সিইসি আজিজ হবেন, না টিএন সেশন?

নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ অনেক কথা বলছেন। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন। বিদেশিরা উপদেশ দান করছেন। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে যে প্রতিষ্ঠানটির সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ও সজাগ থাকার কথা, সেই নির্বাচন কমিশনকে মনে হচ্ছে বোবায় পেয়েছে। কমিশনাররা নির্বাচন নিয়ে খুব একটা কথাবার্তা বলেন না। বললেও একজনের কথার সঙ্গে আরেকজনের কথার মিল পাওয়া যায় না। এ বেমিল নির্বাচন কমিশন দিয়ে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব কি না, সে ব্যাপারে আমরা সন্দেহমুক্ত নই। নির্বাচন নিয়ে বর্তমানে মানুষের মধ্যে যে গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা, শঙ্কা ও ভয় বিরাজ করছে, তা উপশমের দায়িত্ব কার? অবশ্যই নির্বাচন কমিশনের। রাজনীতিকদের ঝগড়াবিবাদ মিটুক আর না-ই বা মিটুক, নির্বাচনটি করতে হবে ইসিকেই। কিন্তু সেই প্রস্তুতি, আয়োজন ও সামর্থ্য আছে বলে জনগণের এখনো তারা বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে পারেনি। নির্বাচন কারও দয়া বা করুণার বিষয় নয়, এটি ইসির সাংবিধানিক দায়িত্ব। প্রশ্ন হলো, সেই দায়িত্বটুকু পালনের মানসিকতা নির্বাচন কমিশনের আছে কি না? নাকি তারা যেনতেন প্রকারে একটি নির্বাচন করেই দায় সারতে চায়?
দুই অতীতে বাংলাদেশের নির্বাচনগুলো যেমন রক্তাক্ত অধ্যায়ের সৃষ্টি করেছে, তেমনি বিভিন্ন আমলের নিয়োজিত নির্বাচন কমিশনও নিজেদের বিতর্কিত করেছে, স্বীয় আচরণ ও বক্তব্য বিবৃতির মধ্যে দিয়ে। গত ৪৪ বছরে আমরা যে ১২টি নির্বাচন কমিশন পেয়েছি, তাদের মধ্যে সাফল্যের চেয়ে ব্যর্থতার পাল্লাই ভারী। ভারতের সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার টিএন সেশনের মতো কেউ জোর গলায় বলতে পারেননি, প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি নন, আমার কথাই চূড়ান্ত। রাষ্ট্রপতি বা উপরাষ্ট্রপতি পদে আসীন হয়ে যতই বদনাম কুড়ান না কেন, ১৯৭০ সালে অবিভক্ত পাকিস্তানের একমাত্র অবাধ, সুষ্ঠু ও সর্বজনীন নির্বাচন অনুষ্ঠানের কৃতিত্ব বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে দিতেই হবে। কিন্তু বাংলাদেশের প্রথম প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি মুহাম্মদ ইদ্রিস ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে সেই সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে পারেননি, ব্যালট বাক্স ছিনতাই ও প্রার্থী অপহরণের মহড়ার শুরু তখন থেকেই। পরবর্তী সময়ে যাঁরা সিইসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে বিচারপতি নূরুল ইসলাম, বিচারপতি এ টি এম মাসুদ সামরিক শাসকের বরকন্দাজ হিসেবে কাজ করেছেন, ১০ শতাংশ ভোটার কেন্দ্রে হাজির না হলেও তাঁরা ৯০ শতাংশ ভোট সামরিক শাসককে পাইয়ে দিয়েছেন তথাকথিত গণভোটে। এরশাদ আমলে বিচারপতি নূরুল ইসলামের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ আপত্তি জানালে বিচারপতি এ টি এম মাসুদকে নতুন সিইসি পদে বসানো হয়। