বোমাবাজির হরতাল-সহিংসতার রাজনীতি বন্ধ হোক
রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সহিংসতা যেন
অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। আন্দোলনের আরেক নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে হরতাল। আর হরতাল
মানেই সহিংসতা, ভাঙচুর, যানবাহনে আগুন দেওয়া; মিছিলের নামে যত্রতত্র
বোমাবাজি।
প্রতিবাদের ভাষা দিন দিন হিংস্রতার দিকে ধাবিত
হচ্ছে। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নৈতিকতাকে সমর্থন করছে কি না, সে প্রশ্নটিও
স্বাভাবিকভাবেই প্রকট হয়ে দেখা দিচ্ছে। প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে রাজনৈতিক
কর্মকাণ্ডের গ্রহণযোগ্যতা, যা সাধারণ মানুষকে রাজনীতির প্রতি বিতৃষ্ণ করে
তুলছে।
হরতাল প্রসঙ্গে আমরা বরাবর বলে এসেছি, এই নামের রাজনৈতিক কর্মসূচিটি অনেক আগেই নৈতিক শক্তি ও সমর্থন হারিয়ে বসে আছে। গণতান্ত্রিক অধিকারের নামে চাপিয়ে দেওয়া হরতাল এখন অধিকার কেড়ে নেওয়ার কর্মসূচি। যেখানে মানুষের অধিকার নিশ্চিত করাই রাজনৈতিক দলগুলোর লক্ষ্য হওয়া উচিত, সেখানে হরতাল নামের রাজনৈতিক কর্মসূচি দেশের বেশির ভাগ মানুষের রুটি-রুজির অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। আবার হরতাল ডেকে ঘরে বসে থাকাটাও যেন সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের নেতাদের সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। রাস্তায় যাদের বোমাবাজি করতে দেখা যায়, তারা কি তাহলে ওই রাজনৈতিক দলের আদর্শের সৈনিক? নাকি ভাড়াটে দুর্বৃত্তদেরই এসব কাজে ব্যবহার করা হয়?
রাজনৈতিক দলের প্রতিবাদের ভাষা কেন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হবে না, তা আমাদের বোধগম্য নয়। শান্তিকামী সমাজে ত্রাস সৃষ্টি করে রাজনৈতিক জনসমর্থন বাড়বে- এটা বোধ হয় আজকের দিনে আশা করা যায় না। অথচ হরতাল বা আন্দোলনের নামে ত্রাস সৃষ্টির চিত্র হামেশাই পরিলক্ষিত হয়। যেমন হয়েছে সোমবারের হরতালের আগের দিন। তথ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গেটে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। হরতাল আহ্বানের পর রবিবার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সোমবারের হরতালে রাজধানীর চিত্র ছিল বরাবরের মতোই। রাস্তায় যানবাহন চলাচল ছিল স্বাভাবিক। শুধু দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি। সরকারি কিংবা বেসরকারি অফিস-আদালতে হরতালের কোনো প্রভাব পড়েনি। হরতাল আহ্বানকারী রাজনৈতিক দলটি শুধু সাধারণ মানুষকে একটি দিনের জন্য সন্ত্রস্ত করতে পেরেছে। রাষ্ট্রীয় সম্পদের পাশাপাশি মানুষের সম্পদের হানি হয়েছে।
আমরা মনে করি, রাজনৈতিক দলগুলোকে এখন কর্মসূচি নিয়ে ভাবতে হবে। পৃথিবী অনেক এগিয়ে গেছে। এই অগ্রসর সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বর্তমান সময়ের উপযোগী রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে মানুষের কাছাকাছি আসতে হবে। অধিকার কেড়ে নেওয়ার মতো কর্মসূচি রাজনৈতিক দলগুলোকে জনবিচ্ছিন্ন করে ফেলবে, এমন আশঙ্কাও অমূলক নয়। কারণ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ও চলাফেরা-কাজ করার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অধিকার কোনো রাজনৈতিক দলের নেই। তাই রাজনৈতিক দলগুলোকে নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তার আগে বন্ধ করতে হবে সহিংসতার রাজনীতি এবং জবরদস্তির হরতাল।
হরতাল প্রসঙ্গে আমরা বরাবর বলে এসেছি, এই নামের রাজনৈতিক কর্মসূচিটি অনেক আগেই নৈতিক শক্তি ও সমর্থন হারিয়ে বসে আছে। গণতান্ত্রিক অধিকারের নামে চাপিয়ে দেওয়া হরতাল এখন অধিকার কেড়ে নেওয়ার কর্মসূচি। যেখানে মানুষের অধিকার নিশ্চিত করাই রাজনৈতিক দলগুলোর লক্ষ্য হওয়া উচিত, সেখানে হরতাল নামের রাজনৈতিক কর্মসূচি দেশের বেশির ভাগ মানুষের রুটি-রুজির অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। আবার হরতাল ডেকে ঘরে বসে থাকাটাও যেন সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের নেতাদের সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। রাস্তায় যাদের বোমাবাজি করতে দেখা যায়, তারা কি তাহলে ওই রাজনৈতিক দলের আদর্শের সৈনিক? নাকি ভাড়াটে দুর্বৃত্তদেরই এসব কাজে ব্যবহার করা হয়?
রাজনৈতিক দলের প্রতিবাদের ভাষা কেন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হবে না, তা আমাদের বোধগম্য নয়। শান্তিকামী সমাজে ত্রাস সৃষ্টি করে রাজনৈতিক জনসমর্থন বাড়বে- এটা বোধ হয় আজকের দিনে আশা করা যায় না। অথচ হরতাল বা আন্দোলনের নামে ত্রাস সৃষ্টির চিত্র হামেশাই পরিলক্ষিত হয়। যেমন হয়েছে সোমবারের হরতালের আগের দিন। তথ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গেটে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। হরতাল আহ্বানের পর রবিবার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সোমবারের হরতালে রাজধানীর চিত্র ছিল বরাবরের মতোই। রাস্তায় যানবাহন চলাচল ছিল স্বাভাবিক। শুধু দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি। সরকারি কিংবা বেসরকারি অফিস-আদালতে হরতালের কোনো প্রভাব পড়েনি। হরতাল আহ্বানকারী রাজনৈতিক দলটি শুধু সাধারণ মানুষকে একটি দিনের জন্য সন্ত্রস্ত করতে পেরেছে। রাষ্ট্রীয় সম্পদের পাশাপাশি মানুষের সম্পদের হানি হয়েছে।
আমরা মনে করি, রাজনৈতিক দলগুলোকে এখন কর্মসূচি নিয়ে ভাবতে হবে। পৃথিবী অনেক এগিয়ে গেছে। এই অগ্রসর সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বর্তমান সময়ের উপযোগী রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে মানুষের কাছাকাছি আসতে হবে। অধিকার কেড়ে নেওয়ার মতো কর্মসূচি রাজনৈতিক দলগুলোকে জনবিচ্ছিন্ন করে ফেলবে, এমন আশঙ্কাও অমূলক নয়। কারণ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ও চলাফেরা-কাজ করার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অধিকার কোনো রাজনৈতিক দলের নেই। তাই রাজনৈতিক দলগুলোকে নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তার আগে বন্ধ করতে হবে সহিংসতার রাজনীতি এবং জবরদস্তির হরতাল।
No comments