সন্ত্রাসীদের বোমায় বাবা-মেয়ের মৃত্যু, স্বপ্ন পূরণ হলো না সেতুর
বড় হয়ে বাবার চেয়ে বড় ডাক্তার হবে। সেবার
মনোভাব নিয়ে দাঁড়াবে গরিব ও অসহায় মানুষের পাশে। এমন স্বপ্ন নিয়ে মেহেরপুর
ছেড়ে কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছিলো হাবীবা
খন্দকার সেতু।
মঙ্গলবার ছুটিতে বাড়ি এসেছিল। কিন্তু তার আর
কুষ্টিয়ায় ফিরে যাওয়া হলো না। বৃহস্পতিবার রাতে নিজ বাড়িতে বাবাকে বাঁচাতে
গিয়ে সন্ত্রাসীদের ছোড়া বোমার আঘাতে প্রাণ দিতে হয় এ মেধাবী শিক্ষার্থীকে।
সেতুর বাবা হামিদুর রহমান হেলালকেও কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
দুই মেয়ে ও এক ছেলের সংসার ছিল পল্লী চিকিৎসক ও মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হামিদুর রহমান হেলালের। বড় মেয়ে হিতু ঢাকায় আমেরিকা-বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিতে বিবিএতে ৪র্থ সেমিস্টারে পড়েন। ছোট্ট ছেলে শাওন কুষ্টিয়া আব লরিয়েটস স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র। মেজ মেয়ে সেতু ২০১২ সালে নাটু দা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে পাস করেন। বাবার ডাক্তারি পেশা দেখে তারও স্বপ্ন জাগে বড় হয়ে একজন নামকরা ডাক্তার হওয়ার। মানুষকে সেবা দেয়ার। দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। তার এ স্বপ্নের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে বাবা তাকে ভর্তি করে কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজের বিজ্ঞান বিভাগে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাবার সঙ্গে বসে ভাত খাওয়ার অপেক্ষায় ছিল সেতু। বাবা পল্লী চিকিৎসক বিএনপি নেতা হামিদুর রহমান হেলালেরও বাড়ি ফিরে মেয়ের সঙ্গে ভাত খাওয়ার কথা ছিল। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বাবা বাড়ি ফিরে আসেন। পাশের ঘরে বসে পড়ালেখা করছিলেন সেতু। পড়া শেষ করে বাবাকে নিয়ে রাতের খাবার খাবেন। কিন্তু সে আশা পূরণ হলো না বাবা ও মেয়ের। সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে বাবা হেলাল ও ছোট মেয়ে সেতু বসে গল্প করছিলেন। এ সময় ঘরের দরজায় কড়া নাড়ে কয়েকজন যুবক। তারা ডাক্তার দেখাবার জন্য তাকে বেরিয়ে আসতে বলে। শব্দ পেয়ে ঘরের দরজা খোলেন হেলাল উদ্দিন। এ সময় ৫/৬ জন অস্ত্রধারী তাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। বাবাকে বাঁচাতে ছুটে যান পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়ে সেতু। তাকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে সন্ত্রাসীরা। বাবা প্রাণ বাঁচাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাস্তায় চলে যান। সেখানে অবস্থান নেয়া আরও কয়েকজন সন্ত্রাসী তাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। মেয়ে সেতুও বাবার পিছন পিছন ছুটে যান। এতে ক্ষুব্ধ সন্ত্রাসীরা তাকে লক্ষ্য করে তিনটি বোমা ছুড়ে মারে। বোমার স্প্লিন্টারে মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর জখম হন তিনি। তাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। টানা পাঁচ ঘণ্টা মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে সেতু চলে যান না ফেরার দেশে। শুক্রবার সকালে বাবা ও মেয়ের ময়না তদন্ত সম্পন্ন করেছে পুলিশ। সেতুর মা সন্ধ্যা বেগম জানান, তার স্বামীর কোন শত্রু ছিল না। কি কারণে তার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে তাও জানাতে পারেননি তিনি।
এদিকে এ হত্যার প্রতিবাদে এবং হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলা বিএনপি। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে সাবেক এমপি মাসুদ অরুন বলেন, ব্যর্থ সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে মেহেরপুরের চলমান সংগ্রামকে দুর্বল করার লক্ষ্যে সরকারি দলের পৃষ্ঠপোষকতায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরাই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তিনি হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে ৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। আজ শনিবার সদর উপজেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ, রোববার মুজিবনগর উপজেলায় হরতাল, সোমবার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান। মেহেরপুর পুলিশ সুপার মোফাজ্জেল হোসেন জানান, ঘটনাস্থলে এমএল জনযুদ্ধের খুলনা বিভাগীয় প্রধান বিকাশ মজুমদারের নামে লেখা ছোট্ট একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। তাই ধারণা করা হচ্ছে চরমপন্থি সংগঠনের কোন দ্বন্দ্বের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। ঘটনার রাতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে হানা দিয়েও কাউকে আটক করতে পারেনি। ময়না তদন্ত শেষে মামলা হবে বলেও তিনি জানান।