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস, সেই মাসুদ ১৯৮৬ সালের ‘মিডিয়া ক্যুর’ নির্বাচনটি সম্পন্ন করেন এবং ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বিচারপতি নূরুল ইসলাম আওয়ামী লীগের প্রার্থী হন। এরপর যথাক্রমে সিইসির দায়িত্ব পালন করেন বিচারপতি সুলতান হোসেন খান, বিচারপতি আবদুর রউফ, বিচারপতি সাদেক, মোহাম্মদ আবু হেনা, এম এ সাঈদ, বিচারপতি এম এ আজিজ, এ টি এম শামসুল হুদা। এঁদের মধ্যে কাউকেই পরাজিত দল সহজভাবে মেনে নেয়নি। আবার সিইসিদের মধ্যে কেউ কেউ রাজনৈতিক বিশ্বাস বা ভবিষ্যৎ সুবিধার কথা ভেবে বিশেষ দলের পক্ষে কাজ করেছেন, এ রকম নজিরও আছে। বিচারপতি এম এ আজিজের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন নিজেকে বিতর্কিত ও কলঙ্কিত করেছে এক কোটি ২০ লাখ ভুয়া ভোটার বানিয়ে। শেষ পর্যন্ত এম এ আজিজ কোনো নির্বাচনই করতে পারেননি। বিচারপতি সাদেক ১৫ ফেব্রুয়ারির একতরফা নির্বাচন করে জনগণের ধিক্কার কুড়িয়েছেন। এ পর্যন্ত আমরা যতজন সিইসি পেয়েছি, তাঁদের মধ্যে তুলনামূলক সাহসী ভূমিকা রেখেছেন কোনো বিচারপতি নন, দুজন আমলা—মোহাম্মদ আবু হেনা ও এ টি এম শামসুল হুদা। নানা সীমাবদ্ধতার পর তাঁরা যথাক্রমে দুটি ভালো নির্বাচন জাতিকে উপহার দিয়েছিলেন ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে। কিন্তু সেই দুটি নির্বাচনে যাঁরা পরাজিত হন, তাঁরা ফল মেনে নেননি। নিজেদের ব্যর্থতার দায় চাপিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের ওপর।
তিন পরাজিত দলের নির্বাচনী ফলাফল প্রত্যাখ্যান বাংলাদেশের রাজনীতির ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। প্রতিযোগী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার দূরত্ব ও বৈরিতা বাড়িয়ে দিয়েছে। এটি রাজনৈতিক অনাস্থা ও অসহিষ্ণুতার বীজ হিসেবে কাজ করেছে। আমাদের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো কখনোই নিজেদের বিরোধী দলে দেখতে অভ্যস্ত নয়। এ সম্পর্কে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিজামউদ্দিন আহমদের বিশ্লেষণ হচ্ছে, ‘তাঁরা (বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতারা) নির্বাচনকে নিয়েছেন রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রবেশদ্বার হিসেবে এবং বৈধ-অবৈধ যেকোনো উপায়ে তাঁদের জয়ী হতেই হবে। যদি তাঁরা জয়ী হন, তাহলে সবকিছু ঠিক আছে। আর যদি জয়ী না হন, তখন তাঁরা ষড়যন্ত্রতত্ত্ব আবিষ্কার করতে থাকেন, যেন গোটা বিশ্বই তাঁদের পরাজিত করতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। এর পরই তাঁরা নির্বাচনে কারচুপি অথবা ভোট ডাকাতির অভিযোগ আনতে শুরু করেন। (সূত্র: ডেমোক্রেসি ইন বাংলাদেশ, জালাল ফিরোজ, বাংলা একাডেমি, ২০১২) ২০০১ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের এবং ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর বিএনপির প্রতিক্রিয়া দেখলে সেই ষড়যন্ত্রতত্ত্বই জোরদার হয়। আমি জিতলে সবই ঠিক আছে। আর না জিতলে দেশ, গণতন্ত্র, নির্বাচন কিছুই ঠিক নেই। এখন প্রশ্ন, বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদ কী করবেন? তিনি কি পারবেন তাঁর পূর্বসূরি এ টি এম শামসুল হুদার মতো সব বাধাবিপত্তি অগ্রাহ্য করে সবার অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে? না, তিনি বিচারপতি সাদেকের মতো একতরফা না হলেও একটি বিতর্কিত নির্বাচনের পথেই হাঁটবেন? নির্বাচনটি যেহেতু শতভাগ রাজনৈতিক বিষয়, সেহেতু রাজনৈতিক বিরোধ নিরসনে কমিশনের কোনো ভূমিকা থাকবে না এ কথা আমরা মানতে নারাজ। একটি বিতর্কিত নির্বাচন করার চেয়ে নির্বাচন না করা