ছাদ থেকে লাফিয়ে আহত কর্মীর মৃত্যু- সোমবার বৃহত্তর চট্টগ্রামে হরতাল ডেকেছে জামায়াত
পুলিশের হাতে ধরা না দিয়ে ছয়তলা থেকে
লাফিয়ে আহত জামায়াত কর্মী মো. মঈনুদ্দিন হাসান মুন্নার মৃত্যুর পর সোমবার
১৮ দলের ব্যানারে বৃহত্তর চট্টগ্রামে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে জামায়াত।
শনিবার
বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নগরীর প্যারেড মাঠে নিহত মুন্নার নামাজে জানাজার আগে
সমাবেশে ১৮ দলীয় জোটের পক্ষে এ ঘোষণা দেন নগর জামায়াতের আমির আ ন ম শামসুল
ইসলাম।
সমাবেশে
সরকারকে অত্যাচারী দাবি করে শামসুল ইসলাম বলেন,‘সরকার ইসলামের বিরুদ্ধে
অবস্থান নিয়েছে। দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, মতিউর রহমান নিজামীসহ
আলেম-ওলামাদের হত্যা করতে সরকার অবৈধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে। কিন্তু
মুন্নার মত তাওহিদী জনতা সেই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে।’
সমাবেশে শামসুল ইসলাম জামায়াত কর্মী মঈনুদ্দীন হাসান মুন্নাকে পুলিশ পিটিয়ে ছাদ থেকে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন,‘জামায়াত কর্মী মঈনুদ্দীন হাসান মুন্না হত্যার প্রতিবাদে, খুনীদের গ্রেপ্তার এবং জামায়াদ-শিবির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ১৮ দলীয় জোট চট্টগ্রামের পক্ষ থেকে ২৫ মার্চ সোমবার বৃহত্তর চট্টগ্রামে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করা হবে।’
সতস্ফুর্ত হরতাল পালনের আহবান জানিয়ে সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন।
সমাবেশে নিহতের মামা ও সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী বলেন,‘সরকার পুলিশ বাহিনী দিয়ে রিমান্ডের নামে নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার করছে। রিমান্ডের নামে অত্যাচার করা হচ্ছে এটা কোন আইন।‘
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশ্য তিনি বলেন,‘রাজনীতি করলে মামলা হবেই। এনিয়ে কোন ভয় নেই। আপনি আমি একই সঙ্গে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলাম। আমাদের কারাগারে পাঠিয়ে জামায়াতে ইসলামীকে স্তব্দ করা যাবে না। দেশের তাওহীদি জনতাকে নিয়ে দেশকে রক্ষা করা হবে।’
‘আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল‘ উল্লেখ করে শাহজাহান চৌধুরী বলেন,‘ আমি কখনও পলাতক ছিলাম না।’
এসময় অন্যদের মধ্যে জামায়াত ইসলামীর দক্ষিণ জেলা আমীর জাফর সাদেক, উত্তর জেলা আমীর আমিরুজ্জামান, নগর জামায়াতের সেক্রেটারী নজরুল ইসলাম, নেজামে ইসলামী পার্টির নগর সভাপতি আবদুর রহমান চৌধুরী, বিএনপি দক্ষিণ জেলার সহ-সভাপতি শেখ মো. মহিউদ্দিন, কল্যাণ পার্টির চট্টগ্রাম নগরের সভাপতি মো. ইলিয়াস, ন্যাপ চট্টগ্রাম নগরীর সভাপতি ওসমান গণি, ছাত্রশিবিরের উত্তর জেলার সভাপতি মশরুর হোসাইনসহ ১৮ দলের নেতারা বক্তব্য দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ মার্চ গভীর রাতে নগরীর বাকলিয়া থানার রাহাত্তারপুল এলাকায় একটি বাসায় শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালায় সাতকানিয়া থানা পুলিশ।
এসময় শাহজাহান চৌধুরীর ভাগ্নে ও জামায়াতকর্মী মো. মঈনুদ্দিন ওই বাসার ছাদে ছয়তলা থেকে লাফ দেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে শুক্রবার রাত পৌনে ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঈনুদ্দিন মারা যান।
সমাবেশে শামসুল ইসলাম জামায়াত কর্মী মঈনুদ্দীন হাসান মুন্নাকে পুলিশ পিটিয়ে ছাদ থেকে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন,‘জামায়াত কর্মী মঈনুদ্দীন হাসান মুন্না হত্যার প্রতিবাদে, খুনীদের গ্রেপ্তার এবং জামায়াদ-শিবির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ১৮ দলীয় জোট চট্টগ্রামের পক্ষ থেকে ২৫ মার্চ সোমবার বৃহত্তর চট্টগ্রামে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করা হবে।’
সতস্ফুর্ত হরতাল পালনের আহবান জানিয়ে সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন।
সমাবেশে নিহতের মামা ও সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী বলেন,‘সরকার পুলিশ বাহিনী দিয়ে রিমান্ডের নামে নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার করছে। রিমান্ডের নামে অত্যাচার করা হচ্ছে এটা কোন আইন।‘
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশ্য তিনি বলেন,‘রাজনীতি করলে মামলা হবেই। এনিয়ে কোন ভয় নেই। আপনি আমি একই সঙ্গে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলাম। আমাদের কারাগারে পাঠিয়ে জামায়াতে ইসলামীকে স্তব্দ করা যাবে না। দেশের তাওহীদি জনতাকে নিয়ে দেশকে রক্ষা করা হবে।’
‘আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল‘ উল্লেখ করে শাহজাহান চৌধুরী বলেন,‘ আমি কখনও পলাতক ছিলাম না।’
এসময় অন্যদের মধ্যে জামায়াত ইসলামীর দক্ষিণ জেলা আমীর জাফর সাদেক, উত্তর জেলা আমীর আমিরুজ্জামান, নগর জামায়াতের সেক্রেটারী নজরুল ইসলাম, নেজামে ইসলামী পার্টির নগর সভাপতি আবদুর রহমান চৌধুরী, বিএনপি দক্ষিণ জেলার সহ-সভাপতি শেখ মো. মহিউদ্দিন, কল্যাণ পার্টির চট্টগ্রাম নগরের সভাপতি মো. ইলিয়াস, ন্যাপ চট্টগ্রাম নগরীর সভাপতি ওসমান গণি, ছাত্রশিবিরের উত্তর জেলার সভাপতি মশরুর হোসাইনসহ ১৮ দলের নেতারা বক্তব্য দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ মার্চ গভীর রাতে নগরীর বাকলিয়া থানার রাহাত্তারপুল এলাকায় একটি বাসায় শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালায় সাতকানিয়া থানা পুলিশ।
এসময় শাহজাহান চৌধুরীর ভাগ্নে ও জামায়াতকর্মী মো. মঈনুদ্দিন ওই বাসার ছাদে ছয়তলা থেকে লাফ দেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে শুক্রবার রাত পৌনে ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঈনুদ্দিন মারা যান।
No comments