প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি
মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলাল ও তার মেয়ে হত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি। গতকাল এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এই বর্বোরোচিত হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতিতে দেশের মানুষ আজ কোথাও কোন নিরাপত্তা বোধ করছে না। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কার্যকর না হবার কারণেই দেশে সন্ত্রাসীরা যে কোন ধরনের অপরাধ সংঘটনে উৎসাহিত হচ্ছে। তিনি বলেন, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের হত্যার মাধ্যমে দেশে এক ভীতিকর পরিবেশের সৃষ্টি করেছে সরকার। আর এরই ধারাবাহিকতায় আরেকটি বর্বর দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হলো হেলাল ও তার মেয়েকে হত্যার মধ্য দিয়ে। বিএনপি মহাসচিব সরকারের উদ্দেশে বলেন, নির্বিচারে মানুষ হত্যার মাধ্যমে ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার যে স্বপ্ন দেখছেন তা গণবিস্ফোরণে ধূলিস্যাৎ হয়ে যাবে। জনগণ আপনাদেরকে পালিয়ে প্রাণ রক্ষার সুযোগটুকুও দেবে না। আপনাদের নিশ্চিত পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। ডা. হামিদুর রহমান হেলাল ও তার মেয়েকে হত্যাকারী চিহ্নিত আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব। ডা. হেলাল ও তার মেয়ের আত্মার মাগফিরাত কামনা, শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। উল্লেখ্য, মাগরিবের নামাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে বাসার কাছে ওঁত পেতে থাকা আওয়ামী সন্ত্রাসীরা তার ওপর বোমা হামলা চালায়। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা হামিদুর রহমান হেলালকে জবাই করে নির্মমভাবে হত্যা করার পর পালিয়ে যায়। বোমার শব্দে হেলালের মেয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা তার উপরও বোমা হামলা চালায়। বোমার আঘাতে হামিদুর রহমান হেলালের মেয়েও হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন।
দুই মেয়ে ও এক ছেলের সংসার ছিল পল্লী চিকিৎসক ও মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হামিদুর রহমান হেলালের। বড় মেয়ে হিতু ঢাকায় আমেরিকা-বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিতে বিবিএতে ৪র্থ সেমিস্টারে পড়েন। ছোট্ট ছেলে শাওন কুষ্টিয়া আব লরিয়েটস স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র। মেজ মেয়ে সেতু ২০১২ সালে নাটু দা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে পাস করেন। বাবার ডাক্তারি পেশা দেখে তারও স্বপ্ন জাগে বড় হয়ে একজন নামকরা ডাক্তার হওয়ার। মানুষকে সেবা দেয়ার। দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। তার এ স্বপ্নের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে বাবা তাকে ভর্তি করে কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজের বিজ্ঞান বিভাগে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাবার সঙ্গে বসে ভাত খাওয়ার অপেক্ষায় ছিল সেতু। বাবা পল্লী চিকিৎসক বিএনপি নেতা হামিদুর রহমান হেলালেরও বাড়ি ফিরে মেয়ের সঙ্গে ভাত খাওয়ার কথা ছিল। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বাবা বাড়ি ফিরে আসেন। পাশের ঘরে বসে পড়ালেখা করছিলেন সেতু। পড়া শেষ করে বাবাকে নিয়ে রাতের খাবার খাবেন। কিন্তু সে আশা পূরণ হলো না বাবা ও মেয়ের। সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে বাবা হেলাল ও ছোট মেয়ে সেতু বসে গল্প করছিলেন। এ সময় ঘরের দরজায় কড়া নাড়ে কয়েকজন যুবক। তারা ডাক্তার দেখাবার জন্য তাকে বেরিয়ে আসতে বলে। শব্দ পেয়ে ঘরের দরজা খোলেন হেলাল উদ্দিন। এ সময় ৫/৬ জন অস্ত্রধারী তাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। বাবাকে বাঁচাতে ছুটে যান পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়ে