অনেক ভালো। সে ক্ষেত্রে ব্যর্থতার দায় তাঁকে নিতে হলেও, একতরফা নির্বাচনের গ্লানি বইতে হবে না। বর্তমান নির্বাচন কমিশন এ পর্যন্ত এমন কোনো কাজ করেনি, যাতে তাদের মাথা হেঁট হয়ে যায়; আবার এমন কোনো পদক্ষেপ নিতেও পারেনি, যাতে সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটির ওপর মানুষের আস্থা বাড়ে। তারা দাঁড়িয়ে আছে আশা-নিরাশা, আস্থা-অনাস্থার ঠিক মাঝখানে। বিরোধী দল নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে যতই বিষোদ্গার করুক না কেন, পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সুফল তারাই ভোগ করছে। আগামী নির্বাচন নিয়ে তারা যে জিহাদি মনোভাব দেখাচ্ছে, সেটিও সম্ভব হয়েছে ওই বিজয়ের ফলে। কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদ সিইসির দায়িত্ব নিয়েছেন গত বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি। সেই হিসেবে তাঁর কার্যকাল এক বছর আট মাস। এই সময়েও তিনি কমিশনের কাজকর্মে যেমন শৃঙ্খলা আনতে পারেননি, তেমনি জনগণের আস্থা অর্জনেও ব্যর্থ হয়েছেন। বিগত তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন নিজেদের কর্মকাণ্ডে বক্তৃতা-বিবৃতিতে যেমন সমন্বয় তৈরি করেছিল, বর্তমান কমিশনে তার প্রচণ্ড অভাব লক্ষ করা গেছে। পাঁচ সদস্যের কমিশন একেক সময় একেক কথা বলে, কারও কারও বক্তব্যে বিচারপতি এ আজিজের ছায়াও লক্ষ করা যায়। কিন্তু মৃদুভাষী রকিব উদ্দীন আহমেদ তাঁদের ভর্ৎসনা কিংবা বাচালতা বন্ধ করতে পারেননি। তিনি মুখস্থ বলে চলেছেন যে, নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত। কার্যক্ষেত্রে সেই প্রস্তুতি তেমনটি দেখা যাচ্ছে না।
চার নির্বাচনের অতি গুরুত্বপূর্ণ দুটি বিষয় হলো, জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ও আচরণবিধি। প্রথমটি করার দায়িত্ব সরকারের হলেও নির্বাচন কমিশনের কিছুই করার নেই, সে কথা বলা যাবে না। কেননা নির্বাচনটি তো তারাই করবে। যদি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি না হয় কিংবা নির্বাচনী সততা বিচ্যুতির আশঙ্কা থাকে, তাহলে ইসিকে অবশ্যই হস্তক্ষেপ করতে হবে। কিন্তু সিইসি এটিকে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বলে দায় এড়াতে চাইছেন। ক্ষমতাসীন দলটি ইতিমধ্যে ১৯৭২ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন সংশোধন করে প্রার্থী হতে তিন বছর দলে প্রাথমিক সদস্য থাকার যে বিধান জারি ছিল, সেটি তুলে দিয়েছে। এটি যে আগামী নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের অনিশ্চয়তাকে মাথায় রেখে করা হয়েছে, তাতে সন্দেহ নেই। আওয়ামী লীগের ধারণা, বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে দলের অনেক নেতা-কর্মী সুড়সুড় করে আওয়ামী লীগে বা অন্য কোনো দলে নাম লিখিয়ে নির্বাচন করবেন। প্রথমত, এই সিদ্ধান্ত চরম সুবিধাবাদিতা। দ্বিতীয়ত, এটি তাঁদের জন্যও বুমেরাং হতে পারে। যদি শেষ মুহূর্তে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয় এবং তাদের জয়ের সম্ভাবনা থাকে, তাহলে আওয়ামী লীগের নেতাদেরও বিএনপির দিকে ঝুঁকে পড়া অসম্ভব নয়। আমাদের নির্বাচনী রাজনীতিতে আদর্শের চেয়েও সুবিধাবাদিতাই প্রাধান্য পেয়ে আসছে। নির্বাচন কমিশন খসড়া যে আচরণবিধি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে, তাতে, সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বলতে