এ শহর জানে পাপ করতে!
সব পাপ মনে এনে তোমার পা ছুঁই।/ ফুটল কি যুঁই-
তোমার হাসিতে যুঁই ফুটল কি তবে?
জল স্মরগরল কি ফুলের সৌরভে! (সঞ্জয় ভট্টাচার্য)
তোমার হাসিতে যুঁই ফুটল কি তবে?
জল স্মরগরল কি ফুলের সৌরভে! (সঞ্জয় ভট্টাচার্য)
এ শহর জানে পাপ করতে!
সেই কবে থেকেই তো জানে। রজনীঠেকে যেতে যেতেই
একদিন তার মতির ঘরে মারিজুয়ানার ঘোর। তার চিরচেনা দ্বিধা-জর্জর জীবনে, বক্ষের স্বর্গে এমনি করেই একদিন করতলের উত্তাপ নিয়ে এসে দাঁড়িয়েছে রাতের মৌলিনাথ। রাত গড়ালে তিলোত্তমার নাকের পাটা স্ফীত হয় সাপের চোয়ালের মতো। দুটি ঠোঁট ফোলে অরাজকতার রোষে। ‘নয়নে আগুন ঝলে’। রাতের কল্লোলে ভেসে যেতে যেতে, নিশিঠেকে পথে নেমে তবু খুলেও খুলতে পারি না তিলোত্তমার আড়াল। আড়ালের ভিতর নিভৃত পাপ-আড়াল!
শিসার সুরে এখন হিপ-হপের হুলিয়া! এক শরীর থেকে অন্য শরীরে, ভিড়ের নিভৃতে দোলন-দোসর হয়ে মিশে যাচ্ছে বদনামি বুটলেগসের বাট! জগঝম্প নাচ চলছে নাগাড়ে। হুলোড়ের উন্মাদনা একটু একটু করে মধুরতায় যত খসিয়ে দিচ্ছে গোপনের ঢাকনা, ন খলু ন খলু দৃশ্যের অমরতায় পিপাসু নয়ন যেন মাতছে লুঠতরাজে! মনে হল, দাপাদাপির স্পর্শনে ভিড়ের হৃদয়ে লেগেছে জাগৃতির জোয়ার!
রঞ্জার সঙ্গে নাচে সত্যিই এই ফকির অপারগ! ওর যেন কোনও ক্লান্তি নেই। উড়ুক মেয়ের দোলনমায়ায় নিজেকে সামলে-সুমলে রাখা বড় বিষম-কঠিন কাজ! রাত জপাতে ডেনিম জিন্সের ওপর ফিচেল ফতুয়া কেতার স্লিভলেস গোলাপি টপ পরেছে রঞ্জা। ওর নিরাবরণ হাতের মসৃণতা তাকিয়ে থাকায় অদ্ভুত এক আরামের বিভা। ওর গহন চোখে, ঠোঁটের রঙে নিষ্ঠ নিমন্ত্রণ! কোহলে ভিজে, তবু ওর ঠোঁটে আজ সেই প্রিয় শরীর জাগানিয়া গন্ধটা! ওকে খুব নিবিড় করে চুমু খাওয়ার সময় এই বিশেষ গন্ধটা পাই!
উৎসব ভিড়ের ভিতর নিজের সঙ্গে জড়িয়ে নিতেই রঞ্জা ধরা দিল কপট কুন্ঠায়! ওর সুডৌল কোমরে চাপ দিতে ও সরে এল আমারই ভিতর। যেন, ‘দশ আঙুলে লাঙলের মুঠি ধরার স্পন্দন/ কটিদেশে প্রথম-নিজস্ব শ্রাবণের উৎসব’। শিসার ডান্স ফ্লোর থেকে ওকে নিয়ে বুথের অন্দরে যেতে যেতে বললাম,
- তোমার ঠোঁটে সেই মল্লিকা ফুলের ঘ্রাণ!
- এমন লাস্যময় দোলন-গানে ও তোমার ভ্রম ফকির!
- ভ্রম নয় রঞ্জা! তোমার চোখের হাসিতে…
- এই! চুমু খাবে!
