প্রধানমন্ত্রীকেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে সংলাপ নিয়ে আর ধোঁয়াশা নয়
নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে আলোচনার
সম্ভাবনা কখনো উজ্জ্বল, কখনো নিষপ্রভ। এর পক্ষে-বিপক্ষে যে বিভাজনরেখা
তৈরি হয়েছে, তার কোন পাশে সরকারের অবস্থান, তা স্পষ্ট হওয়া দরকার।
গত শনিবার প্রধানমন্ত্রী বিএনপির ওপর দায় চাপিয়ে বলেছেন, সংসদে তাদের আনা
মুলতবি প্রস্তাব প্রত্যাহার করে বিএনপি বুঝিয়ে দিয়েছে যে ওরা আলোচনা চায়
না। এ কারণে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে বলে তিনি আবারও জোরেশোরে ঘোষণা
করলেন। কিন্তু একই দিনে অন্য এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী বিরোধী দলকে আবারও
নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে
বলেছেন, সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে সরকারি দল কোনো প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করবে
না।
দেশবাসী চায়, আগামী নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হোক। জাতিসংঘ থেকে শুরু করে ইউরোপ-আমেরিকাও এটা চায়। এখন প্রধানমন্ত্রীকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তিনি কোন দিকে থাকবেন। বিএনপি কী চায় বা চায় না, তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রধানমন্ত্রী কী চান। অন্যদিকে, জাতীয় সংসদের স্পিকার বলেছেন, মুলতবি প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নিলেও বিএনপির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সুযোগ রয়েছে। তিনি বিএনপিকে কার্যত আলোচনায় ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত অবস্থানের সঙ্গে স্পিকারের অবস্থানেরও পার্থক্য দেখা যাচ্ছে। এই অসংগতিও দূর হওয়া দরকার।
রাজনৈতিক অস্থিরতা দূর করার জন্য আলোচনার বিকল্প নেই। যদিও সামনে চারটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন, এরপর পবিত্র রমজান মাস, তারপর যদি ঢাকায় দুটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয়, তাহলে হয়তো আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরকারি ও বিরোধী দল ব্যস্ত থাকবে। কিন্তু এরপর কী হবে?
বিএনপি সংসদে সংলাপের বিষয়ে তাদের মুলতবি প্রস্তাব ফিরিয়ে নিলেও শনিবার দলের স্থায়ী কমিটির সভায় নির্দলীয় সরকারের দাবিতে নতুন করে আন্দোলনের কর্মসূচি চূড়ান্ত করেনি; বরং সরকার নির্বাচনের সময় সংসদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে বিএনপি স্বাগত জানাবে বলে সতর্ক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তাদের এই সতর্ক প্রতিক্রিয়াকে সরকারের উচিত ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা। অনিশ্চিত রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহে বিএনপির এ মনোভাব নিশ্চিতভাবেই একধাপ অগ্রগতি। জাতীয় নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দেওয়ার কথা শেখ হাসিনা বাজেট পেশের দিন সংসদীয় দলের বৈঠকে বলেছেন, এমন খবর পত্রিকায় বেরিয়েছে।
স্পিকার, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও প্রধান বিরোধী দল বিএনপির বিভিন্ন কথা ও মন্তব্যের ছিন্ন টুকরোগুলো একত্র করে নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার অভিন্ন সিদ্ধান্তে আসা যায় কি না, সেটাই এখন উভয় পক্ষের প্রধান বিবেচ্য বিষয় হওয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রী সম্ভাবনাকে প্রাধান্য দিলে কাজটি সহজ হয়ে যাবে।
দেশবাসী চায়, আগামী নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হোক। জাতিসংঘ থেকে শুরু করে ইউরোপ-আমেরিকাও এটা চায়। এখন প্রধানমন্ত্রীকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তিনি কোন দিকে থাকবেন। বিএনপি কী চায় বা চায় না, তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রধানমন্ত্রী কী চান। অন্যদিকে, জাতীয় সংসদের স্পিকার বলেছেন, মুলতবি প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নিলেও বিএনপির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সুযোগ রয়েছে। তিনি বিএনপিকে কার্যত আলোচনায় ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত অবস্থানের সঙ্গে স্পিকারের অবস্থানেরও পার্থক্য দেখা যাচ্ছে। এই অসংগতিও দূর হওয়া দরকার।
রাজনৈতিক অস্থিরতা দূর করার জন্য আলোচনার বিকল্প নেই। যদিও সামনে চারটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন, এরপর পবিত্র রমজান মাস, তারপর যদি ঢাকায় দুটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয়, তাহলে হয়তো আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরকারি ও বিরোধী দল ব্যস্ত থাকবে। কিন্তু এরপর কী হবে?
বিএনপি সংসদে সংলাপের বিষয়ে তাদের মুলতবি প্রস্তাব ফিরিয়ে নিলেও শনিবার দলের স্থায়ী কমিটির সভায় নির্দলীয় সরকারের দাবিতে নতুন করে আন্দোলনের কর্মসূচি চূড়ান্ত করেনি; বরং সরকার নির্বাচনের সময় সংসদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে বিএনপি স্বাগত জানাবে বলে সতর্ক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তাদের এই সতর্ক প্রতিক্রিয়াকে সরকারের উচিত ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা। অনিশ্চিত রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহে বিএনপির এ মনোভাব নিশ্চিতভাবেই একধাপ অগ্রগতি। জাতীয় নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দেওয়ার কথা শেখ হাসিনা বাজেট পেশের দিন সংসদীয় দলের বৈঠকে বলেছেন, এমন খবর পত্রিকায় বেরিয়েছে।
স্পিকার, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও প্রধান বিরোধী দল বিএনপির বিভিন্ন কথা ও মন্তব্যের ছিন্ন টুকরোগুলো একত্র করে নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার অভিন্ন সিদ্ধান্তে আসা যায় কি না, সেটাই এখন উভয় পক্ষের প্রধান বিবেচ্য বিষয় হওয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রী সম্ভাবনাকে প্রাধান্য দিলে কাজটি সহজ হয়ে যাবে।
No comments