সবকিছুই পোশাকমালিকদের জন্য by মনজুর আহমেদ ও জাহাঙ্গীর শাহ
বস্ত্র ও পোশাক খাতের মালিকেরা সরকারকে কর
দেন অল্পই, কিন্তু এর চেয়ে অনেক বেশি টাকার নগদ সহায়তা নিয়ে যান সরকার
থেকে। অন্যরা সরকারকে যে পরিমাণ কর দেন, তার দশ ভাগের এক ভাগও পোশাক খাত
থেকে সরকার পায় না।পোশাকমালিকদের কাছ থেকে সরকার আয়করও পায় সামান্য।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নথি অনুযায়ী, অধিকাংশ পোশাকমালিক অল্পই
আয় করেন। আয়করও দেন অনেক কম। পোশাকমালিকদের বিরুদ্ধে কর ফাঁকিরও নানা
ধরনের অভিযোগ রয়েছে এনবিআরে।পোশাক খাতের জন্য রয়েছে সরকারের নানা ধরনের
সুবিধা। কাঁচামাল আনা থেকে শুরু করে রপ্তানি পর্যন্ত, প্রতিটি পর্যায়েই এই
খাতকে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা। বিপুল পরিমাণ কর্মসংস্থান এবং
বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের স্বার্থে পোশাক খাত যা চায়, ঠিক তা-ই পায়।অথচ
বিভিন্ন সময়ে ব্যাংক খাতে যেসব বড় ও দেশ জুড়ে আলোড়িত অনিয়ম-জালিয়াতি
হয়েছে, তার বেশির ভাগই করা হয়েছে পোশাক খাতকে দেওয়া বিভিন্ন
সুযোগ-সুবিধা অপব্যবহার করে। আর সব ক্ষেত্রেই পোশাক খাত-সংশ্লিষ্ট
প্রতিষ্ঠানগুলোই এসব জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত ছিল। বাংলাদেশের ইতিহাসের
সবচেয়ে ভয়াবহ আর্থিক কেলেঙ্কারির হোতা হল-মার্ক গ্রুপও এভাবেই অর্থ
জালিয়াতি করেছে। যদিও রপ্তানিতে দ্রুত প্রসারের কারণে হল-মার্ককে
পুরস্কারও দিয়েছে বিজিএমইএ। জালিয়াতি ছাড়াও রয়েছে মালিকদের অবহেলায়
ভবনধস, আগুনে পুড়ে বা পায়ের নিচে পিষ্ট হয়ে প্রায় দুই হাজার শ্রমিকের
মৃত্যুর ঘটনা। এ কারণে বাংলাদেশও বারবার চরম ভাবমূর্তির সংকটে
পড়ছে।কর্মসংস্থান তৈরি এবং বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয় বলে পোশাকমালিকদের সব
ধরনের নীতি ও কর সহায়তা সরকার দিচ্ছে মূলত জনগণের করের টাকায়। গবেষণা
সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর
রহমান মনে করেন, এ কারণেই দেশ ও জনগণের প্রতি পোশাকমালিকদের দায়বদ্ধতা
রয়েছে। শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ উন্নত এবং জীবন ধারণের উপযোগী মজুরি দিয়ে
মালিকদের এই দায়বদ্ধতা দেখাতে হবে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত
২০১০-১১ অর্থবছরের বাজেটে পোশাকমালিকদের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে বলেছিলেন,
‘অধুনা আমাদের দেশে একটি লক্ষণীয় বিত্তশালী গোষ্ঠীর সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু
সরকার সব সময় তাদের কাছ থেকে যথাযথ রাজস্ব বা কর আদায় করতে পারে
না।’বিদেশি ক্রেতাদের কাছ থেকে রপ্তানির কাজ পেলে এখন আর তেমন কোনো অর্থেরই
প্রয়োজন হয় না পোশাকশিল্পের মালিকদের। ব্যাংকই সব ব্যবস্থা করে দেয়।
যেমন বিদেশ থেকে কাপড় বা সুতা আনতে অথবা দেশের মধ্য থেকে তা সংগ্রহ করতে
‘ব্যাক টু ব্যাক এলসি’ অথবা স্থানীয় ঋণপত্রের অর্থ ব্যাংকই জোগায়।