ঠিক কতক্ষণ যে রঞ্জার ঠোঁটে ডুবে ছিলাম…। কতক্ষণ? দুজন মানুষ বেখেয়াল দীর্ঘক্ষণ! রঞ্জার এই ‘চুমু খাবে’ বলে হঠাৎ আদরে পাওয়া, দিব্য লাগে আমার। চুমোর ঘোরে বিশুদ্ধ রমণের প্রবল সাধ জাগছে এখন। ওর অপ্রস্তুত ঠোঁটে যতবার চুমু খাই কপট রাগে অস্ত্র শানিয়েছে মেয়ে। আবার কখনও এমনি করেই দরোজা হাট করে দিয়েছে। হুইস্কির পেগটায় অগস্ত্য চুমুক দিতে দিতে ওর দিকে তাকিয়ে ভাবছিলাম সে কথাই। ও সেলফোনে টেক্সট করতে করতে বলল,
- কী ভাবছ ফকির? জায়গাটা জাস্ট রাত জপানোর জায়গা কিন্তু! শিসা সত্যিই অসাধারণ!
ওর কোমরে শীলিত মেদে হাত রেখে বললাম,
- ‘শিসা’ শব্দটার মধ্যেই যে তার পরিচয় রঞ্জা। সেদিন অশোক মুখোপাধ্যায় ‘সংসদ সমার্থশব্দকোষ’-এ শিসার সমার্থ শব্দ দেখছিলাম জানো? আয়না, আরশি, মন্দর, কর্ফর, মুকুর… আরও কত! এ আসলে নামে-গন্ধে-ঠাটে-বাটে কোহলদীপ্ত রাতের কলকাতার খাস মহল। তিলোত্তমার মনের মন্দর!
- বাসন্তিক মধুশালার গত শনিবারও ছিল ওল্ড স্কুল অ্যান্থেম আর ওয়াইল্ড দেশি বিটস রিমিক্সড। সেটা জানো? এখানে মাঝে মাঝেই আসা যায়।
- তোমাকে বলা হয়নি, সরি। ট্যাবে এঁদের ওয়েবে দেখছিলাম, প্রতিটি দিনই শিসায় যাপন উৎসব। শিসায় নিয়মিত যাঁরা আসেন, তাঁরা জানেন শনিবার আর রবিবারের ফারাক! রবিবার খুল্লমখুল্লার দিন। জাস্ট আনপ্লাগড সেশন। উদযাপনে একঘেয়েমি কাটাতে বুধবারও অন্যরকম।
নিজের পেগটা শেষ করে রঞ্জা ওর উদ্ধত ফতুয়ায় সাহসী আড় ভেঙে সরে এল খুব কাছে। যতটা কাছে এলে, দুজন মানুষ পাগল হয় একসঙ্গে! ঈষৎ হেসে বলল,
- বুধবার অন্যরকম মানে? হপ্তার মাঝে তেমন ভিড় জমে?
- রঞ্জা, এখানে এন্ট্রি পাওয়াটাই চাপের। বুধবার মুক্তমনা শিসা, সান্ধ্যসুরে ডাউন মেমোরি লেনে হাঁটে। শরীর ও মনের সাহসী সম্মেলনের হাত ধরে এদিন শিসার রাত আবহে থাকে স্মৃতি জাগানিয়া কারোকে মিউজিক ট্রাক। সে এক অনন্য অভিজ্ঞতা, এঁদের এই মায়া-সুরের মিশেল!
এই কথার মাঝেই সু-ভদ্র বারবয় নীতিন পেগ ভরে দিয়ে গেছে ফের। সঙ্গে রহিস খানা। শিসায় সব ধরণের এশিয়ান ফুড প্রশংসার দাবি রাখে। যুগলের জন্য আড়াই হাজারে কলকাতায় এমন মধুশালা আর কোথায়? বুথের ভিতর থেকে দিব্যি মালুম হচ্ছে অতন্দ্র নিশিনিলয়ের দোলনমায়ায় দুলছে কোহল-কোলাহল! গোপন অথচ অভিজাত এ পানশালার বুথগুলো দিব্যি। সেদিক থেকে রাতপার্টির সঠিক বৈঠকখানা এই বুথ! নিবু নিবু নরম আলোর বিভায় ঝিম ঝিম ঘোর যেন চৌখুপির চতুরালিতে।
একসময়, রঞ্জার বুকের পাহাড়িয়া মধুপুরে বৌদ্ধিক মন্ত্র মুগ্ধতায় কুশল সংবাদ নিতে নিতে ওর ছোট্ট জন্মজরুলে জিভ ছোঁওয়াতেই ও ফিসফিসিয়ে বলল,
- এখন কত রাত?