প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, সরকারের মন্ত্রী, চিফ হুইপ, ডেপুটি স্পিকার, বিরোধী দলের নেতা, বিরোধী দলের উপনেতা, প্রতিমন্ত্রী, হুইপ, উপমন্ত্রী, তাঁদের মর্যাদাসম্পন্ন কোনো ব্যক্তি, সংসদ সদস্যদের বোঝানো হয়েছে। আগের আচরণবিধিতে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের বিষয়টির উল্লেখ ছিল না, কেননা সেই নির্বাচন হতো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। তখন সব মন্ত্রী-সাংসদই সাবেক হয়ে যেতেন। এখন মন্ত্রী পদে থেকেও কেউ কেউ নির্বাচন করবেন। নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি ৩ক(১) ধারায় বলা হয়েছে, ‘নির্বাচনপূর্ব সময়ে প্রকল্প অনুমোদন ও ফলক উন্মোচন ইত্যাদি নিষিদ্ধ। (১) নির্বাচনপূর্ব সময়ে কোনো সরকারি-আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে রাজস্ব বা উন্নয়ন তহবিলভুক্ত কোনো প্রকল্পের অনুমোদন, ঘোষণা বা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কিংবা ফলক উন্মোচন করা যাইবে না।’ উপবিধি (২)-এ বলা হয়েছে, ‘নির্বাচনপূর্ব সময়ে কোনো সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি স্বেচ্ছাধীন সরকারি-আধাসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের তহবিল হইতে কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে কোনো প্রকার অনুদান ঘোষণা বা বরাদ্দ প্রদান বা অর্থ অবমুক্ত করিতে পারিবেন না।’ এখন প্রশ্ন হলো, নির্বাচনপূর্ব সময় বলতে ইসি কী বোঝাতে চাইছেন? সংবিধানে বলা হয়েছে, সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন হবে। সেই হিসাবে ২৭ অক্টোবর থেকেই ৯০ দিনের ক্ষণগণনা শুরু হয়ে গেছে। আর প্রধানমন্ত্রী সমানে বিভিন্ন স্থানে প্রকল্প উদ্বোধন করে চলেছেন। আচরণবিধিতে স্পষ্ট বলা আছে, ‘সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তাহার সরকারি কার্যসূচির সঙ্গে নির্বাচন কর্মসূচি যোগ করিতে পারিবেন না।’ অথচ মন্ত্রীরা একই সঙ্গে সরকারি প্রকল্প উদ্বেধন করছেন এবং দলীয় সভায় নির্বাচনী প্রচারণাও চালাচ্ছেন। আচরণবিধিমতে, সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ তাহাদের নিজেদের বা অন্যদের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় সরকারি যান, সরকারি প্রচারযন্ত্রের ব্যবহার বা অন্যবিধ সরকারি সুবিধাভোগ করিতে পারিবেন না এবং এতদুদ্দেশ্যে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী বা কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক বা কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ব্যবহার করিতে পারিবেন না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা তো সরকারি সুবিধা নিয়েই এসব জায়গায় যাচ্ছেন এবং দলীয় সভা করে নৌকায় ভোট চাইছেন। আমাদের বিশ্বাস, আওয়ামী লীগ বিএনপিকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করার কথা বললেও পুরোপুরি আশ্বস্ত হতে পারছে না। তাদের মনে ভয়, যদি বিএনপি শেষ মুহূর্তে নির্বাচনে আসে। এ কারণেই আগাম নির্বাচনী প্রচারণা। ক্ষমতাসীন দলকে এ সুবিধা কেন দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন? এটি কি ইসির লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির নমুনা?
সোহরাব হাসান: কবি, সাংবাদিক।
sohrab03@dhaka.net

No comments

Powered by Blogger.