আনুষঙ্গিক উপকরণ (এক্সেসরিজ) আনতে মাত্র ৭ শতাংশ সুদে ব্যাংক থেকে ঋণ পান
পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা। আবার ইসিসি বা এক্সপোর্ট ক্যাশ ক্রেডিটের
(রপ্তানির জন্য নগদ ঋণ) নামে এলে শ্রমিকের মজুরির অর্থও দেয় ব্যাংক। ব্যাক
টু ব্যাক ও ইসিসির সুদের হার ১৩ শতাংশ। দেশের অন্য কোনো খাতের
উদ্যোক্তাদের এই ঋণ নিতে সুদ দিতে হয় অনেক বেশি। উৎপাদন খাতের বাইরে সুদ
দিতে হয়ে ১৭ থেকে ১৮ শতাংশ পর্যন্ত। এর বাইরে বন্ড-সুবিধা তো রয়েছেই।
একমাত্র পোশাক খাতের জন্যই খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিলের ক্ষেত্রে কোনো এককালীন
জমা (ডাউন পেমেন্ট) নেওয়া হয় না। বাংলাদেশ ব্যাংক এ ছাড় দিয়েছে। কেবল
তা-ই নয়, পোশাক খাতের ২৭০টি রুগ্ণ শিল্পের আসল ঋণ ও সুদ মওকুফ এবং ঋণকে
ব্লক (একটি হিসাবে রেখে) করে রেখে নতুন সুবিধা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ
ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ সামগ্রিক বিষয়
নিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, সরকার উদ্যোক্তাদের সুবিধা দিয়েছে বলেই তৈরি
পোশাক খাত দেশের অর্থনীতিতে যথেষ্ট অবদান রাখছে। পোশাকমালিকেরা নিজেরাই সব
করেছেন, তাঁদের এমন দাবি করা ঠিক হবে না। তাঁরা বিপুল ধনসম্পত্তির মালিক
হয়েছেন। কিন্তু শ্রমিকদের সেভাবে মজুরি দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি
পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম মজুরি পান এ দেশের তৈরি
পোশাকশ্রমিকেরা। খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ আরও বলেন, পোশাকমালিকেরা দাবি
করেন, তাঁদের মুনাফা কম থাকে। কিন্তু তাঁরা ‘জিরো ক্যাপিটাল’ নিয়ে ব্যবসা
শুরু করেন। ব্যাংক ঋণ দিয়েছে, সরকার নানা সুবিধা দিয়েছে। পর্যায়ক্রমে
তাঁরা ৮-১০ তলা ভবন তৈরি করেছেন, দামি যন্ত্রপাতি স্থাপন করেছেন। তিনি
প্রশ্ন করেন, মালিকেরা যথেষ্ট মুনাফা না করলে এসব কীভাবে করেছেন? সর্বোচ্চ
করসুবিধা: উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি পোশাক কারখানার মালিকেরাই সবচেয়ে বেশি
করসুবিধা পেয়ে থাকেন। রপ্তানির সময় উৎসে কর হিসেবে মাত্র দশমিক ৮০ শতাংশ
(০.৮০%) দিলেই সব ধরনের কর থেকে দায়মুক্তি পায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানটি।
উৎসে করই চূড়ান্ত কর হিসেবে বিবেচিত হয়। গত অর্থবছর পর্যন্ত এই কর হার
ছিল দশমিক ৬০ শতাংশ। তিন বছর আগে এই হার ১ দশমিক ২০ শতাংশ করার ঘোষণা
থাকলেও পোশাকমালিকদের চাপের মুখে তা কমাতে হয়েছিল। চলতি ২০১২-১৩ অর্থবছরের
মার্চ মাস পর্যন্ত রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকপ্রতিষ্ঠান থেকে এক হাজার ২৭৬
কোটি টাকা কর পেয়েছে এনবিআর। আগের পুরো অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল মাত্র ৮৮৬
কোটি টাকা। কিন্তু ওই অর্থবছরে সরকারের কাছ থেকে নগদ সহায়তা নিয়েছে এক