সেই কবে থেকেই তো জানে। রজনীঠেকে যেতে যেতেই
একদিন তার মতির ঘরে মারিজুয়ানার ঘোর। তার চিরচেনা দ্বিধা-জর্জর জীবনে, বক্ষের স্বর্গে এমনি করেই একদিন করতলের উত্তাপ নিয়ে এসে দাঁড়িয়েছে রাতের মৌলিনাথ। রাত গড়ালে তিলোত্তমার নাকের পাটা স্ফীত হয় সাপের চোয়ালের মতো। দুটি ঠোঁট ফোলে অরাজকতার রোষে। ‘নয়নে আগুন ঝলে’। রাতের কল্লোলে ভেসে যেতে যেতে, নিশিঠেকে পথে নেমে তবু খুলেও খুলতে পারি না তিলোত্তমার আড়াল। আড়ালের ভিতর নিভৃত পাপ-আড়াল!
শিসার সুরে এখন হিপ-হপের হুলিয়া! এক শরীর থেকে অন্য শরীরে, ভিড়ের নিভৃতে দোলন-দোসর হয়ে মিশে যাচ্ছে বদনামি বুটলেগসের বাট! জগঝম্প নাচ চলছে নাগাড়ে। হুলোড়ের উন্মাদনা একটু একটু করে মধুরতায় যত খসিয়ে দিচ্ছে গোপনের ঢাকনা, ন খলু ন খলু দৃশ্যের অমরতায় পিপাসু নয়ন যেন মাতছে লুঠতরাজে! মনে হল, দাপাদাপির স্পর্শনে ভিড়ের হৃদয়ে লেগেছে জাগৃতির জোয়ার!
রঞ্জার সঙ্গে নাচে সত্যিই এই ফকির অপারগ! ওর যেন কোনও ক্লান্তি নেই। উড়ুক মেয়ের দোলনমায়ায় নিজেকে সামলে-সুমলে রাখা বড় বিষম-কঠিন কাজ! রাত জপাতে ডেনিম জিন্সের ওপর ফিচেল ফতুয়া কেতার স্লিভলেস গোলাপি টপ পরেছে রঞ্জা। ওর নিরাবরণ হাতের মসৃণতা তাকিয়ে থাকায় অদ্ভুত এক আরামের বিভা। ওর গহন চোখে, ঠোঁটের রঙে নিষ্ঠ নিমন্ত্রণ! কোহলে ভিজে, তবু ওর ঠোঁটে আজ সেই প্রিয় শরীর জাগানিয়া গন্ধটা! ওকে খুব নিবিড় করে চুমু খাওয়ার সময় এই বিশেষ গন্ধটা পাই!
উৎসব ভিড়ের ভিতর নিজের সঙ্গে জড়িয়ে নিতেই রঞ্জা ধরা দিল কপট কুন্ঠায়! ওর সুডৌল কোমরে চাপ দিতে ও সরে এল আমারই ভিতর। যেন, ‘দশ আঙুলে লাঙলের মুঠি ধরার স্পন্দন/ কটিদেশে প্রথম-নিজস্ব শ্রাবণের উৎসব’। শিসার ডান্স ফ্লোর থেকে ওকে নিয়ে বুথের অন্দরে যেতে যেতে বললাম,
- তোমার ঠোঁটে সেই মল্লিকা ফুলের ঘ্রাণ!
- এমন লাস্যময় দোলন-গানে ও তোমার ভ্রম ফকির!
- ভ্রম নয় রঞ্জা! তোমার চোখের হাসিতে…
- এই! চুমু খাবে!
