সিনাইয়ে জঙ্গিদের রকেট হামলা, ২৫ পুলিশ নিহত
মিসরের সিনাই উপত্যকায় গতকাল সোমবার জঙ্গিদের রকেট হামলায় পুলিশের অন্তত ২৫ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। এরপরই মিসর সরকার রাফা সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। এরই মধ্যে সাবেক স্বৈরশাসক হোসনি মোবারক মুক্তি পাচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। দুর্নীতির মামলায় তিনি খালাস পাওয়ায় তাঁকে আদালত দ্রুত মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন বলে তাঁর আইনজীবী জানান। এদিকে মিসরের সংকট নিয়ে গতকাল জরুরি বৈঠক করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। কাল বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈঠক করে মিসরের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি পর্যালোচনা করবেন বলে বৈঠক শেষে জানানো হয়েছে। সিনাই উপত্যকায় গতকাল পুলিশের ২৫ সদস্যের প্রাণহানির ঘটনা বিগত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড়। এতে করে ওই এলাকায় নব্বইয়ের দশকের মতো অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রাজধানী কায়রো, আলেক্সান্দ্রিয়াসহ কয়েকটি এলাকায় চলতি সপ্তাহে ইসলামপন্থীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে প্রায় ৮০০ লোক নিহত হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা সীমান্তের কাছ দিয়ে দুটি বাসে করে যাচ্ছিলেন পুলিশ সদস্যরা। এ সময় অজ্ঞাত জঙ্গিরা বাস দুটি লক্ষ্য করে রকেটচালিত গ্রেনেড ছুড়লে হতাহতের ঘটনা ঘটে।২০১১ সাল স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের পতনের সময় থেকেই গাজা ও ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী সিনাই উপত্যকায় নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হয়। তবে গত ৩ জুলাই সেনাবাহিনী গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে সেখানকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও শোচনীয় হয়। কার্যত কয়েক সপ্তাহ ধরে মিসরজুড়েই সহিংসতা চলছে। মুরসিকে ক্ষমতায় পুনর্বহালের দাবিতে মুসলিম ব্রাদারহুডসহ তাঁর সমর্থক ইসলামপন্থী সংগঠনগুলো প্রতিদিনই বিক্ষোভ করছে। সর্বশেষ ১৪ আগস্ট কায়রোর রাব্বা আল-আদাবিয়া মসজিদের বাইরে এবং নাহদা স্কয়ার থেকে মুরসিপন্থী বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের মাধ্যমে যে রক্তপাত শুরু হয়েছে, তা থামার ন্যূনতম কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
১৪ আগস্ট থেকে সহিংসতায় এ পর্যন্ত ৮০০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। সর্বশেষ গত রোববার কারাগারে ৩৬ জন ইসলামপন্থীকে নিরাপত্তা বাহিনী হত্যা করেছে বলে ব্রাদারহুড দাবি করেছে। কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, ওই বন্দীরা একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করেছিলেন। তাঁকে মুক্ত করতে সেখানে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হলে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ওই বন্দীদের মৃত্যু হয়। বিক্ষোভকারীদের যেকোনো ধরনের সহিংসতা নিরাপত্তা বাহিনী প্রতিহত করবে বলে মিসরের সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি সতর্ক করে দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মাথায় ৩৬ বন্দী নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটল। সিসি বলেন, ‘দেশ ধ্বংস হওয়ার মুখে আমরা কখনোই নীরব থাকব না। আমরা এ জন্য প্রস্তুত রয়েছি।’ ইইউর জরুরি বৈঠক: মিসর-সংকট নিয়ে আলোচনার জন্য ইইউ গতকাল বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে জরুরি বৈঠক করেছে। বৈঠক শেষে জানানো হয়েছে, কাল বুধবার জোটের ২৮টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈঠক করে মিসরের সঙ্গে ইইউর সম্পর্কের বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে। এর আগে ইইউর কর্মকর্তারা গত রোববার সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, শিগগিরই কায়রোর সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি ‘জরুরি ভিত্তিতে পর্যালোচনা’ করা হবে। গত রোববার সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এক বৈঠকের পর ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ বলেন, ‘মিসরের মতো দেশে যে মাত্রায় সহিংসতা চলছে, তা অগ্রহণযোগ্য।’ এএফপি ও রয়টার্স।
পুলিশ জানায়, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা সীমান্তের কাছ দিয়ে দুটি বাসে করে যাচ্ছিলেন পুলিশ সদস্যরা। এ সময় অজ্ঞাত জঙ্গিরা বাস দুটি লক্ষ্য করে রকেটচালিত গ্রেনেড ছুড়লে হতাহতের ঘটনা ঘটে।২০১১ সাল স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের পতনের সময় থেকেই গাজা ও ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী সিনাই উপত্যকায় নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হয়। তবে গত ৩ জুলাই সেনাবাহিনী গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে সেখানকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও শোচনীয় হয়। কার্যত কয়েক সপ্তাহ ধরে মিসরজুড়েই সহিংসতা চলছে। মুরসিকে ক্ষমতায় পুনর্বহালের দাবিতে মুসলিম ব্রাদারহুডসহ তাঁর সমর্থক ইসলামপন্থী সংগঠনগুলো প্রতিদিনই বিক্ষোভ করছে। সর্বশেষ ১৪ আগস্ট কায়রোর রাব্বা আল-আদাবিয়া মসজিদের বাইরে এবং নাহদা স্কয়ার থেকে মুরসিপন্থী বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের মাধ্যমে যে রক্তপাত শুরু হয়েছে, তা থামার ন্যূনতম কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
১৪ আগস্ট থেকে সহিংসতায় এ পর্যন্ত ৮০০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। সর্বশেষ গত রোববার কারাগারে ৩৬ জন ইসলামপন্থীকে নিরাপত্তা বাহিনী হত্যা করেছে বলে ব্রাদারহুড দাবি করেছে। কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, ওই বন্দীরা একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করেছিলেন। তাঁকে মুক্ত করতে সেখানে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হলে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ওই বন্দীদের মৃত্যু হয়। বিক্ষোভকারীদের যেকোনো ধরনের সহিংসতা নিরাপত্তা বাহিনী প্রতিহত করবে বলে মিসরের সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি সতর্ক করে দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মাথায় ৩৬ বন্দী নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটল। সিসি বলেন, ‘দেশ ধ্বংস হওয়ার মুখে আমরা কখনোই নীরব থাকব না। আমরা এ জন্য প্রস্তুত রয়েছি।’ ইইউর জরুরি বৈঠক: মিসর-সংকট নিয়ে আলোচনার জন্য ইইউ গতকাল বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে জরুরি বৈঠক করেছে। বৈঠক শেষে জানানো হয়েছে, কাল বুধবার জোটের ২৮টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈঠক করে মিসরের সঙ্গে ইইউর সম্পর্কের বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে। এর আগে ইইউর কর্মকর্তারা গত রোববার সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, শিগগিরই কায়রোর সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি ‘জরুরি ভিত্তিতে পর্যালোচনা’ করা হবে। গত রোববার সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এক বৈঠকের পর ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ বলেন, ‘মিসরের মতো দেশে যে মাত্রায় সহিংসতা চলছে, তা অগ্রহণযোগ্য।’ এএফপি ও রয়টার্স।
No comments