হাজার ৪১২ কোটি সাত লাখ ৬০ হাজার টাকা।পোশাকশিল্প মালিকেরা পরিচালক হিসেবে
প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে যত টাকা সম্মানী পান, সেই হিসেবে তিনি তাঁর
ব্যক্তিশ্রেণীর আয়কর দেন। অবশ্য বেশির ভাগ পরিচালক বা মালিক প্রতিষ্ঠানের
গাড়িসহ অন্যান্য সুবিধা ভোগ করেন। সে জন্য এই সম্পদের উৎস দেখাতে হয় না।
করবৈষম্য: পোশাকশিল্পগুলো নামমাত্র কর দেয়। দেশের বড় বা করপোরেট
প্রতিষ্ঠানগুলো যে পরিমাণ কর দেয়, তার দশ ভাগের এক ভাগ করও পাওয়া যায় না
তৈরি পোশাক কারখানার মালিকদের কাছ থেকে। করপোরেট প্রতিষ্ঠানকে বার্ষিক
আয়ের ওপর সর্বোচ্চ সাড়ে ৪২ শতাংশ হারে কর দিতে হয়। এনবিআরের বৃহৎ করদাতা
ইউনিটে (এলটিইউ) নিবন্ধিত দেশের শীর্ষ ও বড় ৩৫০টি প্রতিষ্ঠান ও এদের
পরিচালকেরা গত অর্থবছরে (২০১১-১২) মোট নয় হাজার ৭৩১ কোটি টাকা কর
দিয়েছেন। এর আগের অর্থবছরে দিয়েছে সাত হাজার ৫২৬ কোটি টাকা। এলটিইউয়ের
মোট রাজস্ব আদায়ের ৯৭ শতাংশ করই আদায় হয় করপোরেট কর হিসেবে। আর ৭০০ জন
পরিচালকের কাছ থেকে ৩ শতাংশের মতো আদায় হয়। এ ছাড়া দেশের ৩১টি কর অঞ্চলে
আরও শতাধিক প্রতিষ্ঠান করপোরেট কর হিসেবে বছরে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার
কর দেয়। এই এলটিইউয়ের মধ্যে বড় গ্রুপ প্রতিষ্ঠানগুলোর দু-একটি সহযোগী
কোম্পানি আছে পোশাক ও বস্ত্র খাতে। এর বাইরে হাতে গোনা দু-চারটি
পোশাক-বস্ত্র খাতের প্রতিষ্ঠান আছে এলটিইউতে। পোশাক খাত এই ইউনিটে কর
বিবরণী বা রিটার্ন জমা করে মাত্র, কিন্তু কর দেয় না। তারা যে উৎসে কর
দিয়ে এসেছে, ওটাই চূড়ান্ত দায়। কর ও ঋণসুবিধাসহ বিভিন্ন প্রণোদনা
সম্পর্কে তৈরি পোশাকশিল্প মালিক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি আতিকুল ইসলাম
প্রথম আলোকে বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা এসব সুবিধা নিয়েছি। এর বিনিময়ে আমরা কি
দেশকে কিছুই দেইনি? আমরা তো টাকা বিদেশে নিয়ে যাচ্ছি না। এ দেশেই বিনিয়োগ
করেছি। প্রতিবছর ২০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি-আয় করছি। ৪০ লাখ শ্রমিকের
কর্মসংস্থান করেছি। দরিদ্র নারীর ক্ষমতায়ন হয়েছে।’ বন্ড-সুবিধায় ক্ষতি:
শতভাগ রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা বন্ড-সুবিধা পায়। অর্থাৎ এই
সুবিধার আওতায় প্রয়োজনীয় সুতা, কাপড়সহ কাঁচামাল আনতে কোনো শুল্ক দেন না
মালিকেরা। এমনকি তৈরি পোশাক খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রচ্ছন্ন রপ্তানি
খাতগুলোও (প্যাকেজিং, এক্সেসরিজ ইত্যাদি) এই সুবিধা পায়।
রপ্তানি-প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (ইপিজেড) ছাড়া অন্য এলাকায় প্রতিষ্ঠিত শিল্প
খাত এ ধরনের সুবিধা পায় না। গত বছর থেকে শুধু রপ্তানিমুখী চামড়াশিল্পকে
বন্ড-সুবিধা দেওয়া শুরু হয়েছে। এনবিআরের নিজস্ব এক হিসাবে দেখা গেছে,
২০০৭-০৮ থেকে ২০১১-১২ অর্থবছরের মোট এক লাখ ১০ হাজার কোটি টাকার