ঠিক কতক্ষণ যে রঞ্জার ঠোঁটে ডুবে ছিলাম…। কতক্ষণ? দুজন মানুষ বেখেয়াল দীর্ঘক্ষণ! রঞ্জার এই ‘চুমু খাবে’ বলে হঠাৎ আদরে পাওয়া, দিব্য লাগে আমার। চুমোর ঘোরে বিশুদ্ধ রমণের প্রবল সাধ জাগছে এখন। ওর অপ্রস্তুত ঠোঁটে যতবার চুমু খাই কপট রাগে অস্ত্র শানিয়েছে মেয়ে। আবার কখনও এমনি করেই দরোজা হাট করে দিয়েছে। হুইস্কির পেগটায় অগস্ত্য চুমুক দিতে দিতে ওর দিকে তাকিয়ে ভাবছিলাম সে কথাই। ও সেলফোনে টেক্সট করতে করতে বলল,
- কী ভাবছ ফকির? জায়গাটা জাস্ট রাত জপানোর জায়গা কিন্তু! শিসা সত্যিই অসাধারণ!
ওর কোমরে শীলিত মেদে হাত রেখে বললাম,
- ‘শিসা’ শব্দটার মধ্যেই যে তার পরিচয় রঞ্জা। সেদিন অশোক মুখোপাধ্যায় ‘সংসদ সমার্থশব্দকোষ’-এ শিসার সমার্থ শব্দ দেখছিলাম জানো? আয়না, আরশি, মন্দর, কর্ফর, মুকুর… আরও কত! এ আসলে নামে-গন্ধে-ঠাটে-বাটে কোহলদীপ্ত রাতের কলকাতার খাস মহল। তিলোত্তমার মনের মন্দর!
- বাসন্তিক মধুশালার গত শনিবারও ছিল ওল্ড স্কুল অ্যান্থেম আর ওয়াইল্ড দেশি বিটস রিমিক্সড। সেটা জানো? এখানে মাঝে মাঝেই আসা যায়।
- তোমাকে বলা হয়নি, সরি। ট্যাবে এঁদের ওয়েবে দেখছিলাম, প্রতিটি দিনই শিসায় যাপন উৎসব। শিসায় নিয়মিত যাঁরা আসেন, তাঁরা জানেন শনিবার আর রবিবারের ফারাক! রবিবার খুল্লমখুল্লার দিন। জাস্ট আনপ্লাগড সেশন। উদযাপনে একঘেয়েমি কাটাতে বুধবারও অন্যরকম।
নিজের পেগটা শেষ করে রঞ্জা ওর উদ্ধত ফতুয়ায় সাহসী আড় ভেঙে সরে এল খুব কাছে। যতটা কাছে এলে, দুজন মানুষ পাগল হয় একসঙ্গে! ঈষৎ হেসে বলল,
- বুধবার অন্যরকম মানে? হপ্তার মাঝে তেমন ভিড় জমে?
- রঞ্জা, এখানে এন্ট্রি পাওয়াটাই চাপের। বুধবার মুক্তমনা শিসা, সান্ধ্যসুরে ডাউন মেমোরি লেনে হাঁটে। শরীর ও মনের সাহসী সম্মেলনের হাত ধরে এদিন শিসার রাত আবহে থাকে স্মৃতি জাগানিয়া কারোকে মিউজিক ট্রাক। সে এক অনন্য অভিজ্ঞতা, এঁদের এই মায়া-সুরের মিশেল!
এই কথার মাঝেই সু-ভদ্র বারবয় নীতিন পেগ ভরে দিয়ে গেছে ফের। সঙ্গে রহিস খানা। শিসায় সব ধরণের এশিয়ান ফুড প্রশংসার দাবি রাখে। যুগলের জন্য আড়াই হাজারে কলকাতায় এমন মধুশালা আর কোথায়? বুথের ভিতর থেকে দিব্যি মালুম হচ্ছে অতন্দ্র নিশিনিলয়ের দোলনমায়ায় দুলছে কোহল-কোলাহল! গোপন অথচ অভিজাত এ পানশালার বুথগুলো দিব্যি। সেদিক থেকে রাতপার্টির সঠিক বৈঠকখানা এই বুথ! নিবু নিবু নরম আলোর বিভায় ঝিম ঝিম ঘোর যেন চৌখুপির চতুরালিতে।
একসময়, রঞ্জার বুকের পাহাড়িয়া মধুপুরে বৌদ্ধিক মন্ত্র মুগ্ধতায় কুশল সংবাদ নিতে নিতে ওর ছোট্ট জন্মজরুলে জিভ ছোঁওয়াতেই ও ফিসফিসিয়ে বলল,
- এখন কত রাত?
No comments