বিজেপির সব পদ ছাড়লেন আদভানি-পদে ইস্তফা দিলেও দল ছাড়ছেন না
ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) জ্যেষ্ঠ
নেতা লালকৃষ্ণ আদভানি গতকাল সোমবার দলীয় সব পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। এভাবে
আকস্মিকভাবে তাঁর পদত্যাগ আগামী লোকসভা নির্বাচনের প্রচারাভিযানের প্রধান
হিসেবে নরেন্দ্র মোদির নিয়োগের বিরোধিতার বহিঃপ্রকাশ বলেই মনে করা হচ্ছে।
গোয়ায়
বিজেপির তিন দিনের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক শেষে গত রবিবার গুজরাটের
মুখ্যমন্ত্রী মোদিকে বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান নিয়োগ
দেওয়ার কথা জানানো হয়। দলের সভাপতি রাজনাথ সিং দাবি করেন, মোদির ব্যাপারে
সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে গোয়ার পানাজিতে
অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না দলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আদভানি। গত চার
দশকের রাজনীতির জীবনে এই প্রথম দলের এমন গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অনুপস্থিত
থাকেন তিনি। অনুপস্থিত ছিলেন দলের আরেক শীর্ষ নেত্রী উমা ভারতিও।
গতকাল রাজনাথকে পাঠানো পদত্যাগপত্রে আদভানি (৮৫) দলের পার্লামেন্টারি বোর্ড, নির্বাহী কমিটি ও নির্বাচনী প্রচার কমিটি থেকে একযোগে সরে দাঁড়ানোর কথা জানান। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আদভানির পদত্যাগের মধ্য দিয়ে দলের অভ্যন্তরীণ বিভাজন স্পষ্ট হলো। যদিও রাজনাথ জানিয়েছেন, আদভানির পদত্যাগপত্র তিনি গ্রহণ করেননি।
আদভানি তাঁর এক পৃষ্ঠার পদত্যাগপত্রে বলেছেন, 'কখনো কখনো আমি হয় দলের বর্তমান কর্মকাণ্ড ঘিরে মতপার্থক্য দূর করা, নয় দলের গতিপথের দিক নির্ণয়ের প্রশ্নে সবাইকে এক কাতারে দাঁড় করানোর প্রশ্নে প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়েছি। এখনকার অধিকাংশ নেতানেত্রীই কেবল তাঁদের ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি নিয়ে চিন্তিত।' পরিতাপের সঙ্গে তিনি বলেন, যে নীতি-আদর্শের ভিত্তিতে শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি, দীনদয়াল উপাধ্যায়, নানাজি দেশমুখ ও অটলবিহারির হাতে বিজেপি গড়ে উঠেছিল, দলে আজ আর সেই 'নীতি-আদর্শ নেই'। তবে দলের গুরুত্বপূর্ণ সব পদ থেকে ইস্তফা দিলেও দল ছাড়ার কোনো ঘোষণা দেননি আদভানি।
দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের ডিঙিয়ে মোদিকে নেতৃত্ব দেওয়ার ব্যাপারে আদভানি বরাবরই বিরোধী ছিলেন। এ ছাড়া গুজরাট দাঙ্গায় মোদির ভূমিকা নিয়েও রয়েছে বিতর্ক। তাই স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কাউকে দলের প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান করার পক্ষে ছিলেন আদভানিসহ দলের একাংশ। যদিও রবিবার চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর মোদি দাবি করেন, টেলিফোনে তিনি আদভানির সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁর আশীর্বাদ নিয়েছেন। গতকাল আদভানির ইস্তফা দেওয়ার ঘটনায় মোদির ওই দাবি 'ফাঁপা বুলি' ছিল বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। এ ছাড়া গতকাল মোদিকে সঙ্গে নিয়ে রাজনাথ আদভানির বাসভবনে যেতে চাইলেও আদভানি তাঁকে একা যেতে বলেন। রাজনাথ জানান, তিনি আদভানিকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত বদলের অনুরোধ জানিয়েছেন। অন্য শীর্ষ নেতারাও গতকাল আদভানির সঙ্গে দেখা করে দলের সঙ্গে যুক্ত থাকার অনুরোধ করেন। তবে আদভানি তাঁর সিদ্ধান্তে অনড় আছেন। সূত্র : পিটিআই, হিন্দু।
গতকাল রাজনাথকে পাঠানো পদত্যাগপত্রে আদভানি (৮৫) দলের পার্লামেন্টারি বোর্ড, নির্বাহী কমিটি ও নির্বাচনী প্রচার কমিটি থেকে একযোগে সরে দাঁড়ানোর কথা জানান। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আদভানির পদত্যাগের মধ্য দিয়ে দলের অভ্যন্তরীণ বিভাজন স্পষ্ট হলো। যদিও রাজনাথ জানিয়েছেন, আদভানির পদত্যাগপত্র তিনি গ্রহণ করেননি।
আদভানি তাঁর এক পৃষ্ঠার পদত্যাগপত্রে বলেছেন, 'কখনো কখনো আমি হয় দলের বর্তমান কর্মকাণ্ড ঘিরে মতপার্থক্য দূর করা, নয় দলের গতিপথের দিক নির্ণয়ের প্রশ্নে সবাইকে এক কাতারে দাঁড় করানোর প্রশ্নে প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়েছি। এখনকার অধিকাংশ নেতানেত্রীই কেবল তাঁদের ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি নিয়ে চিন্তিত।' পরিতাপের সঙ্গে তিনি বলেন, যে নীতি-আদর্শের ভিত্তিতে শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি, দীনদয়াল উপাধ্যায়, নানাজি দেশমুখ ও অটলবিহারির হাতে বিজেপি গড়ে উঠেছিল, দলে আজ আর সেই 'নীতি-আদর্শ নেই'। তবে দলের গুরুত্বপূর্ণ সব পদ থেকে ইস্তফা দিলেও দল ছাড়ার কোনো ঘোষণা দেননি আদভানি।
দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের ডিঙিয়ে মোদিকে নেতৃত্ব দেওয়ার ব্যাপারে আদভানি বরাবরই বিরোধী ছিলেন। এ ছাড়া গুজরাট দাঙ্গায় মোদির ভূমিকা নিয়েও রয়েছে বিতর্ক। তাই স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কাউকে দলের প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান করার পক্ষে ছিলেন আদভানিসহ দলের একাংশ। যদিও রবিবার চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর মোদি দাবি করেন, টেলিফোনে তিনি আদভানির সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁর আশীর্বাদ নিয়েছেন। গতকাল আদভানির ইস্তফা দেওয়ার ঘটনায় মোদির ওই দাবি 'ফাঁপা বুলি' ছিল বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। এ ছাড়া গতকাল মোদিকে সঙ্গে নিয়ে রাজনাথ আদভানির বাসভবনে যেতে চাইলেও আদভানি তাঁকে একা যেতে বলেন। রাজনাথ জানান, তিনি আদভানিকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত বদলের অনুরোধ জানিয়েছেন। অন্য শীর্ষ নেতারাও গতকাল আদভানির সঙ্গে দেখা করে দলের সঙ্গে যুক্ত থাকার অনুরোধ করেন। তবে আদভানি তাঁর সিদ্ধান্তে অনড় আছেন। সূত্র : পিটিআই, হিন্দু।
No comments