ফিলিপিন্সে সহস্রাধিক প্রাণহানি
স্থলে আঘাত হানা বিশ্বের স্মরণকালের সবচেয়ে প্রলংকরী ঘূর্ণিঝড় হাইয়ানের আঘাতে ফিলিপিন্সে ১২০০ লোক মারা গেছে। যার মধ্যে দেশটির ট্যাকলোবান শহরে অন্তত ১,০০০ জন নিহত হয়েছে। আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রেডক্রসের বরাত দিয়ে বিবিসি’র এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়। সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড়টির আঘাতে ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় এই শহরটি প্রায় বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। ফিলিপাইনের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের উপ-মহাপরিচালক ক্যাপ্টেন জন অ্যান্ড্র–জের উদ্ধৃতি দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি অনলাইন। প্রাণহীন দেহগুলো ট্যাকলোবানের রাস্তায় শায়িত ছিল বলে জানিয়েছেন অ্যান্ড্র–জ। শুক্রবার সকালে ঘূর্ণিঝড়টি ঘণ্টায় ৩৮৯ কিলোমিটার (২৩৫ মাইল) বেগে ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে আঘাত হানে। ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে ১৫ মিটার (৪৫ ফুট) উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসও উপকূলে আঘাত হানে,
পাশাপাশি ৪শ’ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। বাতাসের এ প্রবল বেগে ট্যাকলোবান শহরের ভবনগুলো মারাÍক ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ব্যাপক ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। দুর্গত এলাকার বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার কালে ট্যাকলোবান শহরটি পানিতে ডুবে যায়। শহরটির বিপর্যস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বিমানবন্দর মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় শহরটিতে পৌঁছতে ত্রাণ সংস্থাগুলোরে কর্মীদের রীতিমতো সংগ্রাম করতে হচ্ছে। শুধু সামরিক বিমানযোগে শহরটিতে ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন অ্যান্ড্র–জ। দুর্গত এলাকা থেকে দ্রুত লোকজন সরিয়ে নেয়ায় সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর প্রশংসা করেছে ফিলিপাইন সরকার। লোকজনকে দ্রুত সরিয়ে নেয়ায় ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহতার তুলনায় মৃতের সংখ্যা অপেক্ষাকৃত কম বলে মনে করা হচ্ছে। তবে নিহতদের প্রকৃত সংখ্যা কয়েকদিনের মধ্যেই পরিষ্কার হবে এবং অনেক বেশি হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। হাইয়ানের কারণে ১ কোটি ২০ লাখ লোক সংকটজনক অবস্থায় আছে বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। অক্টোবরে এক শক্তিশালী ভূমিকম্পে এলাকাটি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আগেই বিশ্বের সবচেয়ে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়লো অঞ্চলটি।
No comments