বিএনপির আন্দোলন by নুরুল ইসলাম বিএসসি
বিএনপি
প্রায় সময়ই আন্দোলনের ভয় দেখায়, আন্দোলন করে সরকার হটানোর কথা বলে, আসর
জমানোর চেষ্টা করে। এদের আন্দোলন ওই মাইক পর্যন্ত। সরকারের এখন শেষ সময়।
এমনিতেই কয়েক মাসের মধ্যে সরকারের মেয়াদ শেষ হবে। মেয়াদ শেষে সরকার চলে
যাওয়ার নামই কি তাহলে বিএনপির আন্দোলনের ফসল?
বিএনপি এখন অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। যেখানে সভা করতে যায়, সেখানেই মারামারি। কেন্দ্রীয় নেতারা অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় আন্দোলন করবে, নাকি নিজেদের মারামারি সামাল দেবে? আন্দোলনে সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততা থাকতে হয়। বিএনপি বিগত সাড়ে চার বছরে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়েও সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়নি। সাধারণ মানুষ ধরে নিয়েছে, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এবং ক্ষমতায় গিয়ে সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার জন্যই বিএনপি মরিয়া। এমনিতে মানুষ বিএনপিকে ক্ষমতা দিয়ে পরীক্ষা করে ফেলেছে, সাধারণ মানুষের অভিজ্ঞতা হয়েছে। বুদ্ধিমান হঠাৎ একবার গর্তে পড়লে বারবার পড়ে না। দেশের মানুষ বুদ্ধিমান। এরা দেখেশুনে কেন গর্তে পড়তে যাবে?
বিএনপি কোন ইস্যুটি নিয়ে আন্দোলন করতে চায়? আওয়ামী লীগ বিগত সাড়ে চার বছরে যে উন্নয়ন করেছে, তা চোখে পড়ার মতো। স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি যে কাজগুলো হয়েছে, তা সাধারণ মানুষের চোখের সামনে।
একদিনে ২৭ কোটি বই বিনামূল্যে ছাত্রছাত্রীদের হাতে পৌঁছে দেয়া চাট্টিখানি কথা নয়। বাংলাদেশের আয়তনের সমান জলরাশি, যেখানে লাখ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা নির্ভরশীল, জয় করে আনা আওয়ামী লীগ সরকারেরই কাজ। ঢাকার ফ্লাইওভারগুলো, চট্টগ্রামের ফ্লাইওভারগুলো মাথা উঁচু করে উন্নয়নের কথা বলছে। বৈদেশিক রিজার্ভ সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। গ্রামের মানুষের উপার্জন বৃদ্ধি শুধু নয়, এখন তারা শান্তিতে ঘুমায়। বিএনপির সময় ডাকাতের ভয়ে বিদেশফেরত গ্রামবাসী রাতে গাছে আশ্রয় নিতে বাধ্য হতো। এখন কিন্তু গ্রামের মানুষ শান্তিতে আছে। নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী এই সরকার শ্রমিকদের জন্য অনেক কাজ করেছে। সৌদি আরবে আকামা বদলের সুবিধাসহ অনেক অবৈধ অবস্থানকারীকে বৈধ করেছে। মালয়েশিয়ায় স্বল্প টাকায় শ্রমিক পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে, শ্রমিকদের কল্যাণে ব্যাংক স্থাপন করা হয়েছে।
নারীরা সমাজের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং তাদের পেছনে ফেলে রেখে প্রগতি সম্ভব নয় জেনে নারীদের ক্ষমতায়নের ব্যবস্থা করেছে। পক্ষান্তরে হেফাজত নারীদের ঘরে বন্দি রেখে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়ার প্রস্তাব দিয়েছে, যা বিএনপি সমর্থন করে। আমার বিশ্বাস, হেফাজতকে সমর্থন দিয়ে বিএনপি শুধু আদর্শচ্যুত হয়নি, নারীদের ভোটও হারিয়েছে। বিএনপি কিসের আন্দোলন করতে চায়? যতই দিন যাচ্ছে, তাদের অবকাঠামো নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে। বিএনপিতে এমন নেতৃত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না, দল যেখানে পতিত হয়েছে ওখান থেকে উঠিয়ে আনতে সক্ষম। তারেক রহমানকে নিজ দলের মানুষও সমর্থন করেন না, দেশের মানুষের কথা কী আর বলব।
এই সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তারেক রহমান দেশে আসতে পারবে বলে মনে হয় না। অপরদিকে আওয়ামী লীগ যদি আবার ক্ষমতায় আসে, বিএনপির খোয়াব চিরতরে নষ্ট হয়ে যাবে। মানুষ বিশ্বাস করে বিএনপিকে ভোট দিলে দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান হবে, নতুন নতুন বাংলাভাইয়ের সৃষ্টি হবে। জঙ্গিবাদের উত্থান ঠেকাতে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই বলে এদেশের সাধারণ মানুষের বিশ্বাস। সুতরাং বিএনপি যতই চেষ্টা করুক আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে, তারা কখনও সফল হবে না।
হ্যাঁ, আন্দোলনের অংশ হিসেবে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে মানুষের আস্থা আছে কি-না, তারা যা বলছেন সেখানে সত্যতা আছে কি-না, পরখ করে দেখতে পারেন। এতেই সবকিছুর সমাধান নিহিত।
নুরুল ইসলাম বিএসসি : সংসদ সদস্য ও কলাম লেখক
বিএনপি এখন অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। যেখানে সভা করতে যায়, সেখানেই মারামারি। কেন্দ্রীয় নেতারা অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় আন্দোলন করবে, নাকি নিজেদের মারামারি সামাল দেবে? আন্দোলনে সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততা থাকতে হয়। বিএনপি বিগত সাড়ে চার বছরে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়েও সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়নি। সাধারণ মানুষ ধরে নিয়েছে, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এবং ক্ষমতায় গিয়ে সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার জন্যই বিএনপি মরিয়া। এমনিতে মানুষ বিএনপিকে ক্ষমতা দিয়ে পরীক্ষা করে ফেলেছে, সাধারণ মানুষের অভিজ্ঞতা হয়েছে। বুদ্ধিমান হঠাৎ একবার গর্তে পড়লে বারবার পড়ে না। দেশের মানুষ বুদ্ধিমান। এরা দেখেশুনে কেন গর্তে পড়তে যাবে?