সেতু। তাকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে সন্ত্রাসীরা। বাবা প্রাণ বাঁচাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাস্তায় চলে যান। সেখানে অবস্থান নেয়া আরও কয়েকজন সন্ত্রাসী তাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। মেয়ে সেতুও বাবার পিছন পিছন ছুটে যান। এতে ক্ষুব্ধ সন্ত্রাসীরা তাকে লক্ষ্য করে তিনটি বোমা ছুড়ে মারে। বোমার স্প্লিন্টারে মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর জখম হন তিনি। তাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। টানা পাঁচ ঘণ্টা মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে সেতু চলে যান না ফেরার দেশে। শুক্রবার সকালে বাবা ও মেয়ের ময়না তদন্ত সম্পন্ন করেছে পুলিশ। সেতুর মা সন্ধ্যা বেগম জানান, তার স্বামীর কোন শত্রু ছিল না। কি কারণে তার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে তাও জানাতে পারেননি তিনি।
এদিকে এ হত্যার প্রতিবাদে এবং হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলা বিএনপি। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে সাবেক এমপি মাসুদ অরুন বলেন, ব্যর্থ সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে মেহেরপুরের চলমান সংগ্রামকে দুর্বল করার লক্ষ্যে সরকারি দলের পৃষ্ঠপোষকতায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরাই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তিনি হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে ৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। আজ শনিবার সদর উপজেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ, রোববার মুজিবনগর উপজেলায় হরতাল, সোমবার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান। মেহেরপুর পুলিশ সুপার মোফাজ্জেল হোসেন জানান, ঘটনাস্থলে এমএল জনযুদ্ধের খুলনা বিভাগীয় প্রধান বিকাশ মজুমদারের নামে লেখা ছোট্ট একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। তাই ধারণা করা হচ্ছে চরমপন্থি সংগঠনের কোন দ্বন্দ্বের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। ঘটনার রাতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে হানা দিয়েও কাউকে আটক করতে পারেনি। ময়না তদন্ত শেষে মামলা হবে বলেও তিনি জানান।
প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি
মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলাল ও তার মেয়ে হত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি। গতকাল এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এই বর্বোরোচিত হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতিতে দেশের মানুষ আজ কোথাও কোন নিরাপত্তা বোধ করছে না। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কার্যকর না হবার কারণেই দেশে সন্ত্রাসীরা যে কোন ধরনের অপরাধ সংঘটনে উৎসাহিত হচ্ছে। তিনি বলেন, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের হত্যার মাধ্যমে দেশে এক ভীতিকর পরিবেশের সৃষ্টি করেছে সরকার। আর এরই ধারাবাহিকতায় আরেকটি বর্বর দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হলো হেলাল ও তার মেয়েকে হত্যার মধ্য দিয়ে। বিএনপি মহাসচিব সরকারের উদ্দেশে বলেন, নির্বিচারে মানুষ হত্যার মাধ্যমে ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার যে স্বপ্ন দেখছেন তা গণবিস্ফোরণে ধূলিস্যাৎ হয়ে যাবে। জনগণ আপনাদেরকে পালিয়ে প্রাণ রক্ষার সুযোগটুকুও দেবে না। আপনাদের নিশ্চিত পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। ডা. হামিদুর রহমান হেলাল ও তার মেয়েকে হত্যাকারী চিহ্নিত আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব। ডা. হেলাল ও তার মেয়ের আত্মার মাগফিরাত কামনা, শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। উল্লেখ্য, মাগরিবের নামাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে বাসার কাছে ওঁত পেতে থাকা আওয়ামী সন্ত্রাসীরা তার ওপর বোমা হামলা চালায়। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা হামিদুর রহমান হেলালকে জবাই করে নির্মমভাবে হত্যা করার পর পালিয়ে যায়। বোমার শব্দে হেলালের মেয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা তার উপরও বোমা হামলা চালায়। বোমার আঘাতে হামিদুর রহমান হেলালের মেয়েও হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন।
No comments