গাড়ি নৈব নৈব চ। প্রথম দিনটা বাড়িই ফিরছেন না। হনুমান রোডে দলীয় দফতরে কাটিয়ে দেবেন রাতটা। যতটা কাজ এগোন যায়। রোববার (আজ) সকাল ১০টায় জনতার দরবার সেরে তবে বাড়ি যাবেন। রামলীলা ময়দানেই জানিয়ে দিয়েছেন তার সরকারে বড়-ছোটর কোনো ভেদ নেই। মানুষই তাকে ভোট দিয়ে এনেছে। মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসে তিনিও তাই আম-আমদির একজন হয়েই থাকতে চান। শুধু আক্ষরিক অর্থে নয়- বাস্তবেও।
No comments