দৈনন্দিন বিজ্ঞান-মশা যেভাবে রক্ত হজম করে
একেক প্রাণীর একেক রকম খাবার। পৃথিবীর
বেশির ভাগ প্রাণীই উদ্ভিদের বিভিন্ন অংশ ভক্ষণ করে বাঁচে। তবে এমনও অনেক
প্রাণী বা কীট আছে, যারা অন্য প্রাণীর রক্ত খেয়ে বাঁচে। যেমন মশা মানুষ এবং
অন্য কিছু প্রাণীর রক্ত খেয়ে জীবন ধারণ করে।
স্ত্রী মশার
জীবন চক্রের একটি মজার ঘটনা হলো রক্ত হজম এবং ডিম উৎপাদন। মশার রক্ত শরীরে
গ্রহণ করার পর উদরের ঠিক মধ্যভাগে প্রোটিওলাইটক এনজাইমের মাধ্যমে রক্তের
প্রোটিনকে অ্যামিনো এসিড পরিণত করে। এবং এই অ্যামিনো এসিডই ডিমের কুসুমের
প্রোটিন অংশের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। যদিও বেশির ভাগ প্রজাতির মশা
ট্রপিক্যাল ও সাব ট্রপিক্যাল এলাকায় বসবাস করে। এদের মধ্যে এডিসসহ কিছু
কিছু প্রজাতি ঠাণ্ডা এলাকায় থাকতে পছন্দ করে। তবে গরম ও বেশি আর্দ্রতার
এলাকায় এদের কার্যক্ষমতা অধিক। মশা যখন ডিম উৎপন্ন করে তা গরম এলাকার চেয়ে
ঠাণ্ডা এলাকায় বেশি প্রতিকূলতা সহ্য করতে পারে। এমনকি যেখানে তুষারপাত হয়
এবং যেসব স্থানে তাপমাত্রা শূন্যের কাছাকাছি সেখানেও ডিমগুলো টিকে থাকতে
পারে। আরো আশ্চর্যের ব্যাপার হলো বয়স্ক মশাগুলো একেবারে ঠাণ্ডা জায়গায় অনেক
কম স্থানেও স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাস করতে পারে। তবে সারা বিশ্বের মধ্যে নদী
এলাকায় বা নদীর উপকূলেও মশার আধিক্য বেশি দেখা যায়। কারণ এসব এলাকায় এদের
জীবনচক্রের খুবই গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় অর্থাৎ ডিম, লার্ভা এবং পিউপিগুলো
(একবচনে পিউপা) চলাচল এবং উপযুক্ত খাবারের সুবিধা পায়।
No comments