লন্ডনে মসজিদ ও মুসলিম স্থাপনায় পুলিশি প্রহরা
কেন্টের একটি ইসলামি আবাসিক স্কুলে গত
শনিবার মধ্যরাতে সন্দেহজনক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার এক দিন পর গতকাল সোমবার থেকে
লন্ডন ও এর আশপাশে বিভিন্ন মসজিদ ও ইসলামি স্থাপনায় সার্বক্ষণিক পুলিশি
প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের
কমিশনার বার্নাড হোগান হাও গত রোববার রাতে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, যেসব
প্রতিষ্ঠানকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে তাঁরা মনে করছেন, সেসব জায়গায় পোশাকধারী
পুলিশকে সার্বক্ষণিক প্রহরার ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে লন্ডনের বাইরে কেন্টের চিজেলহার্স্টে দারুল উলুম স্কুলে শনিবার মধ্যরাতের পর আগুনের ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এদের মধ্যে দুজনের বয়স ১৮ বছরের নিচে এবং অপর দুজনের ১৮-এর ওপরে। তবে এখনো তাদের বিরুদ্ধে কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়নি।
দারুল উলুম স্কুলে আগুনের সময় আবাসিক ছাত্রাবাস ও এর নিকটবর্তী তত্ত্বাবধায়কদের আবাসে মোট ১২৮ জন বাসিন্দা ছিলেন। তাঁদের মধ্যে চারজন ধোঁয়ার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ায় চিকিৎসা দিতে হয়েছে। দারুল উলুম স্কুলটি উলইচ থেকে মাত্র ছয় মাইল দূরে, যেখানে গত ২২ মে লি রিগবি নামের একজন ব্রিটিশ সেনা কয়েকজন ইসলামি উগ্রপন্থীর ছুরিকাঘাতে নিহত হন।
রিগবির মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জায়গায় মুসলমানদের ওপর নানা ধরনের ভীতি প্রদর্শন, হয়রানি ও লাঞ্ছনার ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ার খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হতে থাকে।
লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ জানায়, মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর এ ধরনের বর্ণবাদী হামলা ও লাঞ্ছনার ঘটনার খবর এখন গড়ে দৈনিক আটটি করে ঘটছে বলে তারা খবর পাচ্ছে।
অন্য একটি নাগরিক অধিকার গোষ্ঠী ফেইথ ম্যাটার্স জানায়, রিগবি হত্যার পর প্রথম দুই দিনে তাদের কাছে এ ধরনের অভিযোগ এসেছে শতাধিক। সপ্তাহ খানেক আগে উত্তর লন্ডনের মুজওয়েল হিলে একটি ইসলামি সামাজিক কেন্দ্রে অগ্নিসেংযোগের ঘটনা ঘটে। সেখানে দেয়ালে বর্ণবাদী গোষ্ঠী ইংলিশ ডিফেন্স লিগের (ইডিএল) চিকা লাগানো ছিল।
দারুল উলুম স্কুলে কিছু বাংলাদেশি পরিবারের ছেলেরাও পড়াশোনা করে এবং তাদের অভিভাবকেরা বর্তমান পরিস্থিতিতে কিছুটা উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছেন। তবে পুলিশের কর্মকর্তারা এবং মুসলমান, খ্রিষ্টান ও ইহুদি ধর্মের নেতারা বিভিন্ন এলাকায় সুযোগসন্ধানী বর্ণবাদী গোষ্ঠীগুলোর সম্ভাব্য হাঙ্গামার বিরুদ্ধে সজাগ ও ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে লন্ডনের বাইরে কেন্টের চিজেলহার্স্টে দারুল উলুম স্কুলে শনিবার মধ্যরাতের পর আগুনের ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এদের মধ্যে দুজনের বয়স ১৮ বছরের নিচে এবং অপর দুজনের ১৮-এর ওপরে। তবে এখনো তাদের বিরুদ্ধে কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়নি।
দারুল উলুম স্কুলে আগুনের সময় আবাসিক ছাত্রাবাস ও এর নিকটবর্তী তত্ত্বাবধায়কদের আবাসে মোট ১২৮ জন বাসিন্দা ছিলেন। তাঁদের মধ্যে চারজন ধোঁয়ার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ায় চিকিৎসা দিতে হয়েছে। দারুল উলুম স্কুলটি উলইচ থেকে মাত্র ছয় মাইল দূরে, যেখানে গত ২২ মে লি রিগবি নামের একজন ব্রিটিশ সেনা কয়েকজন ইসলামি উগ্রপন্থীর ছুরিকাঘাতে নিহত হন।
রিগবির মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জায়গায় মুসলমানদের ওপর নানা ধরনের ভীতি প্রদর্শন, হয়রানি ও লাঞ্ছনার ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ার খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হতে থাকে।
লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ জানায়, মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর এ ধরনের বর্ণবাদী হামলা ও লাঞ্ছনার ঘটনার খবর এখন গড়ে দৈনিক আটটি করে ঘটছে বলে তারা খবর পাচ্ছে।
অন্য একটি নাগরিক অধিকার গোষ্ঠী ফেইথ ম্যাটার্স জানায়, রিগবি হত্যার পর প্রথম দুই দিনে তাদের কাছে এ ধরনের অভিযোগ এসেছে শতাধিক। সপ্তাহ খানেক আগে উত্তর লন্ডনের মুজওয়েল হিলে একটি ইসলামি সামাজিক কেন্দ্রে অগ্নিসেংযোগের ঘটনা ঘটে। সেখানে দেয়ালে বর্ণবাদী গোষ্ঠী ইংলিশ ডিফেন্স লিগের (ইডিএল) চিকা লাগানো ছিল।
দারুল উলুম স্কুলে কিছু বাংলাদেশি পরিবারের ছেলেরাও পড়াশোনা করে এবং তাদের অভিভাবকেরা বর্তমান পরিস্থিতিতে কিছুটা উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছেন। তবে পুলিশের কর্মকর্তারা এবং মুসলমান, খ্রিষ্টান ও ইহুদি ধর্মের নেতারা বিভিন্ন এলাকায় সুযোগসন্ধানী বর্ণবাদী গোষ্ঠীগুলোর সম্ভাব্য হাঙ্গামার বিরুদ্ধে সজাগ ও ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
No comments