‘জামায়াত তার নীতি পরিবর্তন করে রাজনীতি করতে পারে’
গণফোরাম সভাপতি এবং সংবিধানের অন্যতম
প্রণেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, আমি মনে করি, জামায়াত রাজনীতি করতে পারবে
কী পারবে না সে বিষয়টিও সংলাপের মাধ্যমে সুরাহা হওয়া দরকার।
সংবিধানে
বলা আছে প্রত্যেক নাগরিক দল গঠন করে রাজনীতি করার অধিকার রাখে। কিন্তু
সেটা অবশ্যই ধর্মকে ব্যবহার করে নয়। ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনীতি করা
রাষ্ট্র অনুমোদন করেনি। ’৭২-এর সংবিধান প্রণয়নের পর জামায়াত তার গঠনতন্ত্র
থেকে সরে গিয়ে ভিন্ন নামে রাজনীতি করেছিল। ’৭৫-এর পর ফের জামায়াত তার
পূর্বের গঠনতন্ত্র নিয়ে ফিরে আসে রাজনীতিতে। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ’৭২
সংবিধানে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছে বলে সরকারের দাবি। এখন এমন পরিস্থিতিতে
জামায়াত তার নীতির পরিবর্তন করে রাজনীতি করতেই পারে। রাষ্ট্র, সংবিধান
মেনেই তো রাজনীতি।
সাপ্তাহিক এ প্রকাশিত এক সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন। সাপ্তাহিক এর পক্ষে সাক্ষাতকারটি নেন সায়েম সাবু। ড. কামাল হোসেন বলেন, জনগণ কি চায় সেটাই অনেক বড় বিষয়। সংলাপ হতে পারে, সংসদে আলোচনা হতে পারে। কেবল নির্বাচন নিয়ে সংলাপ হতে হবে তা তো নয়। অনেক বিষয় আছে, যা নিয়ে আলোচনা করা সময়ের দাবি। মুক্তিযুদ্ধের অর্জন ছিল একটি অসাম্প্রদায়িক সমাজ প্রতিষ্ঠা। এখানে সকলেই ধর্ম পালন করবে। কিন্তু ধর্মকে ব্যবহার করে কোনো প্রকার বিভেদ বা সন্ত্রাস সৃষ্টি করে রাজনীতি করার অধিকার নেই। সংবিধানের এই সত্যকে প্রতিষ্ঠা দিতে হলেও এখন আলোচনার প্রয়োজন। কীভাবে ধর্মের অপব্যাখ্যা হচ্ছে তা মানুষকে বুঝিয়েই অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গড়ে তুলতে হবে। কেবল নিষিদ্ধ করলেই সমাধান তা মনে করার কোনো কারণ নেই।
No comments