বিএনপি কোন ইস্যুটি নিয়ে আন্দোলন করতে চায়? আওয়ামী লীগ বিগত সাড়ে চার বছরে যে উন্নয়ন করেছে, তা চোখে পড়ার মতো। স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি যে কাজগুলো হয়েছে, তা সাধারণ মানুষের চোখের সামনে।
একদিনে ২৭ কোটি বই বিনামূল্যে ছাত্রছাত্রীদের হাতে পৌঁছে দেয়া চাট্টিখানি কথা নয়। বাংলাদেশের আয়তনের সমান জলরাশি, যেখানে লাখ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা নির্ভরশীল, জয় করে আনা আওয়ামী লীগ সরকারেরই কাজ। ঢাকার ফ্লাইওভারগুলো, চট্টগ্রামের ফ্লাইওভারগুলো মাথা উঁচু করে উন্নয়নের কথা বলছে। বৈদেশিক রিজার্ভ সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। গ্রামের মানুষের উপার্জন বৃদ্ধি শুধু নয়, এখন তারা শান্তিতে ঘুমায়। বিএনপির সময় ডাকাতের ভয়ে বিদেশফেরত গ্রামবাসী রাতে গাছে আশ্রয় নিতে বাধ্য হতো। এখন কিন্তু গ্রামের মানুষ শান্তিতে আছে। নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী এই সরকার শ্রমিকদের জন্য অনেক কাজ করেছে। সৌদি আরবে আকামা বদলের সুবিধাসহ অনেক অবৈধ অবস্থানকারীকে বৈধ করেছে। মালয়েশিয়ায় স্বল্প টাকায় শ্রমিক পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে, শ্রমিকদের কল্যাণে ব্যাংক স্থাপন করা হয়েছে।
নারীরা সমাজের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং তাদের পেছনে ফেলে রেখে প্রগতি সম্ভব নয় জেনে নারীদের ক্ষমতায়নের ব্যবস্থা করেছে। পক্ষান্তরে হেফাজত নারীদের ঘরে বন্দি রেখে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়ার প্রস্তাব দিয়েছে, যা বিএনপি সমর্থন করে। আমার বিশ্বাস, হেফাজতকে সমর্থন দিয়ে বিএনপি শুধু আদর্শচ্যুত হয়নি, নারীদের ভোটও হারিয়েছে। বিএনপি কিসের আন্দোলন করতে চায়? যতই দিন যাচ্ছে, তাদের অবকাঠামো নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে। বিএনপিতে এমন নেতৃত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না, দল যেখানে পতিত হয়েছে ওখান থেকে উঠিয়ে আনতে সক্ষম। তারেক রহমানকে নিজ দলের মানুষও সমর্থন করেন না, দেশের মানুষের কথা কী আর বলব।
এই সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তারেক রহমান দেশে আসতে পারবে বলে মনে হয় না। অপরদিকে আওয়ামী লীগ যদি আবার ক্ষমতায় আসে, বিএনপির খোয়াব চিরতরে নষ্ট হয়ে যাবে। মানুষ বিশ্বাস করে বিএনপিকে ভোট দিলে দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান হবে, নতুন নতুন বাংলাভাইয়ের সৃষ্টি হবে। জঙ্গিবাদের উত্থান ঠেকাতে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই বলে এদেশের সাধারণ মানুষের বিশ্বাস। সুতরাং বিএনপি যতই চেষ্টা করুক আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে, তারা কখনও সফল হবে না।
হ্যাঁ, আন্দোলনের অংশ হিসেবে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে মানুষের আস্থা আছে কি-না, তারা যা বলছেন সেখানে সত্যতা আছে কি-না, পরখ করে দেখতে পারেন। এতেই সবকিছুর সমাধান নিহিত।
নুরুল ইসলাম বিএসসি : সংসদ সদস্য ও কলাম লেখক
No comments