বন্ড-সুবিধা নিয়েছে তৈরি পোশাক কারখানার মালিকেরা। বন্ড-সুবিধা না থাকলে
তৈরি পোশাকমালিকদের সমপরিমাণ অর্থ শুল্ক-কর হিসেবে দিতে হতো। নীতিবৈষম্য:
ব্যাক টু ব্যাক এলসি সুবিধা তৈরি পোশাকশিল্পসহ রপ্তানি খাতের মালিকেরা পান।
পোশাক খাতে রপ্তানি এলসি (রপ্তানির কার্যাদেশ) পাওয়ার পর প্যাকেজিং
পর্যন্ত নিজের কোনো বিনিয়োগের টাকার দরকার হয় না। সবই করে ব্যাংক। এর
বাইরে গত তিন দশক ধরেই তৈরি পোশাক খাতকে কর অবকাশ সুবিধা (ট্যাক্স হলিডে)
দিয়ে এই শিল্পটিকে সংরক্ষণ করা হয়েছে। অন্যদিকে তৈরি পোশাক খাতের মূলধনী
যন্ত্রপাতি আনতে মাত্র ১ শতাংশ আমদানি শুল্ক দেন উদ্যাক্তারা। আর অন্য
খাতের যন্ত্রপাতি আনতে ৩ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। তৈরি পোশাকশিল্প মালিকেরা
রপ্তানি ঋণ হিসাবে ৭ শতাংশ হারে ব্যাংকের অর্থায়ন পান। আবার ‘এক্সপোর্ট
রিটেনশন কোটায়’ রপ্তানি করে যত ডলার আয় করেন, তার ১০ শতাংশ নিজের ব্যাংক
হিসাবে রাখতে পারেন তাঁরা। এই অর্থ বিদেশে গিয়ে যথেচ্ছা খরচও করেন তাঁরা।
তৈরি পোশাকসহ অন্য রপ্তানিমুখী খাতগুলো রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) থেকে
বর্তমানে মাত্র ৩ শতাংশ হারে ঋণ পায়। এ ক্ষেত্রে সুদের হিসাবটি নির্ধারণ
হয় লন্ডনের আন্তব্যাংক লেনদেন হারের (লাইবর) সঙ্গে আরও আড়াই শতাংশ যোগ
করে। বর্তমানে লন্ডনের আন্তব্যাংক সুদের হার দশমিক ৫ শতাংশ। নগদ সহায়তা:
স্থানীয়ভাবে সহযোগী শিল্প গড়ে ওঠা ও রপ্তানিকে উৎসাহ দিতে বর্তমানে ১৮টি
খাতকে রপ্তানির ওপর বিভিন্ন হারে নগদ সহায়তা দেওয়া হয়। এর মধ্যে বিগত
পাঁচ বছরে রপ্তানিমুখী বস্ত্র খাতের মালিকেরা সরকারি কোষাগার থেকে চার
হাজার ২১৫ কোটি টাকার নগদ সহায়তা নিয়েছেন। চলতি অর্থবছরের ১৯ মার্চ
পর্যন্ত প্রাপ্ত হিসাবে দেখা যায়, ৯২৩ কোটি দুই লাখ টাকার নগদ সহায়তা
নিয়েছেন বস্ত্র ও পোশাক খাতের মালিকেরা। গত অর্থবছরে (২০১১-১২) এ খাতে এক
হাজার ৪১২ কোটি সাত লাখ ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। এর আগের বছর এ
পরিমাণ ছিল ৮৭৭ কোটি ১১ লাখ টাকা। চলতি অর্থবছরে ৫ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা
দেওয়া হচ্ছে পোশাক ও বস্ত্র খাতে। রপ্তানি প্রত্যবসানের বিপরীতে এই অর্থ
দওয়া হয় রপ্তানিকারক পোশাকশিল্প মালিকদের। পোশাক রপ্তানিকারকদের দাবি এ
অর্থ পান আসলে সহযোগী উৎপাদকেরা। দেশের অন্য কোনো রপ্তানিমুখী খাতের
ব্যবসায়ীরা তৈরি পোশাক খাতের তিন ভাগের এক ভাগও নগদ সহায়তা পান না। পোশাক
খাতের নানা ধরনের কর ও আর্থিক সুবিধার বিষয়ে এনবিআরের সদস্য (রপ্তানি ও
বন্ড) নাসির উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, সাধারণত বন্ডসহ শুল্কসুবিধা দেওয়া
হয় একটি বিকাশমান শিল্পকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য। একটি শিল্প বিকাশের
সুবিধার সুফল শুধু উদ্যোক্তাদের কাছে যাওয়া ঠিক নয়। এই শিল্পের সুবিধা
শ্রমিকদের কাছে যাওয়া উচিত।
No comments