যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারি তৎপরতা তথ্য ফাঁসের কথা স্বীকার সিআইএর সাবেক কর্মীর
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) সাবেক
কারিগরি কর্মী অ্যাডওয়ার্ড স্নোডেন যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারি তৎপরতা সম্পর্কে
বিভিন্ন গোপন তথ্য ফাঁসের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
যুক্তরাজ্যের
সংবাদপত্র গার্ডিয়ানকে তিনি বলেছেন, বিশ্বজুড়ে জনগণের মৌলিক স্বাধীনতা
রক্ষার স্বার্থে তিনি বিবেকের তাগিদে এসব তথ্য ফাঁস করেন।
সম্প্রতি গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি (এনএসএ) দেশটির লাখ লাখ নাগরিকের টেলিফোন রেকর্ড সংগ্রহ করছে। এর আগে দুটি সংবাদ মাধ্যমে খবর বের হয়, ইন্টারনেটের বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর নজর রাখছে এনএসএ। এ খবর প্রকাশের পর কড়া সমালোচনার মুখে পড়ে মার্কিন প্রশাসন। তবে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ওই নজরদারি কর্মসূচিকে জোরালো সমর্থন দেন।
২৯ বছর বয়সী স্নোডেন ২০০৩ সালে মার্কিন সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ইরাক যুদ্ধেও তিনি লড়াই করেন। সামরিক প্রশিক্ষণ চলাকালে দুর্ঘটনায় তাঁর দুই পা ভেঙে যায়। এরপর তাঁকে সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
স্নোডেন বলেন, ‘আমার মনে হয়েছে, একজন মানুষ হিসেবে মানুষকে নির্যাতন থেকে রক্ষা করা আমার নৈতিক দায়িত্ব। আমাদের অধিকাংশ প্রশিক্ষকই আরবদের হত্যায় উৎসাহিত করতেন, কাউকে সাহায্য করার ব্যাপারে নয়।’
সেনাবাহিনী থেকে বেরিয়ে গোয়েন্দা সংস্থায় যোগ দেন স্নোডেন। উচ্চবিদ্যালয়ের পড়াশোনা অসমাপ্ত থাকা সত্ত্বেও কম্পিউটারে বিশেষ দক্ষতার জন্য তাঁর পদোন্নতি হয় এবং তিনি ২০০৭ সালে জেনেভায় সিআইএর কর্মী হিসেবে একটি কূটনৈতিক দপ্তরে নিযুক্ত হন। সেখানেই তিনি প্রথম সরকারি গোপন নথিপত্র ফাঁস করেন। তিনি বলেন, জেনেভায় সবকিছু দেখে তাঁর মোহ কেটে যায় এবং তিনি সরকারের কাজকর্ম এবং বিশ্বের ওপর তার সম্ভাব্য প্রভাব বুঝতে সমর্থ হন। তিনি উপলব্ধি করেন, তাঁর কাজকর্মের ক্ষতিকর পরিণামই বেশি। তবে তাঁর আশা ছিল, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা পুনর্নির্বাচিত হলে হয়তো পরিবর্তন আসবে। সেই সম্ভাবনা দূর হয়ে যাওয়ার পর পরই তিনি সরকারি তথ্য ফাঁসের উদ্যোগ নেন এবং বিভিন্ন সংবাদপত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
যুক্তরাজ্যের গার্ডিয়ান ও যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় গত সপ্তাহে স্নোডেনের দেওয়া তথ্যের অংশবিশেষ প্রকাশিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে গোয়েন্দা তথ্য ফাঁসের এটি সবচেয়ে বড় ঘটনাগুলোর একটি। গার্ডিয়ান কর্তৃপক্ষ জানায়, স্নোডেনের অনুরোধেই তাঁর পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি এখন আইসল্যান্ডে রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণের ব্যাপারে আগ্রহী।
‘স্নোডেনের হংকং ছেড়ে যাওয়া উচিত’
মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ফাঁস করে বিশ্বজুড়ে আলোচিত স্নোডেন বর্তমানে হংকংয়ের একটি হোটেলে গত ২০ মে থেকে অবস্থান করছেন। চীনপন্থী স্থানীয় প্রবীণ আইনপ্রণেতা রেজিনা ইপ বলেন, মার্কিন সরকারের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী ওই পলাতক ব্যক্তিকে (স্নোডেন) যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ করতে হবে। তাই এখন নিজের ভালোর জন্যই তাঁর হংকং ত্যাগ করা উচিত। তিনি হয়তো ওই চুক্তির ব্যাপারে অবগত নন। এএফপি ও বিবিসি।
সম্প্রতি গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি (এনএসএ) দেশটির লাখ লাখ নাগরিকের টেলিফোন রেকর্ড সংগ্রহ করছে। এর আগে দুটি সংবাদ মাধ্যমে খবর বের হয়, ইন্টারনেটের বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর নজর রাখছে এনএসএ। এ খবর প্রকাশের পর কড়া সমালোচনার মুখে পড়ে মার্কিন প্রশাসন। তবে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ওই নজরদারি কর্মসূচিকে জোরালো সমর্থন দেন।
২৯ বছর বয়সী স্নোডেন ২০০৩ সালে মার্কিন সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ইরাক যুদ্ধেও তিনি লড়াই করেন। সামরিক প্রশিক্ষণ চলাকালে দুর্ঘটনায় তাঁর দুই পা ভেঙে যায়। এরপর তাঁকে সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
স্নোডেন বলেন, ‘আমার মনে হয়েছে, একজন মানুষ হিসেবে মানুষকে নির্যাতন থেকে রক্ষা করা আমার নৈতিক দায়িত্ব। আমাদের অধিকাংশ প্রশিক্ষকই আরবদের হত্যায় উৎসাহিত করতেন, কাউকে সাহায্য করার ব্যাপারে নয়।’
সেনাবাহিনী থেকে বেরিয়ে গোয়েন্দা সংস্থায় যোগ দেন স্নোডেন। উচ্চবিদ্যালয়ের পড়াশোনা অসমাপ্ত থাকা সত্ত্বেও কম্পিউটারে বিশেষ দক্ষতার জন্য তাঁর পদোন্নতি হয় এবং তিনি ২০০৭ সালে জেনেভায় সিআইএর কর্মী হিসেবে একটি কূটনৈতিক দপ্তরে নিযুক্ত হন। সেখানেই তিনি প্রথম সরকারি গোপন নথিপত্র ফাঁস করেন। তিনি বলেন, জেনেভায় সবকিছু দেখে তাঁর মোহ কেটে যায় এবং তিনি সরকারের কাজকর্ম এবং বিশ্বের ওপর তার সম্ভাব্য প্রভাব বুঝতে সমর্থ হন। তিনি উপলব্ধি করেন, তাঁর কাজকর্মের ক্ষতিকর পরিণামই বেশি। তবে তাঁর আশা ছিল, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা পুনর্নির্বাচিত হলে হয়তো পরিবর্তন আসবে। সেই সম্ভাবনা দূর হয়ে যাওয়ার পর পরই তিনি সরকারি তথ্য ফাঁসের উদ্যোগ নেন এবং বিভিন্ন সংবাদপত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
যুক্তরাজ্যের গার্ডিয়ান ও যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় গত সপ্তাহে স্নোডেনের দেওয়া তথ্যের অংশবিশেষ প্রকাশিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে গোয়েন্দা তথ্য ফাঁসের এটি সবচেয়ে বড় ঘটনাগুলোর একটি। গার্ডিয়ান কর্তৃপক্ষ জানায়, স্নোডেনের অনুরোধেই তাঁর পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি এখন আইসল্যান্ডে রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণের ব্যাপারে আগ্রহী।
‘স্নোডেনের হংকং ছেড়ে যাওয়া উচিত’
মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ফাঁস করে বিশ্বজুড়ে আলোচিত স্নোডেন বর্তমানে হংকংয়ের একটি হোটেলে গত ২০ মে থেকে অবস্থান করছেন। চীনপন্থী স্থানীয় প্রবীণ আইনপ্রণেতা রেজিনা ইপ বলেন, মার্কিন সরকারের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী ওই পলাতক ব্যক্তিকে (স্নোডেন) যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ করতে হবে। তাই এখন নিজের ভালোর জন্যই তাঁর হংকং ত্যাগ করা উচিত। তিনি হয়তো ওই চুক্তির ব্যাপারে অবগত নন। এএফপি ও বিবিসি।
No comments