মিসরে আরব বসন্তের কবর?
আরব বসন্তের সূচনা হয় তিউনিসিয়ায়। এরপর তা ছড়িয়ে পড়ে মিসর, ইয়েমেন, লিবিয়া, বাহরাইন, সিরিয়াসহ কয়েকটি দেশে। কিন্তু এই দেশগুলোর সার্বিক পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, আরব বসন্ত ছুঁয়ে যাওয়া দেশগুলো যেন টিকে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে মিসরে আরব বসন্তের পর গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির ক্ষমতাচ্যুতি ও তাঁর সমর্থকদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর নৃশংস অভিযানে প্রশ্ন উঠেছে, মিসরে কি আরব বসন্তের কবর হচ্ছে? নাকি ওই অঞ্চলের দেশগুলোতে ইসলামপন্থীদের ক্ষমতায় যাওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষার কবর হচ্ছে?
মিসরে আরব বসন্তের সূচনা হয় প্রায় তিন দশকের শাসক হোসনি মোবারকের পতনের পর। দেশটির প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হন মুসলিম ব্রাদারহুড-সমর্থিত মোহাম্মদ মুরসি। কিন্তু মাত্র এক বছরের মাথায় ক্ষমতাচ্যুত হতে হয় তাঁকে। বিশ্লেষকদের মতে, দেশটির ভঙ্গুর অর্থনীতি সচল করতে উদ্যোগ না নেওয়া এবং রাজনৈতিক বিভক্তি দূর করার পরিবর্তে ‘একলা চলো নীতি’ নিয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার অভিলাষের কারণেই এই পরিণতি হয় মুরসি তথা ইসলামি ব্র্রাদারহুডের। তিউনিসিয়াবিষয়ক বিশ্লেষক জামেল আরফাউয়ি বলেন, ‘মিসরে ইসলামপন্থীদের এত দ্রুত পতন দেখে আমি বিস্মিত। আমার ধারণা ছিল, তুরস্কের ইসলামপন্থীদের কাছ থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে তারা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকবে।’ তিউনিসিয়ায় আরব বসন্তে জয়নুল আবেদিন বেন আলীর পতনের পর ইসলামপন্থী দল এন্নাহদা সরকার গঠন করলেও রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসেনি। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভেদ আরও বেড়েছে। ইয়েমেনে আলী আবদুল্লাহ সালেহর পদত্যাগ এবং লিবিয়ায় কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর দেশ দুটিতে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষমতা দখলের লড়াই চলছে। লিবিয়ায় এই লড়াই ইয়েমেনের চেয়ে অনেক বেশি প্রবল। আর সিরিয়ায় তো দুই বছরের বেশি সময় ধরে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদবিরোধী লড়াই চলছে। সেখানে বিরোধীদের কঠোরভাবে দমন করছেন তিনি। আর সাম্প্রতিক মিসরে বর্তমান পরিস্থিতিতে মনে হচ্ছে, দেশটিতে আরও রক্তপাত আসন্ন। এরই মধ্যে ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে আলোচনা শুরু হয়েছে। ব্রাদারহুড নিষিদ্ধ হোক বা না হোক, সংগঠনটির বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর নৃশংস অভিযান অব্যাহত থাকলে নেতা-কর্মীরা আত্মগোপনে যাবে। গোপন কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি তারা দীর্ঘমেয়াদে সরকারবিরোধী লড়াই শুরু করবে; যা মোবারকের পতনের পরও দীর্ঘমেয়াদি অস্থিরতার আভাস দিচ্ছে। সঙ্গে এটাও অনেকটা নিশ্চিত হয়েছে যে আরব বসন্তের সুফল মিসরের জনগণ পাচ্ছে না। তাই কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন, মিসরেই কি রচিত হচ্ছে আরব বসন্তের কবর?
মিসরে আরব বসন্তের সূচনা হয় প্রায় তিন দশকের শাসক হোসনি মোবারকের পতনের পর। দেশটির প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হন মুসলিম ব্রাদারহুড-সমর্থিত মোহাম্মদ মুরসি। কিন্তু মাত্র এক বছরের মাথায় ক্ষমতাচ্যুত হতে হয় তাঁকে। বিশ্লেষকদের মতে, দেশটির ভঙ্গুর অর্থনীতি সচল করতে উদ্যোগ না নেওয়া এবং রাজনৈতিক বিভক্তি দূর করার পরিবর্তে ‘একলা চলো নীতি’ নিয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার অভিলাষের কারণেই এই পরিণতি হয় মুরসি তথা ইসলামি ব্র্রাদারহুডের। তিউনিসিয়াবিষয়ক বিশ্লেষক জামেল আরফাউয়ি বলেন, ‘মিসরে ইসলামপন্থীদের এত দ্রুত পতন দেখে আমি বিস্মিত। আমার ধারণা ছিল, তুরস্কের ইসলামপন্থীদের কাছ থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে তারা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকবে।’ তিউনিসিয়ায় আরব বসন্তে জয়নুল আবেদিন বেন আলীর পতনের পর ইসলামপন্থী দল এন্নাহদা সরকার গঠন করলেও রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসেনি। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভেদ আরও বেড়েছে। ইয়েমেনে আলী আবদুল্লাহ সালেহর পদত্যাগ এবং লিবিয়ায় কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর দেশ দুটিতে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষমতা দখলের লড়াই চলছে। লিবিয়ায় এই লড়াই ইয়েমেনের চেয়ে অনেক বেশি প্রবল। আর সিরিয়ায় তো দুই বছরের বেশি সময় ধরে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদবিরোধী লড়াই চলছে। সেখানে বিরোধীদের কঠোরভাবে দমন করছেন তিনি। আর সাম্প্রতিক মিসরে বর্তমান পরিস্থিতিতে মনে হচ্ছে, দেশটিতে আরও রক্তপাত আসন্ন। এরই মধ্যে ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে আলোচনা শুরু হয়েছে। ব্রাদারহুড নিষিদ্ধ হোক বা না হোক, সংগঠনটির বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর নৃশংস অভিযান অব্যাহত থাকলে নেতা-কর্মীরা আত্মগোপনে যাবে। গোপন কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি তারা দীর্ঘমেয়াদে সরকারবিরোধী লড়াই শুরু করবে; যা মোবারকের পতনের পরও দীর্ঘমেয়াদি অস্থিরতার আভাস দিচ্ছে। সঙ্গে এটাও অনেকটা নিশ্চিত হয়েছে যে আরব বসন্তের সুফল মিসরের জনগণ পাচ্ছে না। তাই কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন, মিসরেই কি রচিত হচ্ছে আরব বসন্তের কবর?
No comments